āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧍⧭ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§­

570

সঙ্গ সাথী
.
লেখক : Sopner Akash
.
বিছানায় শুয়ে শুয়ে নিধি ফেসবুকে চাটিং
করছে তার বরের সাথে। নিধির বর একটা জব
করে, বাসায় থেকেই যাওয়া আসা করে, আর
এখন একটু ফ্রী টাইম তাই ফেসবুকে এসে স্বামী
স্ত্রী চাটিং করছে। নিধিও আবার একটা
প্রাইমারী ক্যাডেট স্কুলে শিক্ষকতা করে।
কিন্তু সেটা এখন গরমের জন্য বন্ধ বা
গ্রীষ্মের বন্ধ দিছে, ১৫ দিন, তাই নিধি এখন
একেবারে ফ্রী।
.
আর তখনই তাদের একমাত্র মেয়ে তুলি পাশের
রুম থেকে দৌড়ে আসলো। তুলি এখনো বাচ্চা,
কেবল টুতে পড়ে। ওর আম্মু যে স্কুলে জব করে
তুলিও সেই স্কুলে যায়। তুলি এসে দেখে আম্মু
মোবাইল টিপতেছে,, তাই তুলি চুপিচুপি গিয়ে
ওর আম্মুর উপর চড়ে বসলো।
.
- আম্মু আম্মু,,
- কি হইছে? আর আমার উপরে উঠলি কেন?
নেমে পর বলছি!!!
- আম্মু দুপুর বেলা একা ভালো লাগছে না, কি
গরম!! আসো লুডু খেলি।
- ও লুডু নিয়ে পরে আছে, যা ভাগ,,
- আম্মু চলো না খেলি,, মোবাইল পরে টিপো,
এখন আমার সাথে খেলো।
- তুই যাবি এখান থেকে, ওই রুমে গিয়ে টিভি
দ্যাখ যা।
- তাহলে তুমি খেলবে না?
- না।
- আচ্ছা।
.
তারপর তুলি নিজের আম্মুর সঙ্গ না পেয়ে
চুপচাপ উঠে পাশের রুমে গিয়ে শুয়ে পরে। পুরো
দুপুর, মাঠ ফাটা রোদ উঠেছে, আর তুলি গিয়ে
এইসময় শুয়ে পড়লো। ওর আম্মু পারতো মেয়েকে
নিয়ে ঠান্ডা ফ্লোরে বসে লুডু খেলতে কিন্তু
ওনি এখন মোবাইলের ফেসবুক নিয়ে বিজি।
.
কিছুক্ষণ পর নিধি ঘুমিয়ে পরে মোবাইল
টিপতে টিপতে আর তুলি অন্য রুমে বিছানায়
শুয়ে আছে, মেয়েটির ঘুম আসেনি, তুলি এখন
ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে। কারণ ওর আম্মু ওকে
একটুও ভালবাসে না,, যখন ও একটু ওর আম্মুর
সাথে সময় কাটাতে চায় তখনই ওর আম্মু কোনো
না কোনো জিনিস নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
.
এর মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ততার জিনিস হলো
মোবাইল। কারণ ওর আম্মু সবসময় মোবাইলের
মাঝেই মুখ গুজে থাকে। অনার্স পাস করেছে
নিধি, এরজন্যে পরিবার সম্পর্কে হয়তো অনেক
জ্ঞানই আছে ওর, কিন্তু নিজের মেয়েকে
একটুও সময় দেয় না, শুধু ঠিকমতো খাবার আর
খেয়াল রাখা বাবদ আর সময় অন্যদের সাথে
ফোনে বা ফেসবুকে ব্যস্ত থাকে ও।
.
তারপর বিকেলে বেলা,,
তুলি গিয়ে দেখে ওর আম্মু ঘুম থেকে বোধ হয়
অনেক আগেই উঠেছে, কিন্তু এখন রান্না
সেরে উঠলো,,
- আম্মু আম্মু খেতে দাও।
- এখানে বস দিচ্ছি।
- আব্বু আসবে কখন?
- রাতে।
- ওহ্,, তুমিও খাও তাইলে,
- খাবই তো।
.
দুজনের খাওয়া শেষ হয়ে গেল, তারপর একটু
বিশ্রামের জন্য নিধি বিছানায় বসে একটা
গল্পের বই পড়তে থাকে। তখন পড়ন্ত বিকেল,
সূর্যের তাপ আর রোদের আলোর তেজ অনেক
কম। চারদিকে এখন পড়ন্ত রোদের মিষ্টি আভা
ছড়িয়ে আছে। তখন তুলি ওর আম্মুর কাছে গেল,,
.
- আম্মু শুনো,
- বল,
- চলো না বাইরে ঘুরতে যাই।
- এখন না।
- কখন?
- আব্বুর যেদিন বন্ধ থাকে সেদিন আব্বুর সাথে
যাস, আমি পারবো না।
- কেন আম্মু,
- এমনি।
- চলো না, ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগে না।
- ছাদে যাই চল, বাইরে যেতে পারবো না।
- আচ্ছা ছাদেই চলো, বাইরে হাটতে গেলে
ভালো হতো।
- বললাম না বাইরে যাব না।
- আচ্ছা।
.
তারপর তুলি ওর আম্মুর কোলে উঠে ছাদে চলে
গেল। আজ অনেক দিন পর তুলি ওর আম্মুর
কোলে উঠেছে তাই তুলি আজ অনেক খুশি।
আগে সম্ভবত ব্যস্ততার কারণে নিধি ওকে
কোলে নিতে চায় না, কিন্তু আজ নিজে
থেকেই নিয়েছে।
.
নিধির কাজ হলো,, যখন স্কুল খোলা থাকে
তখন সকালে তুলিকে রেডি করে স্কুলে নিয়ে
যাওয়া। তারপর স্কুল থেকে আসার সময় ওকে
নিয়ে আসা। খাওয়ানো। আর রাতে পড়ার সময়
ওকে একটু হেল্প করা। এইগুলা ছাড়া তুলিকে
আর একটু বেশী সময় দেয় না ও।
.
যেমন তুলি, উপরের ওই ছোট ছোট আবদার গুলো
করছিল, ও রকম আবদার পূরণ করতে তুলির আম্মু
ওর সঙ্গ দেয় না, ওকে সময় দেয় না,, একটুও না।
.
তারপরের দিন সকাল বেলা,,
- আব্বু আব্বু,,
- হ্যাঁ, আম্মু বলো কি হইছে?
- চলো না পার্কে ঘুরতে যাই।
- সেটা কি করে? আমি তো অফিস যাব।
- তাহলে আম্মুকে বলে দাও নিয়ে যেতে।
- আম্মু তো একা তোমাকে পার্কে নিয়ে যাবে
না।
- তাইলে বাইরে নিয়ে যেতে বলো।
- নিধি এই নিধি,,
.
- কি হইছে ডাকছো কেন?
- আমার তুলি আম্মুকে আজ বাইরে ঘুরতে নিয়ে
যেও।
- আমি পারবো না।
- কেন?
- কাজ আছে।
- এই বন্ধের দিনেও তোমার এতো কি কাজ
আছে? বাসায় তো আমি আর কোনো কাজ
দেখি না।
- সেটা আমি দেখবো তুমি অফিস যাও।
- তুমি ওকে বিকেলে নিয়ে যাবে।
- ভালো লাগলে যাব, নয়তো না।
- এতে ভালো লাগার কি আছে?
- জানি না।
- নিধি তোমার মাঝে কিন্তু অনেক পরিবর্তন
আসছে।
- কেমন?
- নিজের মেয়েকে একটু সময় দিতে পারো না?
আমি তো অফিসে থাকি নয়তো সবসময় ওর
কাছে থাকতাম।
- দেখো এমন কথা বলবে না,, আমার মেয়েকে
আমি আমার মন মতোই গড়ে তুলবো।
- জানা আছে আমার কিভাবে গড়ে তুলবে
যত্তোসব। এমন ভাবে গড়ে তুললে না মেয়ে আর
মেয়ে থাকবে না,, একটুও সময় দিতে পারে না,
আবার মেয়েকে গড়ে তুলবে,,
- এই তুমি যাও তো এখন।
.
রাগ করে অফিস চলে যায় তুলির আব্বু। কারণ,
তুলির আব্বু আগেই জানতো নিধি ওকে সময়
দেয় না। সবসময় খিটখিট করে। একটা কিছু
আবদার করলে চোখ গরম করে তুলির দিকে
তাকিয়ে থাকে। কেমন যেন একটা আলাদা
ভাব থাকে নিধির ভেতর। অন্য সব আম্মুরা তো
এমন না।
.
তুলির আব্বু চলে যাওয়ার পর তুলি দেখে ওর
আম্মু রেগে লাল হয়ে আছে, তাই আম্মুর কাছে
গেল তুলি,,
- আম্মু শুনো,,
- বল,
- বাবা খুব পচা তাই না, তোমাকে বকছে।
- ঠাস,, তুই তো তার কারণ, যা এখান থেকে।
.
নিধি রেগে গেলে ওর মাথা ঠিক থাকে না,
তাই নিধি এই ছোট্ট জিনিসের জন্য তুলির উপর
হাত তুললো। তবুও তুলি এখন কাদলো না, মাথা
নিচু করে চলে গেল।
.
তুলি জানে না ওর আম্মুর কি হইছে? ওর সাথে
এমনই বা করে কেন? আম্মুর মাথা সবসময় গরম
থাকে কেন? কিছু বললে পাত্তা দেয় না। আরও
তাড়িয়ে দেয়। এভাবে মা বাবার পর্যাপ্ত
ভালবাসা ছাড়া বড় হতে থাকে তুলি। অবশ্য
ওর আম্মুই ওকে বেশী ভালবাসে না, সময় দেয়
না ওর আব্বু ওকে ভালবাসে ঠিকই, কিন্তু
অফিসে কাজের জন্য সময় দিতে পারে না।
.
কিন্তু তুলির আম্মুর কাছে ওকে সময় দেওয়ার
মতো যথেষ্ট সময় আছে। যেমন,, মা মেয়ে তো
এক স্কুলেই আর বাড়িতেও একসাথে থাকে,
তবুও বেশী সময় দেয় না।
.
দু মাস পর,,,
.
দুপুর বেলা,,
- আম্মু, আম্মু,
- কি?
- আমার ড্রেস টা এনে দাও না।
- কই?
- তুমিই তো ছাদে শুকাতে দিলে।
- এখন একটু কাজ করছি, তুই যা। নিচেই আছে
ওটা, বেশী উঁচুতে দেয়নি।
- আচ্ছা আম্মু।
.
তারপর তুলি ওর ছোট্ট ছোট্ট পায়ে ছাদের
দিকে পা বাড়ায়। সেই দুতলায় উঠতে হবে
ওকে। আর নিধির কাজ হলো,, নিধি তখন
ফোনে কথা বলছিল ওর এক বান্ধবীর সাথে।
.
আর তুলি ওর ছোট্ট ছোট্ট পায়ে সেই দুইতলায়
উঠলো। এতো উঁচুতে উঠতে উঠতে পা ব্যথা হয়ে
গেল ওর। তারপর উঠে দেখে ওর ড্রেসটা
নিচেই রাখা আছে, তাই তুলি ওটা নিয়ে
আবার ধীরে ধীরে নামতে লাগলো।
.
যখন একেবারে নিচের তলায় এসে পড়ছে, আর
ছয়টা ধাপ পেরুলেই নেমে পড়বে, ঠিক তখনই
হটাৎ করে পা ফসকে গড়িয়ে পরে যায় তুলি,,
আম্মু বলে চিৎকার দিয়ে উঠে পড়ার সাথে
সাথে।
.
তুলির চিৎকার শুনে ফোন রেখে দৌড়ে আসে
নিধি। এসে দেখে তুলি নিচে মাটিতে পরে
আছে, মাথা ফেটে রক্ত ঝরছে।
- তুলি এই তুলি চোখ খোল মা, দ্যাখ তোর আম্মু
এসেছে।
কিন্তু তুলির কোনো সারা না পাওয়ার জন্য
তুলিকে কোলে তুলে ছুট লাগায় ওদের বাসার
পাশে হাসপাতালের দিকে।
.
তারপর সেখানে গিয়ে ভর্তি করে তুলিকে,
নিধি ফোন করে তুলির আব্বুকে জানিয়ে দেয়।
ফোন পেয়ে তখনই ছুটে আসে তিনি।
এসে দেখে নিধি বসে কাঁদছে। আর ছোট্ট
মিষ্টি তুলিটা বেডে শুয়ে আছে। মাথায়
ব্যান্ডেজ। নিধির কাছে এসে শরীরের সব
শক্তি দিয়ে ঠাস করে একটা চড় মারলো
তিনি।
.
- মারলে কেন?
- তোকে খুন করিনি তোর ভাগ্য ভালো।
- আমি কি করছি।
- তোর ফোন আর তোর চাকরি তোকে খাইয়ে
দিব আমি। আমার মেয়েটার আজ এই অবস্থা শুধু
তোর জন্য। তোর কোনো যোগ্যতা নেই ওর আম্মু
হওয়ার।
- এসব কি বলছো তুমি?
- তা নাহলে তুই ওর দেখাশোনা করতি। ওকে
ছাদে পাঠিয়ে ফোনে কথা বলতি না।
- (,চুপ)
- এরপর তোকে যদি আমি আর কোনো দিন
ফোন হাতে নিতে দেখছি আর চাকরি করতে
যেতে দেখছি, তোকে আমি ছাদ থেকে ফেলে
দিব। তোর চাকরি করা লাগবো না। তোর
টাকার দরকার তাই না,, কত টাকা চাস বল,
আমি দেব সব, শুধু আমার মেয়ের কাছে থাকিস।
- কি বলছো? টাকার বিনিময়ে নিজের মেয়ের
কাছে থাকবো?
- তুই তো টাকার জন্যই চাকরি করিস, চাকরি
করিস সেটা সমস্যা না, কিন্তু তুই ওকে একটুও
ভালোবাসিস না। শুধু স্কুল আর ফোন নিয়ে
থাকিস।
আমি তো আগেই বলছিলাম চাকরি করতে
হইবো না, আমার কি কোনো কিছু কম আছে
নাকি?
- আচ্ছা ঠিক আছে,, আমি নিজেই ওটা ছেড়ে
দেব, সবসময় ওর কাছে থাকবো ওকে এরপর
থেকে অনেক ভালোবাসবো। ওর সবকিছু
রাখবো আমি, যা চায়, যা আবদার করে।
- আবার যদি ওর কিছু হয়ে যায় তোকে কি
করবো সেটা কেউ বলতে পারবে না।
- যা খুশি তাই করো, আমি মাথা পেতে নেব,
তবুও এরপর আমি আমার মেয়েকে আমার
কাছেই আগলে রাখবো।
- মনে থাকে যেন।
.
তার পরের দিন হাসপাতাল থেকে এসে পরে
ওরা। বেশী আঘাত পায়নি তাই তাড়াতাড়ি
ছুটি দিয়ে দিয়েছে। মাথায় শুধু একটা ছোট
ব্যান্ডেজ লাগানো তুলির মাথায়।
.
এখন নিধি আর চাকরি করে না, শিক্ষকতা
থেকে দূরে সরে গেছে। এখন নিধি সবসময় ওর
মেয়ের কাছে থাকে, ওকে আদর করে।
.
যেদিন তুলি পরে যায় তার পরের দিনই নিধি
চাকরি ছেড়ে দেয়।
আজ ছয়দিন হলো তুলি হাসপাতাল থেকে
বাসায় আসে আর ও এখন অনেক সুস্থ।
.
আজ শুক্রবার। তুলির স্কুল বন্ধ সেই সাথে ওর
আব্বুর ফ্রী টাইম, মানে বন্ধ। তাই আজ তুলি
প্লান করছে আজ কি করবে কই যাবে।
তখন তুলি আর ওর আব্বু ছাদে ছিলো আর ওর
আম্মু নিচে ছিলো।
.
- আব্বু আজকে কিন্তু ফুচকা খাব।
- আচ্ছা।
- পাশের ওই পার্কেও নিয়ে যাবে কিন্তু,
- আচ্ছা আম্মু।
- আব্বু চলো আম্মুর কাছে যাই,, আম্মুকে এসব
নিয়ে বলতে হবে তো।
- আচ্ছা আম্মু চলো।
.
তারপর তুলি আর ওর আব্বু দুজনে মিলে নিচে
চলে যায়। নিচে গিয়ে দেখে ওর আম্মু পরম
যত্নে ফোনের গ্লাস মুছছে। কয়দিন ধরে
ফোনে আর হাত দেয়নি তো তাই ময়লা পরে
গেছিলো।
.
- আব্বু আব্বু,,
- হ্যাঁ, আম্মু বলো,,
- আমি না মরে যাব।
- এসব কি বলো?
- ঠিকই আব্বু।
- কেন?
- আমি মরে গিয়ে আবার মোবাইল বা ল্যাপটপ
হয়ে জন্ম নিব। তাহলে আম্মুর হাতে থাকতে
পারবো সবসময়। আর আম্মু আমাকে তখন এভাবে
আদর করবে, যত্ন করবে।
.
তুলির কথাটা শুনে নিধি মাথা উচুঁ করে ওর
দিকে তাকায়। নিধি তখন কিছু বলছে না। শুধু
চোখ দিয়ে টপটপ পানি পড়ছে। দৌড়ে এসে
তুলিকে ওর আব্বুর কাছ থেকে নিয়ে নিজের
কোলে তুলে জড়িয়ে ধরে জোরে কান্না করে
দেয়।
.
- এ কথা কেন বললি মা? আমি তো এখন তোকে
অনেক আদর করি।
- কাঁদছো কেন?
- তো কি করবো? তুই জানিস আমার কতটা কষ্ট
হইছে।
- স্যরি,, আর এমন বলবো।
- আচ্ছা, একদম বলবি না।
- চলো আজকে আমরা ঘুরতে যাব।
- আচ্ছা, মা, যেখানে যেতে চাস আজ
সেখানেই যাব।
- এইতো আমার লক্ষী আম্মু।
.
সমাপ্ত,,,,
.
ব্রিঃ দ্রঃ, কথায় আছে না, চোর পালালে
বুদ্ধি বাড়ে। তেমনই নিধি আগে তুলির কোনো
খেয়াল রাখতো না কিন্তু ওর ওই
এক্সিডেন্টের জন্য নিধি সবসময় ওর কাছে
থাকতো খেয়াল রাখতো। সন্তানকে ভালবাসা,
আদর করা, খেয়াল রাখা এগুলো প্রতিটি
মায়েরই দায়িত্ব কর্তব্য, দায়িত্ব কর্তব্য
বললে ভুল হবে, কারণ,, মা তার সন্তানকে
এমনিতেই মন থেকে ভালবাসে, ছেলের জন্য
মন থেকেই এমনিতেই আদর ভালবাসা মায়া
মমতা স্নেহ, এগুলো আসে।
.
কারণ তার সন্তান তার গর্ভেই বড় হয়েছে,
এজন্য তার আলাদা এক টান থাকে।
কিন্তু আমাদের বর্তমান সময়ে যে জিনিস
গুলো বের হয়েছে এগুলোর জন্য অনেক মা
বাবাই সেগুলো ব্যবহারে ব্যস্ত থাকে। যার
জন্য তাদের সন্তানদের পর্যাপ্ত সময় দিতে
পারে না।
.
যার ফলে সে সন্তান মা বাবার সঙ্গ না পেয়ে
আলাদা ভাবে, মানসিক দুরবস্থা নিয়ে বড়
হতে থাকে। মা বাবার ভালবাসা, সময় না
পেয়ে এদের সঠিক মানসিক বিকাশ হয় না।
.
যেমন নিধি তুলির উপর যে অস্বাভাবিক
ব্যবহার করতো। মা তার সন্তানের প্রতি এমন
কোনো দিনও করতে পারে না, কিন্তু অন্য
কিছুর চাপে বা আসক্ত হয়ে ভুল বসত করে
ফেলে। যেমন,, উনিশশো শতাব্দীতে চায়না
দেশে কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে তার
টাকা জোগানের জন্য নিজের ছেলে
মেয়েকে বিক্রি করছিল।
.
কিন্তু এ গল্পটা সেরকম না, শুধু নিধি তুলিকে
সময় দিতো না, ততটা খেয়াল রাখতো না,
নিধি পারতো শিক্ষকতা করার পাশাপাশি
নিধিকে সময় দিতে, আদর করতে, কিন্তু
করেনি, কিন্তু ওই দূর্ঘটনা নিধির মন
মানসিকতা চেন্জ করে দেয়, ও তার ভুলটা
বুঝতে পারে।
.
প্রতিটি মা বাবারই তাদের সন্তানকে
পর্যাপ্ত সময় এবং ভালবাসা দেওয়া উচিত,
নয়তো ভবিষ্যতে তার কুফলটা তাদের উপরই
ফিরে আসে, কারণ মা বাবার সঙ্গ ছাড়া
কোনো সন্তান সুস্থ ভাবে মানসিক বিকাশ
নিয়ে বড় হতে পারে না, আর পর্যাপ্ত সময়
এবং ভালবাসা যদি তাদের কাছ থেকে না
পায়। সন্তানদের সাথে সঙ্গ দেওয়ার সবচেয়ে
কাছের ব্যক্তি হলো মা বাবা।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ