নিয়ন আলো
,
,
,
প্রপোজ ডে, সন্ধা ৬টা
,
,
ঘুম থেকে উঠে মোবাইল চেক করে ইনবক্সে একটা মেসেজ পেলো রিহান। মেসেজটা আননোন নাম্বার থেকে দেয়া। ওপেন করে পড়তে লাগলো,,
,
তোমার সাথে শেষ দেখা করতে চাই। আমি এই মাসের ২৩তারিখে সিডনি চলে যাবো। প্লীজ আসো। আসলে খুব খুব বেশি খুশি হব। এটা তোমার কাছে আমার শেষ চাওয়া। নীলাদ্রী।
,
ঘুম থেকে উঠে এমন মেসেজ দেখবে আশা করেনি রিহান। রিহান কোনো রিপ্লাই না দিয়ে কফি বানিয়ে কফির মগটা নিয়ে ছাদে চলে গেলো। কফির মগটা এক পাশে রেখে সে একটা সিগারেট ধরালো।
,
এমন সময় আরেকটা মেসেজ আসলো। একি নাম্বার থেকে। আমি ইস্পাহানী মোড়ে। রাত ১০টা পর্যন্ত ওয়েট করবো। যদি না আসো, আমি চলে যাবো। নীলাদ্রী।
,
সে যাবে কি যাবেনা, সেটা নিয়ে দো টানায় পড়ে গেলো। নীলাদ্রীর সাথে দেখা হয়না আজ প্রায় ২ বছর।
২বছর আগে একবারি দেখা হয়েছিলো। মেয়েটা তার উপর আসক্ত হয়ে যাওয়ার কারনে আর যোগাযোগ রাখেনি রিহান। কারন সে শুধু বন্ধুত্বই চেয়েছিলো। সে চায়না কেউ তার উপর আসক্ত হোক।
,
রাত ৮:২৫
,
,
রিহান সিদ্ধান্ত নিলো দেখা করবে। আর যাই হোক একটা সময়তো তারা বেশ ভালো বন্ধুইতো ছিলো।
রিহান মাথার উপর জ্যাকেটের টুপিটা টেনে ফুটপাতে নিয়ন আলোর মধ্যে নিচের দিকে তাকিয়ে হাটছে।
,
পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে ধরালো। নিয়ন আলোর অবয়বে তার ছায়াটা ক্রমশ সামনে এগোচ্ছে। আর তার সিগারেটের ধোয়া গুলো এই নিয়ন আলোর মধ্যে তার একমাত্র সঙ্গী হিসেবে তাকে সঙ্গ দিয়ে চারপাশে ঘুরছে।
,
তার সামনে পিছনে বেশ কিছু কপোত কপোতি হাত ধরে ধরে যাচ্ছে। তাদের ছোট ছোট রোমান্টিক কথার আওয়াজ আর হাসির শব্দ তার মাথায় জ্বালা ধরাচ্ছে। সে হঠাৎ করে কাকে যেনো খুব মিস করতে শুরু করলো।
,
সে খেয়াল করলো তার ২চোখ ভিজে গেছে। কিন্তু নিয়ন আলোর আলোতে কেউ তার সেই নিরব কান্নার চোখের জল দেখতে পেলোনা।
,
ওহহ, খুব বেশি জ্বালা ধরিয়ে দিচ্ছে কপোত কপতিদের কথার ধ্বনি আর হাসির শব্দ।
,
রিহান তার কানে হেডফোন গুজে দিয়ে সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে দিয়ে ধোয়া ছাড়তে শুরু করলো। নাহ্, বুকের বাম পাশের ব্যাথাটা আবার চিন চিন করতে শুরু করলো।
,
গানের ভলিয়ম আরো বাড়িয়ে দিলো। তার ফেভারিট একটা গান চলছে, Green Day এর Boulevard Of Broken Dreams. সেও গাইতে লাগলো..
,
I walk a lonely road
The only one that i have ever known
Dont know where it goes
But its home to me and i walk alone
,
নাহ্, সে আর পারছেনা। বার বার তার চোখ ভিজে যাচ্ছে। রাস্তার পাশের টং থেকে পানি নিয়ে মুখটা ধুয়ে নিলো।
,
,
রাত ৯:১৫
,
,
ইস্পাহানীর মোড়ে অনেক ভীড়। রেস্তোরাঁগুলো কপোত কপতিদের কোলাহলে মুখোরিত। রিহান একটা ল্যাম্প পোষ্টের পাশে ফুটপাতে নিয়ন আলোর নিচে দাড়িয়ে আশ পাশ দেখছে। ফোনটা বের করে ছোট একটা মেসেজ দিলো, আমি এসেছি, সাথে তার অবস্থানটাও বললো। প্রায় সাথে সাথেই রিপ্লাই এলো, ২মিনিট ওয়েট করো।
,
২মিনিট হওয়ার আগেই একটা কালো গাড়ী রিহানের সামনে এসে দাঁড়ালো। গাড়ী থেকে নীল রঙ এর শাড়ী পড়া অপরুপ সুন্দরী নামলো। তার প্রিয় রঙ যে নীল, মেয়েটা এখনো তা মনে রেখেছে।
,
>> কেমন আছ রিহান?
>>বেশ ভালো। এটা বলে রিহান চুপ চাপ সিগারেট টান তে লাগলো।
>> আমি কেমন আছি জানতে চাইবেনা?
রিহান চুপ চাপ সিগারেট টান তে লাগলো। নাহ্ মেয়েটা মায়া বাড়াচ্ছে।
>> আমি ভেবেছিলাম তুমি আসবেনা রিহান।
>> রিহান নিচের দিকে তাকিয়ে আছে, কেনো ডেকেছ?
>> আমি সিডনি চলে যাচ্ছি, তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করলো। যদি মরে যাই তোমাকে হয়তো আর দেখা হবে না। সেদিন দেখলাম তুমি নিচের দিকে তাকিয়ে ফুটপাত দিয়ে সিগারেট টেনে টেনে যাচ্ছ। ডাক দিতাম, কিন্তু তোমাকে খুব ভয় পাই, তাই ডাক আর দেয়া হয়নি।
>> তুমি বাংলাদেশে থাকলেও যা বাইরে গেলেও তা। ঠিক না? তাতে তো আমার কিছু যায় আসেনা।
>> রিহান তুমি এভাবে হার্ট করে কথা বলছো কেনো? জানি তোমার মাঝে অনেক কষ্ট, তুমি এখনো তাকে ভুলতে পারছো না,কিন্তু এভাবে আর কতদিন? সারাজীবন কি এভাবেই চলবে?
>> আর কিছু বলবে?
>> তোমার জন্য একটা গিফট এনেছি। তোমার প্রিয় গিটার। প্লীজ ফেরত দিওনা। তোমার কাছে এটা আমার শেষ আবেদন। এটা বলে সে গাড়ী থেকে গিটারটা বের করলো।
>> রিহান খুব জোরে হাসতে শুরু করলো।
>> কি ব্যাপার হাসছ কেন?
>> আমি আর গিটার বাজাইনা নীলাদ্রী। আমার গিটারের তার অনেক আগেই ছিঁড়ে গেছে।
>> মানে?
>> এই ব্যাপারে কিছু জানতে চাইলেও আমি তোমাকে বলবনা।
,
রিহান নীলাদ্রীর চোখের দিকে তাকিয়ে দেখলো, নীলাদ্রীর চোখ নামক নদী থেকে নোনা জল উপচে উপচে পড়ছে। রিহান মনে মনে ভাবল, কি ব্যাপার, নিয়ন আলোর উজ্জ্বলতা কি হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে? নাহলে সে এসব দেখছে কিভাবে?
,
>> আমি আসি নীলাদ্রী। আর সরি, তুমি যা ভাবছো তা কখনো সম্ভব না। গুডবাই ফর এভার।
রিহান তার জ্যাকেটের টুপিটা মাথার উপর তুলে নীলাদ্রীকে আর কথা বলার সুযোগ না দিয়ে নিয়ন আলোর মাঝে ছোট ছোট কদম ফেলে হাট তে লাগলো।
,
বেশ কিছু দূর যেয়ে পিছনে ফিরে দেখে নীলাদ্রী দাড়িয়ে আছে এখনো। দূর থেকে নিয়ন আলোর মাঝে তাকে দেখা যাচ্ছেনা। কিন্তু তার অবয়ব বুঝা যাচ্ছে। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর রিহান খেয়াল করলো নীলদ্রী গাড়িতে ঢুকছে, ঢুকার পর গাড়িটা সাথে সাথে স্টার্ট দিয়ে চলে যাচ্ছে।
,
রিহান আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা অট্ট হাসি দিয়ে আবার নিয়ন আলোর মাঝে ফুটপাতে ছোট ছোট কদম ফেলে কানে হেডফোন গুজে হাটছে। নাহ্ বুকের বাম পাশে চিন চিনে ব্যাথাটা নেই। কিন্তু মগজের মেঝেতে কার ঘন ঘন পায়চারী যেনো তাকে জানান দিচ্ছে, সে রিহানের সাথে ছিলো, আছে এবং আজীবন থাকবে।
,
,
,
লিখা: নীল রিহান (নীল শার্ট)
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§
559
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ģ:ā§Ē⧍ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ