"তুমি আমার ফোন ধরলে না যে।কি করছিলে এমন
যে ফোন ধরতে পারলে না"।(রিদিতা)
-"তখন কাজ করছিলাম তাই ধরতে পারি নাই।আর
তুমি কি আমাকে সন্দেহ করছো"।(তুষার)
-"সন্দেহ না আমি জানি তুমি অন্য মেয়েদের সাথে
কথা বলছিলে।আমাকে তো আর এখন ভালো লাগে
না তাই না"।(রিদিতা)
-"ভালো তোমার যা ভাবার ভাবো।আর এতো বেশি
সন্দেহ করা ঠিক না।কেন যে তোমাকে বিয়ে করলাম"।(তুষার)
-"কি বললা তুমি আর আমি কি বলছি তোমাকে বিয়ে
করতে।আমি তোমার বাসা থেকে চলে যাবো আর
আসবো না।আর আমাকে আনতেও যাবে না"।(রিদিতা)
-"যাবার কিছুক্ষন পর তো ফোন দিয়ে বলবে আমাকে
নিতে আসো আমার ভালো লাগছে না।আরও কতো
কিছু বলবে।তার থেকে ভালো তুমি থাকো আমি যাই
কেমন"।(তুষার)
-"হ্যাঁ যাও তোমার তো এখন আর যাবার জায়গার
অভাব নাই যাও"।(রিদিতা)
-"সব সময় এতো বেশি বুঝো কেনো,কম বুঝলে
কি এমন ক্ষতি হয়।আর ভালো লাগে না"।(তুষার)
"এই হচ্ছে আমার বউ রিদিতা।আমার সাথে শুধু
ঝগড়া করে।এটাও ঠিক যে ঝগড়া করলেও
আমাকে অনেক ভালোবাসে আমি অনেক
ভালোবাসি।রিদিতা মতো মেয়ে এখন আর
পাওয়া যায় না"।
"রিদিতা সাথে আমার পরিচয় ফেসবুকে।
আমার বান্ধবির বোনের বান্ধবি হচ্ছে
রিদিতা।আমি ফেসবুক চালাচ্ছিলাম
তখন দেখলাম আমার বান্ধবিকে ট্যাগ
করেছে রিদিতা।আমি তখন আমার
বান্ধবিকে বললাম যে আমার রিদিতা
ভালো লেগেছে।আমার বান্ধবি আমাকে
বললো বয়ফ্রেন্ড আছে,তখন আমি আর
কিছু বললাম না"।
"এই ভাবে অনেক মাস পার হয়ে যায়।
এক দিন আমি আমার বান্ধবির বোনকে
বললাম যে রিদিতা ভালো লাগছে কিছু
করে দিতে।আমাকে বললো আচ্ছা ঠিক
আছে আমি সব ঠিক করে দিচ্ছি"।
"তারপর থেকে রিদিতার আর আমার এক
সাথে পথ চলা শুরু হয়।রিদিতা অনেক
চঞ্চল মেয়ে।সব সময় আমাকে শাসন করে।
তবে মন অনেক ভালো।সব সময় আমার
খেয়াল রাখে,ঠিক মতো খেয়েছি কি না,কি
করি না করি আমার সব কিছুর খবর রাখে।
তবে অনেক ঝগড়া আমার সাথে।সামান্য কিছু
পাইলেই হইছে।যদি ফোন ধরতে দেরি হয়
তাহলে শুরু হয়"।
"অনেক কষ্ট করতে হয়ে রিদিতাকে বিয়ে
করার জন্য।দুজনের পরিবারের কেউ
রাজি হচ্ছিলো না।অনেক কষ্ট করে
বুঝিয়ে রাজি করার পর আমাদের
বিয়ে হয়"।
"ঝগড়া করে বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম।
আপনারাই বলেন এই সামান্য বিষয় নিয়ে
কেউ ঝগড়া করে।কাজ থাকতে পারে না,
কাজের সময় কি কেউ কথা বলতে পারে।
যাই হোক সিগারেট টানছি আর একা একা
হাটছি।আপনারা আবার বলে দিয়েন না
আমি সিগারেট টানছি তাহলে আমি শেষ।
আর আমি জানি কিছুক্ষন পর ফোন দিবে
আমাকে।আর বলবে বাসায় আসো আমি
আর এমন করবো না।কিন্তু কিছুক্ষন পর
আবার শুরু করবে"।
"বলতে বলতে ফোন দিয়ে দিলো।আপনাদের
সাথে পরে কথা বলি"।
-"ফোন দিয়েছো কেনো"।(তুষার)
-"আমার ইচ্ছা।কোথায় তুমি তারাতারি বাসায়
এসো"।(রিদিতা)
-"না আর বাসায় আসবো না।তুমি আমাকে বিশ্বাস
করো না।তাই আর আসবো না"।(তুষার)
-"তোমার সাথে ঝগড়া করবো না তাহলে কার
সাথে ঝগড়া করবো।আর কোন কথা বলবে না
বাসায় চলে এসো তারাতারি"।(রিদিতা)
"কি আর করার বাসায় চলে আসলাম।নক
করার সাথে সাথেই গেট খুলে দিলো।আমাকে
জড়িয়ে ধরে কান্না করা শুরু করে দিলো।
আমি কান্না করতে না করলাম আর বললাম
যে আমি তো আছি কখনো যাবো না তোমাকে
ছেড়ে"।
"রাতে খেয়ে ঘুমাতে গেলাম"।
-"তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে"।(রিদিতা)
-"কি আছে।আচ্ছা তুমি যখনি আমার সাথে ঝগড়া
করো তারপর আমাকে সারপ্রাইজ দাও আমি কিছু
বুঝলাম না।আচ্ছা কি দিবা বলো"।(তুষার)
-"তুমি বাবা হতে যাচ্ছ।কেউ তোমাকে বাবা বলে
ডাকবে"।(রিদিতা)
-"সত্যি বলছো তুমি।আজ আমি অনেক খুশি জানো।
তুমি আমার সব চাওয়া পুরন করে দিলে"।(তুষার)
"আমি এখন রিদিতার খেয়াল নেই,সব সময়
কাছে থাকি।কোন কাজ করতে দেই না"।
"আজ আমি বাসায় না থাকায় রিদিতা একা
একা বিছানা থেকে নামতে গিয়ে পরে যয়।
আমি জানতে পেরে সাথে সাথে চলে আসি
আর হসপিটালে নিয়ে যাই"।
"রিদিতাকে অপারেশন রুম নিয়ে যায়।খুব
চিন্তা হচ্ছে রিদিতার নিয়ে আর ভয় করছে
অনেক যদি কিছু হয়ে যায়"।
"কিছুক্ষন পর ডাক্তার এসে বললো আমার
সন্তান নাকি আর নেই।আমি নাকি আর
কখনো বাবা ডাক শুনতে পারবো না।তখন
নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছিলো"।
"আমি আর আগের মতো কথা বলতাম না।
কারন হচ্ছে রিদিতার জন্য আমার সন্তান
আজ পৃথিবীতে আসতে পারলো না।আমি
বারন করেছিলাম একা একা বিছানা থেকে
উঠতে"।
"রিদিতার সাথে এখন প্রতিনিয়ত আমার
ঝগড়া হয়।আগের থেকেও বেশি।কেমন
যেন এখন আর সহ্য করতে পারি না।
একটা সময় ঝগড়ার পরিমান এতো
বেড়ে যায়।আমি আলাদা থাকার সিধান্ত
নেই।কিন্তু রিদিতা আমাকে অনেক বুঝায়
আর অনেক কান্না করে।রিদিতার কান্নাও
আমার এখন অসহ্য লাগে।আগে আমি
রিদিতার কান্না করেতে দিতাম না আর
এখন আমি নিজেই কাঁদাই"।
"এই ভাবে অনেক দিন পার হয়ে যায়।সবাই
আমাকে অনেক বুঝায়।একটা সময় আমি
নিজেই আমার ভুল বুঝতে পারি।সব কিছু
আগের মতো ঠিক হয়ে যায়"।
"রিদিতা অনেক খুশি হয়।এখন আর রিদিতা
আমার সাথে ঝগড়া করে না।আমার সব
কথা শুনে"।
"২ বছর পর রিদিতা আজ আবারও
হসপিটালে অপারেশন রুমে।আজ
আরও বেশি চিন্তা হচ্ছে।কিছুক্ষন
পর ডাক্তার এসে বললো আমি মেয়ে
সন্তানের বাবা হয়েছি।আর রিদিতাও
ভালো আছে"।
"আনন্দে আমার চোখ থেকে পানি চলে
আসলো।আমাদের মধ্যে ভালোবাসা
আরও বেরে যায়।আমাদের দুজনের
ভালোবাসা সব কিছু আমাদের মেয়ে
আরিসাকে নিয়ে।আমাদের মেয়ের
নাম আরিসা রেখেছি"।
"তখন আমার একটা ভুলের কারনে আজ
দুটি জীবন দুই দিকে থাকতো।কিন্তু টা
হয়নি তার কারন আমাদের ভালোবাসা।
আর এখন আমাদের সব ভালোবাসা
আমাদের মেয়ের জন্য।আরিসা আসার
পর আমাদের মাঝে দূরত্ব হয়েছিলো টা
আমরা ভুলেই গেছি।এখন আমরা
আরিসাকে নিয়ে ভালো আছি"।
লেখকঃতুষার
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ