আমি সেজুতির দুই পায়ের উপর মাথা
রেখে শুয়ে আছি। দুজনেই ছাঁদে,
কারেন্ট নেই তাই ছাঁদে চলে আসলাম।
শুনশান রাত, আকাশের বুকে ছোট একটা
চাঁদ, চারদিকে ঠাণ্ডা শীতল বাতাশ,
আকাশে ছোট ছোট তাঁরাগুলো মিটি
মিটি করে জ্বলছে আর অন্যদিকে
সেজুতি আমার চুলে হাত বুলাতে
বুলাতে কিসব যেন বলছে কিন্তু
সেদিকে আমার মন নেই...আমার মন
অন্যদিকে, সংসারে অনেক
অভাব...বাড়িতে টাকা পাঠাতে
হবে.....ঘর ভাড়া দিতে হবে...কতো খরচ,
টেনশন এ আমার মাথা ভো ভো করছে।
হঠাং করে আমার কপালে কেও
একজনের ছোট করে দেওয়া একটা আদর
আবিষ্কার করলাম, বুঝতে আর বাকি হল
না যে এটা সেজুতির কাজ...মেয়েটা
এমনিই, যখনিই আমাকে টেনশন করতে
দেখবে ঠিক তখনি কোন কিছু না বলে
আমার কপালে আলতো করে একটা আদর
দিয়ে বলবে সব ঠিক হয়ে যাবে...এখনো
সে একই কাজ করলো.....সেজুতির এমন
আচরণে আমি খুব মুগ্ধ হয়.....আমার হতাশ
হয়ে থাকা মনটা ওর এমন আচরণে নতুন
করে আবার শক্তি যোগাই। এরই মধ্যে
কারেন্ট চলে এসেছে, আমি ওর
দুপায়ের উপর থেকে মাথা তুলে
দাঁড়িয়ে কোন কিছু না বলেই ওকে
সরাসরি কোলে তুলে নিলাম...ও আমার
এমন কাণ্ড দেখে হালকা মুচকি হাসল,
সেজুতির দিকে তাকালাম লজ্জাই ও
মাথা নিচু করে রেখেছে, চাঁদের
আলো যেন ওর লাজুক চেহারার মায়া
আরো বাড়িয়ে দিয়েছে তাই নতুন
করে আবার ওর প্রেমে পরতে বাধ্য
হলাম আমি, প্রতিদিনই আমি এভাবে ওর
প্রেমে পরে যায়, সত্যি বড্ড
ভালোবাসি মেয়েটাকে আমি, বড্ড
বেশী ভালোবাসি। আমি ওকে নিয়ে
বাসায় এসে ঘুমিয়ে যায়। সকালে ঘুম
থেকে উঠে দেখি সেজুতি আমার
পাশে নেই, আমি উচ্চস্বরে সেজুতি
সেজুতি বলে ওকে ডাকলাম, ও রুমে
এসে ওর শাড়ির আচল দিয়ে ওর কপালের
ঘাম মুছতে মুছতে বলল- আরেহ! এভাবে
ডাকছ কেন? আর এই কি তুমি এখনো
রেডি হও নাই, অফিসে যাবে নাহ!
ওর কথা শুনে আমি হালকা দীর্ঘশ্বাস
ফেলে বললাম- আমার কাছে অফিসের
যাওয়ার ভাড়া নেই। সেজুতি আমার
কথা শুনে আমার পাশে এসে বসে এরপর
শারীর আচলের এক কোনাই গিট বাঁধা
টা খুলে আমার হাতে কিছু টাকা
দিয়ে বলে এই নাও, গতকাল আমি আমার
মোবাইলটা বিক্রি করে দিয়েছি,
বিক্রি করে তিন হাজার টাকা
পেয়েছি, এই টাকা দিয়ে আশা করি
তুমি অফিসে যেতে পারবে।
আমি আর ওর দিকে তাকালাম নাহ!
চোখ দুটো ভিজে আসলো, দুচোখে হাত
দিয়ে অশ্রু মুছার আগেই সেজুতি আমার
হাত ধরে ফেলে এরপর সে নিজেই তার
কোমল হাত দিয়ে আমার চোখের জ্বল
স্পর্শ করে তার নিজের মুখে দিয়ে
বলে- এই কি তোমার চোখের পানি
তো দেখি অনেক স্বাদ, খেয়ে অনেক
মজা পেলাম। আমি ওর কথা শুনে হেঁসে
দিলাম...পাগল একটা মেয়ে, আমি ওর
দিকে তাকিয়ে বললাম- সত্যি কি
আমার চোখের পানি অনেক স্বাদ?
তাহলে আরেকটু কাঁদি? ও আমার কথা
শুনে চেহারাটা মলিন করে ফেলে আর
বলে- সব কিছু সহ্য করতে পারলেও
তোমার কষ্ট আমার কিছুতেই সহ্য হয় না!
প্লিস রাজ তুমি আর আমাকে এভাবে
কষ্ট দিও না, তোমার কষ্ট আমার
কষ্ট...সেজুতি কথাগুলো বলতে বলতে
আমার বুকে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে থাকে।
নাহ! আমি আর পারলাম নাহ! শক্ত করে
ওকে জ্বরিয়ে ধরলাম আর ওকে প্রমিস
করলাম আমি আর কখনোই কান্না করবো
নাহ! এভাবেই চলতে থাকে আমাদের
জীবন...অভাব থেকে যে মুক্তি
পেয়েছি তা বললে ভুল হবে, অভাব
লেগেই ছিল, অনেক কষ্টে জীবন যাপন
করছিলাম তবে ভালোবাসার একটুও
কমতি ছিল নাহ! তাই হয়তো টাকা
পয়সার অভাবটা আমাদের অসীম
ভালোবাসার কাছে হেরে যেতো।
২বছর পর একটা সুখবর এসে আমাদের
জানিয়ে দেয় যে আমরা এখন দুজন
থেকে তিনজন হতে যাচ্ছি। তাই এখন
প্রায় সময় সেজুতি কে সময় দেওয়ার জন্য
অফিস থেকে তারাতারি চলে আসি।
সেজুতি এখন অসুস্থ, কিন্তু পাগলি
মেয়েটা অফিস থেকে আসার পর
বাইনা ধরে ছাঁদে যাবে, কি আর
করার? ওকে ছাঁদে নিয়ে গেলাম, ও
আমার কোলে মাথা রেখে এক
দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে
আছে, আর আমি অফিসে আজ সে হয়ছে
ওই হইছে বলে বলে বক বক করতেই আছি
করতেই আছি কিন্তু সেদিকে সেজুতির
কোন খেয়ালেই নেই, সে আনমনে কি
যেন ভাবছে...আমি আমার মুখটা ওর
কপালের খুব কাছে নিয়ে গিয়ে ওর
কপালে একটা আদর দিলাম, আদর দিয়ে
মুখ তুলতেই দেখি ও আমার দিকে
তাকিয়ে আছে, আমি ওর দিকে
তাকিয়ে বললাম- ঠিক এই
জায়গায়...এখানে, আমি একটা মেয়ের
কোলে মাথা রেখে আনমনে আকাশের
দিকে তাকিয়ে দুশ্চিন্তা করছিলাম,
মেয়েটা আমার দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য
আমাকে কোনকিছু না বলে আমার
কপালে একটা আদর দিয়ে আমার সব
দুশ্চিন্তা মুছে দিয়েছিল...আমি সেই
মেয়েটিরও সব দুশ্চিন্তা এভাবেই মুছে
দিতে চায়...আমি সেজুতির হাতটা
শক্ত করে ধরে ওর চোখে চোখ রেখে
বললাম- এতো চিন্তা কিসের, আমি
আছিনাহ! সেজুতি আমার হাতের উপর
হাত রেখে বলে- তুমি যখন আমাকে বল
“আমি তোমাকে ভালোবাসি” আমি
খুশি হয় তবে আমি সব চেয়ে বেশী খুশি
হয় তখন যখন তুমি বল “ এতো চিন্তা
কিসের, আমি আছিনাহ”, কথাটি বলা
শেষ হতে না হতেই সেজুতির চোখের
এক কোণা দিয়ে এক ফোটা অশ্রু তার
গাল ছুয়ে আমার পাঞ্জাবির কাপড়ে
এসে চুপটি করে হালকা ঘর বাঁধে, এই
অশ্রু শুধু আমার কাপড়ে নাহ! আমার
হৃদয়েও ঘর বাঁধে তবে কষ্টের নাহ! অসীম
ভালোবাসার ঘর বাঁধে যা ভেদ করে
কেও প্রবেশ করতে পারবে নাহ! অনেক
অভাবের মাঝেও যদি একে অপরের
প্রতি ভালবাসা থাকে তবে সে
পবিত্র ভালোবাসার কাছেও অভাব
হার মানতে বাধ্য। অনেকেই অনেক
অজুহাত দেখিয়ে সংসার এ অশান্তি
সৃষ্টি করে, আমি তাদের উদ্দেশ্য করে
বলছি একে অপরকে ভালবাসুন, মন থেকে
ভালবাসুন, দেখবেন একদিন সব ঠিক হয়ে
যাবে।
লেখাঃ মৃদুলা জাহান অজোথি
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§
558
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ģ:ā§Ē⧍ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ