✔নীরবে ঝরে যায় কিছু ফুল✔
•••••••••••••💔♦💔•••••••••••••
লেখকঃ-RB Raj
...
তাহলে বিয়ের কেনাকাটাও শেষ?"
- হু।
"কার্ড ছাপানো হয়ে গেছে?"
- হু।
"আমাকে নেমন্তন্ন করবে না?"
স্নিগ্ধা অনেক কষ্টে
মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলে।
- না।
"অনেকদিন ভালো মন্দ কিছু খাই না।
নেমন্তন্ন দিলে অন্তত একটা দিন
ভালো মন্দ কিছু
খেয়ে আসতে পারতাম।"
রাজ, কোন জবাব না দিয়ে নিচের
ঠোঁটটা কামড়ে
দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরায়।
"আমাদের মেয়ে হলে কি নাম
রাখবো ঠিক
করেছিলাম, মনে আছে?"
- পরশ।
"আর ছেলে হলে?"
-পূজা।
"তোমার সাথে বিয়েটা তো হলো
না, বাচ্চা কাচ্চা
হলে দু'জনার ঠিক করা নামগুলো অন্তত
রেখো।"
রাজের বাম চোখ থেকে জলের বড়
একটা ফোঁটা
টুপ করে মাটিতে পড়ে।
-রাজের অনেকক্ষণ ধরে আটকে রাখা
আবেগগুলো হঠাৎ করে যেন বাঁধ
ভেঙ্গে
বেরিয়ে আসে।
- চলো আমরা রেজেস্টারি অফিসে গিয়ে
বিয়ে করে
ফেলি।
স্নিগ্ধা রাজের দিকে তাকিয়ে
হাসে।
এই হাসি আনন্দের
নয়, অপারগতার।
"বিয়ের কার্ড ছাপানো হয়ে গেছে,
রাজ।"
- তো।
"তোমার বাবা মা অনেক বড় লজ্জায়
পড়ে যাবেন।"
- পড়ুক।
"বাড়িতে যাও রাজ।
ক'দিন পর যে
ছেলের বিয়ে, তার
এভাবে অন্য মেয়ের সাথে ভর দূপুরে
টিএসসি'র
ফুটপাথে বসে থাকাটা ভালো
দেখায় না।"
- না দেখাক।
"তোমার হবু শ্বশুর বাড়ির কেউ দেখে
ফেলতে
পারে।"
- দেখুক।
"তাহলে আমিই যাই। ভালো থেকো।"
- আর কখনও দেখা হবে না?
"যদি হয়েও যায়, আমি তোমাকে
চিনবো না। তুমিও চিনো না।"
- মাঝে মাঝে অন্তত ফোন দিও।
স্নিগ্ধা আবার সেই হাসিটা দেয়,
অপারগতার হাসি। পকেট
থেকে রাজের গিফট করা মোবাইল
ফোনটা রাজের
পাশে রেখে উঠে দাঁড়ায় । দ্রুত
নিজেকে সামলে নিয়ে টিএসসি
হতে বের হয়ে যায় স্নিগ্ধা ।
এ দিকে রাজ ভেজা চোখে অদূরে
পার্ক করে রাখা
গাড়িটার দিকে এগিয়ে যায়।
আজ রোদের তেজটা অনেক বেশী।
তার উপর
সকাল থেকে পেটে দানা
পড়েনি। মাথাটা
একটু একটু ঘুরছে। রাজকে তো বলা হয়নি,
তিনটা টিউশনির
মধ্যে কয়েকদিন আগে একটা ছুটে
গেছে। তারা
তাদের ছেলেকে আর আমার মত ইয়াং
টিচারের কাছে
পড়াবেন না। আফসোস, ওই টিউশনির
বেতনটাই
সবচাইতে বেশী ছিলো। গতকাল
রাতে মায়ের হঠাৎ করেই
ওসুখ আর বেড়েছে অথচ আমার কাছে
ঔষুধ কেনার কোনো
টাকা নেই ।যদি স্নিগ্ধার বাবা
বেঁচে থাকতেন তাহলে হয়ত
স্নিগ্ধাকে
এতো কষ্ট করে সংসার চালানো
লাগতো না ।স্নিগ্ধা পেটে থাকতে
ওর বাবা মারা যায় এক রোড
একসিডেন্টে । আর সে যখন
ইন্টারমিডিয়েটে পড়ে, তখন
স্নিগ্ধার মা হঠাৎ করে সিঁড়ি হতে
পড়ে গিয়ে প্যারালাইসিস হয় ।তার পর
সমস্ত সংসারের খরচ
স্নিগ্ধা বহন করে l তাকে অনেক কষ্ট
করে এসব করতে হয় । এদিকে স্নিগ্ধা অনার্সে
পড়ার সময় রাজের প্রেমে পড়ে ।
ভেবেছিল রাজের বিত্তশালী
বাবা
তাদের প্রেম মেনে নিবে । কিন্ত
স্নিগ্ধার ভুল ভাঙ্গলো যেদিন
রাজের
বাবা স্বয়ং তাদের বাড়ি এসে তার
অসুস্থ মাকে অপমান করে ।
জিজ্ঞেস করে কেন তিনি
স্নিগ্ধাকে তার ছেলের পেছনে
লেলিয়ে দিয়েছে ।
সেই সাথে স্নিগ্ধাকে লোভী,
অনাথ মেয়ে বলে অপমান করে । বলে
যে
স্নিগ্ধার মত মেয়েরা নাকি শরীর
দেখেই রাজের মত ছেলেদের
প্রেমের
জালে ফাঁসায় । যদিও রাজ তার
বাবা-মাকে ত্যাগ করে এসে
স্নিগ্ধাকে বিয়ে করতে রাজি ।
কিন্তু স্নিগ্ধা রাজি হয়নি কেননা
স্নিগ্ধা জানে ,অভাবে কত কষ্ট
করে জীবন যাপন করতে হয় । সে
জানে বাবার ভালোবাসা কত
প্রয়োজনীয় এই পৃথিবীতে । তাই তো
আজ স্নিগ্ধার মনে হাজার বেদনা
লুকিয়ে রেখে ফিরিয়ে দিলো
রাজের
পবিত্র ভালোবাসাকে । সত্যিই এই
আজব পৃথিবীত স্নিগ্ধার মত
মেয়েদের পবিত্র ভালোবাসাও
হারিয়ে যায় দারিদ্যতার কারনে ~~~
Writer•••••••••Raj
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŽāĻ্āĻāϞāĻŦাāϰ, ā§Šā§Ļ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§
605
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ž:⧍ā§Ē PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ