āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧍⧭ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§­

590

--এক্সকিউজ মি, আপনার কি কোনো
সাহায্য প্রয়োজন?
.
কথাটা শুনে মোহনা চমকে উঠলো।
তাকিয়ে দেখলো ছাতা মাথায় বেশ
সুদর্শন একটা ছেলে দাড়িয়ে আছে।
এই ঝড়ের বিকেলে জনমানব শূণ্য
রাস্তায় এই সুদর্শন ছেলেটার উপস্থিতি
কিছুটা হলেও সাহসের সঞ্চার করল
মোহনার মনে। একটু দ্বিধাও কাজ করছে..
.
মোহনার সংশয়ের কথা বুঝতে পেরেই
হয়তো ছেলেটা বলল,
-- অনেকক্ষণ থেকেই দেখছি আপনি
এখানে দাড়িয়ে আছেন । তাই এগিয়ে
এলাম সাহায্য করতে। এভাবে একা
একা আর কতক্ষণ দাড়িয়ে থাকবেন?
বিপদ যে কখন কোথা থেকে আসে তা
তো কেউ টেরও পায় না... আপত্তি না
থাকলে চলুন আমি এগিয়ে দেই।
.
মোহনা মনে মনে ভাবলো,
ঠিকই তো। এভাবে আর কতক্ষণ থাকবো
দাড়িয়ে। ঝড় কখন থামবে কে জানে।
আর সন্ধ্যাও হয়ে আসছে। মোহনা
শুনেছে সন্ধ্যা হলেই নাকি এই
নির্মাণাধীন ভবনে জুয়াড়ীদের
আড্ডা চলে।
.
কিছুটা অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাই
রাজি হয়ে গেলো ও।
*
একটা ছাতার নিচে গুটিসুটি হয়ে দুজন
এগিয়ে চললো।
হাটতে হাটতে অনেক কথাই হলো ওদের
মধ্যে।
ছেলেটির নাম ফাহিম। পড়াশুনা শেষ
করে এখন পারিবারিক ব্যবসা
দেখাশোনা করছে। বাবা বেঁচে নেই।
মা আর ছোট বোনকে নিয়েই পরিবার।
.
মোহনাও বললো ওর নিজের ব্যাপারে।
ফাহিমের মতো মোহনার বাবাও
বেঁচে নেই। মাকে নিয়ে থাকে
ভাড়া বাসায়। এখন পড়ছে অনার্স ২য়
বর্ষে। সংসারের খরচ যোগাতে মাকে
সাহায্য করতে ও কয়েকটা টিউশনিও
করে। এখানে এসেছিল টিউশনিতে।
এসে দেখে ছাত্রী তার মায়ের
সাথে শপিং-এ গেছে ; ফিরতে
নাকি রাত হবে। তাই আর অপেক্ষা
করে নি ওখানে। ফিরার পথেই আচমকা
ঝড় শুরু হলো। তারপরের টুকু তো ফাহিম
জানেই...
.
কথায় কথায় ফাহিম জানালো বাসা
থেকে ওর বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া
হচ্ছে খুব। এটা শুনে মোহনা মুখ টিপে
হেসে বললো, "বিয়ে করে নিলেই তো
হয়। সমস্যা কোথায়?"
ফাহিম আফসোসের ভঙ্গিতে বললো,
"এখন তো সিঙ্গেল মেয়ে পাওয়াই
মুশকিল। অন্যের প্রেমিকাকে বিয়ে
করার ইচ্ছা নেই।"
মোহনা বললো, "এখনো এমন মেয়ে আছে
যারা নিজের স্বামীর জন্যই সবটুকু
ভালবাসা তুলে রেখেছে। খুঁজতে
থাকুন ভালো করে, তাহলে পেয়ে
যাবেন।"
ফাহিম থেমে থেমে বললো, "আমি
মনে হয় তেমন কাউকে পেয়ে গেছি।"
মোহনা লাজুক কন্ঠে বললো, "কে সে?"
ফাহিম বললো, "সেই মানবী আমার
পাশেই হাটছে, ম্যাম।"
যদিও মাথায় ছাতা ছিলো, তাও
বাতাসের তোড়ে ওরা প্রায় সম্পূর্ণই
ভিজে গিয়েছিল বৃষ্টিতে।
.
সেদিন ফাহিম মোহনাকে বাসা
পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে, মোহনার মায়ের
সাথে দেখা করে এসেছিল।
ফিরে আসার সময় মোহনা দরজা পর্যন্ত
এগিয়ে দিতে এসেছিল ফাহিমকে।
ততক্ষণে ওদের সম্পর্কটা "আপনি" থেকে
"তুমি"-তে রূপান্তরিত হয়ে
গিয়েছিলো...
*
এরপর প্রায়ই দেখা যেত ফাহিম আর
মোহনাকে ঘুরতে।
ফাহিমের প্রানখোলা হাসিতে
মোহনা মুগ্ধ হয়ে ওর মুখের দিকে
তাকিয়ে থাকতো।
ক্লাস, টিউশনি আর ফাহিমের সাথে
ঘোরাঘুরি করে ওর সময়গুলো বেশ
ভালোভাবে কেটে যাচ্ছিলো।
মোহনার মা জানে রিলেশনটার
ব্যাপারে। তিনিও মনে মনে
ভেবেছেন ফাহিমের সাথে মোহনার
বিয়ে হলে খুব একটা মন্দ হবে না।
তাছাড়া ফাহিম ছেলেটাকে উনারও
বেশ পছন্দ হয়েছে।
.
এরমধ্য বেশ কয়েকবার আকারে ইঙ্গিতে
মোহনার মা ওকে জিজ্ঞাসা
করেছেন যে ফাহিমের ফ্যামিলি
থেকে কবে বিয়ের প্রস্তাব আসবে।
মেয়েটাকে সুপাত্রের হাতে তুলে
দিয়ে তিনি নিশ্চিন্ত হতে চান।
*
সেদিনও বৃষ্টি হচ্ছিলো..
মোহনা আর ফাহিম দুজনই ভিজে
গেছে।
ফাহিম ওদের বাসার কাছাকাছি
আসার সময় মোহনাকে বললো, "মা
প্রায়ই বলে তোমাকে বাসায় এনে
দেখাতে। আজকে যখন এদিকে
এসেছো-ই, তাহলে চলো মার সাথে
দেখা করিয়ে আনি তোমাকে।
মোহনা বললো, "এই অবস্থায়!! আজকে
বাদ রাখো। অন্য একদিন হবে এসব।"
ফাহিম আপত্তি জানিয়ে বললো, "না,
আজকেই। আর তাছাড়া তোমার বাসা
তো এখান থেকে বেশ দূরে। ততক্ষণ এই
ভিজা জামাকাপড়ে থাকলে অসুস্থ
হয়ে যাবে। এখন বাসায় গেলে মা-কে
দেখানোও হবে, আর তুমিও আমার ছোট
বোনের ড্রেস পরে নিতে পারবে
এগুলো বদলে।"
.
অগত্যা মোহনা রাজি হয়ে গেলো।
*
ফাহিমের বাসার ড্রয়িংরুমে ঢুকা
মাত্রই ও দরজা আটকে দিলো। দরজা
আটকানোর শব্দে মোহনা চমকে উঠলো।
তাকিয়ে দেখলো ফাহিমের ঠোটের
কোনে হাসি, তবে এ হাসি আগে আর
কখনো দেখেনি মোহনা...
*
কয়েকমাস পর...
.
সেই দুপুর থেকে ঝড় শুরু হয়েছে। এখন
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতে চললো,
তাও ঝড় বৃষ্টি থামার নাম নেই।
এতে ফাহিমের বেশ সুবিধে। এরকম
আবহাওয়াই তো শিকার ধরার জন্য একদম
উপযুক্ত। হ্যা, শিকার-ই তো!
.
এসব ভাবতে ভাবতেই ফাহিম শুনতে
পেল একটা নারী কন্ঠ বলছে,
-- এক্সকিউজ মি, আমাকে একটু সাহায্য
করবেন?
.
ফাহিম মনে মনে ভাবলো, "বাহ্! এ যে
দেখছি মেঘ না চাইতেই জল।"
শিকার নিজে এসেই ধরা দিলো ওর
জালে এটা ভাবতেই ফাহিমের
ঠোটে সেদিনের মতো হাসি ফুঁটে
উঠলো।
.
পিছনে ঘুরে ভালো করে তাকাতেই
দেখতে পেলো মেয়েটি আর কেউ নয়,
মোহনা!
কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব!!
.
সেদিন রেপ করার পর মোহনার গলায় ফল
কাটার ছুড়ি চালিয়ে নিজে হাতে
ওকে খুন করেছে ফাহিম। তারপর
লাশটাকে টুকরো টুকরো করে বাসার
পিছনের বাগানে পুঁতে ফেলেছিলো।
.
এখানে থেকে দৌড়ে পালাতে
চাইলো ফাহিম। কিন্তু ওর পা-গুলো
যেন মাটির সাথে আটকে গেছে।
চিৎকার করার জন্য মুখ খুলতে গিয়ে
দেখলো গলায় স্বর ফুঁটছে না।
.
মোহনা ওর একটা হাত ধরে বললো,
--কি হলো মিস্টার? সাহায্য
করবেননা?
.
এরপর মোহনার ঠোটের কোনে হাসি
ফুঁটে উঠলো শিকার ধরার আনন্দে।
হ্যা, শিকার-ই তো....!
.
গল্প-- " শিকার "
লেখা:-- মুমতাহিনা মেহ্জাবিন

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ