.
আভার প্রচন্ড মেজাজ খারাপ। কিছু ভাঙতে ইচ্ছা করছে। রেগে গেলে হাতের কাছে থাকা কোন জিনিস পেলে সেটাই ভাঙা তার স্বভাব। কিন্তু পার্কে ভাঙার মত কিছু নেই। সে তার রাগ মেটানোর মত কিছুই পাচ্ছে না।
.
-এই পানি।
পার্কে এক ছেলে পানি বিক্রি করছে। আভা ডাক দিতেই ছেলেটি তার বক্স বর্তি পানির বোতল নিয়ে সামনে এসে দাঁড়াল।
.
-এক বোতল পানি দাও।
আভা এক বোতল পানি নিয়ে টাকা দিয়ে দিল। ছেলেটা চলে যেতেই আভা হাতের বোতলের উপর রাগ খাটাতে শুরু করল। বোতলের নাজেহাল অবস্থা না হওয়া পর্যন্ত তার উপর অত্যাচার চলল।
.
রাব্বিকে আরেকবার ফোন দিল। এবারেও রাব্বি ফোন কেটে দিল। ছেলেটার সমস্যা কি! এত ভাব দেখাচ্ছে!
কালকে রাতে বলেছে দেখা করবে। কিন্তু আজ কোন পাত্তা নেই। সকালবেলা কয়েকবার ফোন দিয়েছে। কিন্তু আসার নাম নেই। তাড়াতাড়ি দেখা করার জন্য আভা রাব্বির মেসের কাছাকাছি একটা পার্কে এসেছে। এখানে আসতে দশ মিনিট লাগে। তবুও রাব্বি আসল না!
.
আভা মোবাইল হাতে নিয়ে রাব্বিকে একটা মেসেজ লিখল। মেসেজটা লিখতে গিয়ে হাত কাঁপছে। মানুষের খুব রাগ উঠলে অথবা উত্তেজনা কাজ করলে হাত পা কাঁপে। আভার তেমন হচ্ছে।
.
মেসেজটা সেন্ড করার দুই মিনিট পরেই রাব্বি এসে হাজির। মুখ দেখে বুঝা যায় সে খুব তাড়াতাড়ি এসেছে। আভার পাশে বসতে বসতে রাব্বি বলল
-কি ব্যপার! কি হয়েছে?
আভা উঠে দাঁড়িয়ে বলল
-তোমার সমস্যা কি বল তো!
-কই সমস্যা নাই তো! সবকিছু ঠিক আছেই তো।
-না কিছুই ঠিক নেই। তোমার আসার কথা কখন, এসেছ কখন! এক ঘন্টা লেট!
.
রাব্বি চুপ করে আছে। তার অবশ্য কিছু বলার নেই। আভা কেন যে এমন ছেলের প্রেমে পরেছিল! সেটাই মাঝেমাঝে তার মাথায় আসেনা। শুধু ভাল কবিতা লিখলে তার প্রেমে পরা লাগে! অন্যসব বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড এর প্রতি কত কেয়ারফুল। কিছুক্ষণ পর পর ফোন দেয়। কিন্তু রাব্বি তেমন ফোন দেয় না।
.
-তুমি দেরি করে আসলে কেন!
আভার কথায় রাব্বি একটু ভরকে গিয়ে বলল
-না.. মানে...
-রাস্তায় জ্যাম ছিল এইত! এটা পুরাতন হয়ে গিয়েছে। নতুন কিছু বল।
-আসলে...
-কি! কি বলবে তুমি! এত ভালবাসি সেইজন্য তুমি এমন কর!
-আমার রুমমেটের মা অসুস্থ, সকাল থেকে রক্তের জন্য দৌড়াদৌড়ি। দুই ব্যাগ রক্ত জোগাড় করতে পেরেছি।
আভা এবারে চুপ হয়ে গেল। এত রাগ নিমিষেই হাওয়া হয়ে গেল। এই কারণেই কি ছেলেটাকে ভালবাসে! ছেলেটা নিজেকে নিয়ে না ভাবলেও মানুষের কথা ভাবে।
.
-ভাইয়া কিছু টাকা দেন।
রাব্বির সামনে একটা বাচ্চা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। গায়ে ছেঁড়া একটা গেঞ্জি, জীর্ন শরীর, মুখটা শুঁকনো। রাব্বি পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করতেই ফোন বেজে উঠল। তার রুমমেট আবার ফোন দিয়েছে!
.
রাব্বি পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে আভার হাতে দিয়ে বলল
-তুমি এখান থেকে ছেলেটাকে পঞ্চাশ টাকা দাও। আমি কথা বলে আসছি।
রাব্বি ফোন হাতে ওইদিকে চলে গেল। আভা রাব্বির মানিব্যাগ ঘেটে পঁচাশি টাকা পেল। ছেলেটাকে পঞ্চাশ টাকা দিতে গিয়ে বলল
-তোমার মুখ শুঁকনো কেন! সকাল বেলা কিছু খাওনি?
-না।
-আচ্ছা তোমার ভাইয়া কথা বলে আসুক। আমরা তিনজন একসাথে খেতে যাব।
.
পাঁচ মিনিটের মত হয়ে গেল। রাব্বি ওদিকে কথা বলতে গেল। কিন্তু এখনো আসছে না! বাধ্য হয়ে আভা রাব্বিকে ফোন দিল। আবার আগের মত তার রাগ উঠছে। হঠাৎ করে সে গেল কোথায়!
রাব্বি ফোন ধরে বলল
-হ্যা শুন, আমি হাসপাতালে যাচ্ছি। তুমি রাগ করো না। কালকে দেখা করব। কেমন!
আভা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল
-আচ্ছা।
.
আভা পার্ক থেকে বের হল। তার সাথে সেই বাচ্চা ছেলেটাও আছে। দুজন একসাথে একটা হোটেলে ঢুকল। হোটেলটা সাধারণ একটা হোটেল। খাবারের অর্ডার দিয়ে দুজন অপেক্ষা করতে থাকল।
.
আভা ছোট থেকেই রেস্টুরেন্টে খেয়ে অভ্যস্ত। এমন সাধারণ হোটেলে খাওয়ার অভ্যাসটা রাব্বির সাথে থেকেই হয়েছে। কারন তাদের খাবার খাওয়া এমন সাধারণ হোটেলেই হয়।
.
আভা খাওয়া শেষ করে বাচ্চা ছেলেটিকে একশো টাকা দিয়ে দিল। বাচ্চাটা খুশি মনে তার মত চলে গেল! রাব্বির মানিব্যাগটা আভার ব্যাগের মধ্যে রেখে দিয়েছে। তার এক টাকাও খরচ করেনি!
.
ঘরিতে তিনটার বেশি বাজে। আভা বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিল। কোন কারনে রাব্বির মানিব্যাগের কথা মনে পরতেই ব্যাগ থেকে মানিব্যাগ বের করল। এর আগে অনেকবার চেষ্টা করেও তার মানিব্যাগ দেখতে পারেনি। সে বারবার বলেছে
-এখানে আমার কিছু দামি জিনিস আছে। সেগুলো তোমাকে দেখানো যাবে না।
সেখান থেকেই আভার কৌতুহল বেড়েছে। কি এমন জিনিস আছে! যা তাকে দেখানো যাবেনা!
.
আভা রাব্বির মানিব্যাগ থেকে সবকিছু বেড় করে বিছানায় রাখল। এটা আভার গিফট দেওয়া মানিব্যাগ।
হঠাৎ একটা জিনিস দেখে আভার চোখ আটকে গেল। মানিব্যাগের এক পাশে দুইটা ছবি রাখা। যেখানে রাব্বির বাবা এবং মায়ের ছবি রাখা। অন্যপাশে দুইটা ছবি!
ছবির একটা মানুষ রাব্বি, অন্যটা আভা!
ব্যাপারটা বেশ লাগছে আভার। ছবির নিচে একটা কার্ড রাখা। কার্ডের সাদা পৃষ্ঠে লেখা
-মানিব্যাগটা কেউ পেলে দয়া করে ফেরত দিবেন। টাকাগুলোর চেয়ে এখানে কিছু মুল্যবান জিনিস আছে। টাকাগুলো রেখে মানিব্যাগ ফেরত দিবেন।
নিচে রাব্বির ফোন নাম্বার।
.
আভা আনমনে কিছুক্ষণ হাসল!
ছেলেটা কি সত্যি পাগল! মানুষ তার মানিব্যাগে বায়োডাটা লিখে রাখে, কিন্তু সে কি লিখেছে!
তার মুল্যবান জিনিস এগুলোই!
একটা ছেলেকে ভালবাসতে কি অনেক কারন লাগে! নাকি অল্প কিছু কারন হলেই চলে!
ভাবতে ভাবতে আভা রাব্বির ছবির দিকে তাকিয়ে আছে। রাব্বি যেন তার দিকে তাকিয়ে বলছে
-এই মেয়ে, ভালবাসি তোমাকে।
কিছু কারনেই আভা রাব্বিকে ভালবেসে ফেলে।
.
-- Jubaer Hasan Rabby (তাঁরছেড়া বালক)
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧍⧠āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§
574
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§§:⧍ā§Ē AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ