ভালোবাসার অধ্যায়
:
লেখাঃঅভিজিৎ ঘোষ(আর জে যাযাবর)
:
টাইটান টাওয়ারের অপজিটেই আমার বাসা।আমার বললে ভুল হবে!আমার মামার বাসা।মামা দেশের বাহিরে থাকেন আর আমি বাসা পাহারা দেই।মাঝে মধ্যে আমার কিছু বন্ধু-বান্ধবী আসে ঘুরতে।মাঝে মাঝে ঢের আড্ডা হয়।প্রায়শই আমরা পিকনিক করি।
:
রাত ১১ টা।বেলকনিতে দাড়িয়ে আকাশ দেখছি।এটা আমার প্রতিদিনকার রুটিন।বই নিয়ে ১১টা পর্যন্ত বসে থাকি,তারপর আকাশ দেখি।
:
-হ্যালো!(প্রিয়ন্তী)
-জ্বী।কেমন আছেন?(আমি)
-আছি।আকাশ দেখছেন কি?
-হ্যাঁ।আপনিও?
-হুম।আপনার সাথে কথা বললেই বলেন আকাশ দেখছি!ভাবলাম কি আছে ঐ আকাশে?তারপর থেকে প্রতিদিন দেখছি আর আপনার সাথে কথা বলছি।
-আপনি অনেক গুছিয়ে কথা বলেন!
-আপনার কাছ থেকেই শিখেছি।
-শুনে ভালো লাগল।
-যেটা সত্যি সেটাই বললাম।আচ্ছা একটা কথা বলব?
-হ্যাঁ অবশ্যই।
-অবনীকে আপনার কেমন লাগে?
-কোন অবনী?
-আমার,আপনার দুজনেরই বান্ধবী।
-ভালোই।তবে ওর রাগটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে।
-বুঝলাম।এবার বলুনতো,আমাকে আপনার কেমন লাগে?
-বন্ধু-বান্ধবীরা হলো আপনজনের কাতারের।এদেরকে ভালো,খারাপ দুটোই লাগতে পারে কাজের জন্য!তবে আপনার কথাগুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে।
-সত্যিই,আপনার সাথে কথায় পারা যাবেনা॥খেয়েছেন?
-না।ঠিক ১২ টায় খেতে যাবো।আপনি?
-আমিও।আপনাকে নকল করছি যে।
-হা হা হা।চালিয়ে যান।
-কাল আমাকে একটু সময় দেওয়া যাবে?
-কখন?
-বিকেলের দিকে।
-হ্যাঁ।কোথাও যাবেন কি?
-শপিং করতে যাবো।
-ওকে।রাখতে হবে এখন।খেতে যাবো।
-হুম।আমিও।শুভ রাত্রি।কাল দেখা হচ্ছে।
-শুভ রাত্রি।
:
প্রিয়ন্তী আমার খুব কাছের বান্ধবীর বান্ধবী।একটা প্রাইভেট ক্যাম্পাসে পড়াশুনা করছে।অবনীর সাথেই আমাদের বাসায় এসেছিলো।সেখান থেকেই পরিচয়।
:
পরের দিন।বিকেল ৪ টা।
:
-আমি টাইটান মলের নিচ তলায় দাড়িয়ে আছি।আপনি এখান থেকে আমাকে নিয়ে যাবেন।
-ঠিক আছে।৫ মিনিটে চলে আসছি।
:
অনেক শপিং করে মেয়েটি।প্রায় প্রতি সপ্তাহে একবার করে।আমি খুব অবাক হই মেয়েটিকে দেখে।এত শপিং করে কি হবে?কিছু বলিনা।যার টাকায় সে করবে!তাতে আমার কি?
:
-এক কাপ কফি খেতে পারি একসাথে?
মেয়েটির কথায় বেশ অবাক হয়ে বললাম;
-আপনি প্রতিদিন আমাকে কফি অফার করেন।আমি কখনো না করেছি?
-তা ঠিক নয়।তবে আপনার অনুমতি নিতে ভালো লাগে।
:
এভাবে প্রায়শই প্রিয়ন্তীর সাথে শপিং করতে যাই,ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলে এতিমখানায় যাই,পার্কে যাই,কফি খেতে যাই।তবে এটা খুব ভালো বন্ধুর পরিচয়ে।প্রায় এক বছর পরে...
:
-একটা বলব?(প্রিয়ন্তী)
-জ্বী বলেন।
-আপনি কখনো বৃষ্টি দেখেছেন?
-হ্যাঁ।বৃষ্টি হলেই দেখি।তবে জানালা দিয়ে।কেন বলুনতো?
-আমি বৃষ্টি বিলাশী।বৃষ্টিতে ভিজতে খুব ভালো লাগে।আপনি ভিজেছেন কখনো?
-নাহ্।প্রবলেম আছে।
-আমাকে বলা যাবে কি?
-কফি খেতে খেতে বলি?
-ওকে।কাল তাহলে যমুনা কফি পয়েন্টে আমি অপেক্ষা করব।
-ঠিক আছে।
:
পরের দিন সন্ধ্যা ৭টা...
:
-বলেন।কেন ভিজতে পারেন না বৃষ্টিতে?
কফির শেষ চুমুকটা দিয়ে বলতে শুরু করলাম;
-যখন আমার বয়স ২ বছর,তখন নিউমোনিয়া হয়েছিলো।তখন আমার মা বেঁচে ছিলেন।অনেক কষ্টে আমাকে বাঁচিয়ে তুলেছিলেন।তারপর আমি যখন ক্লাস টু'তে পড়ি;তখন একদিন বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম বন্ধুদের সাথে।মা ডাকতে ডাকতে আমার কাছে আসছিলেন হটাৎ বজ্রপাতে মা মারা যায়।তারপরে আর বৃষ্টিতে ভেজার ইচ্ছাটা কড়া নাড়া দেয়নি কখনো।
-স্যরি।আমি না জেনেই আপনাকে কষ্ট দিয়ে ফেলছি।
-ঠিক আছে।প্রবলেম নাই।এটাইতো সত্যি।আর সত্যি বলতে আমার কষ্ট হয়না।এখন উঠতে হবে।
-ঠিক আছে চলেন তাহলে।
-হুম।
:
সেদিন রাতে বৃষ্টি হয়েছিলো।কিন্তু প্রিয়ন্তী আমাকে জানিয়েছিলো ও জানালা দিয়ে বৃষ্টি দেখছিলো।আমার প্রায় প্রতিটা কাজ প্রিয়ন্তী নকল করে।বৃষ্টিতে না ভেজার কারণটাও হয়ত আমি!
:
-হ্যালো!
-জ্বী বলেন।
-কি করছেন?
-শুয়ে আছি।আপনি?
-আকাশ দেখবেন না আজ?
-নাহ্।আপনি কি করছেন?
-কিছুনা।কাল একবার শিশুপার্কে আসতে পারবেন?
-হ্যাঁ।
-বিকাল ৩টায় আমি গেইটে অপেক্ষা করব।
-ঠিক আছে।আমি চলে আসব।
:
আর কিছু না বলেই প্রিয়ন্তী ফোন কেটে দিলো।অবাক হয়ে গেলাম।মেয়েটা যেখানে ঘন্টাখানেক কথা বলে আজ দু মিনিটেই শেষ?সাথে সাথেই কল ব্যক করলাম।নাম্বারটা বন্ধ আছে।কি হলো মেয়েটার?যদিও আমি আজ প্রথম ওকে কল দিয়েছিলাম।
:
পরের দিন বিকেল ৩ টা
:
-হটাৎ এখানে আসতে বললেন কেন?
মুখ কালো করে বসে আছে অথচ কোনো কথা বলছে না।আবার বললাম;
-রাতেফোন বন্ধ করে রেখেছিলেন কেন?
-আপনি ফোন দিয়েছিলেন কি?
-হ্যাঁ।
-আমার বিয়ে নিয়ে বাসায় কথা চলছে।আগামী শুক্রবার আমাকে দেখতে আসছে।পছন্দ হলে ঠিক করবে ডেট।খুব দেড়ি করবে না হয়ত!ছেলে বিদেশে থাকে।শুনেছি ডাক্তার।ভাবলাম আমার পছন্দের মানুষটাকে জানানো উচিৎ।তাই এখানে ডেকেছি।
আমি ব্যাপারটা পুরোপুরি বুঝতে পেরেছিলাম।মেয়েটা আমাকে পছন্দ করে।
-আপনি এরকম একটা সুখবর দিতে এসছেন অথচ মিষ্টি নেই?চলেন মিষ্টিমুখ করে নি!প্রিয়ন্তী রাগ করে সেখান থেকে চলে যায়।এরপর আর ১ মাসেও মেয়েটির সাথে কথা হয়নি,দেখা হয়নি।অনেক চেষ্টা করেছি কথা বলার জন্য।ওর ফোনটা অফ ছিলো।বাসার ঠিকানাটাও ছিলোনা আমার কাছে।অবনীও দেয়নি।
:
তারপর এক দিন
:
-ভাইয়া দরজা খোলেন।ভাইয়া আছেন কি?
একটা ছেলের কন্ঠ শুনে দরজা খুলে দেখি রিহান।আমাদের নিচতলায় থাকে।
-কি হয়েছে রিহান?কিছু লাগবে?
একটা খাম হাতে দিয়ে বলল;
-ভাইয়া এটা একটা আপু দিয়েছে।আপনাকে দিতে বলছে।
:
আবির!আপনাকে আমি ভালোবেসি।কেন জানিনা অন্য কারো সাথে মানিয়ে নিতে পারবো না!তাই বিদেশে চলে যাচ্ছি।হয়ত আপনি আমার ভালোবাসাকে বুঝতে পারেননি!আপনার প্রতিটা কাজকে আমি আমার ভেবে নিয়েছিলাম কারণ আমি আপনার মতো হতে চেয়েছিলাম।আমি জানিনা আপনি কাউকে পছন্দ করেন কিনা!এটাও জানিনা আমার জন্য অপেক্ষা করবেন কিনা!তবুও বলছি,আমি ৩ বছর ফিরে আসব।যদি আমাকে ভালোবাসতে পারেন তাহলে অপেক্ষা করবেন।
-প্রিয়ন্তী।
:
চিঠিটা পড়ার পর থেকে মেয়েটিকে ভালোবাসতে শুরু করেছি।ওর জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছি।কি আর করা?ভালোবাসার অধ্যায়গুলোতো প্রথমে বুঝতে পারিনি।এখন তার শাস্তি মাথা পেতে নিচ্ছি।
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŽāĻ্āĻāϞāĻŦাāϰ, ā§Šā§Ļ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§
604
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ž:ā§¨ā§Š PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ