āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§­

548

# তনয়া! মেয়েটা কয়েকদিন যাবৎ
রিকোয়েস্ট দিয়ে জ্বালিয়ে ফেলছে। এই
নিয়ে তিনবার রিকোয়েস্ট ডিলেট করছি।
আবার দিছে। শেষমেষ বাধ্য হয়েই এক্সেপ্ট
করলাম।
সেই থেকে আমার নিউজ ফিডে ভাসতে শুরু
ভয়াবহ সব সেলফি! সেলফির বাহার কি!! কি
স্টাইল রে বাবা!!! দাত-মুখ খিচিয়ে, মুখ
উটের মত চোখা করে,চুল আউলা-ঝাউলা করে
আরও কতো কি?
তবে মেয়েটা কিন্তু অনেক সুন্দরী! ভালো
করে ছবি তুললে যে খারাপ লাগবে তা
কিন্তু না। বরং অনেক ভালো লাগবে।
এক সময় সেলফির জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে
দিলাম আনফ্রেন্ড করে। কিছুদিন ভালোই
ছিলাম। একদিন আমাকে নক করলো.....
-এই যে মিস্টার শুনছেন?
-ফেসবুকে কোনো কিছু শোনা যায় না, তবে
মেসেজ দেখা যায়! সেইরকম ভাবের সহিত
বললাম আমি।
- (ইমো) আমাকে আনফ্রেন্ড করছেন
কেন?
-দেখেন আমার লিস্টে যারা আছে সবাই
রাইটার। কোনো ফটো সুন্দরী আমি লিস্টে
রাখি না। আপনাদের ছবি দেখে রাত দুপুরে
আঁৎকে উঠার কোনো ইচ্ছা আমার নাই!
- কি বললেন???
-দেখেন না কি বলছি?রিডিং ও পড়তে
পারেন না দেখি! আর শোনেন আমি
আপনার বিএফ না, সো আজাইরা রাগ
দেখাবেন না
-দেখুন মিস্টার আমার সাথে এভাবে কথা
বলবেন না প্লিজ, আমি কিন্তু কান্না
করবো! এভাবে কখনো কেউ আমার সাথে
কথা বলে নাই
বোঝা যাচ্ছে সে বাবা-মায়ের আহ্লাদি
মেয়ে। এবার আমি কিছুটা নরম হলাম। সরি
বললাম মেয়েটাকে....
-উহু! সরি বললে হবে না!!
-তা আমাকে কি করতে হবে শুনি?
-আমাকে রিকোয়েস্ট পাঠান!
অগত্যা আমি ফটো সুন্দরী কে রিকোয়েস্ট
দিলাম। কিন্তু ১০ মিনিট অপেহ্মা করার পর
ও যখন এক্সেপ্ট করলো না। আমি মেসেজ
দিলাম....
-কি গো ফটো সুন্দরী? রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট
করেন না কেন?
-হিহি, দুই দিন ঝুলিয়ে রাখবো এটাই
আপনার শাস্তি
খাইছে! এই মেয়ে তো ভয়ানক পাজি!! মনে
মনে বলি....
-তা ম্যাডাম, শাস্তির সময় সীমা কিছুদিন
কমানো যায় না?
-ওকে, বিবেচনায় রাখলাম
সেদিন রাতেই সে আমাকে এক্সেপ্ট
করলো। তারপর আমাকে মেসেজ দিলো....
-জনাব আপনার আবেদন গ্রহন করে শাস্তির
সময়সীমা কমিয়ে দিলাম
- ধন্যবাদ! কিন্তু তুমি আর এরকম ছবি
আপলোড করবা না প্লিজ (কখন যে আপনি
থেকে তুমি তে চলে গেলাম বুঝলাম ও না)
-কিইইই! আমি দেখতে খারাপ বুঝি?
ভ্যাএএএএ
- আরে বোকা তা বলি নাই। একটু সুন্দর করে
ছবি দিতে পারো না সেজেগুজে? যেমন:
নীল একটা শাড়ী পড়ে, চোখে কাজল দিয়ে,
ঠোটে লাল লিপ্সটিক দিয়ে। আর হ্যাঁ একটা
টিপ ও দিবে। আমি বললাম তোমাকে অনেক
সুন্দর লাগবে......
-ঠিকাছে আজকেই দিবো, ওয়েট করো......
কিছুহ্মনপর নিউজফিডে একটা ছবি ভাসতে
দেখলাম আমাকে ট্যাগ করা। প্রথমে
ভাবলাম অন্য কেউ কিন্তু না এটা তনয়া! ওই
ছবিগুলোর সাথে এটার কোনো মিল নাই।
কত্তো সুন্দর লাগছে ওকে! ছবির ক্যাপশনে
দেওয়া- "Only For You"
এটা দেখে খানিকটা বিব্রতবোধ করলাম।
কিছুহ্মনপর বন্ধু-বান্ধব ইনবক্সে নক করা শুরু
করলো...
কি রে দোস্ত প্রেম করতাছস একবার বললি
না!
কি রে দোস্ত মিষ্টি কই?
দোস্ত মেয়েটা কিন্তু হেব্বি! ইত্যাদি
ইত্যাদি। ব্যাপারটা কিন্তু কিছুই না কিন্তু
ওরা বড় বানিয়ে ফেলছে এটাকে।
-জীবনে প্রথম কারো জন্য এতো সুন্দর করে
সাজলাম। কিন্তু তার কমেন্ট ই পেলাম না!
যাও তোমার সাথে কোনো কথা নাই!
মেসেজটা শুধু সিন করলাম কিছু বললাম না।
ছবিতে ছোট্র করে একটা কমেন্ট করলাম-
এত্তগুলা সুন্দর! সে রিপ্লাই দিল-
(কিসের ইমো)
এভাবে দিন যায় তার সাথে ঘনিষ্ঠতা
বাড়তে থাকে। সে ফেসবুকে আসত ই আমার
সাথে চ্যাট করার জন্য। একসময় ফোন
নাম্বার আদান-প্রদান হয়। সে আমাকে কি
যেন বলতে চাইতো। একদিন ফোন করে খুব
কান্না-কাটি শুরু করলো....
-তুমি এতো খারাপ কেন? (কান্নাজড়িত
কন্ঠে)
-আমি আবার কি করলাম?
-এতো ন্যাকা সাজো কেন? কিছু বুঝো না?
জানো না মেয়েদের বুক ফাটে তো মুখ
ফোটে না? সব কথা বলে দিতে হবে?
- কেন? কি হইছে শরীর-টরীর খারাপ করলো
নাকি তোমার? ডাক্তার দেতে হবে?
-কুত্তা! যাও তোমার সাথে কথা নাই
-ও বুঝেছি!
-কি?
- তুমি আমার সাথে বেড়াতে যেতে চাও
তাই না?
-ঘোড়ার ডিম হুমায়ন আহমেদ ঠিক কথাই
বলে গেছেন-
"মেয়েদের তৃতীয় নয়ন থাকে, তা দিয়ে
তারা প্রেমে পড়ার বিষয়টি চট করে বুঝে
ফেলে, আর কোনো ছেলেকে যদি কোনো
মেয়ে বলে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে, তাহলে
ছেলেটি ভাবে সে বুঝে এপেনডিক্সের
ব্যাথায় মরে যাচ্ছে!
আন্ডারস্ট্যান্ড?
-ও বুঝছি! আমি এতো বোকা না। মেয়েটার
মাথায় ব্যাথা ছিলো এপেনডিক্সে না,
তাই না?
-গাধা,গাধা,গাধা!!!
ফোন টা চট করে কেটে গেলো।
আমি বোকার মত ফোনের চেয়ে রইলাম,
কিছু বুঝে উঠতে পারছি না।
এরপর ২ দিন ওর ফোন বন্ধ ছিলো। একদিন
সকালে ঘুমাচ্ছি বাসায় কেউ নেই। এমন সময়
কলিং বেল বেজে উঠলো.....
দরজা খুলে টাস্কি খেয়ে গেলাম। দেখি
স্বয়ং তনয়া দাড়িয়ে আছে, হাসি হাসি
মুখ। চোখে দুষ্টুমি!
-ভিতরে আসতে বলবে না?
-ইয়ে মানে......তুমি! এখানে........
-কেন আসতে পারি না?
-হ্যা পারো, ভিতরে আসো। ওকে ড্রইং রুমে
বসতে বললাম। কিন্তু না, ও আমার বেড রুমে
বসবে!
আমি ওকে আমার রুমে নিয়ে গেলাম।
খানিকটা লজ্জা পাচ্ছি। কারন আমার রুম
সব সময় অগোছালো থাকে।
-রুমের একি অবস্থা করে রাখছো? এতহ্মন যা
আশংকা করেছিলাম তা ই বলে ফেললো......
আমি একটা হাসি দিলাম,কিছু বললাম না।
তারপর সে আমার রুম গোছাতে শুরু করলো।
১০ মিনিটে রুমের জঞ্জাল ক্লিয়ার!
-তুমি কি একা এই রুমে থাকো? তনয়া প্রশ্ন
করলো
-হ্যা....
-ও! সমস্যা নেই কিছুদিন পর আমি আসছি
এবার আমার অনেক প্রশ্নের জবাব পেয়ে
গেলাম। সব কিছু পরিষ্কার হতে শুরু করলো।
ভালোবাসে মেয়েটা আমাকে!!!
-কি হলো কি ভাবছো?
-একটা কথা বলি তনয়া?
-একটা কেন বলবা? হাজারটা বলো! মৃত্যুর
আগ পর্যন্ত শুধু তোমার কথা ই শুনতে চাই.....
-তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?
খানিকহ্মন নিরবতা....
-হুম, অনেক বেশি (লজ্জায় মুখটা লাল হয়ে
গেছে ওর)
-শোনো একটা কথা বলি। তুমি ধনীর
দুলালী। বাস্তবতা কখনো দেখো নি। তুমি
একটা আবেগের মধ্যে আছো। আমি
মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। আমি কখনোই
তোমাকে সুখী করতে পারবো না। আর হ্যা
আমি কখনোই তোমাকে ভালোবাসি নি
আর বাসবো ও না। অনেক কষ্টে মিথ্যে
গুলো বললাম।
ওর ছলছল চোখে আমার দিকে চেয়ে রইলো
খানিকহ্মন।
-এটাই কি তোমার শেষ কথা?
-হ্যা!
তারপর ও উঠে আমার সামনে থেকে চলে
গেলো। আমি বাধা দিলাম না। আমি চাই
ও আমাকে ঘৃনা করুক অনেক অনেক ঘৃনা
করুক........
৩ দিন পর....
আমি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। হঠাৎ আমার ঘুম
ভেঙে গেলো। রাত ১১:৫৩। আমার ফোনটা
বাজতেছে। ঘুমজড়িত কন্ঠে হ্যালো বললাম।
একটা উৎকন্ঠিত মহিলা কন্ঠ কথা বলে
উঠলো...
-হ্যালো বাবা তুমি কি হিমু?
-জি আন্টি, আপনাকে তো ঠিক.......
-আমি তনয়ার মা। তুমি একটু স্কয়ার
হাসপাতালে চলে আসো তো, তনয়াকে
এখানে ভর্তি করা হয়েছে।
আমি ধড়মড়িয়ে বিছানা থেকে উঠে
বসলাম!
-বলেন কি! ওর কি হয়েছে??
-তুমি জলদি চলে এসো, সব কথা পরে
বলবো....
আমি কোনো মতে একটা শার্ট গায়ে
জড়িয়ে বেরিয়ে পড়লাম। হাসপাতালে
যাওয়ার পর এক মহিলা আমার কাছে
আসলো....
-আমি তনয়ার মা,তুমি ই কি হিমু?
-জি আন্টি! আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি
না।
-এই কয়দিন তনয়া শুধু কেঁদে কেঁদে বালিশ
ভিজিয়েছে। কিন্তু আমাকে কিছুই বলতো
না। শেষে ওর এক বান্ধবী আমাকে সব
বলেছে। গতকাল সে হাত কেটে তোমার
নাম লিখেছিলো, আজ হাতের শিরা ই
কেটে ফেললো!
বলেই মহিলা হু হু করে কেদে ফেললো
মহিলা। পিছন থেকে একটা মেয়ে এসে
ওনাকে বেঞ্চে বসিয়ে দিলো। সম্ভবত
তনয়ার বান্ধবী।
আমার মাথাটা বো বো করে ঘুরছে। ওর কিছু
হয়ে গেলে আমি নিজেকে হ্মমা করতে
পারব না। হাসপাতালের কাচ ঘেরা
অপারেশন থিয়েটারের ওপাশে দেখা
যাচ্ছে তনয়ার নিথর শরীর। ওর এই অবস্থা
দেখে আমার ভেতরটা গুমড়ে কেঁদে উঠলো।
এখন অপেহ্মা করা ছাড়া কিছুই করার নেই।
দেখা যাক কি হয়!
রাত ৩ টার দিকে হাসপাতালের বেঞ্চে
বসেছিলাম সবাই ঘুমিয়ে আছে আমার ও
খানিকটা ঝিমুনি এসেছিলো। একজন নার্স
এসে বললো হিমু কে?
আমি বললাম আমি!
আপনাকে একটু ভেতরে আসতে হবে। আমি
মাথা নিচু করে ভেতরে ঢুকলাম। নিজেকে
অপরাধী মনে হচ্ছে।
-কেমন আছো তুমি? মৃদু স্বরে বললো সে
-কেন এতো বড় শাস্তি দিলে আমাকে? কেন
নিজেকে শেষ করে দিতে চাইছো?
- আমাকে নিয়ে তুমি ভেবো না। আমার
হাতে সময় খুব কম। একটা কথা বলি শুনবা?
-অবশ্যই বলো.....
-আমি যদি মরে যাই, তুমি বিয়ে করে সুখী
হবে, প্রমিজ করো!
- অসম্ভব!!!কিভাবে তুমি এই কথা বললে?
তনয়ার ঠোটের কোনে মৃদু হাসির আভাস
দেখা গেল। পরহ্মনেই শরীর থিরথির করে
কাপা শুরু করলো।
-হিমু! আমি তোমার বুকে একটু মাথা রাখতে
চাই!! ওর কন্ঠে তীব্র আকুতি!!
আমি ওকে বুকে টেনে নিলাম। ওর শরীরের
কাপুনি ক্রমেই বাড়তে থাকলো।
এক সময় ওর কাপুনি থেমে গেলো। হৃদযন্ত্রের
মেশিনটার আকাবাকা রেখা সোজা হয়ে
গেলো। আমার চোখের সামনে মারা গেল
মেয়েটা!
আকাশে বড় একটা চাঁদ উঠেছ। চারদিকে
ঠান্ডা বাতাস। মাঝে মাঝে কয়েকটা কুকুর
ডেকে উঠছে। আমি বসে আছি তনয়ার
কবরের পাশে। সেইদিনের পর কেটে গেছে
দুই বছর। আমি বিয়ে করি নি, করার প্রশ্ন ই
উঠে না!
চারদিকের সুনশান নিরবতা চিরে ভেসে
আসছে সাউন্ড বক্সের উচ্চ শব্দ। আজ
তনয়াদের বাড়িতে বিয়ে। সম্ভবত ওর বড়
ভাইয়ের। আহ্লাদি মেয়েটার কথা কারো
মনে নেই, সবাই যার যার মত বিয়ে নিয়ে
ব্যস্ত। ও থাকলে নিশ্চই আজ অনেক সুন্দর
করে সাজত? ঠিক ২ বছর আগের ফেসবুকের
ছবিটার মত?
ওর মৃত্যুর পেছনে দায়ী একমাত্র আমি।
এজন্য আমি নিজেকে কখনো হ্মমা করবো
না............

COLLECTED

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ