মামার বিয়ে←
মামার বিয়ের অনুষ্ঠান, অতিথি আপ্যায়ন, বরযাত্রী যাওয়া নিয়ে আমার তেমন কোনো প্রস্তুতি ছিলনা, আমাকে অনেকবার ফোন করে বাড়ীতে আনা হয়েছে, মামার সাথে আমি সবসময় বন্ধু সুলভ ব্যবহার, কারণ আমির আর মামার বয়সটা একটু কম বেশি হলেও মামা আর আমি একই ক্লাসে পড়েছি ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত, একদিন গনিত স্যার এর গনপিটুনি খেয়ে মামা চিরদিনের মত বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।
থাক ওসব কথা।
আজ মামার বিয়ে কিন্তু আমি কনেযাত্রী নাকি বরযাত্রী সেটা নিয়ে মুশকিল এ পরে গেলাম, কারন আমার মামা যে ঘরে বিয়ে করবেন তার পাশের ঘরে আমার বড়কাকা বিয়ে করেছেন এবং তার পাশের বাড়ীতে আমার আব্বা মহাদয় বিয়ে করেন।
যাক বর যেহেতু আমার মামা হয়, তাই বরযাত্রী হয়ে যেতে হলো।
বিয়ে বাড়ীতে গিয়ে আমার তেমন কোনো হই হোল্লোর নেই, পেন্ডেলের এককোণে বসে মোবাইলের স্ক্রিনের উপর অত্যাচার করছি। মনে মনে ভাবলাম বিয়ে বাড়ীতে আসছি, একটু মজা না করলে কি হয়? তাই মোবাইল দিয়ে ভিডিও করতে শুরু করলাম, প্রায় অনেক্ষন ভিডিও করার পর মোবাইলের স্ক্রিনে আমার চোখ আটকে গেলো,আমি কি সত্যি দেখছি? নাকি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে মামার বিয়ের ভিডিও করছি, চোখে সামনে থেকে মোবাইল টা সরিয়ে হ্যাঁ করে তাকিয়ে আছি, কপালে কালো টিপ, চোখে কাজল,ঠোঁটের ডান পাশে একটা মন কারা তিল, খয়েরী কালারের শাঁড়ী সব মিলিয়ে দেখার মত।
হাতের তুরির আওয়াজে বাস্তবে আসলাম,
- এইযে মিঃ, এভাবে হ্যাঁ করে তাকিয়ে আছেন কেনো? মশা ঢুকবে মুখে(......)
- কেনো? আপনাদের ঘরে মশার স্প্রে নাই? ( আমি)
- আছে, তো?
- তাইলে কিপ্টামি না করে একটু স্প্রে করে দিলেই তো পারেন।
সুন্দর মুখ টাকে চার-পাঁচটা ব্যাকা করে যায়গা ত্যাগ করলো রাগীনি,
- আরেহ নাম তো যানা হলোনা?
- হুহ!!!
নাহ, একেই আমার চাই, আবার মনে হলো যদি বিবাহিত হয়? তাইলে তো বিয়ে খাওয়ার বদলে পিটুনি খেতে হবে।
যাক,পরিশেষে রাগীনি কে রাজি করানোর জন্য আমার চাচাতো ভাই এর সহযোগীতা নিলাম,
আমার চাচা তো ভাই সাগর কে বললাম চল মামী কে দেখে আসি( আমি বিশ্বাস ওখানে গেলে হয়তো রাগীনি কে দেখতে পাবো)।
ঠিকই ওখানে গিয়ে রাগীনি কে পেলাম,
সাগর কে বললাম,
- আমি যা যা বলবো তুই শুধু হু হু হু করে যাবি, কোনো প্রশ্ন করবিনা( আমি)
- হু( সাগর)
------
রাগীনির পাশে দাড়িয়ে-
- সাগর তোর চুল গুলো খুব সুন্দর, খুব নরম হাতে যত্ন করিস তাইনা?(আমি)
- হু ( সাগর)
(রাগীনি এবার আমার দিকে তাকালো আরচোখে)
আবারো,
- সাগর, তোর চোখ গুলো অনেক সুন্দর, যদিও নাম টা একটু বুচা(সাগরের নাক বুচা না)
- হু।
( এবার রাগীনি আমার দিকে তাকালো তবে সাথে একটা বাকাঁ হাসি,এবং কানের উপরে চুল গুলো গুজে দিলো,কপালে আসা চুল গুলো ফ্যান এর বাতাসে উরছে)
আবারো,
- সাগর......................
- থাক ভাই, আর লাগবো না, কোনোদিন তো বলেন নাই, কিরে সাগর তোর মাথায় তেল দেসনা কেন? আজ হঠাৎ এত তেল মারার কারন টা কি?
- সময় হলে বুঝবি,এত তেল মারার কারন টা কি?
( আমাদের কথা শুনে রাগীনি হাসতে শুরু করলো, আমি অপলকে তার হাসি দেখছি)
আমাদের কথা থামিয়ে দিয়ে রাগীনি বললো-
- হায়! আমি নুসরাত।
- আমি রনি,
- বাহ্ সুন্দর নাম তো!!
- আপনার টাও কম কিসে?
- এই কাজ কতদিন ধরে চলছে?
- কোন কাজ!!
- একজন কে তেল মেরে অন্য মেয়ে কে পটানো?
- জি, এই প্রথম।
- চাপা কম মারেন বস্
- সিরিয়াসলি, এটাই ফাস্ট।
- হুম, প্রথম প্রথম সব ছেলেরাই বলে।
- কয়জন কে এই পর্যন্ত মন দিলেন?
- একজনকেও না,তবে এবার মনে হয় আপনাকে দিতে হবে!
- কেনো? কেনো?
- কারন, অন্যান্য ছেলেদের ন্যায় আপনার তেল মারা টা অন্য রকম, কথা গুলো চাপা হলেও যেকোনো মেয়ে পটে যাবে।
- অন্য কারও চিন্তা করিনা, আপনি পটেছেন তো?
- এখনও পুরোপুরি না, তবে রাস্তার পাশ দিয়ে হাটছি।
খাওয়া দাওয়ার ডাক পরেছে, তাই এখানেই কথার ইতি টানতে হলো।
নানার পাশে বসে থেতে শুরু করলাম, মেয়ের বাবার সাথে নানার এখনও দেখা হয়নি,তাই তিনি কিছুটা রেগে আছেন, তার প্লেটের আস্ত মুরগী টা প্লেটে স্থানান্তর করা হলো, আমি পেটুক নই, কিন্তু নানার মন রাখতে গিয়ে খেতে হলো।
বিয়ে পড়ানোর আগমুহূর্তে নানার সাথে কথা হলো মেয়ের বাবার। যাক সম্পর্ক টা এখন সয়ংসম্পূর্ন। কিন্তু আমার টা কতদূর গেলো? সেটা যানার জন্য আবারো নুসরাত কে খোঁজা শুরু করলাম,
বেশি খোঁজতে হয়নি, ঘরের ভিতর ঢুকেই দেখলাম নুসরাত খাটের উপর পা ঝুলিয়ে মন খারাপ করে বসে আছে, পাশে আরো কয়েকজন সুন্দরি, মুখ গুলো চেনা তবে কথা হয়নি বলে নাম যানা হয়নি,
আমাকে দেখে সবাই ঘর থেকে বেড় হয়ে যেতে শুরু করলো সাথে নুসরাতও,
আমি নুসরাত এর হাতের মধ্যামা আঙ্গুলে ধরলাম, নুসরাত কোনো জোড়াজুড়ি না করে খাটে বসে পরলো।
আমার একটা বদঅভ্যাস আছে, আমি যদি কারও হাত ধরি - যতক্ষণ না তার হাতের সবগুলো মটকা ছিটাতে না পারি ততক্ষণ হাত ছাড়ি না,
আমি যানতে চাইলাম মন খারাপ এর কারন,
- আমি আর সপ্না(মামী) একসাথে বড় হইছি, একই স্কুলে পড়েছি, এখনও একই কলেজে পড়ি(নুসরাত)
- আয় হায়,বলেন কি? তাইলে তো মিলে গেলো।
- কি মিলে গেলো?
- আমি আর আমার মামা একই সমানে পড়ালেখা করেছি(কোন ক্লাস পর্যন্ত পড়েছি সেটা বলিনি) আপনি মামীর সাথে পড়ালেখা করেছেন আর আমি মামার সাথে।
- ওহ( কিছুটা ইতস্ত বোধ করে)
- আপনি কি বিবাহিত? নাকি জিবিতো?
- মানে?
- বিবাহিত মানে বিবাহিত, আর জিবিতো মানে এখনও বিয়ে হয়নি।
- হুম বুঝলাম, আমি জিবিতো,( আবারো হাসিতে মসগুল, আর আমি তার হাসি দেখতে মসগুল)
- যাক, পটেছেন?
- হুমমমম,নাহ।
এমন সময় আমার নানার ডাক।
সবার মনে হয় প্রেম এর প্রতি বিরুদ্ধতা আছে,তা না হলে এমন সময় কে ডাকে।
যাক,বিয়ে কাজ সম্পূর্ণ। এখব যাবার পালা।
সবাই(মেয়েপক্ষ) কান্নাকাটি করছে।
দেখি আমার মামীর বান্ধুবি মানে নুসরাত ও কাঁদতেছে,
আমি ওনাকে জিজ্ঞেস করলাম -
- কাঁদছেন কেনো? বান্ধুবীর জন্য মায়া লাগছে?
- নাহ্
- তাইলে?
- আমারও সিরিয়াল এসে পরছে।
কি আর বলবো, বিদায় নিচ্ছি বিয়ে বাড়ি থেকে,
কিন্তু কনেপক্ষ থেকে কনের সাথে কে কে যাবে?
সেটা আমার যানার বাইরে, আমি যানি নুসরাত যাবেনা। তাই গাড়িতে উঠে পরলাম।
এমন সময় পুরো হাতে মেহেদী লাগানো সাথে নীল চুরী একটা হাত আমার হাতের উপর রাখলো, এবং বললো,
- এইযে মিঃ আমার হাত টা কি পছন্দ হয়নি?
আমি তাকিয়ে দেখলাম নুসরাত, বললাম
- হয়েছে,
- তাইলে আমাকে রেখে চলে যাবেন?
- যেতে মন তো চায় না,
- হইছে, চাপা কম মারেন, এবার হাত টা ধরে গাড়ীতে তুলেন।
দুজন পাশাপাশি বসে আছি কোনো কথা নেই,
এমন সময় নুসরাত বললো-
- একটা কথা বলবো?
- বলেন।
- আমার দিকে তাকান,
- হুম, তাকালাম।
- হাতটা ধরেন।
- ধরলাম( পাশে মামা আছে, তাই কোনো ভয় নাই)
- আমি না সত্যি পটেগেছি।
- চাপা কম মারেন।
- পটেগেছি, পটেগেছি, পটেগেছি।
- তাইলে আগে বললেন না কেনো? বললে তো একসাথে দুটি বিয়ে হয়ে যেত।
- কারন,আপনি আমার বাড়ীতে আমাকে প্রপোজ করেছেন, তাই আমি আপনার বাড়ীতে উত্তর টা দিলাম।
- বাইরে তাকিয়ে দেখি গাড়ী আমার বাড়ীর সামনে।
- এবার হাত টা ধরে গাড়ী থেকে নামান, কিন্তু হাত টা যদি কোনোদিন ছাড়েন তাইলে আপনার একদিন আমার যতদিন লাগে।
- ছাড়বোনা কোনোদিন, ধরে রাখবো আমরন।
*অবশেষে মামা আর আমি আবারো একই ক্লাসে*
- Md Abdul Ahad ( অপদার্থ)
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§
547
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ģ:ā§Šā§ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ