āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧍⧭ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§­

584

........আমি খুনি........
লিখাঃFoysal Hasan(Kothar Bondhu Foysal)
!!
"হ্যা আমি খুন করেছি তাজরীকে।
হত্যা করেছি আমার ভালোবাসাকে।
আমি খুনি।"

এভাবেই কাড়গরায় দাডিয়ে কথা গুলো বলে ফেললো নাহিদ।
তাজরীকে খুব ভালোবাসতো নাহিদ।
ভালোবাসা কি যখন নাহিদ জানতোনা তখনি তাজরি নাহিদকে ভালোবাসার জালে ফেলে দেয়।
মেয়েদের থেকে সব সময় দূরে থাকতো নাহিদ।
মেয়েদের একরকম এলার্জি মনে হয় তার।
ভার্সিটিতে যখন ভর্তি হয় তখন মেয়েদের প্রতি এলার্জিটা আরো বেরে যায়।
চেহারাটা তেমন ভালো ছিলোনা নাহিদের।
তাই প্রেম ভালোবাসা কখনো তার কাছে আসেওনা।
!!
একদিন রাতে ফেসবুকে লগইন দিয়ে জান্নাতুন জাহীন তাজরি নামে একটা আইডি থেকে ফ্রেন্ডরিকুয়েস্ট আসে।
কোনোকিছু না ভেবেই একচেপ্ট করে নাহিদ।
সাথে সাথে ঐ আইডি থেকে টেক্সট আসলো---
---কেমন আছেন?
---ভালো।
---কি করেন???
---বসে আছি।
---আচ্ছা শুনলাম আপনি মেয়েদের দেখতে পারেন না।কথাটা কি সত্য!
---সত্য হলে কি করবেন?মারবেন?
---হ্যা।মেরে নাক ফাটিয়ে দিবো।
---নাক না ফাটিয়ে মেরে ফেইলেন।এমনিতেই আমার চেহারা ভালো না।তার মাঝে নাক ফাটা থাকলে কেমন দেখায়!
---না।নাকটাই ফাটিয়ে দিবো।কাল ভার্সিটিতে আসলেই হুম।
---আচ্ছা ঠিক আছে।
.
ঐ দিন আর কথা বাড়ায়নি নাহিদ।
তবে কেনো জানি হঠাৎ একধরনের ভালো লাগা কাজ করেছিলো তার।
পরদিন ভার্সিটিতে যায় নাহিদ।
ক্লাশ শেষ করে বাসায় আসার সময় তিনটি মেয়ে নাহিদের পথ আটকে দাড়ায়।
নাহিদ কিছু বুঝে উঠতে পারছেনা।
তিনজনের মাঝে দুই জন চলে গিয়ে এখন একজন।
---আমি তাজরি।কালকে আমার সাথেই আপনি ফেসবুকে কথা বলেছেন।
---ও তাই আজকে তিন জন এসেছিলেন আমাকে মারতে?
---আরে না।কালকেতো দুষ্টামি করছি।আপনি কি কিছু মনে করেছেন?
---তা অবশ্য করিনা।তবে ভয় পাইছি।
---আচ্ছা চলুন ঐখানটায় গিয়ে বসি।
---না।আমি বাসায় যাবো।
---আমার সাথে না গেলে এবার সত্যি সত্যি আপনার নাক ফাটাবো।
---কিন্তু মা যে চিন্তা করবে!
---আর কোনো কিন্তু না।চলেন।
.
অবশেষে ভার্সিটির সবুজ ঘাশের উপর বসে দুজনের অনেক কথা বিনিময় হলো।
এভাবে দেখতে দেখতে অনেকটা সময় চলে গেলো।
ফেসবুকে চ্যাট লিষ্টে,ফোনের কল লিষ্টে সবসময় তাজরির নাম থাকে।
একটা সময় আসে যখন দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলে।
অবশ্য ভালোবাসার কথাটা তাজরীকেই আগে বলতে হয়।
কারন নাহিদ বলতে পারবেনা ও জানে।
!!
প্রতিদিন ক্লাশ করা ছেলেটা আজকাল ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে তাজরীকে নিয়ে চলে যায় ভালোবাসার শহরে।
তাজরীকে খুব বেশি ভালোবাসে নাহিদ।
রাত জাগা পাখি হয়ে চুকিয়ে প্রেম করছে নাহিদ তাজরি জুটি।
কিন্তু আপত্তি হলো তখনি যখন নাহিদ দেখলো রিক্সায় আরেকটি ছেলের সাথে তাজরিকে।
!!
ঐ দিন আর সরাসরি কিছু বলেনি নাহিদ। পরদিন ক্যম্পাসে গিয়ে বসে আছে নাহিদ।কিন্তু আজকাল নাহিদকে একাই বসে থাকতে হয়।
কল দিলেও রিসিভ করেনা তাজরি।
নাহিদ দিনে দিনে কেমন জানি হয়ে যাচ্ছে।আজকাল সিগারেট খেয়েই রাত পার হয় তার।
পরদিন ক্যাম্পাসে দেখা হয় তাজরির সাথে।
ওর সাথে রিক্সায় থাকা ছেলেটা আর প্রথম দিনকার মেয়েগুলো।
---নাহিদ কেমন আছো?
---তুমি জানোনা আমি কেমন থাকতে পারি!
---তুমি কেমন ছিলে আর কেমন থাকবে তা আমার জানার দরকার নেই।
---মানে কি বলছো এসব তাজরি?
---হ্যা,,,,,আমি আসলে বন্ধুদের সাথে বাজি ধরেই এসব করেছি।
আমি রিহানকে(পাশে থাকা ছেলেটাকে দেখিয়ে দিল)ভালোবাসি।
---তাহলে আমার সাথে এমন করলে কেনো?
---ঐ যে তোমার মেয়েদের প্রতি এলার্জি তাই এসব করা।
---কিন্তু আমি তো তোমাকে ভালোবাসি।
---তুমি কি করে ভাবলে তোমাকে আমি ভালোবাসবো।
আয়নায় নিজের চেহারা দেখেছো।
আর কখনো আমার সাথে যোগাযোগ করার চিন্তা মাথায় আনবানা। ওকে....
.
এভাবে লজ্জা দিয়ে তাজরি চলে গেলো তার বন্ধু ও রিহানকে নিয়ে।
দাড়িয়ে আছে নাহিদ।বুকটা ফেটে কান্না আসছে।কিন্তু ছেলেদের কাঁদতে মানা আছে।তাই শত কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে বাসায় চলে গেলো।
!!
রাতে একা একা খুব কাদলো নাহিদ।
না।এভাবে ওকে অন্যের হতে দেওয়া যাবেনা।
ও আমার হবেনা কারো হতে দিবোনা।
কাউকে হতে দিবোনা ওকে।
প্রয়োজনে ওকে মেরে নিজেও মরবো।
তারপরেও কারো হতে দিবোনা।
অবশেষে ক্যাম্পাস থেকে বন্ধুদের সহায়তায় তাজরীকে নিয়ে আসলাম অজানা একটি স্থানে।
হ্যা তাকে আমি খুন করেছি নিজ হাতে।
তারপর নিজেই পুলিশের কাছে আত্নসমর্পন করলাম।
আজ আমার বিচারের রায়।
আমি নিজেই স্বীকার করলাম আমি খুনি।
আমি খুন করেছি।
!!
সবশেষে আমার রায় হলো বাংলাদেশ দন্ডবিধি ৩০২ ধারায় আমার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো।
আর বেশি সময় নেই।
কিছু দিনের মধ্যেই আমার রায় কার্যকর করা হবে।
এপারে আমি তোকে কারো হতে দিলাম না।
ওপারে তোকে আমি চাই।
কারন এখনো তোকে ভালোবাসি তাজরি।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ