āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧍⧭ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§­

578

-একটা কথা বলব?
.
আমি মিহির দিকে না তাকিয়েই
বললাম,
-হুম বলো,
মিহি একটু থেমে বলল,
-আসলে কিভাবে বলব বুঝতেছিনা?
শুনে যে কি মনে করবা?
.
মিহির কথা শুনে আমার গলা শুকিয়ে
গেল।
আমি এক প্রকার ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে ওর
দিকে তাকালাম। ও এখনো বিয়ের
শাড়ি খোলেনি। ওভাবেই বিছানায়
বসে আছে। বিছানায় অবশ্য আমিও বসে
আছি। ওর পাশে না একটু দূরে।
.
আজ আমাদের বিয়ের রাত,মানে
বাসোর রাত। বিয়ের প্রতি আমার এক
ধরণের ভয় ছিল,সেই ভয় লাগা শুরু
হয়েছিল ফেসবুকে গল্পে পড়ে, বেশির
ভাগ বিয়ের গল্পে দেখতাম মেয়ে
বাবা মায়ের চাপে বিয়ে
করে,স্বামী বলে স্বীকার করেনা।
বিছানা ভাগ করে,অন্য ছেলের জন্য
অপেক্ষা করে। পরে অবশ্য তাদের
প্রেম হয়, সেটার রিস্ক তো আর নেওয়া
যায় না।
এসবের কারণে আমি চেয়েছিলাম
একটা প্রেম করে বিয়ে করতে। কিন্তু
তা আর হয়নি।
.
মিহিকে বিয়ে করার আগে আমি
ওকে বহুবার জিজ্ঞেস
করেছি,তোমার এমন কেউ আছে
কিনা?
ও প্রতিবারই না বলেছে।
কিন্তু এখন কি বলবে? কি এমন বলার
আছে যেটা বলতে এত অস্বস্তি হচ্ছে।
.
-কি হলো কি ভাবছ?
-কিছুনা। বলেন মানে বলো কি বলবা?
-আমার খুব ক্ষুধা পাইছে,
-এটা বলতে চাচ্ছিলা?
-হুম,কেন তুমি কি ভাবছ?
-না কিছুনা,,
.
আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।যাক গল্পের
মত কোন ব্যাপার নয়। ক্ষুধা অবশ্য
আমারো লাগছে। অনেক আগে খাইছি।
তাও বেশি খাইতেও পারিনাই।
বুঝলাম না ক্ষুধার কথা বলতে এত
লজ্জার কি আছে?
মা বলে খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে
কোন লজ্জা করতে নেই।
.
আমি মিহির দিকে তাকিয়ে বললাম,
-তুমি বসো একটু,আমি ফ্রিজএ দেখি
কিছু আছে কিনা,
-আচ্ছা।
.
ফ্রিজ খুঁজে কিছুই পেলাম না,পানি
ছাড়া।
বিয়ের বাড়ি,তাই ফ্রিজে কিছু
থাকবে এটা ভাবা অস্বাভাবিক।
আমি খালি হাতে গিয়ে মিহির
সামনে দাঁড়ালাম।
.
ও জিজ্ঞেস করলো
-কিছু নেই,
-না,
-তাহলে?
-আধাঘন্টা ওয়েট করো,আমি খাবার
নিয়ে আসছি বাহির থেকে। কি
খাবা?
-আইস্ক্রীম,
-শুধু আইসক্রীম?
-হুম,,
-ওকে,
.
মেয়েরা আইস্ক্রীম এ এত কি পায় কে
জানে?
আমি মানিব্যাগ টা নিয়ে যেই ঘর
থেকে বের হবো তখনি মিহি বলে
উঠলো,
-আমিও যাই তোমার সাথে,
.
আমি পিছন ঘুরে ওর দিকে তাকালাম।
ও এখনো বিয়ের শাড়িও খোলেনি।
মোটা শাড়িটাই পড়ে আছে।
-এই অবস্থায় যাবা?
-হুম,ঘরে দম বন্ধ হয়ে আসতেছে,
-আচ্ছা,আসো।
.
বাসার সবাই ঘুমন্ত, তাই কাওকে বলা
হলোনা যে বাহিরে যাচ্ছি।
আমাদের এলাকায় চোর ডাকাতের ভয়
নেই তাই ঘর খোলা রেখে বেরুলে খুব
একটা সমস্যা হবেনা।
.
বেশি দেরি না করে মিহিকে
বাইকের পিছেনে বসিয়ে বাইরে
বের হলাম।অন্য রকম ব্যাপার স্যাপার।
প্রথম বার নিজের বউকে নিয়ে বের
হলাম ,তার উপর এত রাত।
.
আসার সময় ঘড়িতে দেখেছি দুটা
বাজে। এসময় দোকান পাট খোলা
পাওয়া একটু মুশিকেলরই। দোকান
খোলা পাওয়ার চাইতে আমার কাছে
যেটা প্রবলেমের সেটা হচ্ছে পুলিশ।
ইদানিং জঙ্গিদের কারণে শহরের
সিকিউরিটি খুব টাইট।
.
কিছুদূর এসেই এই সমস্যায় পড়তে হলো।
গাড়ির কাগজ ছিলো মানি ব্যাগে
বাট মিহির বিয়ের সাজ গোজের
কারণে প্রবলেম হলো।
দারোগা পিছনে মিহিকে দেখে
জিজ্ঞেস করলো,
-মেয়েটা কে?
.
আমি জবাব দিলাম,
-আমার বউ?
-সত্যিকারের বউ?
-বউ কি মিথ্যা কারের হয়?
-যে সাজগোজ তাতে মনে হয়
পালায়া নিয়ে যাচ্ছিস?
-না স্যার,আমরা স্বামী স্ত্রীই।
-স্বামী স্ত্রী কি এত ফাকা রেখে
বসে।নিশ্চয় কোন ব্যাপার আছে।
.
আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই
মিহি বলল,
-আমরা সত্যিকারের স্বামী
স্ত্রী,বিশ্বাস না হলে ফোন টা দেন
বাসায় ফোন দিচ্ছি।
.
পুলিশ টা আর কিছু বলল না,আমাদের
যেতে দিল। মিহি কখন এগিয়ে এসে
বসেছে লক্ষ্যই করিনি।ওর গায়ের
সাথে এখন আমার গা লাগছে। ফোন
না আনার জন্য একটু খারাপ লাগছিল।
ফোন টা থাকলে পুলিশ টা এত কিছু
বলার সাহস পেতনা।তবে পুলিশের জন্য
উপকারোও হয়েছে, মিহি আমার
কাছা কাছি এসে বসেছে।
.
অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটা দোকান
পেলাম। সেটাও ফাস্ট ফুডের, যদিও
ফাস্ট ফুড কম খাই তবুও কিছু করার ছিল
না। আর মিহির আইস্ক্রীম ও সেখানেই
পেয়ে গেলাম।
.
খাওয়া শেষে যখন ফিরবো তখন মিহি
বলল,
-চলো একটু ঘুরি,
-কোথায়?
-আশে পাশে,
-আচ্ছা,,
নতুন বউয়ের ইচ্ছাটা নষ্ট করার আমার
কোন ইচ্ছা ছিল না। মিহিকে নিয়ে
এপাশে ওপাশে ঘুরলাম।অবশ্য এতে লাভ
আমার হল,রাস্তা খারাপ হওয়ার
কারণে যখন ব্রেক ধরছিলাম তখন মিহি
ঠিকই আমাকে জড়িয়ে ধরছিল।
কতক্ষন ঘোরাঘুরি করলাম ঠিক নেই।
তবে অনেক্ষনই।
.
ঘোরাঘুরি করার এক সময় মনে হলো আজ
আমার বাসোর রাত। আর এ রাত টা
এভাবে নষ্ট করার কোন মানে হয়না।
আমি বাইক বাসার দিকে ঘোরালাম।
বাসার কাছাকাছি এসে আমি
বললাম,
-মিহি একটা কথা বলবো?
-হুম,বলো।
-কিছু মনে করবা না তো?
-নাহ বলো
-সত্যি তুমি কাওকে ভালবাসো না
তো,
-কেন?
-না মানে এমনি।আসলে সিনেমা
টিনেমায় দেখা যায় স্ত্রী অন্য
কাওকে ভালবাসে।বোঝনাই ব্যাপার
টা,,
.
মিহি কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বলল,
-হুম,বুঝছি।
-কি?
-কাওকে ভালবাসি কিনা?
-হুম, বাসো?
-কয়েক দিন পরে বলি,
-মানে কি?
-কিছুনা,
.
আর কিছু বলার সুযোগ পেলাম
না,ততক্ষনে বাসা চলে এসেছে।
বাসায় এসে অন্য রকম কিছু মনে হলো।
যেরকম টা রেখে গেছিলাম, সেরকম
পরিবেশ নেই।
ড্রয়িং রুমে ঢুকে বেশ অবাক
হলাম,আমার পিছন পিছন মিহিও ঢুকলো।
ও নিজেও অবাক।
এত মানুষ কোথায় থেকে এলো?
মিহির বাবা মাকেও এক দিকে
দেখলাম।বাসা কাছাকাছি হওয়ায়
আসছে।
.
বাবা আমাদের দেখতে পেয়েই বলল,
-কোথায় ছিলি তোরা?
-বাহিরে
-কেন?
-ক্ষুদা লাগছিলো,
-তো এতক্ষন?
-কতক্ষন, কটা বাজে?
-সাড়ে পাঁচটা?
-তাই নাকি?
.
আমি দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে
দেখলাম সত্যি তো।
ঘোরাঘুরিতে এত টাইম চলে গেছে
বুঝতেই পারিনি। আমি বাসার
সবাইকে শান্ত করে ঘরে এলাম।বাসার
মানুষ এত অল্পতে এত কিছু ভেবে নিবে
কে জানত?
.
ঘরে এসে দেখি মিহি আমার আগেই
ঘরে এসে বসে আছে। মোটা বিয়ের
শাড়িটা খুলে সুতি একটা শাড়ি
পরেছে।আমাকে দেখতে পেয়েও ও
হেসে উঠল। আমি হাসলাম।
.
অনেক রাত হয়ে গেছে তাই বেশি
দেরী না করে শুয়ে পড়লাম।
বিছানায় শুয়ে প্রথম আমি বললাম,
-বিয়ের প্রথম রাত টা এভাবে কাঁটুক
চাইনি,
-তো কি চাইছিলা?.
-অনেক কিছু,
-তাই নাকি,
-জ্বি,
-সকাল হতে অনেক দেরী।আর কাওকে
ভালো বাসলে এক বিছানায় শুতাম
না।
-আসলেই তো,
অন্য কাওকে ভালবাসলে মিহি হয়ত
সোফায় শুত, অথবা আমি শুতাম।
.
এটা চিন্তা করার সময় আমি লক্ষ্যই
করিনি কখন যেন মিহি আমার খুব
কাছে চলে এসেছে অথবা আমি
মিহির।
-নাক ডাকো,
-একটু,
-বদলাতে হবে,
-তুমি হাত পা ছড়িয়ে শোও?
-হুম,তোমার কোল বালিশ লাগে?
-লাগে তো,, বিছানায় আছে একটা,
-সেটা সোফার উপরে রাখছি,
-কেন?
-বিছানায় এত জায়গা কই,
-জেলাস ফিল করো?
-জ্বি না,
-আচ্ছা,তোমাকে জড়িয়েই শোবো।
.
.
.
-প্রথম রাত্রির দ্বিতীয় গল্প
-নাহিদ পারভেজ নয়ন

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ