āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧍⧭ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§­

594

,গল্পঃ #চমৎকার_প্রতিশোধ
.
দুটি খুনের সাথে পর পর তিনটা কিডন্যাপ হলো। সবগুলা কিডন্যাপই ছিলো মেয়ে কিডন্যাপ। যাদের কিডন্যাপ করা হয়েছে তারা কেউই সাধারন ঘরের মেয়ে না,সবাই উচ্চবিত্ত এবং ক্ষমতা শালী ব্যক্তির মেয়ে। প্রথম দুজন ছিলো ডাক্তার এবং থানার সাবেক ওসির মেয়ে। সর্বশেষ স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) এর মেয়েকে কিডন্যাপ করায় পুরা শহরে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। এই কেসে দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টর সুইটকেও উপর মহল থেকে চাপ দেয়া হচ্ছে। কিছুক্ষন আগে এমপি এসে তাকে হুমকি দিয়ে গেলো। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার মেয়েকে উদ্ধার করতে না পারলে তাকে সহ পুরা থানার সকল পুলিশকেই চাকরীচ্যুত করবে। অবশ্য এই বিষয়ে সুইটের কোনো চিন্তা নেই,তার এখন একমাত্র চিন্তাই হলো কিভাবে সে এই চক্রটাকে ধরবে।
.
এই কেসটা নিয়ে যেন একটু বেশীই চিন্তিত লাগছে সুইটকে। এর আগে আরো অনেক কঠিন কঠিন কেস সে সল্ভ করেছে কিন্তু এই কেসটার কোনো কূল কিনারাই খুজে পাচ্ছে না সে। যদিও এর আগে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিলো,কিন্তু তাদের জিজ্ঞাসা বাদ করার আগেই জামিন পত্র হাজির হয়েছে। আশ্চার্যের ব্যাপার হলো সবগুলা গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিই ব্যারিস্টার রাত্রী আহমেদের মাধ্যমে ছাড়া পেয়েছে এবং তা গ্রেফতারের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই।
.
সুইটের সন্দেহের তীরটা রাত্রীর উপরই পড়তে থাকে। যদিও তার বিরুদ্ধে তেমন কোনো প্রমাণ নেই,তবুও কেনো জানি তার মনে হতে লাগলো এই রাত্রীর মাধ্যমেই সে মূল আসামি পর্যন্ত পৌছাতে পারবে। যা করতে হবে তা খুব দ্রুতই করতে হবে কারন তার হাতে সময় নেই। সাধারনত একটা কেস সমাধানের জন্য ৬০ দিন সময় দেয়া হয় যদি এর মধ্যে না হয় তবে সে আরো ৩০ দিন সময় চেয়ে নিতে পারে। তারপরও যদি সমাধান না করতে পারে তবে কেসটির দায়িত্ব অন্য অফিসারের উপর দেয়া হয়। এই কেসটা সুইটের ক্যারিয়ারের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এইটা সমাধান করতে পারলে তার প্রমোশন নিশ্চিত আর যদি না করতে পারে তবে তার ক্যারিয়ারে একটা দাগ পড়ে যাবে যা সুইট কখনোই চায় না।
.
অনেক তদন্ত এবং গোয়েন্দা তথ্য বিভাগ (সি আই ডি) এর দেয়া তথ্য মতে সুইট কয়েকজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে এবার তাদের থানায় না নিয়ে গিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় যাতে জামিনের সুযোগে আবার না ছাড়া পায়। রাতভর টর্চার করে তাদের কাছ থেকে অনেক তথ্য সে জানতে পারে। তাদের দেয়া তথ্য মতে একটা নাম্বার থেকে তাদের কাছে ফোন আসে এবং বলা হয়ে থাকে তিনটা মেয়েকে কিডন্যাপ করতে হবে। বিনিময়ে বিপুল অংকের টাকা পাবে এবং তাদের জামিনের ব্যবস্থাও সাথে সাথে করা হবে। সেই অনুযায়ী তাদের দেয়া ঠিকানায় কয়েকটা লোকের হাতে মেয়ে তিনটিকে দিয়ে আসে।
.
তাদের দেয়া ফোন নাম্বারটা ট্রাক করার নির্দেশ দেয় সুইট। সারাদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে রাতে নাম্বারটা খোলা পায় এবং সেখান থেকেই নাম্বারটার লোকেশন জানতে পারে সুইট। ফোনের কথোপকথন থেকে জানতে পারে এইটার মূল পরিকপ্লনাকারী ব্যারিস্টার রাত্রী আহমেদ এবং সে বুঝতে পেরেছে সুইট তার উপর সন্দেহ করেছে তাই সে মেয়েগুলাকে অন্য কোনো নিরাপদ জায়গায় ট্রান্সফার করার চেষ্টা করছে।
.
রাত্রী মেয়েদের অন্য জায়গায় ট্রান্সফার করার আগেই সুইট হাতে-নাতে তাকে গ্রেফতার করে এবং গ্রেফতার করে তার নিজস্ব জিজ্ঞাসাবাদ জায়গায় নিয়ে যায় কারন এই চক্রের সাথে আরো কোনো বড় হাত আছে নাকি এবং থাকলেও তাকে গ্রেফতার করার জন্যই তার এই সিদ্ধান্ত। যদি রাত্রী সহ মেয়ে গুলোকে থানায় নিয়ে যায় তাইলে বড় চক্র সাবধান হয়ে যাবে এবং আইনের কোনো ফাক-ফোকর দিয়ে হয়তো রাত্রীও পার পেয়ে যাবে।
.
সুইট যখন বুঝতে পারলো জোর করে রাত্রীর মুখ থেকে সে একটিও তথ্য বের করতে পারবে না,তাই সে তাকে ইমোশনালী আঘাত করতে লাগলো। সুইট বলতে থাকলো আপনি একজন আইনের লোক হয়ে কিভাবে এমন জঘন্য কাজ করলেন। তার উপর আপনি একজন মেয়ে, আর সেই মেয়ে হয়েই কিভাবে অন্য মেয়েদের কিডন্যাপ করলেন। আজ যদি এরা আপনার মেয়ে/বোন হতো তখন এইটা করতে পারতেন??? আপনার এই কাজের জন্য সাধারন মানুষের কাছে আইনের লোক গুলা কতোটা ছোটো হবে একবারো ভাবছেন। তারা আর আইনের লোকদের বিশ্বাস করবে????
.
বিশ্বাস করেই বা কি হবে???(রাত্রী)
.
রাত্রীর এমন কথা শুনে সুইট অবাক দৃষ্টিতে রাত্রীর দিকে তাকায়, দেখে তার চোখে পানি, তার মানে চালে কাজ হয়েছে,আপনি কি বলতে চাচ্ছেন?(সুইট)
.
আইনের লোকদের বিশ্বাস করে কি লাভ,তারাই তো সমাজের আসল কীট।(রাত্রী)
.
একজন আইনের লোক হয়ে, আইনের লোকদের প্রতি এমন তিক্ত মনোভাব হওয়ার কারন কি?(সুইট)
.
রাত্রীঃ------
.
আমি ছিলাম মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি মেয়ে। আমার বাবা ছিলো একজন স্কুল শিক্ষক। তার সামান্য আয়েই আমাদের সংসারটা মোটা-মোটি ভালো ভাবেই চলছিলো। আমি পড়াশুনায় অনেক ভালো ছিলাম,তাই বাবা-মারও স্বপ্নের শেষ ছিলো না আমাকে নিয়ে। আমিও একমাত্র মেয়ে হওয়ায় তাদের স্বপ্ন পূরনের যথাসাধ্য চেষ্টা করতাম। কিন্তু আমার সকল স্বপ্নের কাল হয়ে দাঁড়ালো স্থানীয় এক নেতার ছেলে। সে সব-সময়ই আমাকে ডিস্টার্ব করতো। প্রতিদিনি স্কুল যাওয়া-আসার সময় আমার পথ আটকাতো। তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় সারাদিন আমার পিছনে লেগে থাকতো। এই কথা বাড়ীতেও বলতে পারিনি যদি আমার পড়াশুনা বন্ধ করে দেয়। এই সব স্নায়ু যুদ্ধের মধ্যেই আমি মাধ্যমিক ধাপ শেষ করে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রবেশ করলাম।উচ্চ মাধ্যমিকে উঠার পর থেকে তার ডিস্টার্ব আরো বেড়ে গেলো। কোনো উপায় না পেয়ে আমি বাসাতে সব কিছু বলে দেই। তারপর বাবা তার উপর অনেক রাগারাগি করে এবং তার বাবাকে জানানোর হুমকি দিলে সে আর এমন কখনো করবেনা বলে ক্ষমা চায়।
.
সেদিনের পর কয়েকদিন আর তার দেখা পাইনি। আমি ভেবেছিলাম সব ঠিক হয়েছে কিন্তু তখনো বুঝতে পারিনি বাসায় জানানোটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় কাল ছিলো। একদিন কলেজ যাওয়ার সময় স্থানীয় নেতার সেই বখাটে ছেলে তার বন্ধুকে সংগে নিয়ে আমাকে জোড় করে তুলে নিয়ে যায়। তারপর আমাকে বেঁধে রেখে রাতভর টানা দুদিন আমার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। আমি অনেক কেঁদেছি,অনেক অনুরোধ করেছি কিন্তু তারা আমার কোনো কথাই শুনেনি। আমার সারা শরীরে নিষ্ঠুর পশুত্বের ভয়ানক ছাপ একে দিয়েছিলো। পশুত্বের তান্ডবের অবসান ঘটলে আমাকে অর্ধ নগ্ন অবস্থায় বাসার সামনে ফেলে রেখে চলে যায়। সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা নিয়েই খুঁড়ে খুঁড়ে বাসার ভিতরে প্রবেশ করি। আমাকে এই দুদিনে খুজে না পেয়ে বাবা-মা যতটা না ভেংগে পড়েছিলো তার চেয়ে বেশী ভেংগে পড়েছিলো আমাকে এই অবস্থায় দেখে। তাদের অহংকার,তাদের স্বপ্ন যেনো এক মুহূর্তেই ভেংগে চুরমার হয়ে গেলো।
.
বাবা-মাকে সংগে নিয়ে গেলাম পুলিশ ষ্টেশনে। আমার এই অবস্থা দেখে যেনো তাদের কাম বাসনাও যেনো নতুন করে জেগে উঠেছিলো। বার বার লোভো কাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে যেন আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিলো। তাদের মনের বাসনা যেনো প্রশ্নের মাধ্যমেই পূরন করে নিচ্ছিলো। কতজন ছিলো,কিভাবে করছে,কে আগে স্পর্শ করছে,কোথায় স্পর্শ করছে,কেমন করে করছে, বাধা দেননি কেনো,কত সময় ধরে করছে এইসব প্রশ্ন একজন ধর্ষিতা নারীর কাছে কতটা যন্ত্রনার সেটা শুধু তারাই বুঝে,যারা এই রকম পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। লজ্জা নারীর ভূষন, লজ্জাই একজন নারীর প্রকৃত সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তাই তো একজন নারী ছোট বেলা থেকেই তার মধ্যে লজ্জাকে লালিত করে থাকে। তাকে সকল লজ্জা ত্যাগ করে বাবা-মার সামনে এই সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়া যে মৃত্যু যন্ত্রনার চেয়েও কঠিন। কোনো প্রশ্নের উত্তরই আমি ঠিক ভাবে দিতে পারিনি তাই পুলিশ নামের জানোয়ারটা আমার কোনো কেসই নেয়নি। এই রকম করে ঘুরতে ঘুরতে তিনদিনের মাথায় সকল লজ্জা ত্যাগ করে লোভকাতুর এবং হয়রানি মূলক সকল কামনার প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি সক্ষম হই।
.
মামলার প্রমানের সাপেক্ষে আমাকে পাঠানো হয় মেডিকেল টেস্টের জন্য। পুলিশের অপূর্ণ কাম বাসনা যেন কাড়ায় কাড়ায় পূর্ণ করে নিলো ডাক্তার। শুরু করে দিলো দুই আংগুল দিয়ে কুমারীত্ব পরীক্ষা। নিজেকে যেনো তখন জীবন্ত এক পুতুল ছাড়া কিছুই মনে হচ্ছিলো না। ঘন্টার পর ঘন্টা আমাকে নিয়ে চললো তার বাসনার এক্সপেরিমেন্ট।
.
রিপোর্ট দেয়ার আগে ডাক্তার বললো নির্যাতনের ২৪ ঘন্টা খুবই কার্যকরী। ২৪ ঘন্টা পার হলে ধর্ষনের তেমন এভিডেন্স পাওয়া যায় না। তার উপর আপনারা এসেছেন ৭২ ঘন্টা পরে। তাই রিপোর্টে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।
.
ডাক্তার যখন জানতোই ২৪ ঘন্টা পার হয়েছে তবে কেনোই সে কুমারীত্ব পরীক্ষার মাধ্যমে আমাকে আর একবার ধর্ষন করলো। কেনোই বা থানার কর্মকর্তা আমাকে ইচ্ছা করে ৭২ ঘন্টা ঘুরালো, কেনোই বা তারা এই ধরনের নিকৃষ্টতম নাটক করলো।
.
বাবা যখন অসহায়েত্বের হাহাকারে বড় অফিসারের কাছে যাওয়ার হুমকি দিলো তখন স্থানীয় নেতা এসে বাবার হাতে দশ হাজার টাকা দিলেন এবং ঝামেলাটা এখানেই শেষ করতে বললেন কারন সামনে তার সংসদ নির্বাচন সদস্য নির্বাচন। তিনি চান না নির্বাচনের আগে কোনো প্রকার ঝামেলা করতে এবং বাবাকে শাষিয়ে দিয়ে গেলেন যদি এই নিয়ে বাড়া-বাড়ী করে, তাইলে পুলিশ এবং ডাক্তারের মতো সবকিছু মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে আমাকে ধান্দাবাজ বলে প্রমাণ করে ছাড়বেন।
.
নিজের মেয়ের সম্মানের দাম মাত্র দশ হাজার টাকা ভেবে লজ্জা,ঘৃণায় বাবা বাসায় এসে আত্নহত্যা করে। বাবার শোকে এবং আমার চিন্তায় মাও স্টোক করে মারা যায়।
.
একজন মেয়েকে দিনরাত আটকে রেখে নির্যাতন, পুলিশ এবং ডাক্তারের হয়রানি, মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে আসামীকে গ্রেফতার না করে,তাকে ধান্দাবাজ উপাধি দেয়া এবং পরিশেষে একমাত্র অবলম্বন বাবা-মাও ছেড়ে যাওয়ার পরো সে কিভাবে বেঁচে থাকতে পারে সেটাই আশ্চার্যের ব্যাপার।
.
অবশেষে নিজেও যখন আত্নহত্যার জন্য প্রস্তুত হলাম ঠিক তখনি মনে প্রশ্ন জাগে কেনো আমি মরবো, আমার তো কোনো দোষ নেই তবে কেনো আমি জীবন দিবো। জীবন যদি দিতে হয় তবে তারাই দিবে যাদের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। ওরা বেঁচে থাকলে আমার মতো আরো মেয়ের সর্বনাশ করবে। তাই প্রতিশোধের জেদ মনে নিয়ে অন্য শহরে চলে যাই। এই সব কান্ডের পর বুঝেছিলাম উপযুক্ত ক্ষমতা না পাওয়া পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়া যাবে না। তাই মানুষের বাসায় কাজ করে নিজের পড়াশুনা চালাতাম। অবশেষে "ল" পাশ করে ওকালতিতে যোগদান করি। এবং এই শহরে ফিরে নিজেই একটা গ্যাং তৈরী করে এমপির ছেলে এবং তার বন্ধু এই দুই পশুর শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড আমার আদালতে দেই। যেখানে নেই কোনো আইনের ফাঁক-ফোকর আছে শুধুই ন্যায়ের ন্যায্য বিচার।
.
রাত্রীর কথা শেষ হলে সুইট পুরাই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। কি বলবে বা কি বলা উচিৎ তাই ভেবে পাচ্ছে না।আসলেই আমাদের আইন ক্ষমতাশালীদের হাতের মুঠোয় জিম্মি। নিজেকে সামলে নিয়ে বললো মানছি আপনার সাথে অনেক অন্যায় করা হয়েছে কিন্তু নিজের হাতে আইন তুলে নেয়া আপনার উচিৎ হয়নি আর এই মেয়ে গুলা তো কিছু করেনি তবে এদের কেনো????
.
হ্যা,এরা আমার কিছু করেনি তা আমি জানি। আমিও একজন নারী আর ভালো করেই বুঝতে পারছি একটা নারীর কাছে তার সম্মান কতোটা মুল্যের। তাইতো আমি ওদের কিছুই করিনি ওদের শুধু আটকে রেখেছি তাদের বাবার কু কর্মের স্বীকারোক্তির জন্য যাতে তারা তাদের পাপের শাস্তি পায়।
.
রাত্রীর কথা শুনে মেয়ে তিনটিও তার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকায়।একটা মেয়ে তাদের বাবা-ভাই দ্বারাই এতো নির্যাতিত হয়েছে তারপরও সে তাদের প্রতি এতো উদার,কিভাবে সম্ভব। তারাও রাত্রীর উদ্দ্যেগকে সমর্থন করে তার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলো।
.
রাত্রী সুইটের কাছে কিছু সময় চাইলো যাতে সে তাদের স্বীকারোক্তি নিতে পারে,তারপর সে নিজেই সব দোষ স্বীকার করবে। সুইট রাত্রীকে সময় দেয়।
.
রাত্রী সবাইকে হুমকি দেয় যদি তারা তাদের দোষ স্বীকার না করে তবে তাদের মেয়েকেও তার মতো নির্যাতিত করে ভিডিও ছেড়ে দিবে তবে এইটা আর ধর্ষন হবে না,হবে নিজ ইচ্ছায়। কারন তাদের সকলকে ড্রাগ প্রয়োগ করা হবে যাতে সকল মানুষ জানতে পারে সমাজের এই সম্মানী এবং ক্ষমতাবান ব্যক্তির মেয়েদের কাহিনী এবং তারা কিভাবে তাদের মেয়েদের দিয়ে ড্রাগ ব্যাবসা করছে।
.
রাত্রীর হুমকির মুখে কোনো উপায় না পেয়ে তাদের আদরের মেয়ের সম্মান বাঁচানোর জন্য তারা থানায় এসে নিজেদের দোষ স্বীকার করে।
.
সকাল থেকেই কোর্টের সামনে মিডিয়ার কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেছে। কারন আজ রাত্রী সহ সকলকে কোর্টে হাজীর করা হবে। এমন চাঞ্চল্য কর খবরে পুরা শহর যেন উত্তেজিত হয়ে পড়েছে।
.
আদালতে একে একে সব সাক্ষী রাত্রীর বিরুদ্ধে গেলে আদালত যখন এমপি,ডাক্তার এবং পুলিশ অফিসারকে বেখাছুর খালাশ করবে ঠিক তখনি তাদের তিন মেয়ে রাত্রীর পক্ষ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেয় ফলে তারা দোষী সাবস্ত হয়।
.
জর্জ সাহেব যখন রাত্রীকে বললেন তার পক্ষে কোনো উকিল আছে কিনা তখন রাত্রী নিজেই নিজের কেস লড়ার কথা বললো।
.
মিস রাত্রী আপনার পক্ষের মতামত আপনি তুলে ধরুন।(জর্জ)
.
রাত্রীঃ-------
.
ইউর অনার,অভিযুক্ত কারীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যখন প্রমাণ হয়েই গেছে তখন আমার স্বীকার করতে কোনো দ্বিধা নেই যে এমপির ছেলে এবং তার ছেলের বন্ধুকে আমিই হত্যা করেছি এবং উনাদের মেয়েদের আমিই কিডন্যাপ করেছি।
.
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জনগনের সেবা করাই পুলিশের ধর্ম। জনগনের জন্যেই পুলিশ, কোনো ব্যক্তি স্বার্থের জন্য নয়। শুধু বাংলাদেশের সংবিধান না ইসলাম ধর্মেও কঠিন ভাবে নিষেধ করা হয়েছে ঘুষ গ্রহন না করতে। যখন সেই জনগনের সেবক পুলিশই ঘুষ গ্রহণ করে আপরাধীকে ছেড়ে দিয়ে নির্যাতিত ব্যক্তিকেই হয়রানি করে তবে সেই সেবকের বিরুদ্ধে কথা বলতেও আমার রুচিতে বাধে। আইনের অণু শাষকই যখন নিশ্চুপ তখন তো আইন নিজের হাতে তুলে নিতেই হবে।
.
ইউর অনার,এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটেনিকায় বলা হয়েছে,,,medical jurisprudence : jurisprudence, science or philosophy of law. Jurisprudence maybe divided into three branches : analytical, sociological and theroretical. The analytical branch articulates axioms, defines terms and prescribes the methods that best enable one to view the legal order as an internally consistent, logical system. The sociological branch the actual effects of the law within society and the influence of social phenomena an the substantive and procedural aspects of law.The theoretical branch evaluates and criticizes law in terms of the ideals or goals postulated for it.
.
অর্থাৎঃ ফরেনসিক মেডিসিন হলো মেডিকেল জুরি প্রুডেন্সের তিনটি অংশের একটি অংশ বা প্যাথলজি টেস্টের বিশ্লেষণ। দ্বিতীয় অংশ সমাজ তত্ত্বীয় বা সমাজের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে জড়িত। এখানে পুলিশ, প্রশাসন ও বিচারালয়ের ভূমিকা জড়িত। অর্থাৎ একটি অপমৃত্যুর ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে যেমন পুলিশ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে,তেমনি সেখানে ডাক্তারের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। একটি মামলায় ডাক্তারের সাক্ষ্য এবং পুলিশের সুরতহাল রিপোর্ট মামলার মোড়কেই ঘুরিয়ে দেয়।ডাক্তারের অবহেলায় যেমন একজন রোগীর জীবন বিপন্ন হতে পারে,তেমনি ডাক্তারের সাক্ষ্য ও পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টও মামলার অন্যতম দিক নির্ণয় করে থাকে। এজন্য সাক্ষ্য আইনে ডাক্তার ও পুলিশের সমান গুরুত্ব রয়েছে।
.
১৮৭২ সালে সাক্ষ্য আইন উদ্ভব হয়। এ আইনে বলা হয়েছে মৃত্যুর কারন কিংবা ধর্ষন বাস্তবতা নিরূপনের জন্যই ডাক্তারি পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু খুনের মামলায়,ধর্ষনের মামলায় ডাক্তারের রিপোর্টই যথেষ্ট নয়। ডাক্তারি রিপোর্টের পরও তাকে আদালতে সাক্ষী হিসেবে তলব করা হয়ে থাকে।
.
দন্ডবিধির ১৯৩ ধারায় বলা আছে যদি কোনো ব্যক্তি বিচারাধীন কোনো মামলায় ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়,তাইলে সে আইনের চোখে অপরাধী, এ ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড হতে পারে।, জরিমানাও হতে পারে।
.
উদাহরণ হিসেবে, ১৯৭০ সালের ১০ নভেম্বর এক ডাক্তার উপস্থাপিত তদন্ত রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেন, এই মৃত্যু জলডুবিজনিত এবং আত্নহত্যা জনিত। পরবর্তী সময়ে সেই একই ব্যক্তির মৃতদেহ আরেক জনকে দিয়ে ময়না তদন্ত করানো হয়। সেখানে ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা প্রতিবেদন তৈরী করায় তিনি সরকারী কর্মচারী হিসেবে উপরোক্ত জালিয়াতি,মিথ্যা রেকর্ড ও অপরাধমূলক আচরনের শাস্তিযোগ্য দুষ্কর্ম করেছেন বলে সিদ্ধান্তে জানানো হয়। সেখানে এই ডাক্তারও মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে আমাকে হয়রানি করেছে, আমাকে ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত করেছে।
.
আইনজীবী মেডিকেল পরিভাষা বুঝতে অপারগ হন বলে তাকে ডাক্তারের ব্যাখ্যাকেই মেনে নিতে হয়। একই ভাবে পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করার পর অসহায় হয়ে যান ডাক্তারের কাছে। কারণ ডাক্তার ময়না তদন্তে যে রিপোর্ট তৈরী করেন, সে সকল বিষয়ে তিনি অজ্ঞ।
.
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় একটি মামলার ক্ষেত্রে ডাক্তারের ভূমিকা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তার একটি রিপোর্টই মামলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
.
খৃষ্টপূর্ব ১৭৫৪ সালে ৬ষ্ঠ ব্যাবিলনিয়ান রাজা চিকিৎসা শাস্ত্রে কোড অব হামবুরারি(code of Hamburari) বা প্রাচীন মেসোপটামিয়া বা ব্যাবিলনিয়াল "ল" নামে একটি আইন চালু করেন। যেখানে বলা হয়েছে যদি কোনো শৈল চিকিৎসক তার অপারেশনের ছুরি দ্বারা বড় কোনো ক্ষতের সৃষ্টি করে এবং তাতে রোগীর মৃত্যু হয়, তাকে হত্যা হিসেবে বিবেচনা করে সে শৈল চিকিৎসকে হাত কেটে দিতে হবে।
.
ডাক্তার শুধু একটা নাম না এটা একটা বিশ্বাস, একটা আস্থা। আমরা যখনি অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন কোনো কিছু বিবেচনা না করেই ডাক্তারের কাছে যাই। কারন আমরা মনে করি সেখানে গেলেই আমরা ঠিক হবো,আমাদের কিছু হবে না। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে তো ডাক্তারকে তাদের ভগবানের সাথে তুলনা করে।
.
সেই ডাক্তারই যখন ঘন্টার পর ঘন্টা কুমারীত্ব পরীক্ষার মাধ্যমে একটি নারীকে আবার নির্যাতিত করে আবার মিথ্যা রিপোর্ট দেয় তখন আইন হাতে তুলে নেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।
.
বাকী থাকলো এমপি, যার মধ্যমে আমাদের দেশের উন্নয়ন সংগঠিত হয়। আমাদের দেশীয় আইন কিন্তু তারাই তৈরী করে থাকে। আমাদের নানা সমস্যায় আমরা তার কাছেই শরনাপন্ন হই। অথোচো সেই ব্যক্তিই তার ছেলেকে শাস্তি দেয়া বাদ দিয়ে তার ছেলের কুকর্মের সাথ দিয়ে পুলিশ এবং ডাক্তারকে কিনে নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। যার এই ধরনের পদক্ষেপের কারনে দিনের পর দিন কোনো না কোনো নারী তার ছেলে দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে।
.
আইনের সকল কর্ণধার গুলাই যখন নিজেদের দায়িত্ববোধ ভুলে যায়, তখন তো আইন হাতে তুলে নিতেই হবে। তারা যদি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করে,তবে কাউকে না কাউকে দায়িত্ব নিতেই হবে। যেহেতু সর্বনাশ আমারই হইছে সেহেতু দায়িত্ব প্রথমে আমাকেই নিতে হবে। এজন্য যদি আমি অপরাধী হই, তবে হ্যা আমি অপরাধী এবং ভবিৎষতেও আমি এমন অপরাধী হতে রাজী আছি।
.
রাত্রীর কথা শুনে কোর্টের সকল মানুষই স্তব্দ। জর্জ সাহেবও অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। যতোই হোক তিনি তো বিচারক রায় তো দিতেই হবে।
.
কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সংসদ সদস্যের এমপিত্ব এবং ডাক্তারের ডাক্তারি লাইসেন্স বাতিল করে দিলেন এবং তিন জনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড এবং আর্থিক জরিমানা করলেন,,সাথে মিথ্যা সাক্ষীদেরো উপযুক্ত শাস্তি দিলেন।
.
নিজ মুখে স্বীকারোক্তি এবং নির্যাতনের শিকার হওয়ায় রাত্রীর শাস্তি কমিয়ে এক বছর কারাদণ্ড নির্ধারণ করা হলো।
.
রাত্রীকে সুইটের তত্ত্বাবধানে জেলে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। রাত্রীকে নিয়ে যাওয়ার সময় সবাই তার মুখে হাসি দেখে আর একবার অবাক হলো, হাসি হবেই না কেনো, এটা যে তার বিজয়ের উল্লাস। সুইটের মনেও এক ধরনের প্রসন্নতা কাজ করতে লাগলো যা সে কোনো কেসেই অনুভব করেনি। যদিও এই কেসটায় তাকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে, তবুও দিন শেষে প্রকৃত অপরাধীর সঠিক বিচার হওয়ায় খুশিটা যেনো একটু বেশীই লাগছে।
.
বিঃ দ্রঃ------ কোনো নারী নির্যাতনের শিকার হলে, বখাটেদের আক্রমনের মুখে পড়লে অথবা অপমানিত হওয়ার আশংকা করলে সংগে সংগে ১০৯২১ নাম্বারে ফোন করে সাহায্য চাইবেন। এর জন্য কোনো চার্জ দিতে হবে না। টোল ফ্রি। সপ্তাহের সাত দিন ২৪ ঘন্টা খোলা। যেকোনো মোবাইল অপারেটরের সিম ও টিঅ্যান্ডটি নাম্বার থেকে ফোন করা যাবে। ১০৯২১ একটি হান্টিং নাম্বার। এক সংগে ৩০টি ফোন রিসিভ করা যায়। বিপন্ন নারী এই নম্বরে ফোন করে জরুরী সাহায্য চান,তাহলে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলের জরুরী খবর স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট এনজিও সংগঠন একই সংগে পাঠানো হয়।
.
#পরিশিষ্টঃ আপনি যত বড় গলায় বলুন না কেনো আর যতই গলাবাজি করুন না কেনো মেয়েদের আসল নিরপত্তা তাদের পর্দার ভিতরে। যখনি পর্দার কথা আসে তখনি আপনারা সামনে নিয়ে আসেন এক কথা ৫ বছরের শিশু / ৩ বছরের শিশুর কি পর্দা লাগবে যে তাদের ধর্ষন করা হয়। এখন কথা হচ্ছে ১৬ বছরের আপু থেকে ৫০ বছরের আন্টিরা পর্যন্ত নিজেদের হট কিংবা আকর্ষনীয় করে তুলে ধরার জন্য রাস্তা-ঘাটে বুক,পিঠ বের করে চলাচল করে, তখন যুবক সমাজের মধ্যে যে পশুত্বের জন্ম হয় সেই পশুত্বই তারা কোনো উপায় না পেয়ে ৩ বছরের/ ৫ বছরের শিশুর উপর চালায়। একটু ভালো করে লক্ষ্য করলেই দেখতে পারবেন মুসলিম বিশ্বে নারী নির্যাতনের হার অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক কম। আল্লাহ আপনাদের চেয়ে কম বুঝে না,যদি বেপর্দাতেই নারীদের ভালো হতো তাইলে কুরআনে কখনোই পর্দার কথা কঠোর ভাবে বলতো না। আপনারা চাইলেই এইসব রোধ করতে পারেন কারন না এর চেয়ে নারীর শক্তি আসলেই অনেক বেশী। একটা সামান্য হীরাই যখন এতো যত্নে গোপনে এবং লুকায়িত থাকে তবে একজন মেয়ে কেনো নয়। একজন মেয়ের চেয়ে কি একটা হীরাই বেশী মূল্যবান??????
.
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)
.
লেখকঃ #Shaharier_Nasim_sweet .

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ