নীল খামের চিঠি
.
লেখক : Sopner Akash
.
অফিস যাব তাই খাওয়া শেষ করে কেবল অফিসের ফাইল গুলো গুছিয়ে নিলাম। এখন রেডি হয়ে অফিসে চলে যাব।
বাসা থেকে বাইরে বের হলাম, আর বের হওয়া মাত্রই কোথা থেকে যেন এক ছেলে আসলো ঝড়ের মতো।
.
- ভাইয়া হুনেন,
- বলো,
- আপনাকে একটা জিনিস দেওয়ার ছিলো।
- কি?
- এই নেন,
- এটা তো নীল একটা খাম এটা দিয়ে আমি কি করুম।
- এটা আপনার জন্যই।
- কে দিছে?
- এক আপু দিছে, আমার কাম আছে এহন গেলাম।
.
এই বলে ছেলেটা দৌড়ে চলে গেল সামনের রাস্তা ধরে। আমাকে আবার চিঠি দিল, কে এটা? দেখিতো খুলে,,
.
প্রিয় চুনুমুনু,
আমি কিন্তু দেখছি তুমি অফিসে যাওয়ার সময় রাস্তায় মেয়ে দেখলে তুমি ওর দিকে তাকিয়ে থাকো। আমি যদি আরেক দিন দেখি যে তুমি মেয়েদের দিকে তাকিয়ে আছো তাহলে তোমার ঠ্যাং কেটে উল্টো কইরা ঝুলাইয়া রাখুম। তুমি শুধু আমার আর তুমি শুধু আমার দিকেই তাকিয়ে থাকবে। বুঝতে পারছো মিঃ আকাশ? না পারলে বাসর রাতে সব বুঝিয়ে দেব, কিন্তু এর আগে যদি তুমি অন্য মেয়ের দিকে তাকাও তাইলে তো জানই কি হবে!!
__________________ইতি তোমার
__________________________লাভ ইউ
.
ও মাই গড, মরার আগেই আমারে মাইরালাইছে। এইটা কে আবার? আমার তো জিএফ নাই তবে কে দিল এটা। মনে হয় ভুল করে আমার কাছে দিয়ে গেছে। যত্তোসব,
অতঃপর আমি আমার মতে অফিসে যেতে লাগলাম।
.
রাস্তায় কতদূর গিয়েই দেখি সেই ছেলেটা। যে চিঠি টা আমার কাছে দিছিলো, বাইক নিয়ে চলাচল করি, তাই বাইক থামিয়ে ওর কাছে গেলাম,,
- এই তোকে কে দিছে এটা?
- এক আপু দিছে!
- নাম কি? বাসা কই?
- বলতে না করছে।
- ওকে ওকে, তুই তাকে বলে দিস চিঠি ওনি ভুল ঠিকানায় দিছে।
- কিন্তু আপনার নামই তো আকাশ।
- ঠিকই তো, চিঠিতে তো আমার নামই দেওয়া আছে। ধুরর, আমার নামে আরও কত আকাশ আছে, তাদের কাউকে হয়তো দিছিলো। আর তুই তাকে বলিস, এটা ভুল ঠিকানায় দিছে।
- আচ্ছা ভাইয়া কমুনি।
.
তারপর চিন্তা ছাড়া অফিসে চলে গেলাম। কোথা হতে যে এসব মেয়ে আসে, চিনে না জানে না, তাকেই চিঠি পাঠিয়ে বসে, আর এখন তো চিঠির সময় না, এখন ফোনের সময়, কিন্তু নাম্বার না থাকলে তো চিঠিই দিবে।
.
সারাদিন অফিসে কাজ করে বাড়ি ফিরলাম সন্ধ্যা বেলা। তারপর খেয়ে নিয়ে ছাদে গেলাম। তখন প্রায় চারদিকে অন্ধকার নেমে আসছে, তবুও গেলাম।
.
গিয়ে দেখি এখনো পাশের বাসার সেই ললনা এখনো ছাদে আছে। ওর নাম নিশি। ওর মা আর আমার মা দুজন বান্ধবী ছিলো। ওদের বাসায় ও ওর মা আর বাবা থাকে, ওর বড়ভাইয়াও আছে তবুও সে এখানে থাকে না, বিদেশে থাকে। কোনো এক ভাগ্য ক্রমে দুই বান্ধবীর বাসা এক জায়গায়ই হয়।
.
আর নিশি কে আমি একটু একটু ভালবাসি। যদিও আমি ওদের বাসায় নিয়মিত যাই তবুও ওর সাথে কথা বলি না, কারণ খুব লজ্জা করে ওর সাথে কথা বলতে। কিন্তু কেন? এটা আমি নিজেও জানি না। আর কারও সাথে কথা বলতে লজ্জা করে না কিন্তু ওর সাথে কথা বলতে কেন জানি লজ্জা করে।
.
ওকে যেদিন প্রথম এখানে এসে দেখি তখনই ওকে দেখে ভালো লেগে যায়। আর ওরা আমাদের আগে থেকেই এখানে থাকে। যেদিন প্রথম ওদের বাসায় যাই সেদিন ওকে দেখছিলাম, বসে বসে গেমস খেলতে আর তখনই ওকে দেখে ভালো লাগে তারপর একটু একটু ভালবাসা জন্ম নেয় ওর জন্য আমার মনে।
আমরা এখানে আসছি প্রায় চার বছর হলো। এই চার বছরে ওর সাথে মাত্র কয়েক দিন কথা বলছিলাম, তবুও প্রয়োজন অনুযায়ী। আর ভালবাসার কথা বলবো কি করে, ওর সাথে কথা বলতেই তো আমার লজ্জা করে।
.
আর আমি যাওয়া মাত্রই আমাদের ছাদের দিকে তাকালো তারপর আমাকে দেখা মাত্রই চলে গেল নিচে। তারপর আমিও একটু সময় থেকে চলে গেলাম আমার নিজের রুমে। রুমে এসে একটু টিভি দেখে ঘুমিয়ে পড়লাম।
.
পরের দিন সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বের হইছি। বাসায় থেকে একটু দূরে আসতেই আবার সেই কালকের ছেলেটা ধরলো,
- ভাইয়া দাড়ান,
- আবার কি হইছে?
- এই নেন।
- ওই দাড়া দাড়া কই যাস,
.
আবার আজকেও একটা নীল খামের চিঠি দিয়ে দৌড়ে পালালো, হারামজাদারে ধরতে পারলে ভালো হতো,,দেখি আজ কি লিখছে,
.
প্রিয় হবু বর,
থাপ্পড় দিয়া দাত উড়াইয়া দিমু । কালকে ওর কাছে বলছিলা আমি ভুল ঠিকানায় চিঠি দিছি তাই না! আমি জেনে শুনেই চিঠি দিছি। আর আমি তোমাকে প্রতিদিনই দেখি, তুমি দেখো কিনা জানি না। তবে আমি তোমাকে ভালবাসি বলেই প্রতিদিন দেখি। তুমি কি ভাবো কে জানে কিন্তু অন্য মেয়ের কথা ভাবলে মাইর দিমু। তুমি শুধু আমার। আর হ্যাঁ, কালও আমি ওই ছেলেটাকে তোমার কাছে পাঠাবো, তুমি ওর কাছে কোনো প্রশ্ন করবে না, চুপচাপ তোমার নাম্বার টা একটা কাগজে লিখে ওর কাছে দিয়ে দিবে।
_______________________ইতি তোমার
__________________________হবু বউ
.
এখন কি হইবো, আমি নিশ্চিত পাগল হইয়া যামু। কে এটা, আর হটাৎ করে দুদিন ধরে চিঠি দিতে লাগলো কেন? কিছু বুঝতে পারছি না।ধ্যাত্ কাল দেখুমনি। কোথা থেকে যে এসব আসে।
.
আমি তারপর অফিস চলে গেলাম।
দুপুরে অফিসে বসে আছি। কাজের চাপ নেই এখন, বলতে গেলে এখন আমার এখানে কোনো কাজই নেই, একদম ফ্রি। তাই ভাবলাম স্যার কে বলে চলে যাই তারপর বাসায় গিয়ে একটু ঘুম দেই।
.
কিছুক্ষণ পরই স্যার কে বলে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় গিয়ে বসতেই আবার মা এক পায়েসের প্লেট ধরিয়ে দিল হাতে,, ওই বাসায় দিয়ে আসতে। কি আর করবো, বাধ্য হয়ে গেলাম ওই বাসায়।
উফফফ,, দরজা বন্ধ, কলিং বেল চাপ দিলাম, তারপরই নিশি এসে খুলে দিল,
.
- হ্যাঁ, বলুন,
- আন্টি আছে?
- কেবল রান্না করে শুয়ে পড়লো, একটু শরীর খারাপ।
- ওহ্, মা পায়েস পাঠিয়ে দিছে।এই নেন,
- ভেতর আসুন।
- না ঠিক আছে, আমার কাজ আছে গেলাম।
.
এই বলে দিলাম দৌড়। উফফফ বাবা এটুকুই বলতে আমার জান বের হয়ে গেছিলো প্রায়। কি যে ভয় আর লজ্জা করছিল আমি নিজেই জানি না। কেন যে এমন হয়? ওর সামনে গেল আমি কিছু করতে পারি না কেন? যাকে ভালবাসা যায় তার সামনে গেলে হয়তো এমনই হয়। ওর নাম্বারটাও নেই থাকলে ভালো হতো। আরে ধুরর, থাকলেও তো কথা বলতে পারতাম না, ভয়েই মারা যেতাম হয়তো।
.
অতঃপর তার পরের দিন সকাল বেলা, আজ অফিস বন্ধ তাই সকালে একটু হাটতে বের হলাম, বাড়ি থেকে কিছুদূরে চলে গেলাম হাটতে হাটতে।
- এইযে ভাইয়া,
- আরে তুই,
- কাগজ দেন।
- কিয়ের?
- আপু না আপনাকে কাগজ দিতে বলছিল একটা।
- ওহ্ হ্যাঁ, কাগজে নাম্বার দিতে বলছিল।
- দেন তো এখন,,
- দাড়া, একশো টাকা দিব, বলতো এটা কে?
- সাড়ে চার হাজার টাকা দিলেও বলবো না।
- কেন?
- আপু আমারে এরজন্য চার হাজার টাকা দিছে এখন আপনি পাঁচ হাজার দিলে কমু সব।
- কিইইইই, সামান্য এই চিঠি আদানপ্রদান আর কথা না বলার জন্য চার হাজার দিছে।
- হ্যাঁ।
- যা ভাগ এখান থেকে।
- কাগজ দেন।
- আচ্ছা দিচ্ছি।
.
একটা কাগজ এনে লিখতে লাগলাম,,
.
প্রিয় অপরিচিতা
আপনি কে আমি জানি না, কিন্তু আপনি আমার পেছনে পরে আছেন কেন? আর আপনাকে আমি চিনিও না পরিচয় দিলে ভালো হতো। কিন্তু পরিচয় দিলেও কোনো লাভ হবে না, কারণ আমি একজন কে ভালবাসি। তাই দয়া করে আপনি এসব আমাকে আর দিবেন না।
ইতি,
আকাশ,
.
তারপর কাগজ টা ওর হাতে দিয়ে দিলাম, আর ওটা দিয়েই আমি বাসার দিকে রওনা হলাম। যেটা দিলাম এরপর বোধ আর কিছু লিখে দিবে না, বাচা গেল, এবার ওনি দয়া করে পিছু ছাড়লেই হয়।
.
আজ বন্ধ তাই সারাদিন ঘোরাঘুরি আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েই কাটালাম।
বিকেল বেলা বাসায় ফিরছি, ক্লাবে গেছিলাম একটু, ওখানে সবাই থাকে, আড্ডা হয় তাই। বাসার সামনে আসতেই দেখি নিশি দাড়িয়ে আছে গেটের সামনে। গেটের সামনে বললে ভুল হবে, গেট আটকে দাড়িয়ে আছে।
.
- একটু চেপে দাড়ালে ভালো হতো। আমি যেতে পারতাম।
.
কথাটা বলে বোধ হয় কোনো মহা পাপ করে ফেলছি, কেমন যেন এক রাগি লুক নিয়ে আমার দিকে তাকালো, মনে হয় এখনই খেয়ে ফেলবে কিন্তু না, চেপে দাড়ালো। আর আমি গেট পাড় হয়েই দিলাম দৌড়। এক দৌড়ে রুমে চলে আসলাম তারপর এক দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে একটু শান্তি পেলাম।
.
কি ভয়টাই না পেয়েছিলাম। কিন্তু হটাৎ এমন ভাবে তাকালো কেন, বুঝতে পারলাম না।
.
তারপরের দিন,
.
অফিসে যাওয়ার জন্য বের হইছি,,, আর আমার বাইক তো ঘরে থাকে না, সবসময় বাইরেই থাকে, তাই বাইক আনতে গেলাম, গিয়ে দেখি বাইকের উপর এক জুতা আর লাঠি। জুতাটা কোনো মেয়ের হবে হয়তো। কিন্তু এগুলো এখানে রাখলো কে?
.
না এখন আমার তাড়াহুড়োর সময়, এখন এগুলো ভাবলে চলবে না। বাইক নিয়ে বাসা অতিক্রম করে কতদূর চলে আসলাম।
- ভাইয়া থামেন,
- আবার আজকেও, উফফফ,
- এই নেন,
- দে দেখি, কি লিখছে আজ
.
প্রিয় আকাশ,
তাড়াতাড়ি বলো তুমি কাকে ভালবাসো। যে পর্যন্ত না বলবা সে পর্যন্ত প্রতিদিনই আমি তোমাকে এভাবে বিরক্ত করবো।
_____________________ অপরিচিতা
.
অতঃপর আমিও লিখে দিলাম
.
প্রিয় অপরিচিতা
আমি আমার পাশের বাসার এক মেয়ে নাম নিশি, আমি ওকে ভালবাসি অনেক দিন যাবত, আশা করি আপনি আর আমাকে বিরক্ত করবেন না।
__________________ আকাশ,
.
- এই নে, এটা নিয়ে তোর আপুকে দে।
- আচ্ছা।
.
তারপর অফিসে চলে আসলাম। উফফফ, আর বাঁচলাম না। কে এটা? কেনইবা আমার পেছনে পরে আছে। আগে তো এরকম করেনি, তাহলে এই দুইদিনে এতো পেছনে ঘুরঘুর করছে কেন? কি যে করি, মেয়েটাকে পেলে ভালো হতো। কিন্তু ওই পিচ্চি শয়তানটাও তো কিছু বলছে না। পাঁচ হাজার টাকা চায়, খুব ভালো শয়তান ওটা।
.
আজ বিকেল বেলায়ই বাসায় চলে আসলাম। তারপর খাওয়া শেষ করে ছাদে গেলাম। গিয়ে দেখি নিশি ছাদে এসে বসে আছে এক চেয়ার এনে তবুও আমাদের ছাদে। হটাৎ আমাদের ছাদে কি করে,,
.
- হটাৎ আমাদের ছাদে?
- কেন আসতে পারি না নাকি?
- না ঠিক তা নয়, কোনো দিন আসেন নাই তাই বললাম।
- ওহ্, আচ্ছা আমার পাশে বসো।
- ইয়ে মানে ( এই খাইছে রে, তুমি করে বলছে আবার পাশে বসতে বলছে)
- কি হলো?
- হটাৎ পাশে বসাবেন কেন?
- চুপ, বিয়ে করবে কবে বল।
- কাকে বিয়ে করবো?
- তোমার সামনে একটা জলজ্যান্ত মেয়ে বসে আছে চোখে পরে না।
- কিইইই, কিছু বুঝতে পারছি না, বুঝিয়ে দিলে ভালো হতো।
- পরে বুঝিয়ে দিব, আমাকে ভালবাসো? ভয় পাবে না সত্যি করে বলো।
- ইয়ে, মানে, ভালবাসি।
- বিয়ে করবে?
- করবো।
- আচ্ছা তাহলে আম্মুকে বলো, তাড়াতাড়ি যেন বিয়ের ব্যবস্থা করে।
- আচ্ছা, ঠিক আছে।
- এবার প্রপোজ করো।
- ফুল নাই তো।
- হাত ধরে তো বলতে পারবে ভালবাসি।
- হ্যাঁ।
- বলো,,
- নিশি আমি আপনাকে অনেক ভালবাসি।
- উফফফ, হয় নাই, তুমি করে বলো।
- নিশি আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি।
- তুমি জানো আমিও তোমাকে অনেক ভালবাসি ( জড়িয়ে ধরে বুকে মুখ গুজে)
- আমার না কেমন যেন ভয় করছে।
- কেন?
- তোমার এতো কাছে এসে।
- হু, এরপর কিন্তু আমরা সেই চিঠিতেই কথা বলবো।
- চিঠি?
- হুম, ওই নীল খামের চিঠি গুলো।
- তারমানে ওগুলো তুমি দিতে।
- হ্যাঁ, অনেক আগে থেকে তোমাকে ভালবাসি, আর সয্য হচ্ছিল না তাই চিঠি দিছিলাম, নাম্বার তো ছিলো না, আর তোমার কাছে চাইতেও লজ্জা করতো।
- তাহলে বললে না কেন ওটা তুমি ছিলে?
- আগে জেনে নিলাম তুমি কাকে ভালোবাসো।
- ওহ্, তাহলে সামথিং সামথিং।
- ইইইইইই, (কিল দিল) তুমি আমাদের বাসায় গিয়ে আমার সাথে কথা বলতে না কেন? দৌড়ে চলে আসতে, তুমি জানো আমি তোমার সাথে কথা বলার জন্য কত অপেক্ষা করতাম তোমার জন্য।
- খুব ভয় করতো। আর আমি তো জানতাম না তুমিও আমাকে ভালোবাসো।
- অনেক আগেই ভালবাসি। প্রতিদিন সকালে তুমি অফিসে যাও আর আমি ছাদে বসে থাকতাম আর তোমাকে দেখতাম, দেখতে দেখতে কখন যে ভালবেসে ফেলছি নিজেই জানি না।
- তোমার বাসায় জানলে কি হবে, তারা আমাদের বিয়ে দিবে তো।
- তোমার আম্মু আর আমার আম্মু অনেক আগেই আমাদের বিয়ে ঠিক করে রেখেছিলো, যেদিন তোমরা এখানে আসো তার কয়েক দিন পরই। শুধু আমাদের দুজনের এক হওয়ার অপেক্ষায় ছিলো।
- আমি তো কিছুই জানতাম না।
- জেনে আর কাজ নেই বাবু, এবার দিন তারিখ ঠিক করো।
- ওকে।
- আর তুমি যদি অন্য কাউকে ভালবাসতে তাইলে ওই জুতা আর লাঠি দিয়ে তোমাকে পিটাইতাম।
- তারমানে ওগুলো তুমি রাখছিলা?
- হ্যাঁ,
- ও মাই গড।
.
এটা কি হলো? হাওয়া উল্টো দিকে বইছে। হাওয়া যেদিকে ইচ্ছা সেদিকে যাক আমার ভাগ্য আর কপাল দুটোই বদলে গেছে। হুররে, আমি পেয়ে গেছি আমার ভালবাসা।
.
নিশির মাথায় বুদ্ধি আছে ভালো, আগে জেনে নিল কায়দা করে আমি কাউকে ভালবাসি কিনা। এখন আর কি করার! বিয়ের দিন দেখে, নতুন বউ ঘরে তুলে আনি। আমার বউয়ের এতটা দরকার নেই শুধু মার কষ্টটা দেখে বিয়ে করতে ইচ্ছে হলো, হিহিহি।
.
তারপর কয়েক দিন পর,,,
.
অনেক ভয় আর লজ্জা নিয়ে ইয়ের ঘর মানে বাসর ঘরে গেলাম। ভয়ে বুকটা ধুকপুক করছিল। কোনো মতে মতে গিয়ে একপাশে গিয়ে বসলাম। আর তখনই এক নীল খামের চিঠি ছুড়ে দিল আমার দিকে।
.
প্রিয় স্বামী,
আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি। আর সারাজীবনই এভাবে ভালবাসবো। কিন্তু তুমি যদি ভুলেও আমাকে একটু কষ্ট দাও তাহলে ঠ্যাং এ দড়ি বেধে উল্টো করে ঝুলাবো। কারণ, আমি তোমার বিয়ে করা বউ। আর হ্যাঁ, আমি কিন্তু ভালো রান্না করতে পারি না। বেশী কিছু রান্না করতে পারি না, যা রেধে দিব চুপচাপ খেয়ে নিবা ভালো হোক বা খারাপ হোক। বকবক করতে পারবে না, তাইলে ঘুসি দিয়ে চাপা ভেঙে দিব।
.
আর হ্যাঁ, আমাকে কিন্তু অনেক ভালবাসবে, নাহলে কান্না করবো। আর কোনো মেয়ের দিকে তাকাবে না, যত ইচ্ছা আমার দিকে তাকিয়ে থাকবে। আর প্রতিদিন অফিস থেকে আসার সময় আমার জন্য চকলেট নিয়ে আসবে। আর রাতে খাওয়ার সময় আমাকে খাইয়ে দিবে তুলে, আর সকালে আমি খাইয়ে দিব।
.
কারণ, সকালে আমি রান্না করে টায়ার্ড হয়ে যাই, তাই তুমি সকালে খাইয়ে দিবে আর সারাদিন অফিসে কাজ করে তুমি টায়ার্ড হও তাই রাতের বেলা আমি খাইয়ে দিব। থাক, আর বলবো না, লিখে শেষ করা যাবে না। অবশেষে, আই লাভ ইউ, আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি।
এখন একটা পাপ্পা দাও।
_______________________ইতি তোমার
___________________________মিষ্টি বউ
.
- নিশি, কাছে আসো।
- কেন?
- পাপ্পা দেই।
- আচ্ছা দাও।
.
অতঃপর, নীল খামের চিঠি দিয়েই গল্পটা শেষ হলো।
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ā§¨ā§Ž āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§
600
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§§ā§Ļ:⧍⧍ PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ