āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§­

545

ভাই বোন,,
(dedicated to সমস্ত ছোট বোন আর ভাইদের)
>>
-ভাইয়া,ওই ভাইয়া, উঠে ফ্রেশ হয়ে নে (নিতু)
-আরে সর,রাজহাঁসের মত প্যাক প্যাক করিস সকাল সকাল,,,যা সর,,(নিঝুম)
-উঠবি? নাকি কালকের চটপটি কেনার টাকায় সিগারেট কিনলি সেটা বলব আব্বুকে?
-(শোয়া থেকে উঠে বসল নিঝুম) আস্ত শয়তান তুই,
কোন ভাগ্যে যে তোর মত জল্লাদ পেত্নি ঝগড়াটে বোন পাইলামরে?
-কি বললি? আমি পেত্নি? খারা তোর ঘার মটকানোর ব্যাবস্থা করতেছি,,,
-আরে দাড়া বোইন দাড়া,,এই ল ৫০ টাকা চকলেট খেয়ে নিস!
-এইত লক্ষি ভাই,,,যা নাস্তা করতে আয়!!
>
নিতু চলে যেতেই ফ্রেশ হতে গেল নিঝুম,
নিঝুম নাস্তা করতে বসতেই ডিমের উপর হামলা পরল নিতুর,,নিঝুমও অভ্যস্ত হয়ে আছে,
খাবারে হামলা মানিব্যাগে হামলা বিশেষ দিনে বাড়তি বিশেষ ট্রিট নেয়া রেগুলার চকলেট নেয়া ছিল নিতুর এক রকম ডিউটি আর রুটিন,
>
নিঝুম আর নিতু ভাই বোন,
নিঝুম এবার অনার্স শেষ করল আর নিতু ইন্টারে পড়ে,,,
সারাদিন ঝগরা খুনসুটি দিয়েই চলতে থাকে ২ ভাই বোনের,
নিঝুমের বাবা ৫ বছর আগেই বিদেশে মারা গেছে,,আর নিঝুম নিতু আম্মুকে নিয়েই থাকত,
ছোট পরিবার হলেও শান্তি ভালবাসা আনন্দ ঘিরে থাকত এই পরিবারের প্রতি সদস্যেকে
>
নিতুর জন্য অনেক ভাল সম্বন্ধ আসা শুরু করল,
দেখতে উজ্জ্বল ফর্সা,ভাল আর ভদ্র মেয়ে তাই অনেকেরই পছন্দ হইত নিতুকে।
কিছুতেই বিয়েতে সম্মতি হচ্ছিল না নিতুর,
কিন্ত ভাই বোনের খুনসুটি ঝগরা চলতেছে রেগুলার,,
>
৩ বছর পর,
নিতুর চোখে জল,নিঝুমের চোখেও জল।
চোখের জলটা লুকিয়ে নিতুর কানে কানে গিয়ে নিঝুম বলল> কিরে,কাজল দেয়ায় তোকে সুন্দরি পেত্নির মত লাগেরে,আর ফেসওয়াশ দিয়েতো মুখোশ চেঞ্জ করে পেত্নির সর্দারনী হয়ে গেলি,,হিহি।
>
নিতু নিঝুমের দিক তাকিয়েই চিৎকার করে কেঁদে উঠে বলল > ভাইয়ারে,আজও তোর শয়তানি?
,আজও তোর ভিতরে কষ্ট লুকিয়ে রেখে আমাকে হাসাতে চাস?
>বলেই নিঝুমকে ধরে কাঁদতে থাকল।
শত হলেও একমাত্র ছোট বোন।
এত বছরের আদর স্নেহ ভালবাসা ঝগরা খুনসুটি ছেড়ে বিদায়ের দ্বারপ্রান্ত দাঁড়ানো নিতু,,
আর সামাল দিতে না পেরে বুকের ভিতর চিনচিনে ব্যাথাটা ঠুকরে বের হয়ে চোখের অশ্রুতে ভিজে উঠল নিঝুমের গাল!
>
নিঝুম নিতু বন্ধুর মত হয়ে ভাই বোন হয়ে ভাল সম্পর্ক ছিল,,,এত বছরের বন্ধু আর ভাই বোন আলাদা হলে মন কত হাহাকার করতে পারে তা কেবল ভভুক্তভোগী ভাই-বোনই জানে,,,,
কিছুক্ষন পরেই গাড়ির হর্নে বোনটাকে নিয়ে গেল বরের পাশে বসিয়ে দিতে,
বরের গাড়ি চলে গেল,
>
বাড়িটা সম্পুর্ন ফাকা ফাকা লাগছে,
শুণ্যতা ভরা রুমে আজ নিঝুম ঘুমায়,কেউ ব্লাকমেইল করে ঘুম থেকে উঠায় না,
কেউ সিগারেট খাওয়ার কথা বলে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চকলেট খাওয়ার জন্য টাকা আদায় করেনা, ভাইর খাবার প্লেট থেকে গোস্তের টুকরা বা ডিমের অংশ কেড়ে নেয়া হয় না,
কেউ কারনে অকারনে ঝগরা করেনা,,
রাত জাগলেই নিতু এসে শাসন করে বলে না> কিরে, দাঁড়িয়ে সিগারেট খাস? ঘুমায়া থাক,যা বলছি!!

এসব মনে পরতেই চোখের কোনটা জলে ভিজে ওঠে নিঝুমের,
>>>
>>>
,
,
,
আজ,,

পেছন থেকে কাধে একটা হাত পরতেই পিছু ফিরে তাকিয়ে দেখে পিছনে মিতু দাঁড়ানো আছে।
মিতু >মামা আজকে আমার জন্মদিন? তুমিনা বলছিলা আমাকে নিয়া পার্কে নিয়ে চকলেট আর ডল (পুতুল) কিনে দিবা? কিন্তু তুমি আম্মুর কবরের পাশে এসে কাঁদছ কেন?
,
পিছন ঘুরে মিতুকে বুকে জরিয়ে ধরল নিঝুম,
দু চোখের কোন বেয়ে আরো কয়েক ফোটা জল ভিজিয়ে দিল গাল,
নিঝুম বলল> হ্যা মামনি যাবো চলো আম্মু পার্কে গিয়ে পুতুল চকলেট কিনে দিব,,
>
মিতুকে কোলে তুলে পার্কের দিকে হাটা দিল নিঝুম
মিতু তার প্রশ্নের উত্তর পায়নি যে তার মামা ওই কবরে এখন কাঁদছিল কেনো,
কিন্তু নিঝুম আর ওই কবরের মাটিই জানে এটার উত্তর।

> নিঝুম আজও নিতুর মেয়ে মিতুকে বলতে পারেনি যে মিতুর জন্মদিন আসলে শুধু জন্মদিন নয়,,এই দিন নিতুর মৃত্যু বার্ষিকী,,
এটা যদি মিতু জানত তবে হয়ত মিতুর জন্মদিনের আনন্দটা আজীবনের জন্য মাটি হয়ে যেতো,
আজ মিতুর জন্মদিন আর নিতুর মৃত্যুও ৫ বছর  পুর্ন হইল,
মেডিকেল হাসপাতালে মিতুর জন্মের সময়েই নিঝুম তার বোন নিতু হারিয়ে যায় আজিবনের জন্য,
মিতুর মধ্যে আজ নিঝুম তার বোনকে খুঁজে বেড়ায়,,
>>
মিতুও তার মায়ের মত চকলেট বেশি পছন্দ করত,,
অশ্রু ভেজা নয়ন নিয়ে মিতুর চকলেট খাওয়া দেখছিল আর নিতুর সেই চকলেট খাওয়ার মাঝে মিল খুঁজতে খুঁজতে চোখটা আবার ভিজে উঠে গেল,
মিতুকে কাধে তুলে বাড়ির দিকে যেতে থাকল নিঝুম
>>>
ভাল থাকুক দুনিয়ার সব ভাই বোন গুলা বেচে থাকুক ভাই বোনের মহান ভালবাসা
ভাই বোনের অমলিন হাসি ঝড়তে থাক অফুরন্ত ভাবে,যেনো কারো চোখের জল না হয়ে দাঁড়ায়,

>>the end<<
>>writer > আমারতো ছোট ভাই বোন নাই,তাই বুঝি ছোট ভাই বোনের আদর ভালবাসা স্নেহ কত মুল্যবান হয়!
*-লেখক > আলি হোসেন (আমিতো কেউনা)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ