āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧍⧭ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§­

586

গল্প : নাটক - অত:পর
আগন্তুক : এই বখাটে ছেলে !!
( আশেপাশে একটু তাকালাম)
আমি : কাকে বলছেন ??
আগন্তুক : কেন তোমাকেই বলছি ।
আমি : তা আমাকে কি দেখতে আপনার বখাটে মনে হচ্ছে !
আগন্তুক : আর্মি কাট দেয়া চুল এবং পোশাক-আশাকে মনে না হলেও কাজেতো মনে হচ্ছে - খাটি বখাটে !
আমি : তা আমার কোন কাজটা আপনাকে ভাবাচ্ছে শুনি ?
আগন্তুক : কয়েকদিন ধরে দেখছি তুমি ওই কাল-সাদা মেশানো ড্রেস পড়া মেয়েটাকে ডিস্টার্ব করছো ।
আমি : কে বল্লো আমি ওই মেয়েটাকে ডিস্টার্ব করছি ?
আগন্তুক : তা তো দেখতেই পারচ্ছি । তা ডিস্টার্ব না করলে কি করছ ?
আমি : এইতো একটু খবর রাখছি আর চোখে চোখে রাখছি !
আগন্তুক : কেন ?
আমি : ওরে আমার হবু বউ বানানোর চিন্তা-ভাবনা করছি !।
( বউ নয় কিন্তু হবু বউ)
আগন্তুক : ও, তাই বুঝি !
আমি : তা আপনি কে যে আমাকে এতো কিছু জানতে চাচ্ছেন ?
আগন্তুক : কারণ ...... আমিই ওর বাবা ।
আমি: আসাসালামূ আলাইকু....ম..... আঙকে.....ল
(ওরে বাপরে বাপ লাগা দৌড়)
.
ও হ্যা... আমার পরিচয়টা দিয়ে নিই।
আমি রানা । বর্তমানে বাংলাদেশ আর্মি এর একজন স্পেশাল কমান্ডো ।
.
চলুন উপর এর ঘটনাটির ফ্লাশ ব্যাক দেখে আসি ।
.
প্রায় ২০দিন হল ২ মাসের ছুটি নিয়ে বাসায় আসলাম প্রায় ২ বছর পর । ২ বছর ট্রেইনিং এ ছিলাম।
বাসায় আসার দুইদিন পর একটু বের হলাম বাসা থেকে এলাকার অবস্থাটা দেখার জন্য এবং বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার প্রোগ্রামও আছে অবশ্য ।
আমাদের বন্ধুদের আড্ডা দেয়ার অন্যতম স্থান হল ময়নামতি ইংরেজ কবরস্থান ! যখন কুমিল্লা-বিবাড়িয়া মহাসড়ক এর পাশ দিয়ে হাটব ঠিক তখনই দেখতে পেলাম রোডের সাথের দুই তলা বিল্ডিং থেকে একটা মেয়ে বের হচ্ছে তাহার রুপ দেখেতো আমি ফিদা ।
যাই হোক বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় এসে শুয়ে শুয়ে ভাবলাম কি করা যায় ।
হ্যা মনে পড়ছে ওই বিল্ডিং এ এলাকার এক ছোটভাই থাকে তার থেকেই সব জেনে নিব । বিকাল এ আসর নামাজ পড়তে মসজিদ এ গেলাম। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে পাশে মাঠে গেলাম ক্রিকেট খেলা হচ্ছে । ছোট ভাইটিকে দেখতে পেলাম । যেই ভাবা সেই কাজ তার থেকে কিছু তথ্য জানতে পারলাম ।
যার সারমর্ম হল মেয়েটি তার বাবা-মার সাথে থাকে আর তার ছোট একটা ভাই আছে । আর এক বছর হল তারা এই এলাকায় বাসা ভাড়া থাকছে । ওহহ, নামটাই বলা হয়নি । তার নাম হল নুসরাত । নামটি শুনা মাত্রই মনে হয়ে গেল সেই ছোট্টবেলার খেলার সাথি নুসরাত এর কথা । এটাকে আর গুরুত্ব দিলাম না ।
এরপর থেকেই শুরু হল নুসরাতকে ফলো করা । আস্তে আস্তে জানতে পারলাম সে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া ইউনিভারসিটিতে অনার্স ৪থ বর্ষে পড়ছে ।
এরপর থেকে প্রতিদিন সে যখন তাদের বারান্দায় বিসে বই পড়ত তখন আমি দূরে থেকে চেয়ে থাকিতাম আর আজকে তো ওর বাবার কাছে ধরাই পরে গেলাম।
বাসায় যখন ঢুকতে যাব তখন দেখলাম নুসরাত এর বাবা আমাদের বাসা থেকে বের হচ্ছেন আমি দ্রুত পলায়ন করলাম।
বলাতো যায় না কি হয়ে যায় !
ভয়ে ভয়ে বাসায় ঢুকলাম কিন্তু কেউ কিছু বল্ল না তাই একটু নিশ্চিন্ত হলাম ।
আজ সকালে নুসরাতকে আমাদের বাসায় দেখলাম তাই একটু জানতে আগ্রহ হল ওরা কারা । গতকাল ওর বাবাকে দেখলাম আজকে সেই আমাদের বাসায়।
আমার ছোট বান্দরনি বোনটাকে ডাকলাম আমার রুমে । সে যা বলল তাতে আমি কি করব তারই কূল্-কিনারা হারিয়ে ফেল্লাম।
যা সন্দেহ করে ছিলাম তাই হল সে - ই সেই ছোটবেলার খেলার সাথি নুসরাত ।
কতক্ষন পর নুসরাত আমার রুমে আসলো তাকে দেখা মাত্রই দাড়িয়ে গেলাম। আমি তাকে বল্লাম আপনি ??
নুসরাত : হুম, আমি কোন সমস্যা ।
আমি: সমস্যাইতো, চিনা নেই জানা নেই হুট করে এসে রুমে ঢুকে পরলেন যে !
নুসরাত : কেন জামাই মসাই তুমিকি আমাকে চিন্তে পার নাই । আমাকে ভুলে গেছ ! ভুলে গেছ সেই দিন গুলো !!!
আমি : হুম
নুসরাত : ভালই তো মিথ্যে কথা বলতে পার দেখি....
আমি : আমি আবার কি মিথ্যা কথা বল্লাম !
নুসরাত : ও, আমার জামাইতো দেখি কিছুই বুঝে না আর জানে । এতও দিন আমাকে ফলো করার পর আমাকে বলতেছ তুমি আমাকে চিন না !
আমি : ওকে চিনলাম কিন্তু তুমি আমাকে জামাই-জামাই বলতেছ কেন ! তোমার বাবা আমার কোন দিনে শশুরমসাই ছিল শুনি !!
নুসরাত : ছিল না, এখনো নেই কিন্তু হতে বেশি দিনও দূরে নেই। কথা- বার্তা পাক্কা.. শুধু কবুল বলাই বাকি ।
এটা বলে যে রুম থেকে দ্রুত বের হয়ে গেল আর পেলাম না।
আম্মুর কাছে গেলাম সত্য জানার জন্য ।
আমি : আম্মু, আমি কি শুনছি ?
আম্মু : তুই না কইলে আমি কিম্নে বলমু তুই কি শুনছছ!!
আমি : তোমরা নাকি আমার বিয়ে ঠিক করছো ?
আম্মু : কি করমু বল, আর কতদিন তোকে কত বলি কিন্তু তুই তো রাজিই হোস না।
আমি : তাই বলে আমারে একবারও জানা বা না ,, কার সাথে ঠিক করতেছ!!
আম্মু : তুই তো চিনিছই আর কি লাগব !!
আমি : কই চিনি ! আজকে এ না ওর সাথে দেখা হল । আমি এই বিয়ে করব না ।
আম্মু : কেন কি হইছে ?
আমি : কোন কেন এর উত্তর দিতে পারব না । আমি এই বিয়ে কিরব না ।
সাথে সাথে রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিলাম । সাউন্ড বক্সে গান লাগিয়ে নাচতে ইচ্ছা করছে কারণ দারুন একটা খেলা শুরু হতে যাচ্ছে।
বিকালে সে কল দিল।
মোবাইলে --
আমি : হ্যালো, কে ?
নুসরাত : আমি !
আমি : কি আমি আমি করছেন আর কাকে চান ?
নুসরাত : আমি নুসরাত । আপনার সাথে একটু দেখা করতে চাচ্ছিলাম ।
আমি : ও , কখন দেখা করতে হবে ?
নুসরাত : জি, আগামিকাল সকাল ১০ টায় 'হোটেল কফি হাউজ' এ ।
আমি : আচ্ছা ঠিক আছে আমি আসব।
কোনরকম রাতটা পার করলাম । সকাল ১০ টায় কফি হাউজে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি সে বসে আছে .।
আমি : কেমন আছ?
নুসরাত :হুম ভাল। আপনি?
আমি : ভালই আছি । তা কিসের জন্য ডাকলেন ?
নুসরাত : আমাকে দেখতে-শুনতে কি আপনার এতই খারাপ মনে হয় !!?
আমি : কেন ? এমন মনে হবে কেন। তুমিতো অনেক সুন্দরী ।
নুসরাত : তাইলে আপনি নাকি বলছেন আপনি আমাকে বিয়ে করবেন না ?
আমি : হুম
নুসরাত : জানেন আমি বুঝার পর থেকে আপনাকে আমার স্বামী হিসেবে মনে করে আসেছি আর অনেক ভালোও বাসি । ধন্যবাদ আসি।
এইটা বলেই মেয়েটা উঠে চলে গেল আমার বুকে জমা কথাগুলো বুঝতেও পারল না ।
আজ আমার বাসর রাত। আর হ্যা, নুসরাত এর সাথেই আমার বিয়েটা হয়েছে । যদিও অনেকেই জানে আমার
অমতেই এই বিয়ে হয়েছে কিন্তু কেউতো আর জানে না আমার মনের কথা ।
আমার রুমে ঢুকার পর নুসরাত এসে আমাকে সালাম করে সুজা গিয়ে ফ্লোরে পাটি বিছিয়ে সুয়ে পড়ল। আমি তো অবাক হয়ে গেলাম কোন কথা নেই বার্তা নেই সরাসরি....
তাই আমি বললাম এই কি হচ্ছে এইসব ।
নুসরাত : কি হবে আবার আপনি আমাকে বিয়ে করতে চান নি তবূও বিয়েটা হয়েছে আর এখন আপনি চাইলেই আমাকে ডিবর্স দিয়ে দিতে পারেন ।
আমি ওর মুখে হাত দিয়ে ওর কথা বলা বন্ধ করে দিয়ে আমি শুরু করলাম।
জান আমি তুমাকে একমাস আগে যখন দেখি তখনি চিন্তে পারি আর তখন থেকেই তুমাকে ফলো করি । তুমাকে আমিও ভালবাসি তুমি হয়ত জান না আমি তুমার অনেক খবরই রাখি এবং সবসময় তোমার সাথে যোগাযোগ করতে চাইতাম কিন্তু কোনভাবেই সম্ভব হয়নি ।
নুসরাত : তাহলে তূমি এই রকম করলে যে !
আমি : একটু নাটক করছিলাম।
এরপর নুসরাত আমার বুকের উপর ঝাপিয়ে পরে কান্না শুরু করল। আমি আর তাকে থামালাম না ।
আতঃপর শুরু হল আরেক ভালবাসায় পরিপূর্ণ দম্পতির জীবন ।
ধন্যবাদ
লেখক : মো: নাঈম সরকার রানা
# এই প্রথম কোন গল্প লিখলাম তাই ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখার অনুরুধ রইল ।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ