অভিমানী ভালোবাসার গল্প
♥
♥
বাসার ছাদে বসে আছি। সাইলেন্ট মুডের মোবাইলটা হঠাত কেঁপে উঠলো। হাতে নিয়ে দেখলাম একটা মেসেজ এসেছে। ছোট্ট একটা কথা লিখা, "আসেন ঝগড়া করি"।
মোবাইলটা হাতে নিয়েই রুমের ভিতর চলে আসলাম। বিছানার ওপাশ ফিরে একজন শুয়ে আছে। বুঝতে পারলাম সে মিটিমিটি হাসছে। হ্যাঁ এই মেয়েটিই একটু আগে আমাকে মেসেজটি করেছে। সে আমার স্ত্রী।
.
আমি সোহান। বাবা মায়ের পছন্দেই বিয়ে করেছি আমি। বিয়ে করার কোন ইচ্ছাই ছিলো না। একরকম জোর করেই বিয়েটা করানো হয়েছে। যার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে তার নাম শ্রুতি। অসম্ভব ভাল একটি মেয়ে। কিন্তু আমি তার প্রতি কখনো ফিরেও তাকাইনি।আমাদের বিয়েটা শুধু কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ।
কারন সুমাইয়া কে আমি কোনমতেই ভুলতে পারছিলাম না।
.
হ্যাঁ, সুমাইয়া , যাকে আমি নিজের থেকেও অনেক অনেক বেশী ভালবাসতাম। আর এখনো ভালবাসি, সারাজীবন ই বাসবো। আর সেজন্যই আমি শ্রুতি মেয়েটাকে কখনো আমার জীবনে স্থান দেইনি।
.
সুমাইয়ার সাথে আমার প্রেমটা ভার্সিটি লাইফেই। এক পড়ন্ত বিকেলে সুমাইয়াকে ভালবাসি বলেছিলাম। সব সংশয় দুর করে সুমাইয়াও সম্মতি দিয়েছিলো। দুজনের ভালবাসায় কখনো কোন কমতি ছিলনা। শুধু অভাবটা ছিলো ভাগ্যের। ভাগ্যটার হয়তো আমাদের ভালবাসা সহ্য হয়নি। তাইতো এক মরন ব্যাধি অসুখের দোহায় দিয়ে সুমাইয়াকে আমার থেকে কেড়ে নিয়েছে সে।
.
সুমাইয়ার চলে যাওয়ার পর যেন এক মৃত মানুষে পরিনত হয়েছিলাম আমি। সবকিছু থেকেই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলাম। আর এই একাকিত্ব ঘুচাতেই পরিবার থেকে বিয়ে করানো হয় আমাকে। বিয়ের পর থেকে শ্রুতির সাথে কখনো ভাল করে কথা বলিনি আমি। কখনো ওর দিকে চোখ তুলে তাকাইনি পর্যন্ত। সুমাইয়ার স্থানটা যে আমি কাউকে দিতে চাইনি। এত সব কিছুর পরও শ্রুতির কাছ থেকে কেউ কোন অভিযোগ পায়নি। সবার সাথে হাসি খুশি হয়ে চলেছে সে। তবে আমি বুঝতাম কতটা হাসি খুশি সে। মাঝরাতে প্রায়ই ফুপিয়ে কান্নার আওয়াজ পেতাম। বুঝেও না বোঝার ভান করে ওপাশ ফিরে শুয়ে থাকতাম।
.
শ্রুতিকে আমি কখনো সুমাইয়ার কথা বলিনি, তবে ও সুমাইয়ার কথা জানে। হয়তো শুনেছে আমার পরিবার থেকে। শ্রুতির সাথে দরকার ছাড়া কোন কথা বলতাম না আমি। সেও বলতো না,তবে সে মাঝে মাঝেই আমার ফোনে মেসেজ পাঠাত। কখনো উত্তর দেওয়া হয়নি, কখনো জানতেও চাইনি, কেন সে এমন করে। একদিন একটা মেসেজ আসলো, আমি কি সুমাইয়া হতে পারিনা? মোবাইলটা রেখে অনেক কেঁদেছিলাম সেদিন। কিন্তু কোন উত্তর দেইনি। এভাবেই তার মেসেজ আসতে থাকতো নিয়মিত। আস্তে আস্তে মনের কিছুটা জায়গা খালি হচ্ছিল শ্রুতির জন্য। একটু একটু করে চাঁরুর জায়গাটা সে দখল করে নিচ্ছিল। আমিও তখন আর নিজেকে বাধা দেইনি।
.
বিয়ের ঠিক একবছর পরে ভেবেছিলাম শ্রুতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবো। আপন করে নিবো ওকে। দোকান থেকে কয়েকটা বকুল ফুলের মালাও কিনেছিলাম শ্রুতিকে দেব বলে। বকুল ফুল খুব পছন্দ করতো শ্রুতি। মালা গুলো পকেটে রেখে বাসায় ঢুকলাম। ভেবেছিলাম বাসায় ঢুকেই শ্রুতিকে সব খুলে বলবো। কিন্তু ঠিক তার উল্টোটা হলো। শ্রুতিই আমার কাছে এসে বলতে লাগলো..
>> আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছি। ভেবেছিলাম এই এক বছরে হয়তো একটু হলেও আপনার জীবনে স্থান করে নিতে পারবো। তাই এতদিন এই বিশ্বাসেই এখানে ছিলাম। কিন্তু না, আমি ব্যর্থ হয়েছি। তাই আপনাকে আর কোন কষ্ট আমি দিতে চাইনা। এতদিন জোর করে আপনার জীবনে থাকার জন্য ক্ষমা করবেন।
.
কথা গুলো বলেই সেখান থেকে চলে গেল শ্রুতি। তার গাল বেয়ে পড়া অশ্রু কণা আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম।
.
মন বারবার বলছিলো শ্রুতিকে আটকানোর জন্য। কিন্তু কিভাবে বলবো আমি। যেই মানুষটার দিকে একটা বছর ফিরেও তাকাইনি আজ কিভাবে তাকে বলবো আমি তাকে ভালবাসি। যেই মানুষটার সাথে একটা বছর ভাল ভাবে কোন কথাও বলিনি তাকে আজকে কিভাবে আটকাবো আমি। আজ যদি তাকে আমার মনের কথা বলি সে হয়তো ভাববে তার প্রতি দয়া দেখাচ্ছি। বলতে চেয়েও কিছু বলতে পারলাম না আমি।
ছাদে গিয়ে দাড়িয়ে রইলাম কিছুক্ষন।
মোবাইলটা কেঁপে উঠলো। হ্যাঁ, মেসেজ এসেছে।শ্রুতিরই মেসেজ...
" কিছু বললেন না যে। কি মনে করেছেন, বকুল ফুলের গন্ধ কি আমি পাইনি। আমার জন্যই এনেছিলেন বুঝি। তো দিলেন না কেন? আমি জানি ওগুলো আমার জন্যই এনেছেন, নিয়ে আসুন না, খুব ইচ্ছে করছে বকুল ফুল গুলো দেখতে। তারাতারি আসুন"।
.
এই প্রথম শ্রুতির মেসেজ এর উত্তর দিলাম আমি...
"বরাবরের মত তুমিই না হয় আসো আমার কাছে। আমি ছাদেই আছি।"
মিনিট পাঁচেক পর শ্রুতি আসলো..
শ্রুতিকে জড়িয়ে ধরেই ক্ষমা চেয়ে নিলাম।চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।
আরে আপনি তো বাচ্চাদের মত করছেন, এবার থামুন। আর আপনার উপর আমার কোন অভিযোগ নেই। কই দিন, আমার বকুল ফুল গুলো দিন।
শ্রুতির কথা শেষ হতেই বকুল ফুলের মালাগুলো ওর হাতে দিলাম। মালা গুলো হাতে নিয়ে শ্রুতি বলতে লাগলো, এতটা সময় লাগলো আপনার।গত একটি বছর ধরে এই মুহুর্তের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম আমি।
.
কি করবো বলো, আমি এমনই। সময়ের কাজটা সময়ে করতে পারিনা।
.
হুম, এবার নিচে আসুন, আমি গেলাম, মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে নিচে চলে গেল শ্রুতি।
.
.
লিখাঃ ঝুমুরানী
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Šā§§ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§
611
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Ēā§ PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ