গল্পঃ সার্থক প্রেম।
.
.
.
--বাবু, শুভ সকাল :-* (অনামিকা)
---গুড মরনিং বাবুনি, কেমন আছো?(জয়)
--ভালো নাই বাবু। সমস্যা হয়ে গেছে একটা।
--- তোমার সমস্যা কখন হয়না? সব সময় একটা না একটা সমস্যা সৃস্টি করবেই করবে।
--ধুর এবার আমি কিছু করি নাই। অন্য সমস্যা হইছে একটা। আজকে তারাতারি কলেজে আসবা। জরুলি কথা আছে।
---ওকে বাবুনি। বাই আমি ফ্রেস হয়ে নি।
--হুম, লাভ ইউ।
---লাভ ইউ টু :-*
(কথা হচ্ছিলো জয় আর অনামিকার। একই কলেজে পড়ে দুজনেই। অনামিকা যখন উচ্চ মাধ্যমিক ১ম বর্ষে পড়ে আর জয় তখন অনার্স ১ম বর্ষে। বাসা পাশাপাশি থাকাসত্বেও প্রথমে দুজন দুজনাকে চিনতো না। ফেইসবুকের মাধ্যমেই তাদের পরিচয়। প্রথমত চ্যাটিং এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সৃস্টি। তারপর শেয়ারিং,কেয়ারিং চলতে থাকে দুজনের মধ্যে, আসতে আসতে দুজনেই বুঝতে পারে তারা একে অপরকে ভালবেসে ফেলেছে। জয় ই প্রথমে মনের কথা বলে অনামিকা কে। অনামিকাও যেহেতু জয় কে ভালবাসত তাই অনামিকাও প্রপোস এক্সেপ্ট করে ফেলে। এর পর থেকেই চলতে থাকে দুজনের পথ চলা। ওদের রিলেশনের এখন আড়াই বছর পুরণ হচ্ছে। জয় এখন অনার্স কমপ্লিট করে মাস্টার্স পড়া শুরু করেছে )
.
কলেজে গিয়েই দেখতে পায় অনামিকা মাঠের পাশে বটগাছের নিচে বসে বসে কি চিন্তায় ব্যস্ত। জয় বুঝতে পারে নিশ্চয় কিছু সিরিয়াস সমস্যা হয়েছে। জয় চুপিসারে অনামিকার পিছনে ঘুরে অনামিকার চোখ চেপে ধরে। কিন্তু এতে অনামিকার কোনো রিয়েক্ট ই নেই।
--কি হয়েছে আমার বাবুনির হুম?
--- তোমাকে বলে কোনো লাভ নেই। তুমি কিছুতেই সিরিয়াস না।
-- আমাকে বলবে নাতো কাকে বলবা শুনি?
---হুম।
--কি হল বল কি হয়েছে?
--- গতকাল রাত্রে মা হঠাৎ করে বিয়ের কথা বলল।
-- তো?
--- তো মানে? বিয়ের কথা বলেছে তবুও তুমি সিরিয়াস না? কি ধরনের মানুষ তুমি হ্যা?
-- আচ্ছা তুমি কি বলেছো??
--- আমিতো বলে দিয়েছি আমি বিয়ে করব না এখন। কিন্তু.....(চিন্তা ভাব)
-- কিন্তু কি?
--- কিন্তু একবার যখন বিয়ের চিন্তা মাথায় ডুকেছে লেগেই থাকবে সেটা।
--হ্যা বিয়ের দাওয়াত পাচ্ছি না অনেকদিন হলো। তোমার বিয়ে ঠিক হলে একটা ভালো দাওয়াত পাব কি বল??
---জয় আমি কিন্তু মোটেও ফানি মুডে নাই।
-- সরি বাবুনি :-(
---তুমি একটা ভাল চাকরির ব্যবস্থা কর তারাতারি। তারপর বাসায় আমার কথা জানাও আর বিয়ের প্রস্তাব পাঠাও।
--আমিও কি চাই না আমার বাবুনিটাকে বিয়ে করে চিরদিনের জন্য আমার করে নিতে?? অনেক চেষ্টাই তো করে যাচ্ছি কিন্তু না পেলে কি করব বল!
--- তুমি যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাও।আর এখনো সময় আছে কিছু।
--হুম তুমি চিন্তা করো না কিছু একটা নিশ্চিত ঠিক হবে।
.
এবাবে চলে যায় কয়েক মাস। জয় অনেক ইন্টারভিউ দেয় কিন্তু বর্তমানে মামা আর টাকা না থাকলে তো চাকরি পাওয়া অনেক কঠিন। কিন্তু তবুও জয় তার চেষ্টা চালিয়ে যায় এবং শেষ এ তার কষ্ট সফল জয়। একটা বড় কোম্পানিতে ভালো পজিশনে চাকরি পায় সে।কিন্তু অনামিকা কে কিছু জানায় না। জয় ভেবে রেখেছে সোজা অনামিকার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবে আর অনামিকা কে সারপ্রাইজ দিবে। অনামিকার কথা জয়ের বাসায় জানায় সে। আর অনামিকা কে অপছন্দ করার কোনো কারন নেই। সে সব দিকেই পারফেক্ট তো সবাই রাজি। জয় এর পরের দিনই তার মা বাবা কে নিয়ে হাজির অনামিকার বাসায়। কিন্তু অনামিকা এর কিছুই জানে না। অনামিকা এইদিকে ভিষন চিন্তায় মগ্ন। জয় কে কল করে যাচ্ছে তাকে জানানোর জন্য যে তাকে বিয়ের জন্য দেখতে এসেছে কিন্তু জয়ের মোবাইল বার বার বন্ধ আসতেছে। ঐদিকে অনামিকার মা বার বার ডাকছে তাকে। অনামিকার জয়ের উপর ভিষন রাগ হচ্ছে। অন্যদিকে তার মাকে বার বার বারণ করা স্বত্বেও ডেকেই যাচ্ছে। সে রেডি হয়ে নিলো কিন্তু ছেলে পক্ষের সামনে যাওয়ার কোনো ইচ্ছাই তার নেই। অনামিকা বার বার জয়ের নাম্বার ট্রাই করে যাচ্ছে কিন্তু জয়ের নাম্বার তখন ও বন্ধ।
অনামিকা এক প্রকার জয়ের উপর রাগ করে এবং তার মার ডাকের বিরক্তি তে তার রুম থেকে বের হয় ছেলেপক্ষের সামনে যাওয়ার জন্য। কিন্তু বের হয়ে সে যা দেখলো তা দেখার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। তার সামনে জয় এবং তার পরিবার বসে আছে। সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে।অনামিকার মা বাবা কে জয় সব কিছু বলে দিয়েছে তাদের সম্পর্কের কথা। জয় যেহেতু ভাল চাকরি করে এবং তাদের এত বছরের রিলেশন তাই অনামিকার পরিবার ও সব মেনে নেয়।
কিরে এদের চিনিস নাকি?(অনামিকার মা)অনামিকা লজ্জায় এবং খুশিতে সেখানে আর দাড়াতে পারে না। দৌড়ে নিজের রুমে ঢুকে যায়। জয় ও অনামিকার মা বাবার থেকে অনুমতি নিয়ে অনামিকার রুমে ঢুকে দেখে অনামিকা বেলকনিতে দাড়িয়ে আছে,অন্যদিকে মুখ করে।জয় পিছন হতে অনামিকা কে জড়িয়ে ধরে.......বাবুনি, সারপ্রাইজ কেমন দিলাম?? অনামিকা জয়ের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে অন্যদিকে চলে যায় রাগি ভাব নিয়ে...
--কি হল বাবুনি? তুমি খুশি না বিয়েতে?
--- তুমি আমাকে কিছুই জানাও নি কেন? জানালে কি এমন হতো, আর তোমার মোবাইল টা বন্ধ কেন??
-- আরে সব বলে দিলে সারপ্রাইজের মজাটা তো শেষ হয়ে যেত। আর তোমাকে এত ভাল একটা সারপ্রাইজ দিতে পারতাম না।
---লাভ ইউ বাবু( জয়কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে)
-- লাভ ইউ টু বাবুনি।
.
( কিছুদিন পরই খুব ধুমধামের সাথে তাদের বিয়ে হয়।পূর্নতা পায় তাদের ভালবাসা। সবাই তাদের সাংসারিক জীবনের জন্য দোয়া করবেন আশা করি)
.
লেখাঃ Rj Joy
ডেডিকেটেড টুঃ #ঘুম_পরী
.
[ এখানে অনামিকা নাম টা ছদ্মনাম। অনামিকা নামের কারো সাথে লেখকের কোন পরিচয়/সম্পর্ক্য নেই। :-P ]
[বিঃদ্রঃ ভুল ক্রটি ক্ষমা করবেন, লেখক অভিজ্ঞ নয়]
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ