āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧍⧭ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§­

591

*---বোন---*
.
লেখা:RK Mostakim Raj
.
-ভাইয়া রিমোট টা দে প্লিজ।
>খেলা দেখ।
-ভাইয়া,মটু পাতলু আর একটা পর্ব আছে।
>তো কি করবো?
-ওটাতে দে।শুধু পর্বটা দেখেই চলে যাবো।
>চুপ।খেলা দেখ।(রাগের ভাব নিয়ে)
এবার লিয়ার চোখ দুটো পানিতে জলজল করতে লাগলো।
একরাশ অভিমান নিয়ে আমাকে কুত্তা,শয়তান,হ্যাংলা
বলে গালি দিতে লাগলো।আমিও ওকে আরো রাগানোর
জন্য ভেংচি কাটতে লাগলাম।
.
লিয়া।আমার ৩বছরের ছোট বোন।যদিও মাধ্যমিকের
শেষের দিকে পড়ে,কিন্তু ছেলে মানুষিগুলো এখনো
কাটেনি।অন্যসব মেয়ের মত সিরিয়ালের বদলে ও ব্যস্ত
থাকে কার্টুন নিয়ে।
অবশ্য এখন কোন বিশেষ খেলা চলছে না,তবুও লিয়াকে
একটু জব্দ করার জন্য শয়তানি করছি।অনেক গালির পরেও
যখন বোনটা কোন ফায়দা লুটতে পারলো না,তখন শেষ
অস্ত্রটা ব্যবহার করলো
-মটু পাতলু তে দিবি না?
>না।
-ঠিক আছে।আম্মু আসলে আজ রিসা আপুর কথা বলে
দিবো।
>আচ্ছা দিস।(জানি আমার এত বড় ক্ষতি করবে না)
-সত্যি তো?
>হ্যা।..থুক্কু,না।(রেগে গেলে,আমার উপর যা কিছু করতে
পারে)
-তাহলে,চেঞ্জ কর।
>এই নে রিমোট।
.
রিমোট টা সুসম্মানে ছোট বোনের হাতে দিয়ে বিষণ্ন
মুখ খানা নিয়ে গুটিগুটি পায়ে নিজের রুমে চলে
আসলাম।আর সরে না এসেই বা উপায় কি আছে!
নিজের বোন যদি বড় ভাইয়ের দুর্বল হার্টে এভাবে
আঘাত করে তাহলে কি আর এ ছাড়া উপায় আছে!তবে
এখন নিশ্চিন্ত।
যাইহোক রুমে এসে ভাবছি,মায়ের এসব রিলেশনে খুব
এলার্জি।একবার ভুলেও আমার এই ২মাসের কচি প্রেমের
কথা জানতে পারলে শরীরখানা আমার কাচা কঞ্চি
দিয়ে সিদ্ধ করবেন।অতঃপর প্রতিদিন দু বেলা বাসায়
থাকা বিড়ালটার ব্রেকফাস্ট আর ডিনারের সামগ্রী
বানাবে।
.
রিসার সাথে সম্পর্কটা অতি অল্প সময়ের হলেও
লোকসম্মুখে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছি আমরা।প্রথম
প্রেমের আবেগের গলায় দড়ি লাগাতে না পারার
ব্যর্থতাই একমাত্র কারণ।তাই সবসময় ভয়ের উপর থাকতে
হয়।কখন কে এসে মায়ের কাছে কাটি করে।।মা বিকেলে
অফিস থেকে ফিরলো।মুখখানা অতিরিক্ত গোমড়াহ।
মনটাও কেমন যেন কু ডাকছে।তাই চুপিসারে সাইড কেটে
পালাতে লাগলাম।অমনি মায়ের ডাক,
»ওই সোনার ছেলে কই যাস?
ভয় পেয়ে গেলাম।নির্ঘাত কিছু একটা হয়েছে।মা তো
আমার সাথে এভাবে কথা বলে না!
>এইতো আম্মু কয়েল আনতে।খুব মশার উপদ্রব বেড়েছে।
»এদিকে আয়।এবার আমার উপদ্রব দেখবি।
>আম্মু ওখান থেকেই বলো।(বুঝতে পেরেছি এখন পাশে
গেলেই ক্যালানি অনিবার্য)
»সামনে আসতে বলেছি।
(মানুষের মধ্যে শুধু মাকেই ভয় করি।তাই অনেক কষ্টে
যেতে হলো।)
»রিসা কে?
>তোমার বউমা,থুক্কু।আমি তো চিনি না আম্মু!কে সে?
(কোন এক গুরুজন
বলেছিলেন,ভয়ের সময় মুখ থেকে সত্য কথা বের হয়।আজ
নিজেই এর নজির হলাম)আবার মা,
»কত দিনের রিলেশন?
>আরে ধুর!আমি তো এই নামের কাউকে চিনিনা।
রিলেশন আসবে কোত্থেকে?(খুব স্মার্টলি উত্তর দিলাম)
এবার মা বাম হাতে আমার হাতখানা ধরিয়া ডান হাতে
থাকা খুন্তি দিয়ে সজোর পিছনে আঘাত করিতে শুরু
করিলেন।বুঝিতে পারিলাম,বিপক্ষ দলের(আমার)সকল
তথ্য নিয়া ব্যাট হাতে মাঠে নামিয়াছেন।তবুও
স্লোয়ার,কাটার দিয়া বাঁচার চেষ্টা করিলাম।কিন্তু
এই বাঘা ব্যাটসম্যানের সামনে আমার সকল চেষ্টাই
ব্যর্থ।এতক্ষন লিয়াও ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছিল মাকে
ডিফেন্স মুডে আনার জন্য।কিন্তু মায়ের মাথায় তখন
স্বয়ং ডি ভিলিয়ার্স ভর করিয়াছিল।তিনি কিছুতেই
শতকখানা ছাড়ার পাত্রী নন।
.
হঠাৎ মাথাটা কেমন যেন সিরিয়াস হয়ে গেল।বয়স তো
কম হলো না।অনার্সে পড়ি তবুও স্বাধীনভাবে একটা
প্রেম করতে পারবো না!ইচ্ছা না থাকা সত্যেও মুখ
ফসকে বেড়িয়ে গেল,
>আমি বড় হয়েছি।আমারো একটা সম্মান আছে।এভাবে
মারলে আমি আর বাড়িতে থাকবো না।বলেই হাটা শুরু
করলাম।
লিয়া কাঁদছে আর মাকে বলছে,
-আম্মু,ভাইয়াকে থামাও।আম্মু ভাইয়া নাকি চলে
যাচ্ছে।আম্মু আমার ভাইয়াটাকে থামাও প্লিজ।মা
তখনো বকে যাচ্ছে।
>আম্মু ভাইয়াকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না।তুমি
ভাইয়াকে আটকাও।না হলে আমিও ভাইয়ার সাথে চলে
যাবো।
কথাটা শুনেই থমকে গেলাম।ঘুরে দাড়ালাম।লিয়ার করুন
চোখে অফুরন্ত মায়া ও মুখে মায়ের কাছে আকুল
আর্তনাদ।আমাকে আটকানোর।চোখের পানিতে
গালদুটো ভিজে গেছে।
.
লিয়াকে মজার ছলে অনেক কাঁদিয়েছি,কিন্তু কিছু
হারানোর ভয় ও মিনতি ভরা চেহারাটা কখনও দেখিনি।
যে ভাইটা দিনে কয়েকবার বোনটাকে কাঁদায়।তাকে
এতটা ভালোবাসতে পারে কেউ!!নিজেকে আর
আটকাতে পারলাম না।ফিরে গেলাম লিয়ার কাছে।
লিয়া বলছে,ভাইয়া তুই কোথাও যাস না প্লিজ।তুই না
থাকলে আমাকে কে রাগাবে?কাকে আমি কুত্তা
শয়তান বলে গালি দেবো??
কথাগুলো শুনে মাও কেঁদে ফেললো।হ্যাঁ এটাই
ভালোবাসা।প্রকৃত ভালোবাসা।যা কিছু রাগ অভিমান
ও খুনসুটির মধ্যেই লুকিয়ে থাকে।যা ভাই-বোনের মাঝেই
নিহিত।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ