āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§­

557

গল্প:ভীতুর ভালোবাসা।
.
.
>এই ছেলে এদিকে আসো...।
_জ্বী...!আমাকে বলছেন...?
>হুম..।তোমাকেই বলছি।এখন এদিকে
আসো।
_জ্বী আসছি।এখন বলুন কী জন্য
ডাকলেন.....?
>হুম।শোন তাহলে....।
_হুম।বলুন তাহলে...।
>ঐযে...লোকটাকে দেখছো....?
_হুম....দেখছি।
>উনি কে জানো....?
_জ্বী...।উনি একজন পুলিশ
অফিসার......।
>গুড বয় ঠিক চিনেছো।জানো উনি
আমার কী হয়.....??
_না.....।কী হয়....??
>উনি হচ্ছে আমার বাবা।কিছু
বুঝেছ...??
_হুম বুঝলাম,,,
>কী বুঝলা বলোতো শুনি.....??
_বুঝলাম...আজকে থেকে আমি
আপনার পিছু নিলে আপনি আপনার
বাবাকে বলে দিবেন।তাই আপনি
আমাকে আগের থেকে সাবধান করে
দিলেন যাতে আমি জেলের ভাত
খাওয়ার আগেই আপনার পিছু ছেড়ে
দেই....।
>সত্যিই তুমি খুব ট্যালেন্ট দেখছি।
বলার আগেই বুঝে গেছো সব।সেজন্য
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।আর কথাটা
মনে থাকে যেন।আর কালকে থেকে
দেখলে কিন্তু সত্যিই তোমাকে জেলের
ভাত খেতে হবে..বুঝেছো....?
.
কথা হচ্ছিলো রিমি আর আমার
মধ্যে।আমি এবার ইন্টার পাশ
করেছি....মাত্র।এখন একটা চাকুরী
খুজছি-পুলিশ,সেনাবাহিনী থেকে শুরু
করে যত ধরনের বাহিনী আছে একটা
হলেই হবে।আর রিমি এবার ইন্টার
ফাষ্ট ইয়ারের ছাত্রী।আমার রিমিকে
খুব লাগে।বলতে গেলে আমি ওকে খুব
ভালোবাসি।রিমির সাথে আমার প্রথম
দেখা হয় আমাদের কলেজের সামনেই।
ওদের বাসা আমাদের কলেজের
কাছেই।আর ওকে স্কুলে যেতে হলে
আমাদের কলেজের সামনে দিয়েই যেতে
হতো।
.
ওকে কলেজের সামনেদিয়ে প্রথম
যেদিন যেতে দেখি সেদিনই আমার খুব
ভালোলেগে যায় ওকে।পরে প্রায়
ছয়মাস আমি ওকে ঠিক কলেজের
সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় শুধু
তাকিয়ে থেকে দেখি....কিন্তু কিছু
বলতে পারিনা।ও ঠিক যে সময় স্কুলে
যেতো আমি ঠিক সেই সময়ই ক্লাশের
জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখতাম।কিন্তু
ও আমাকে দেখতোনা।এটা যেনো
একটা রুটিনে পরিনত হয়েগিয়েছিলো
ওই ছয়মাসে।
.
ছয়মাস যাওয়ার পর আমি রুটিনটা
চেন্জ করি।এর পর থেকে আমি ওকে
লুকিয়ে দেখা বাদ দিয়ে ওকে ফলো
করা শুরু।ঠিক আমাদের কলেজের
সামনে থেকে ওর স্কুল পর্যন্ত ওর
পিছু পিছু যাই।ও টের পায় কিধা তা
আমি জানিনা।এই রুটিন অনুযায়ী চলে
যায় কলেজ লাইফের বাকি দেড় বছর।
কিন্তু এর মধ্যে আমি ওকে আর
আমার ভালোবাসার কথা বলতে
পারিনা...।
.
রিমির এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ
হওয়ার পর ও আমাদের কলেজেই
এডমিশন হয়।আর আমার তখন
ইন্টার পরীক্ষাও শেষ হয়।তাই আমি
প্রতিদিনই বন্ধুদের সাথে নিয়ে
কলেজ মাঠে গিয়ে আড্ডা মারি
একমাত্র ওকে দেখার জন্য।
.
এরপর দেখতে দেখতে ইন্টার
পরীক্ষার রেজাল্টও দিয়ে দেয়
আমার।আমি কোনমতে 3.50 নিয়ে
পাশ করি।তবুও আনন্দের সীমা নেই
আমার।কেননা আমার মতো ছাত্রের
কাছে পাশই এ প্লাসের চেয়ে বড়
কিছু।
.
রেজাল্টের পর থেকে আমি বিভিন্ন
জায়গায় যেখানেই পুলিশ,সেনাবাহিন
ী,নৌবাহিনী ইত্যাদি পোষ্টে যেখানেই
লোক নেয়না কেন আমি সেখানেই যাই
চাকুরীর খোজে।কারণ আমার জীবনে
এই একটাই আশা সরকারী যেকোন
একটা বাহিনীতে জীবনে আমি চাকুরী
করবো।
.
তাই রেজাল্টের পর আমি একটু
ব্যাস্ত হয়ে পরি।কিন্তু তবুও আমি
প্রতিদিন কলেজ মাঠে গিয়ে আড্ডা
দেই শুধু রিমিকে একটু দেখার জন্য।
.
তো আজো যখন ওকে দেখার জন্য
কলেজ মাঠে গিয়ে বসেছিলাম।তখন
দেখি ও আমার দিকেই আসতেছে।
আমার তখন খুব ভয় করতেছিলো।
এবং দেখি ও আমার কাছেই আসলো
আর আমাকে উপরে কথাগুলো বলে
শাষিয়ে গেলো।
.
আমার এখন খুব ভয় করছে কারণ
হচ্ছে ওকে না দেখেতো আমি থাকতেই
পারবোনা।আর আমি ওকে দেখতে যদি
কলেজ মাঠে যাই।তাহলে ও যদি ওর
বাবাকে বলে দেয়।আর উনি যদি
আমাকে হাজতে ভরে দেন তাহলে আমি
আর জীবনে কোনদিন কোন বাহিনীতে
চাকরী করতে পারবোনা বলে মনে
হয়।কারণ হাজতে ঢুকিয়ে সে যদি
আমার হাঢ়গুড় ভেঙ্গে দেয় তাহলে
আমার আর এসব চাকুরী করা হবেনা
জীবনে মনে হয়।তাই রাতে খুব
চিন্তায় পরেগালাম কী করবো।আর
খুব খুব খারাপ লাগছে যে ওকে আমি
এতটা ভালোবাসলাম এতদিন ওর
পিছনে ঘুরলাম আর ও আমাকে তো
ভালোইবাসেনা এটা ভেবে।
.
সব চিন্তার অবকাশ ঘটিয়ে সকালে
চলেগেলাম কলেজে।কী হবে হবে এটা
ভেবে।ওকে দেখলাম আমার দিকে
কেমন তাকিয়ে আছে।ওর দেখে মনে
হচ্ছে আজকে আমার খবর আছে।
.
এভাবে একটুপর দেখি ও আমার দিকেই
আসছে।আমি তো ভয়ে একেবারে মরে
যাওয়ার অবস্হা।কিযে বলে এটা
ভেবে।ও আমার কাছে এসে কোন কথা
বললোনা।সোজা শার্টের কলারটা
ধরলো এবং আমাকে টেনে ওদের
বাসার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।কলেজের
সবাই দেখি আমার দিকে কেমন করে
যেন তাকিয়ে আছে।আমিতো লজ্জায়
মরে যাচ্ছিলাম।আর ভাবছিলাম ও
আমাকে ওদের বাসার দিকে নিয়ে
যাচ্ছে কেন।

তাহলে আজকে মনেহয় আমাকে ঘড়ে
আটকে রেখে।ওর বাবাকে ফোন করবে
আমাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
তাহলে আজকে শেষ আমার আর
চাকরী করা হবে জীবনে।
.
কিন্তু গিয়ে দেখি ওর বাবা বাড়িতেই
আছেন।ওর বাবা আমাকে দেখেই
রিমিকে বললেন-
.
~এটাই বুঝি সেই মোবাশ্বের?
>হুম...
~কিন্তু একেতো আমার মেয়ের
জামাই করতে পারবোনা।আমার
মেয়ের জামাইকে হতে হবে সাহসী।যে
প্রথম দেখাতেই আমার মেয়েকে
প্রোপোজ করবে।আর এতো দুই বছর
ঘুরেও প্রোপোজ করতে পারলোনা।
কিন্তু দেখতেতো ভালোই পালোয়ান
হয়েছো।
_আমিতো আশ্চর্য তার কথা শুনে
বলেকি!নাকি আমি ধান্দা দেখছি
রিমির কথা ভাবতে ভাবতে।কিন্তু
শরীরে চিমটি কেটে দেখি না আমি
সত্যিই বাস্তব জগত্ এ আছি!
>দেখছো বাবা কী বলছে তোমাকে
নিয়ে।এত ভীতু মানুষ থাকে।(রিমি
আমার দিকে তাকিয়ে কথা গুলো
বললো)
_আমি কোন কথা বলতে পারছিনা।শুধু
আশ্চর্য হচ্ছি তাদের বাবা মেয়ের
কথাশুনে।
>কী হলো কথা বলছোনা কেন?(রিমি)
_কী বলবো?
>ওকে কিছু বলতে হবেনা তোমাকে।
আর কালকে বাবার অফিসে দেখা
করবে তুমি।
_কেন?
>কেন তোমায় জানতে হবেনা।যা
বলছি তাই করবে ব্যাস।না হলে
হাজতের ভাত খেতে হবে।
~এই ভীতু ছেলে আমার মেয়ে যা
বলছে তাই করবে।না হলে কিন্তু
সত্যিই তোমাকে হাজতে যেতে হবে!
আর আমার মেয়ে যদি কোন কারনে
কষ্ট পায় তাহলে কিন্তু তোমার খবর
আছে।বুঝেছ ভীতু বয়।(রিমির বাবা)
_ঠিক আছে...
~ওকে তাহলে তোমরা কথা বলো
আমার অফিসে কাজ আছে আমায়
যেতে হবে।
>ওকে তুমি যাও তাহলে আব্বু...।
.
পরে রিমির বাবা চলে গেলো।আমি
রিমির দিকে প্রশ্ন বোধক দূষ্টিতে
তাকিয়ে রইলাম....
,
>অবাক হওয়ার কিছু নেই!আমি
তোমাকে আগে থেকেই পছন্দ
করতাম।
ভেবেছিলাম তুমি আমাকে প্রোপোজ
করবা।কিন্তু তুমি যে ভীতুর ডিম।
আর
প্রোপোজই করলানা।
.
তোমার পরীক্ষার রেজাল্টের পর
যখন
মাঝে মাঝে দেখি তুমি কলেজে
আসোনা।
তখন খোজ নিয়ে জানতে পারি তুমার
ঐসব চাকরী করার খুব ইচ্ছা তাই
আমি
বাবাকে সব খুলে বলি যে আমরা দুজন
দুজনকে ভালোবাসি বাবাও রাজি হন।
এবং তোমাকে তার সাথে দেখা করাতে
বলেন।
.
পরে রিমি ওর মার সাথে পরিচয়
করিয়ে
দেয় আমায়।এবং আমি সেদিন ওদের
বাসায় খেয়েদেয়ে বিকেলে বাড়ি আসি।
.
রাতে এসব কথাই ভাবছিলাম....তখনই
একটা আনোন নাম্বার থেকে ফোন
আসলো.
.
_হ্যালো কে বলছেন....?
>আমি.,
_ও রিমি,,,
>হুম,,কী করছো এখন?
_কিছুনা,,তোমার কথাই ভাবছিলাম,,,
>তাই নাকি,,,
_হুম,,,
>সারাজীবন এভাবে ভাববেতো?
_হুম,,,
>হুম কী বলো বাসবো,,,,আর সমস্যা
নাই না বাসলেও আমি আদায় করে
নিবো।আর এখন ঘুমাও কাল বাবার
অফিসে দেখা করতে যেতে হবে,,
_আমি কিছু বলার আগেই ফোনটা
কেটে
গেলো।খুব আশ্চর্য পাগলি একটা
মেয়ে
কখন কী করে বুঝাই যায়না।এজন্য
আরো বেশি ভালোলেগে যায় ওকে।
.
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে
রিমির
বাবার অফিসে দেখা করলাম।তিনি
আমাকে নানান বিষয়ে উপদেশ দিলেন
এবং বুঝালেন।এবং সমাজে ভীতু
মানুষের
দাম নাই তাই সাহসী হতে হবে এগুলো
বললেন।আমি শুধু তার কথাগুলো
শুনলাম
আর হুম হুম বললাম।পরে হালকা
নাস্তা
করে সেখান থেকে চলে আসলাম।
.
পরবর্তীতে পুলিশে লোক যখন নিলো
তখনই বিনা পরিশ্রমে আমার
চাকরিটা
হয়েগেলো।এখন আমার আর রিমির
সাথে
ভালোবাসাটাও চলতে থাকলো।ও শুধু
আমাকে উপদেশ দেয়।আর শাষন করে
কেন যেন ওর উপদেশ আর
শাষনগুলোই
আমার খুব ভালোলাগে।
.
রাগ অভিমান আর ভালোবাসায় ভরা
সম্পর্কের দুই বছর পর পরিবারের
সম্মতিতেই আমাদের বিয়েটা আজ
হয়ে
গেলো।
.
এখন রিমি বাসর ঘরে বসে আছি
ঘোমটা
দিয়ে।আমিও সকল জল্পনা কল্পনার
অবসান ঘটিয়ে বিলাই মারার জন্য
প্রবেশ করলাম ঘরে।বাট বিলাই
আমাকে
উল্টা মারলো।তার কিছু আপনাদের
কাছে তুলে ধরছি-
.
>ঐ বিলাই টিলাই মারার চিন্তা মাথা
থেকে ঝেড়ে ফেলে দাও...।
_মানে?
>মানে হলো তুমিতো ভাবছিলা বাসর
রাতে বিলাই মারবা তাইনা....।ওগুলোর
চিন্তা বাদদিয়ে বলো আমাকে বিয়ের
আগে যেভাবে ভালোবেসেছো সেভাবে
ভালোবাসবে কিনা।
_হুম বাসবো তুমি ছাড়া আমার আর
কে
আছে আর।
>হুম।হয়েছে ইমোশনাল ডাইলগ বাদ
দাও...
_তোমার হাতটা একটু ধরি....
>না....
_কেন...?তুমি আমার বউনা হাত
ধরলে
কী হবে...
>এহে...স্বামী হইছে।এখনো ভীতুর
ডিম
প্রোপোজেই করতে পারলোনা সে
আবার
স্বামীর দাবি নিয়ে আসছে....এখন
আগে
প্রোপোজ করো....নাহলে তুমি সোফায়
গিয়ে ঘুমাও....আমার কাছে এসোনা।
_প্রোপোজ করলে হাত ধরতে দিবে....
>আগে করো...পরে দেখা যাক কী করা
যায়....
_না আগে বলো প্রোপোজ করলে হাত
ধরতে দিবে...
>ঠিক আছে যাও সাথে মিষ্টিও
খাওয়াবো...
_ওকে তাহলে করলাম প্রোপোজ....
>হুম তারাতারি করো আর না হয়
তারাতারি সোফায় গিয়ে ঘুমাও।
_তুমি কী আমার রাতের চাঁদ দেখার
সঙ্গী হবে।আর কী বলবো....
>ওকে যাও ঠিক আছে এটুকুতেই
হবে....
_তাহলে এখন হাতটা ধরি....
>না...আগে মিষ্টি খাও..,
.
আরতো গভীরে যাওয়া যাবেনা।তাহলে
সর্বনাশ হবে আমার।
.
.
লেখা: #মোবাশ্বের (ফাজিল)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ