āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧍⧭ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§­

575

অনন্ত প্রেম..........
.
সারা স্কুল জানাজানি হয়ে গেছে বশির
আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিবে। আর সেজন্য
দুদিন ধরে এক প্রকার লুকিয়ে ক্লাস করতে
হচ্ছে আমাকে।
বশিরকে ভয় পায়না এমন ছাত্র ছাত্রী স্কুলে
খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
অামি দশম শ্রেণীর ছাত্রী। বশির অামার
চেয়ে বয়সে বড় হলেও পড়ে নবম শ্রেণীতে।
একই ক্লাসে দুই তিনবার ফেল করলেতো
নীচের ক্লাসেই পড়ে থাকার কথা। স্কুল ছুটির
পর অনেকেই দেখেছে বশির স্কুল মাঠ থেকেই
সিগারেট টানতে টানতে বাড়িতে যায়।
স্কুলের ছাত্র ছাড়াও বাইরের ছেলেদের
সাথে মারামারি করে প্রতিনিয়ত।
বশিরের চাচা স্কুল কমিটির সদস্য। অার সে
কারনেই হয়তো স্কুলের শিক্ষকরাও তাকে
বেশী কিছু বলতে পারেনা। ভয় পায় স্কুলের সব
ছাত্র ছাত্রীরা। সাথে আমি ভয় পেতাম নাম
শুনেই। আর দুদিন ধরে শুনতে পাচ্ছি বশিরের বদ
নজর পড়েছে অামার উপর। দুদিন ধরে স্কুল
ছুটির পর দাড়িয়ে থাকে আমাকে প্রেমের
প্রস্তাব দেয়ার জন্য।
.
স্কুলের মাঠ পেড়িয়ে যেতে হবে বান্ধবী
লিজার বাড়ি। অাগামীকাল শুক্রবার, সময়
কাটাতে হলে একটা উপন্যাস পড়ার দরকার।
আগের দুইটা ফেরত দিয়েছিলাম। আজ নতুন
একটা আনতে যাচ্ছি।
স্কুল মাঠের কাছে যেতেই বশিরের দেখা
পেলাম। স্কুল মাঠের পাশের বাড়িতে কুমড়ো
গাছ অাছে। ঐ বাড়ি থেকে কুমড়ো ফুল ছিঁড়ে
আমার পথ আগলে দাড়িয়ে আছে।
আমার পা মনে হচ্ছে আর সামনের দিকে
এগুচ্ছেনা। থরথর করে কাপুনি উঠে গেছে
হাটুতে। তবুও আস্তে ধীরে এগুচ্ছি। বশির হঠাৎ
ফুল হাতে এক হাটু মাটিতে দিয়ে বসে পড়ল।
শুরু করল তার বাংলা সিনেমার ডায়ালগ।
"আমি তার অাকাশ, বাতাস, চন্দ্র, তারা,
পাহাড় ঝরনা, আর নদীর মোহনা। আমাকে
ছাড়া তার ঘুম আসেনা চোখে, মন বসেনা
কাজে আর পড়ার টেবিলে। অামাকে নিয়ে
তার দুই চোখে ঘর বাঁধার স্বপ্ন। "
কিভাবে বশিরের কাছ থেকে পালাব তার
ফন্দি খুঁজতেছি। ভয় ভয়ে বলেই ফেললাম,
"কুমড়ো ফুল দিয়ে কেউ প্রেম নিবেদন করে?
কথাটা শুনে ওকে খুশি দেখাচ্ছে।
বলেই দিল, "দাড়াও তুমি, আমি বাজার থেকে
পাঁচ মিনিটের মধ্যে আসতেছি। বলেই দৌড়
দিল।
আর আমি দুই মিনিটেই সেই জায়গা ত্যাগ
করেছি।
.
অামার বাবা অামার মা অামার বন্ধুর মত।
আমাকে খুবই ভালবাসেন তারা। আমিও
সবকিছুই সহজভাবে জানাই তাদের। তেমনি
বশিরের বিষয়টা জানালাম বাবাকে।
"জানো বাবা? বশির আজ কুমড়ো ফুল হাতে
নিয়ে ভালবাসি বলেছে"
মুচকি হাসি দিয়ে বলল, " হারামজাদা আর ফুল
পায়নি। তো তুই কি করলি?
বাবাকে বলার পর বাবা হাসতে হাসতে রুমে
চলে গেল। কিন্তু আমি একটু পর থেকেই
দেখলাম, বাবাকে খুব চিন্তিত মনে হচ্ছে।
.
বাবার সেই রহস্য উদঘাটন করতে পারলাম
পরের সপ্তাহে। বাবা যখন সকাল বেলা বলল
আজ তোর স্কুলে যেতে হবেনা। ছেলে পক্ষ
তোকে দেখতে আসবে।
মাথায় মনে হয় বাজ পড়ল। ছুটে গেলাম মায়ের
কাছে। মা, কি শুরু করেছে বাবা? আমার
সামনে এস এস সি পরীক্ষা। আমি ছোট মেয়ে,
এখনই আমার কিসের বিয়ে?
মায়ের কথায় আরো তিক্ততার স্বাদ পেলাম।
"ছেলে অনেক ভাল। এখন বিয়ে হলেও
পরীক্ষার পর তোকে তুলে নিবে। আর বিয়ের
পরও তোকে পড়াবে। আমাদের একমাত্র মেয়ে
তুই। বশিরের মত খারাপ ছেলের জন্য আমরা
কিছুতেই নির্ভয়ে থাকতে পারিনা। "
.
আমার হাতে তুলে দেয়া হল নকিয়া মোবাইল।
আমার স্বামীর সাথে কথা বলার জন্য। যেদিন
দেখতে এসেছিল সেদিনই আমার বিয়ে
হয়েছে। আমার স্বামী ব্যাবসা করে, ঢাকায়
দুইটা ফার্ণিচারের ব্যাবসা আছে। এক দিকে
লেখাপড়া অন্যদিকে আমার স্বামীর সাথে
ফোনে কথা বলা। দুটোই করতে হচ্ছে
আমাকে।
প্রথম কয়েকদিন কম কথা বললেও আস্তে
আস্তে আমরা দুজন প্রেম করা শুরু করলাম। ওনি
আমাকে গান শোনায়। মিষ্টি করে কথা বলে।
ঠিকমত লেখাপড়া করি কিনা খুঁজ খবর রাখে।
আর আমি? কখনো প্রেম করিনিতো। তাই
অামার প্রথম প্রেম হিসেবে স্বামীকেই
সত্যিকারের ভালবেসে ফেললাম। আমার
সাথে তার কখনো রাগ হয়নি। কিন্তু একবার খুব
কষ্ট পেয়েছিলা। কারন বিয়ের আগে বলেছিল
তার দুটা ফার্ণিচার শোরুম আছে। কিন্তু পরে
সে দুঃখভরা মন নিয়ে জানাল সে শুধু সেলস
ম্যানেজার ঐ শোরুমের।
.
বাবা মা প্রচন্ড রেগে গেলেন। রাগারাগি
করে বললেন যা হবার হয়েছে। ঐ ছেলের
কাছে অামাকে তুলে দিবেনা।
কিন্তু আমি কি করব? আমিতো মন থেকে
ভালবেসে ফেলেছি তাকে। বাবা মায়ের
মুখের উপর বলে দিলাম, মেয়েদের বিয়ে
একবারই হয়। আর আমি তার সংসারই করব।
.
আমার এস এস সি পরীক্ষার কিছুদিন আগের
কথা। আমার স্বামী প্রায়ই আমাকে বলত
মাথাটা খুব ব্যাথা করে। একদিন ওর শোরুমের
একজন ফোন করে বলল তাকে হাসপাতালে
নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সে নাকি মাথা ঘুরে
পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে।
দুটি চোখ পানিতে ভরে গেল। ভালবাসার
মানুষের এমন খবর শোনার পর কেউ হয়তো ভাল
থাকতে পারবেনা। বাবা মা আর আমি ছুটে
গেলাম হাসপাতালে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার জানিয়েছে
অামার স্বামীর (tv) রোগ ধরা পড়েছে। এখন
থেকেই চিকিৎসা না করালে ব্রেন কেন্সার
হওয়ার সম্ভাবনা সত্তর ভাগ।
এবার বাবা মা অামাকে চাপ দিচ্ছে অামার
স্বামীকে যেন আমি ডিভোর্স দেই।
আমার একটাই কথা, আমি মরে গেলেও
ডিভোর্স দিতে পারবনা। তাকে আমি মন
থেকে স্বামী বলে মেনে নিয়েছি।
.
অামার পরীক্ষা চলে এসেছে। ডাক্তার
জানিয়েছে আমাদের স্বামী স্ত্রীকে ছয়মাস
অালাদা থাকতে হবে। নয়তো যেকোন সমস্যা
আমার কিংবা তার হতে পারে।
মনে মনে একটু হাসলাম। অামাকে তো তাদের
বাড়ি এখনো নেয়নি। অামাদের ফুলশয্যাও
হয়নি। আগে থাকতেই ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা
জারি করে দিছে।
.
পরীক্ষার সতেরো দিন পর অামি লাল শাড়ী
পড়ে বধূ বেশে আমার স্বামীর বাড়ি গেলাম।
গোলাপ, গাঁধা আর দুই তিন জাতের ফুল দিয়ে
সাজানো হয়েছে আমাদের বাসর ঘর।
ভোর রাত পর্যন্ত কাটিয়েছি গল্প করে।
মাঝখানে বড় একটি কোলবালিশ দিয়ে
রাখলাম দেয়াল হিসেবে। অাগে ফোনে কথা
বলতাম অার এখন পাশাপাশি শুয়ে কথা বলছি।
ভালবাসার মানুষটির সাথে পাশাপাশি
থাকার সুখ, কথা বলার সুখ আর হাসিতে ভরপুর
সময়গুলো সারাজীবন মনে রাখার মত।
.
.
ছয়মাস পরের কথা। হাসপাতাল গিয়ে অাগের
ডাক্তার পাইনি। আরেক ডাক্তার চেকআপ
করে রিপোর্ট দেখে বললেন আগের
ডাক্তারের ট্রিটম্যান্ট ভুল ছিল। ঔষধও
খেয়েছে ভুল। সেজন্য এখন ব্রেণ ক্যান্সারের
সম্ভাবনা আশি ভাগ।
মাথাটা ভন ভন করছে ডাক্তারের কথা শুনে।
বাবা মা এক প্রকার জোর করে আমাকে
বাড়িতে নিয়ে গেল। আর তাদের একটাই কথা,
যত দ্রুত হোক অামার স্বামীকে ডিভোর্স
দিতে হবে। অার অামার একটাই কথা আমি
মরে গেলেও অামার স্বামীকে ডিভোর্স
দিবনা।
পরেরদিন বাবা মায়ের কাছে না বলেই
বেরিয়ে পড়েছি। কারন আমার স্বামী
হাসপাতালে। তার কাছে অামাকে যেতেই
হবে।
অামার স্বামীও আমার দিকে করুন দৃষ্টিতে
তাকিয়ে থেকে বলল, "থাক, তুমি চলে যাও
আমার জীববন থেকে। নিজের জীবনটা নষ্ট
করোনা"
কেঁদে দিয়েছিলাম। কি বললা তুমি? এতটুকুই
অামাদের ভালবাসা? অামি কোনদিন
তোমাকে ছেড়ে যাবনা।
এবার ডাক্তারের ট্রিটম্যান্ট হল, এক বছর ঔষধ
খেতে হবে। অার এক বছরই অামাদের স্বামী
স্ত্রীকে অালাদা থাকতে হবে।
কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন অামরা দুজন।
.
বাবা মা অামার স্বামীর প্রতি অামার
ভালবাসা দেখে অামার পাশে দাড়াল। সাহস
দিতে লাগল।
অামারও বিশ্বাস ছিল, আমার স্বামী সুস্থ্য
হয়ে অামার কাছে ফিরে আসবে।
দেড় মাস পর স্বামীকে নিয়ে তাদের বাড়িতে
আসলাম। ঔষধ খেয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। দিনে
আমরা অনেক দুষ্টুমি করি। একে অন্যকে
জড়িয়ে ধরি। সুরসুরি দেই। আমাকে গান
শোনায়। রাতের বেলা শুধু নিরাপদ দূরত্ব বজায়
রাখি।
.
.
বিয়ের দেড় বছর পর অামাদের ফুলশয্যা হয়।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ট্রিটম্যান্টের
এক বছর পর আমার স্বামীকে সম্পূর্ণ সুস্থ্য বলে
ঘোষনা দিয়েছে।
এখন আমাদের সুখের কোন অভাব নেই।
ভালবাসার ডোরে বেঁধেছি তারে, অনেক
অনেক যতন করে।
সারাটি জনম কাটুক সুখে, এমনি করে।
( সত্য ঘটনা অবলম্বনে)
.
.
লেখনীর শেষ প্রান্তে,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,, Mohammad Omar Faruq (শ্রাবণ)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ