āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Šā§§ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§­

615

ঐ তুমি এমন কেন?
এত নিলজ্জ!!
রোজ এক কথা বারবার বলতে হয়! তোমাকে না বলছি রোজ রাতে খাওয়ার পড়ে কিছুখন হাটতে?
আমিঃবউ আজ থাক কাল থেকে হাটবো অফিসে অনেক বেশি খাটুনি হইছে এখন খুব ক্লান্ত লাগছে।
বউঃরোজ রোজ এক কথা বলি আর তুমি একই উত্তর দেও এই অল্প বয়সে কত্তবড় একটা পেট,আজ কোন কাজ হবে না আজ হাটতেই হবে।
আমিঃআজ না কাল প্লিজ বউ কাল হাটবো এবার কথার কোন খেলাপ হবে না।
বউঃঐ তুই হাটবি না?
আমিঃচুপচাপ
বউঃতুই না হাটলে আমার রুম থেকে বাইরা শয়তান এখুনি বাইরা।
আমিঃহে মাবুদ কি বউরে ভাই বর এর সাথে কেউ এমনে কথা বলে?
বউঃবলে না বলে তা তুই দেখতে পাচ্ছিস না।তুই হাটবি না হয় রুম থেকে বেরহবি তা ছাড়া কোন কথা বলবি না তাইলে তোর মাথা ফাটামু।
আমিঃঅতপর চুপচাপ ভদ্র ছেলের মত রুম থেকে বের হয়ে ছাদে গেলাম।
[একা একা হাটছি আর ভাবছি।আমার বউটার কথা ও অনেক ভালো একটা মেয়ে,কিন্তু আমার সামনে শুধুAngry bird]
এর পেছনের গল্পটাই আজ শুনাবো!!
→আমি রনি বাবা মা আর আমি এই আমার পরিবার তাইলে বুঝতেই পাড়ছেন আমি তাদের একমাত্র সন্তান।আমি দেখতে বেশি সুদর্শন না কালো একটা ছেলে তবে সবাই বলে আমার চেহারায় একটা মায়াবি ভাব আছে।এলাকার যত ছেলে আছে সাবার থেকে আমি আলাদা জীবনে কোন মেয়ের চোখে তাকিয়ে কোন কথা পর্যন্ত বলি নাই সবাই খুব ভদ্র বলে জানে।বিয়ের আগে অনেক বালিকাই অনেক ভাবে আমার সাথে প্রেম করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু আমি সেই সুযোগ দেই নাই।এটা নিয়ে আমার থেকে আমার বন্ধুরা অনেক বেশি আফসোস করতো।কারন তারা তাদের স্মার্টনেস নিয়ে মেয়েদের পিছে ঘুড়তো আর আমি সহজ সরল চলতাম মেয়েরা আমার পিছে ঘুড়তো কিন্তু আমি এরিয়ে চলতাম।
অনেক বলিকা ব্যর্থ হয়ে আমাকে অনেক বদদোয়াও দিয়েছে।
আর সবার এক কথা ছিল আমার অনেক ভাব অনেক মুড নেয়া একজন ব্যক্তি।
কাহিনীর শুরু......!!
→আমাদের নিচ তলায় আম্মুর বান্ধুবী রুনি অান্টির মেয়ে তনু তার সুন্দর্য বর্ণনা করতে গেলে কেউ এক শব্দে থামতে পারতো না কত সুন্দরী মেয়ে তনু অনেক ভদ্র নর্ম সবাই তার প্রশংসায় ব্যস্ত।শুধু একমাত্র আমি একজন মানুষ যে তনুকে সারাদিন ইচ্ছে মত ক্ষেপাতাম।অান্টির মৃত্যুর পড়ে তনুকে আম্মু নিজের মেয়ের মত অাদর করে।মেয়েটা একদম আম্মুর ভক্ত আর আম্মু তার অন্ধ ভক্ত।কিন্তু আমার চোখের বিষ তনু।
কারন আম্মু আমাকে যখন বকতো তখন ও খিল খিল করে হাসতো শুধু এই একটা কারন না সারাদিন তনুর জন্য অনেক কথা শুনতে হতো।তনু এমন তুই এমন কেন,ও কত সকালে ঘুম থেকে উঠে তুই এত বেলা করে কেন?মাঝে মাঝে মনে হয় আম্মু হয়তো কোন দিন বলবে ;ও মেয়ে তুই ছেলে কেন?
তবে মেয়েটা কখনো আমার সাথে খারপ ব্যবহার করেনি।তবে আমি করতাম মাঝে মাঝে।তাকে অনেক ক্ষেপাতাম কিন্তু সে কখনই কোন প্রতিবাদ করত না।শুধু একটা মুচকি হাসি দিয়ে চলে যেত।
তনু আমার দিকে কেমন করে যেন তাকিয়ে থাকতো।অার আমি তনুর দিকে চোখ বড়বড় করে তাকাতাম মনে হয় চোখ দিয়েই মেয়েটাকে খেয়ে ফেলব।যখনই আমি ওভাবে তাকাতাম তনু সেকেন্ডের মধ্যেই উধাও।
.
একদিন আমি দুপর বেলায় ছাদের এক কোনে চুপচাপ বসে আছি।হঠাৎ তনুর অাগমন। আজ সে শাঁড়ি পড়া ভেজা চুলে বালতি হাতে হাটছে।
সেদিনের মতকরে তনু কখনই অামার চোখ পরেনি।সে এক অন্যরকম শিহরিত অনুভুতি।সেদিন অামি বুঝেছিলাম মানুষ কেনো প্রেমে পরে।
.
সেদিন ছাদে তনু যতটা সময় জুড়ে তার ভেজাচুল গুলো ঝড়ঝড় করে ঝাঁকড়াচ্ছিল।বালতি থেকে ভেজা কাপড় গুলে ধপাস করে বারিমেরে তারে শুকানোর জন্য দিচ্ছিল।ততখনে হয়তো অামার চোখে পলকের দেখা মেলেনি।
হঠাৎ তনুর চোখে অামার চোখ পরতেই তনু ফিক করে একটা হাসি দিয়ে দৌড়ে ছাদথেকে নেমে গেলো।
.
তবে সেই সময়টায় অামি নিজেকে নিজে সহস্রবার ধিক্কার দিয়েছি।
কারন কি অদ্ভুত সুন্দর্যে পরিপূর্ন মেয়েটা।তাকে এতবছরে অাজ অামার চোখে পরিলো।
.
এরপর থেকে মাঝেমাঝে তনুকে লুকিয়ে দেখার প্রক্রিয়াদি খুবকরে চলতো।তবে কখনো কখনো তনুর কাছে ধরা পরে যেতাম।কিন্তু তখন তনু এমন ভাব করত যেন সে অামাকে দেখনি।
এ যেন সেচ্ছায় চোরকে মন চুরি করিবার নিমন্ত্রণ দেয়া।
.
এভাবে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলো।আর তনুর জন্য অামার পাথরের ন্যায় হৃদয়টা বেলি ফুলের মত কোমল হয়ে উঠলো।যেন কোন এক জোসনা রাতে বেলি ফুলের গন্ধে অামি অার তনু ভেসে চলছি অাসমানিদের দেশে।সেই দৃশ্যায়নে অাঁকাশ বাতাস মাতোয়ারা।
.
আমার ফোনে একটা কল আসলো জানতে পাড়লাম আম্মুর প্রেশার বেড়েছে।তাই খুব দ্রুততার সেথে বাইরে থেকে ডাক্তার সহ বাসায় ফিরলাম।এসে দেখি আম্মু শুয়ে আছে আর তনু অঝোরে কেঁদে চলছে।আর আম্মুর মাথায় হাত বুলাচ্ছে।আমি এসে দাড়াতেই তনু আমাকে জাপটে ধরে কাঁদতে শুরু করল।এমতাবস্থায় অাম্মুর দিকে তাকিয়ে দেখলাম তার মুখে এক চিলতে মুচকি হাসির অাবিরভাব।এবার অামি খানিকটা লজ্জা পেলাম।
.
তারপর ডাক্তার কাকা কিছু ঔষধ লিখে দিলো।আর যাওয়ার সময় তনুর দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে বলে গেল বাচ্চা মেয়ে এই সামান্য ব্যপারে এত কাঁদতে হয় নাকি।
এখন তনুকে দেখে মনেহচ্ছে সে একটু বেশিই লজ্জা পেয়েছে।
হয়তো সেদিনের বিষয়টা বাচ্চামি ছিলো।কিন্তু সেদিনের পরথেকে তনুর প্রতি অামার ছোটছোট ভালোলাগা গুলো ভালোবাসা অার সম্মানে পরিনত হলো।
.
সেদিন সন্ধ্যার মধ্যে সব অাত্নীয় স্বজন বাসায় এসে হাজির।কারন তনু এই সামান্য বিষয়টা তাদের জানাতে গিয়ে একটু অসামান্য ভাবে বলে ফেলেছে।তাই তারা চটজলদি করিয়ে বাসায় হাজির।
তবে এত মানুষের মধ্যে অামার খালাতো বোন গুলো যে অামার বিরক্তির কারন হবে তা অামি পূর্বেই অনুমান করে রেখেছি।কারন বরাবরই অামি মেয়েদের বেলায় খুবই অস্বস্তির মধ্যে পরে যাই।তাই সর্বদা তাদের কাছ থেকে দুরে অবস্থান করি।
তবে এই ভেবে খানিকটা ভালোলাগছে মামার তিন ছেলে এসেছে।অামরা ছেলেরা অাড্ডা দিচ্ছি।হঠাৎ করে তনুসহ খালার মেয়েগুলো হাজির।তারপরে তারা অামাদের সাথে অাড্ডায় যোগদান করিল।অতিমাত্রায় অস্বস্তিজনক অবস্থায় থাকলেও অাড্ডায় থাকতে হলো।
.
আড্ডার এক পর্যায় ওদের মাথায় নতুন এক উদ্ভট খেলার অাবিষ্কার হইলো।
খেলাটা হলো একটা প্রশ্ন করা হবে।সবাইকে এই একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।যে উত্তর দিবে না তাকে গান গাইতে হবে।
.
প্রশ্নটা হলো তুমি কেমন জীবন সঙ্গী চাও?
.
বয়সে বড় হওয়ার বদৌলতে প্রথমে অামাকেই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।শুরুতে কিছুটা অনীহা দেখিয়েছিলাম কিন্তু সবাই অনেক রিকোয়েস্ট করার পরে এক রকম বিরক্ত হয়েই উত্তর দিলাম।
----ok fine বলছি।
আমার পছন্দ রাগি মেয়ে।তবে অবশ্যই সুন্দরী হতে হবে।এককথায় Angry Bird।অামার একটা সুন্দরী Angry Bird চাই।
.
তারপর ঐ বিরক্তিকর কাজিন গুলো হিহি করে বলে উঠলো।তনু অাপু তাহলে আপনার এখন কি করতে হবে বুঝলেন তো? অনেক রাগি হয়ে যান।একদম Angry Bird।ভাইয়ার তো রাগি পাখি ছাড়া চলবে না।
.
এদের এই কথাবার্তায় অামি অতিমাত্রায় ভড়কে গেলাম।
অামি বললাম তোমরা কিসব বলছো?
অতপর অামার এক কাজিন যা বলিল তা শুনে অামার মনের ভেতর হিপহপ ডান্সের শুরু হইলেও বাহিরে হাতাশাজনক একখানা ভাব নিয়ে বসিয়া রইলাম।
.
অামার কাজিন বলল ভাইয়া কি বলছি এসব?
ভাব একটু কম নেও বুঝলা কি মনে করর কিছুই বুঝিনা অামরা সব জানি।
অাজ তোমার অাম্মু বলছে তনু আপুকে ভাবি ডাকার অভ্যাস করতে।তোমার তো আবার রাগি সুন্দরী লাগবে As llike Angry bird। তনু তো মহাসুন্দরী এখন একটু রাগি হইলেই হয়।
একদম পারফেক্ট Angry Bird......!
.
হঠাৎ আমার পেছন থেকে কে যেন আমাকে জাপটে ধরলো খুব শক্ত করেই ধরেছে।তবে এতখন যে আমি কল্পনায় ছিলাম তা অাঁচ করতে পারলাম।এতখন আমি আমার অতিশান্ত বউয়ের Angry Bird হওয়ার গল্পে ডুবে ছিলাম।
.
তনু এবার একটু অাল্হাদের সুরে।এই তুমি কি ভাবছো?
আমি খানিকটা তিরস্কারের সুরে বললাম।নিজের ফাঁদ নিজেই পাতলাম সেটা নিয়েই ভাবছি।
তনুঃমাঝে মাঝে তোমার কথার কোন মানে খুজে পাই না।
আমি হোহো করে হাসতে হাসতে বললামঃও কিছু না তুমি বুঝবা না।
এবার তনু পুনরায় সেই Angry লুক লইয়া।তার ডান হাতখনা নাচতে নাচাতে বলছে।
ঐ আমি বুঝবো না?তো কি তুমি বুঝবে তুমিই সব বোঝো তাই না।আমি কি কচি খুকি কিছুই বুঝি না ভাবছো।
.
তবে তনুকে এই Angry লুকে অসাধারণ লাগে।ওর চোখদুটো কেমন যেন ভাসতে থাকে।কাপলটা সামান্য কুচকে যায়।মাথাটা কিছুটা বাঁকিয়ে ঝাড়িয়ে ঝাড়িয়ে অামাকে বকতে থাকে।
অার এখন অামি সেই দৃশ্যের মধ্যে ডুবে অাছি।অামার Angry Bird অামাকে বকছে।অার অামি সে বকুনি মুগ্ধহয়ে দেখছি।
.
written by:Hasibur Rahman Joy

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ