āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧍⧭ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§­

564

-দেখুন আমি আপনাকে বিয়ে করতে
চাই নি। (মিস্টি)
-আমাকে বিয়ে করবেন না সেটা
আপনার বাসাতে বললেও পারতেন।
(আমি)
-আমি আব্বুর কথা না করতে পারি না
তাই এ বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি।
আপনি আমার কাছে আসার চেস্টা
করবেন না।
-চিন্তা করবেন না। আমি আপনার
চারপাশ থেকে দশহাত দূরত্ব বজায়
রাখবো। আপনি খাটে ঘুমিয়ে পড়েন।
আমি সোফাতে শুয়ে পড়ি।
-আচ্ছা
শুয়ে আছি আর ভাবছি, কোথা থেকে
কি হয়ে গেল। যে আমাকে স্বামি
হিসেবে মেনে নিতে পারবে না
তার সাথে আমার বিয়ে হল। এসব
ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ছি
খেয়াল নেই।
.
আমি তুহিন একটা মল্টিন্যশনাল
কম্পানিতে চাকরি করি আর যার
সাথে কথা বলছি সে হল আমার বিয়ে
করা বউ (কাগজে কলমে) তার নাম
মিস্টি। মিস্টি একটা প্রাইভেট
ব্যাংকের ম্যানেজার হিসাবে
চাকরি করে।
মিস্টির সাথে আমার বিয়ে টা
তারাতারি হয়ে গেল। আজকে ছিল
আমাদের বাসর রাত কিন্তু মিস্টি যা
বল্ল তাতে বাসর রাত করার শখ মিটে
গেছে।
.
পরের দিন অনেক দেরি করে ঘুম থেকে
উঠলাম। তারপর ভাবিরা তো
জ্বালানো শুরু করে দিল। তখন ামি একটু
ভাব নিলাম আর কি। সেই দিন কোন
রকম পার হইলো। তারপরের দিন
আমাদের বাসায় অনুষ্ঠান। মিস্টিদের
বাসা থেকে লোকজন আসল। ওদের
সাথে নাকি জেতে হবে নিয়ম
অনুযায়ী। আমি আম্মুরে ডেকে বললাম
আম্মু আমি যাব না। আম্মু বললো কেনো
যাবি না, তোর আব্বুকে বলবো নাকি।
আমি বললাম আব্বুকে বলার দরকার নাই
আমি যাব। মিস্টিদের বাসায়
গেলাম,রাতে মিস্টির কাজিনরা
আমার সাথে সেই মসকারা শুরু করল।
আমি শুধু তাদের সাথে একটু আকটু কথা
বলছি, কথা বলার ইচ্ছা নাই। কথা না
বললে আবার অসামাজিক ভাববে।
.
তারপরের দিন বাসায় আসলাম। আব্বুর
সাথে কথা বলছি
-আব্বু আমার আজকে ঢাকা যাওয়া
লাগবে।
-কালকে একবারে যাবে মিস্টিকে
নিয়ে যাবে।
মিস্টিকে দেখলাম নিলা(ছেট বোন)
রুমে বসে গল্প করছে।
তারপর মিস্টির কাছে জিজ্ঞাসা
করলাম
-আপনার সাথে কিছু কথা ছিল(আমি)
-বলেন কি কথা?????(মিস্টি)
-আব্বু আপনাকে আমার সাথে নিয়ে
যেতে বলছে। আর কালকে আমরা চলে
যাব।
-আচ্ছা
পরদিন সকালে রওনা দিলাম ঢাকার
উদ্দেশ্যে। সন্ধায় পৌছালাম। বাসায়
আসলাম। মনে হয় মিস্টির বাসাটা পছন্দ
হয়নি। তাছাড়া মিস্টিরতো
আমাকেই পছন্দ না। বাসার ২টা বেডরুম।
মিস্টিকে বল্লাম
-আপনি এ্যাটাষ্ট বাথরুম যেটা সেই
রুমটা ব্যবহার করেন। আমার ছোট রুমটা
হলেই চলবে।
.
মিস্টির সাথে আমার বিয়ে আজ তিন
মাস হয়ে গেল। প্রয়োজন ছাড়া আমি
আর মিস্টি কেউ কারো সাথে কথা
বলি না। আমরা দুজনে দুই রুমে থাকছি,
নিজেদের মত চলাফেরা করছি। এক
ছুটির দিনে বাসায় শুয়ে আছি এমন সময়
মিস্টি এসে বল্ল একটু ঘুরতে নিয়ে
যাবেন। আমিও রাজি হয়ে গেলাম।
বেরিয়ে পরলাম মিস্টিকে নিয়ে
অনেক ঘুরাঘুরি করে বাসায় আসলাম।
আজকে মিস্টিকে অনেক হাসিখুশি
লাগছিল। রাতে খাওয়া দাওয়ার পর
দেখলাম মিস্টিকে আমার সামনে
ঘুরাঘুরি করতে জিজ্ঞাসা করলাম
-কিছু বলবেন(আমি)
-হুম(মিস্টি)
-বলেন
-আমাকে নিয়ে ছুটির দিনে এভাবে
ঘুরতে যাবেন???(কন্ঠে পুরাই মধু ঢেলে
দিয়েছে)
-দেখি পারি কিনা(কথাটা বলার পর
দেখলাম মিস্টির ফর্সা মুখটা কাল
হয়ে গেছে)
-যদি সময় না থাকে তাহলে দরকার
নেই(আহ মনে হয় এখনই কান্না করবে)
-আচ্ছা,ঠিক আছে এখন নিয়ে যাব
কথাটা বলার পর মিস্টি একটা রাজ্য
জয়ের হাসি দিয়ে চলে গেল। আজকে
মিস্টির আচরন গুলো অন্য রকম লাগছে।
এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম।
.
সকালে নাস্তা করে বেড়িয়ে
পড়লাম অফিসের জন্য। আমার কেবিনে
বসে আছি হঠাৎ করে বসের ডাক। কেন
ডাকলো তা জানা নাই।
-আসবো স্যার(আমি)
-হ্যাঁ তুহিন সাহেব আসুন। আপনার জন্য
একটা খুশির আর একটা দুঃখের সংবাদ
আছে। কোনটা শুনবেন???(বস)
-দুঃখেরটাই আগে বলুন।
-আপনার প্রোমোশন হয়েছে, সো
১৫দিনের জন্য খুলনাতে ট্রেনিংএ
যেতে হবে।
-স্যার এটাতো খুশির খবর।
-পরশু আপনি রওনা দিন তাহলে।
-ঠিক আছে স্যার। আমি তাহলে এখন
ওঠী
মনটা খুব খুশি লাগল। বাসায় ফিরে
দেখি মিস্টি টিভি দেখছে। কিছু না
বলে ফ্রেশ হলাম। খাওয়ার পর ব্যাগ
গুছাচ্ছি এমন সময় আমার রুমে মিস্টির
আগমন
-ব্যাগ গুছাচ্ছেন কেন???
-আমি ১৫ দিনের জন্য খুলনা যাব তাই
-ওহহহ আচ্ছা।
-আর শুনেন
-হুম বলেন
-আমার প্রোমোশন হয়েছে
-ওয়াও ট্রিট দিবেন না
-হুম খুলনা থেকে আসি তারপর
-আচ্ছা
তারপর মিস্টি চলে গেল। আমিও
ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে খুলনার
উদ্দেশ্যে বের হলাম বিকালে খুলনা
পৌছালাম। নতুন যায়গা খুব ভাল
লাগছে তবে মিস্টিকে খুব মিস করছি।
ভাবছি এক বার ফোন দিয়ে কথা বলব
না থাক। কাজের ফাকে একটু ঘুরাঘুরি
করা খুলনা শহরটা খুব ভালই লাগল।
.
আজকে আমার খুলনার ট্রেনিং শেষ।
কালকে সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে
রওনা দিব। রাতে মিস্টির ফোন
-আস্সালামুআলাইকুম(মিস্টি)
-ওয়ালাইকুম আস্সালাম।(আমি)
-কেমন আছেন???
-জ্বী ভাল। আপনাকে ঠিক চিনতে
পারলাম না(যদিও মিস্টির নাম্বার
সেভ করা ছিল)
-আমি মিস্টি।
-ওহ আচ্ছা। তা কেন ফোন দিয়েছেন???
-না মানে ১৫দিনতো শেষ ঢাকা
আসবেন কবে???
-দেখি কালকে রওনা দিব
-আচ্ছা সাবধানে আসবেন
-আচ্ছা
মিস্টি ফোন কেটে দিল।
মিস্টির সাথে কথা বলার সময় আমি
অবাক হলাম। যে মেয়ে আমাকে
মেনে নিল না সে আমার খবর নিল।
সকালে মিস্টি আবার ফোন দিল
-রওনা দিয়েছেন
-না একটু পর
-আচ্ছা একটু তারাতারি আসবেন
-দেখি
দুপুরে রওনা দিলাম ঢাকার উদেশ্যে
পৌছালাম রাতে। বাসায় এসে
কলিংবেল টিপ দিতেই মিস্টি দরজা
খুলেই জড়িয়ে ধরে ছোট বাচ্চাদের
মত কান্না করতে লাগল। এমন ভাবেই
জরিয়ে ধরছে যেন আমি আর না ছুটে
যেতে পারি। কোনরকম দরজাটা লক
করে জিজ্ঞাসা করলাম
-কি হয়েছে????(আমি)
-কোন কথা না বলে আরও বেশি করে
কান্না করতে লাগল(এক কথায় ফোনে
লাউড স্পিকার দিলে যেই রকম হয় আর
কি)
-এইভাবে কান্না করলে কি হবে কি
হয়েছে সেটা না বল্লে কি করে বুঝব
-জানেন এই কয়েকদিন আমার কত কষ্ট
হয়েছে
-কেনো কি কষ্ট????
-ন্যাকা কিছু কি বুঝেন না(এই হল
মেয়ে জাতি এক চোক্ষে হাসি অন্য
চোক্ষে কান্না)
-না সব কিছুই বুঝাই দে.........(আর কিছুই
বলতে পারলাম না এক জোরা ঠোট
আমার ঠোটের সাথে মিলিত হল)
যে কাজ আমার করার কথা সে কাজ
করল মিস্টি কি ফাজিল মাইয়া।
মেয়েটি চুমু খেয়েই লজ্জায় আমার
বুকে মুখ লুকল। আমি শক্ত করে জড়িয়ে
ধরলাম
.
ভালবাসার ইতিহাসে যোগ হলো
আরেকটা নতুন অধ্যায়
বিঃদ্রঃ-গল্পটা সম্পুর্ণ কাল্পনিক।
.
লেখকঃ তুহিন রহমান

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ