āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§­

553

"পিচ্চি মেয়েটার সাথে আমার সম্ভাব্য প্রেমের
গল্প"
.
.
.
মেয়েটার গালে একটা থাপ্পড় দিতে পারলে ভাল
লাগতো ! কিন্তু আপাতত দেওয়া যাচ্ছে না দুই
কারনে !
একে তো সে একটা মেয়ে তাও আবার পিচ্চি
টাইপের মেয়ে, স্কুলে পড়ে মনে হয় ! আর দ্বিতীয়
কারন হচ্ছে মেয়েটা পিচ্চি হলেই দেখতে বেশ
সুন্দরী ! গালে টোল পড়ে,ঠোটে তিল আছে।
পিচ্চিপাচ্চার প্রেমে পড়ি না নয়তো এই
মেয়ের প্রেমে পড়ে যেতাম টুপ করে !
বিকেল বেলা টিউশনীতে যাওয়ার জন্য বের
হয়েছি ! তখনই এই বিপত্তি !
ইদানিং আমাদের গলির ভেতর কদিন থেকেই
দেখছি বেশ কিছু পুলাপাইন সাইকেল চালাচ্ছে !
এখন ঢাকা শহরে সাইকেল চালানো একটা ফ্যাশন
হয়ে গেছে । ছোট বড় সবাই চালাচ্ছে ! দেখতাম,
চলে যেতাম !
কিন্তু আজকে কেবল চলে যাওয়া হল না ! একটা
শার্ট আর জিন্স পরা মেয়ে দেখছিলাম সাইকেল
চালাচ্ছে ! যতই ঢাকায় থাকি না কেন এই শহরে
মেয়েরা সাইকেল চালাচ্ছে এমন একটা দৃশ্য এখনও
ঠিক স্বাভাবিক নয় আমার কাছে ! কয়েকবার চোখ
চলেই যায় !
মেয়েটার চালানোর ধরন দেখে মনে হচ্ছিল যে নতুন
চালানো শিখছে !
দেখতে দেখতে মেয়েটা কাছে চলে এল ! আর বলা
নেই, কওয়া নেই আমার ডান পায়ের সাথে ধাক্কা
মেরে দিল !
তারপরই সেই মেয়েদের চিরো চেনা আচরন !
মেয়েটি একটু হাসি দিয়ে বলল
-ভাইয়া আপনার লাগে নি তো !
তখনই মনে হল একটা থাপ্পড় দিয়া বলি না না
লাগবে কেন ? এতো বড় একটা সাইকেল পায়ের উপর
তুলে দিলে লাগে নাকি ! তুমি বরং একটা
বুলডোজার নিয়ে এসে আমার পায়ের উপর তুলে
দাও ! ফাজিল মাইয়া !
কিন্তু এর কিছুই বলা হল না !
প্যান্টের ধুলো পরিস্কার করতে করতে বললাম
-না ! ঠিক আছে । একটু সাবধানে চালাও !
মেয়েটি আবারও হাসি দিয়ে বলল
-সরি ভাই ! চালানো শিখছি তো । আপনার সত্যই
লাগে নি তো ?
-না ঠিক আছে !
আমি আর কথা না বাড়িয়ে হাটা দিলাম ! মুখে
বললেও পায়ে বেশ খানিকটা ব্যাথা অনুভব করতে
পারছিলাম ! যাক কি আর করা !
.
-আপনি অনেক ব্যাথা পেয়েছিলেন তাই না ?
আজকেও দেখি সেই মেয়ে হাজির ! তবে আজকে
ঠিক মতই সাইকেলের ব্রেকটা চাপতে মনে ছিল
মনে হয় ! সাইকেল টা নিয়ে আমার ঠিক সামনেই
থামলো মেয়েটি !
-না ঠিক আছে ! একটু ব্যাথা তো লাগবেই !
-না আমি দেখছিলাম আপনি কি রকম খুড়িয়ে
খুড়িয়ে হাটছিলেন ! এমন কি আপনি এখনও খুড়িয়ে
খুড়িয়ে হাটছেন !
-হুম !
মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে রইলো খনিকটা
লজ্জিত এবং অপরাধী মুখে !
সুন্দরী মেয়েদের করুন মুখ কারই বা দেখতে ভাল
লাগে না !
আমি বললাম
-আচ্ছা ঠিক আছে ! সমস্যা নেই ! দুর্ঘটনা তো
ঘটেই, তাই না ?
-হুম !
-মন খারাপ করার কিছু নেই !
মেয়েটি বলল
-আপনি কোথায় যাচ্ছেন ? প্রতিদিন দেখি এই
সময়ে আপনি বাইরে যান ! কোথায় যান ?
-বাহ ! আমার দিকে লক্ষ্য আছে দেখছি !
-তা তেমন কিছু না ! আপনি প্রতিদিন দেখেন না
আমি বিকেল বেলা এই গলিতে সাইকেল চালাই !
-তাই নাকি ?
এমন একটা ভাব দেখালাম যেন আমি এই প্রথম
মেয়েটাকে লক্ষ্য করলাম !
-ইস ! ঢং !
-ঢং ?
টিউশনীতে দেরি হয়ে যাচ্ছিল তাই আর কথা
বাড়ালাম না ! চলে আসলাম ! ভেবেছিলাম কথা
বার্তা মনে হয় এখানেই শেষ হবে কিন্তু এখানে
শেষ হল না ! পরদিন সকাল বেলা ক্লাস ছিল !
আমি এমনিতে বাসের ভিড় এড়াতে একটু সকাল
সকালই রওনা হই ! প্রতিদিন ফিজিক্যাল
বাসস্টপেজ থেকে উঠলেও আজকে কি মনে করে
মোহাম্মাদপুর বাস স্টপেজ থেকে বাসে উঠতে
গেলাম ! কোন কারন নেই ! দুটো স্থান থেকেই
আমার বাসার দুরুত্ব প্রায় কাছেই ! বাসস্ট্যান্ডে
গিয়ে দেখি পিচ্চি মেয়ে দাড়িয়ে রয়েছে ! পরনে
পরিচিত কলেজের পোষাক !
আমি তো ভেবেছিলাম মেয়েটা স্কুলে পড়ে কিন্তু
এখন দেখা যাচ্ছে কলেজে পড়ে । তার উপর গতদিন
মেয়েটাকে যত ছোট মনে করেছিলাম আজকে ততটা
ছোট মনে হচ্ছে না !
আমাকে দেখেই মেয়েটা এগিয়ে এল !
-আপনি ?
-তুমি ?
-আমি কলেজ যাচ্ছি !
-তা তো দেখতেই পাচ্ছি !
-আপনি কোথায় যাচ্ছেন ?
-ক্যাম্পাসে !
-ও আচ্ছা !
বাস চলে আসলো ! বাসে উঠে দেখি মেয়েটা
প্রথমে মহিলা সিটে বসল ! আমি বসলাম পেছনের
দিককার একটা সিটে ! সকাল বেলার সময় ! বাসটা
প্রায় ফাঁকায় বলা চলে ! দেখলাম একটু পরে মেয়েটা
আমার কাছে পাশে এসে বসল !
-আপনার পায়ের কি খবর ?
-ভাল !
-আসলে আমি সত্যি সরি !
-না ঠিক আছে !
কথা চলতে থাকলো মেয়েটির কলেজে যাওয়ার আগ
পর্যন্ত ! সময় বলতে গেলে ভাল কাটলো বেশ !
যখন সামনের কয়েকটা স্টপেজ থেকে মেয়েটির
কলেজের কয়েকজন উঠলো দেখলাম মেয়েটি একটু
নড়েচড়ে বসলো ! কয়েকজন কে দেখে তো হাতও
নাড়ালো ! মনে হয়েছিল যে মেয়েটি মনে হয় উঠে
চলে যাবে । কিন্তু গেল না ! বসেই রইলো !
মেয়েটি যখন নেমে গেল ওর কলেজের সামনে গেটের
কাছে দাড়িয়ে মেয়েটি আমার দিকে হাত
নাড়লো ! কেন জানি বেশ ভাল লাগলো বিষয়টা !
.
-ভাইয়া আপনার মোবাইল নাম্বারটা দেবেন ?
পেছনে তাকিয়ে দেখি এক পিচ্চি একটা ছেলে
আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে ! পিচ্চিকে চিনি
না !
-কেন ? আমার নাম্বার দিয়ে কি করবা ?
-ইরা আপু চেয়েছে !
-তোমার আপু আমার নাম্বার নিয়ে কি করবে ?
-আমি তো জানি না !
-তোমার আপুকে বল আমি পিচ্চিদেরকে আমার
নাম্বার দেই না !
পিচ্চি ছেলেটি চলে গেল !
.
-এই ছেলে দাড়াও !
সন্ধ্যা বেলা টিউশনী থেকে বাসায় আসছিলাম !
মোড়ের মাথায় আসতে কয়েকটা ছেলেকে দেখতে
পেলাম ! এলাকার বড় ভাই যতদুর জানি ! এদের
সাথে আমি কোন দিন লাগতে যাই না ! এড়িয়েই
চলি !
আমি দাড়ালাম !
-তোমার নাম রিশান ?
-জি !
-কোথায় থাকো ?
-এই তো গালির শেষ মাথায় ! সোবহান সাহেবের
বাসায় !
-ইরাকে চিনো ?
আমি চুপ করে রইলাম ! কি বলবো ঠিক বুঝতে
পারছিলাম না ! কি হল কে জানে ?
-জি ! একটু চিনি !
-কিভাবে ?
-সেদিন ইরা সাইকেল চালাতে গিয়ে আমার
পায়ের উপর সাইকেল তুলে দিয়েছিল ! বেশ ব্যাথা
পেয়েছিলাম !
-আর কিছু না ?
-জি ! আর কিছু না !
-গুড ! এমনই যেন হয় ! সে আমার বোন ! মনে রেখো
কথাটা !
-জি !
আমি বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম ! এলাকার
বাড়িওয়ালার মেয়েদের পিছনে ভাড়াটিয়ার
ছেলেরা গেলেই যত সমস্যা বাঁধে ! ভাগ্য ভাল আমি
একদমই এগোই নি ! মাইর খাওয়ার সম্ভাবনা
ছিল !
কদিন বেশ ঝামেলা ছাড়াই কেটে গেল ! ইরা
কিংবা তার ভাইয়ের সাথে দেখা হওয়া ছাড়াই !
কিন্তু পুরোপুরি মুক্তি মিলল না !
কয়েকদিন পরে বিকেল বেলা আবারও বের হয়েছি
তখনই ইরাকে দেখতে পেলাম রাস্তায় দাড়িয়ে
আছে !
আজকে জিন্স কিংবা টিশার্ট পড়েনি।
আজকে সেলোয়ার কামিজ পড়েছে । চেহারায়
পিচ্চি পিচ্চি ভাবটা নেই মোটেই !
সেখানে
রয়েছে একটা গম্ভীর ভাব !
হাতের কাছে সাদা
কিছু পেচানো ! মনে হল কোন ব্যান্ডেজ কিছু !
এক্সিডেন্ট করেছে নাকি !
কিন্তু এগিয়ে যে কথা বলবো তার উপায় নেই !
পাশেই তার বড় ভাই দাড়িয়ে রয়েছে ! এখানে কথা
বলতে গেলে আমাকে মাইর খেতে হবে ! আমি
ভাবছিলাম পাশ দিয়ে চলে যাবো ঠিক তা আর হল
না !
ইরার বড় ভাই আমাকে ডাক দিল !
আবার কি হল রে ভাই ! আমি তো কিছু করি নাই !
-রিশান কি খবর ?
-জি ভাল ! আপনি ভাল ?
-হ্যা ! ভাল ! আচ্ছা একটা সত্যি কথা বলবে ?
-জি বলুন ?
-সেদিন রাতে যে তোমার সাথে কথা বললাম,
আমি কি কোন খারাপ কিছু বলেছি বল ?
-জি না !
-তোমার কি মনে হয়েছে আমি তোমার সাথে বিন্দু
মাত্র মিস বিয়েইভ করেছি ?
-জি না ! কেন ?
আমার কাছ থেকে উত্তর শুনে ইরার ভাই
ইরার দিকে তাকিয়ে বলল
-দেখ ! ও নিজেই এই কথা বলছে ! তুই কোথা থেকে
শুনেছিস বল ? কে বলেছে যে ওকে আমি বকেছি ?
ইরা আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে
সামনের দিকে হাটা দিল ! ইরার ভাই আমাকে
ডেকে বলল
-যাক ! বাঁচালে আমাকে !
-আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না !
-ইরার হাতে ব্যান্ডেজ দেখছো না ?
-হুম !
-ও কোথা থেকে শুনেছে নাকি আমি তোমার সাথে
খারাপ ব্যবহার করেছি ! এই জন্য ও মনে করেছে যে
ওর সাথে তুমি কথা বলেছো তাই আমি তোমাকে
হুমকি বা এই জাতীয় কিছু দিয়েছি !
নিজের হাত
নিজে কেটেছে ! রক্তারক্তি অবস্থা ! আমরা সবাই
বেশ ভয় পেয়ে গেছিলাম !
মনে মনে বললাম কথা তো খানিকটা সত্যিই !
কিন্তু বাস্তবে তো আর কিছু বলা যায় না !
ইরার ভাই বলল,
-ইরা, খুব জেদি মেয়ে জানো ! আমরা কিছু বলতে
পারি না ! ক্লাস নাইনে থাকতে একবার এত্তোগুলো
ঘুমের ঔষধ খেয়ে ছিল বাবা বকেছিল বলে ! তারপর
থেকে আমরা ভয়ে ভয়ে থাকি ! তুমি ওর সাথে
খারাপ ব্যবহার কর না কেমন ?
-আমি তো করি নি !
-যাই হোক, যা হয়েছে হয়েছে ! ও যদি তোমার
সাথে কথা বলতে আসে ওকে এভোয়েড কর না ঠিক
আছে ?
-জি !
আমার কেন জানি মনে হল এটা একটা গ্রিন
সিগলাম, ইরার সাথে কথা বলার জন্য ! ভাইয়া
আর কিছু না বলে চলে গেল ! ঘুরে তাকিয়ে দেখি
ইরা গলির মাথা থেকে হেটে আবার ফিরে
আসছে !
আমি এবার নিজেই এগিয়ে গেলাম !
-কি বলল আমার ভাই আপনাকে ?
-বলল যে পিচ্চি মেয়েকে যেন আর পিচ্চি না
ডাকি !
-আমি মোটেই পিচ্চি না !
-তুমি অনেক বড় হয়ে গেছ ?
ইরা এই কথার জবাব না দিয়ে আমার দিকে
তাকিয়ে রইলো !
-তুমি এই পাগলামিটা কেন করলে ?
-জানি না ! কেবল মনে হয়েছে আমার কারনে
আপনাকে কথা শুনতে হয়েছে !
-আমার জন্য এতো কেয়ার ?
-আপনি বুঝবেন না !
-বোঝাও ! আমি বেশ ভাল স্টুডেন্ট ! ভাল
বুঝতে পারি !
-কচু পারেন ! তাহলে বুঝতে পারতেন !
আমি কোন কথা না বলে ইরার পাশাপাশি
হাটতে লাগলাম ! হাটতে বেশ ভাল লাগছে !
হাটতে হাটতে ইরা হটাৎ বলল
-একটা কথা বলি ? যদি রাগ না করেন ?
-বল !
-ঐদিন আমি ইচ্ছে করেই আপনাকে ধাক্কা
দিয়েছিলাম !
-কিইইইই
ইরা আমার কথার জবাব না দিয়ে হেসে দিল !
-মানে কি ?
-কোন মানে নেই !
-তুমি তো আসলেই পিচ্চি না !
-বলেছিলাম আমি ! আমি পিচ্চি না !
-তাই তো দেখতে পাচ্ছি !
ইরা দুষ্টামী ভরা চোখে আমার দিকে
তাকিয়ে রইলো !
পিচ্চিপাচ্চার প্রেমে পড়ি না এই মতবাদ থেকে
মনে হয় বেরিয়ে আসার সময় হয়ে গেছে।।
.
.
"অপেক্ষায় রইলাম স্বপ্নের বালিকা"

অপু তানভীর

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ