āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧍⧭ āĻŽে, ⧍ā§Ļā§§ā§­

593

★... ভূতের কবলে আমি..★
.
লেখাঃ Khalid Saifullah
.
.
রাত আস্তে আস্তে গভীর হচ্ছে, এখনও
কেনা কাটা শেষ করতে পারিনি,
আবার শীতের রাত্র।
অবশেষে কেনা কাটা শেষ করতে
করতে রাত ৯ টা বেজে গেল, গ্রামে
শীত কালে ৯ টা।
বাপরে বাপ। অনেক রাত।
মামার বাড়ী বেড়ানোর শখ
একদিনেই মিটে যাচ্ছে! পথঘাট ও
ভালো ভাবে চিনিনা।
যাই হোক, আর কিছু না ভেবেই পা
বাড়ালাম, ভেবেছিলাম সঙ্গে আর
কাউকে পাবো কিন্তু না, কাউকেই
পেলাম না।
এখনো আড়াই মাইল হেটেই যেতে
হবে.......
মেইন রোড ছেড়ে বিলের রাস্তায়
মেনে পরলাম, সামনে দুটো বড় বিল,
এর পর একটা বাগান, এর পর আবার
একটা বিল, এর পর মামার বাড়ী।
হাটতে লাগলাম, এখন বুঝতে পারছি
একটা টর্চ লাইটের কত
প্রয়োজনিয়তা।
কিছুদূর অগ্রসর হতেই মনে হলো আমার
থেকে বেশ কিছু সামনে একলোক
লাইট হাতে এপথেই যাচ্ছে।
অবশেষে আশার প্রদিপ জ্বলে উঠল,
চিৎকার করে ডাকতে লাগলাম।
কিন্তু সে তো হেটেই চলছে। রাগ
হতে লাগল। বয়রা নাকি ব্যাটা !!
এবার দৌড় দিলাম, আরে... মনে
হচ্ছে কেউ আমার পিছনেই
দৌড়াচ্ছে, তাকিয়ে দেখলাম,
না! কেউ নেই। আমার বোঝার ভুল
হয়তো। আবার দৌড় দিলাম। কিন্তু
এবারো সেই আগে মতই শব্দ, কিছুটা
ভয় ভয় লাগতে শুরু করলো।
এবার শব্দকে উপেক্ষা করে
দৌড়াতে লাগলাম।
আরে আরে !!
আমি যতটা এগুচ্ছি, সামনের লোকটা
ঠিক ততটাই দূরে সরে যাচ্ছে। ভয়
বাড়তে লাগলো।
একেতো গভীর অন্ধকার রাত, তার পর
আবার শীত কাল, আবার অচেনা
রাস্তা, এই তিন প্রতিকূলতায় আমার
সামনে চলা দুষ্কর হয়ে পরছে ,
জনমানবহীন অন্ধকার ধু-ধু প্রান্তর।
আবারো দৌড়াতে চেষ্টা করলাম,
কিন্তু যেন পিছন থেকে টেনে
ধরেছে। সামনে অগ্রসর হতে
পারছিলাম না। আরো ভয় হতে
লাগলো।
আর দেরি করলাম না, আয়াতুল-কুরসী
সহ আরো কিছু দুয়া পড়লাম।
হ্যাঁ, এখন কিছুটা প্রশান্তি অনুভব
করছি।
সামনে পা বাড়ালাম, সামনের
দিকে তাকাতেই আমি যারপরনাই
বিস্মিত হলাম। আবারো ভয় এসে ভর
করলো। এতক্ষণ যেই লোকটা আমার
সামনে সামনে চলছিল, মুহূর্তেই সে
লাপাত্তা। আর দেখা যাচ্ছে না
লোকটিকে। নানান প্রশ্ন মনে
জাগতে লাগলো। পরক্ষণেই ভাবলাম
দাঁড়িয়ে থাকলে চলবে না।
আমাকে পাড়ি দিতে হবে দুর্গম
গিরিপথ।
সম্মুখীন হতে হবে হয়তো নানান
প্রতিকুলতার।
.
আর কিছু না ভেবেই হাটতে শুরু
করলাম।
অনেকটা পথা এসে পরেছি, কোন
সমস্যা হয়নি, মাঝে মাঝে ভয়ংকর,
অদ্ভুত কিছু শব্দ শুনলেও দোয়া পড়ায়
শব্দ গুলো হাওয়ায় মিশে যায়।
এবার সামনে সেই ঘনকাল
অন্ধকারাচ্ছন্ন প্রকাণ্ড বিশাল
বাগান।
দাঁড়িয়ে কিছু ভেবেই ঢুলে পরলাম।
এর বিকল্প কোন পথা নেই, বেশ ভালই
লাগছিল। চারদিকে বিভিন্ন
পোকামাকড়ের গুঞ্জন। হুম, ভালই।
আস্তে আস্তে জঙ্গল গভীর হতে লাগল।
.
হটাৎ........
.
থেমে গেলো সব আওয়াজ। নিরবতা
বিরাজ করছে পুরো বাগান
জুরে.......
গা ছমছম করে উঠলো। ভয় ক্রমশ
বাড়তে লাগলো। কি করব ভেবেই
পাচ্ছি না, আস্তে আস্তে সামনে
এগুচ্ছি, কেমন যেন একটা করুণ সুর
শোনা যাচ্ছে.......
সেই করুন সুর ধীরে ধীরে কান্নায়
রুপ নিল। শরীরের সমস্ত লোম
দাঁড়িয়ে গেল।
একটাই প্রশ্ন...... এত রাতে কে এই
বাগানে ক্রন্দনরত ?
তবে কোন ভুত নাতো ??
কিন্তু আমিযে ভুতে বিশ্বাসী নই।
.
রহস্য বের করতেই হবে.........
এবার শব্দের উৎস বের করতে এগুতে
লাগলাম।
হ্যাঁ, কিছুটা ভিতর থেকে শোনা
যাচ্ছে........
সামনে এগিয়ে অন্ধকারে অস্পষ্ট
দেখা যাচ্ছে একটা মেয়ে বসে
কেঁদে যাচ্ছে.......পিছন থেকে
গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম।
আমিঃ কে আপনি ? এত রাতে এখানে
কেন আছেন ??
ঃ---------( উত্তর নেই)
আমিঃ কি হলো কথা বলেন না
কেন ??
( আসল ঘটনার শুরু এখানেই)
মেয়েটা সামনে বসা অবস্থায় ঠিক
রোবটের মত মাথা ঘুরিয়ে আমার
দিকে.........
এক চিৎকার দিয়ে পাগলের মত দৌড়
শুরু করলাম।.....
কি বিভৎস চেহারা। অর্ধেক টা
সম্পূর্ণ আগুনে দগ্ধ। আর বাকি অর্ধেক
টা থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।
প্রাণপণে ছুটছিলে.... হাতে
তাকিয়ে দেখি বাজারের ব্যাগ
গুলো আর নেই। জীবনের কথা ভেবেই
আবার দৌড় শুরু করলাম।
নাহ, আর পারছি না, শরীর নিস্তেজ
হয়ে আসছে। সমস্ত শক্তি জুগিয়েও আর
দৌড়তে পারলাম না।
ওর থেকে বেশ কিছুটা দূরে এসে
পড়েছি। আমি চিৎকার করে
সাহায্যের আবেদন করলাম।
এরপরই ভাবলাম আমাকে সাহায্য
করার মত এখানে কেউ নেই.............
দোআ পড়তে চাইলাম.... কিছুই মনে
আসছে না।
ভয়ে আমার গলে শুকিয়ে আসছিল। আজ
হারে হারে টের পেতে লাগলাম
ভুতের সত্যতা।
দৌড়নোর শক্তি হাড়িয়ে হাটতে
লাগলাম.....
পিছনে কিছু একটা চিৎকারের
আওয়াজ পেলাম। নাহ, আমি কিছুতেই
পিছনে তাকাবো না। এবার আরো
জোরে চিৎকারের আওয়াজ। আমি
সে দিক না তাকিয়ে হাটতেছি।
অনেক চেষ্টা করে আবারো আয়াতুল-
কুরছি পড়ে নিলাম। আমি জানি,
ওরা এখন আর আমার কোন ক্ষতি করতে
পারবে না।
হটাৎ পিছনে ঝড় শুরু হয়ে গেলো।
মনে হচ্ছে কেউ গাছের ডালগুলো
মোচড়িয়ে ভেঙ্গে ফেলছে...........
আমি আর পারছিনা। জোরে হাটতে
চাইলাম। কিন্তু পারলাম না। মনে
হচ্ছে আজ আর বেচে থাকবো না।
আমার পুরো দেহে কাঁপুনি উঠে
গেল। আবারো চিৎকার করতে
চাইলাম। একটু শব্দও বের হলো না।
এবার কেউ আমার নাম ধরে ডাকতে
লাগলো..
সাইফুল্লাহ......!!
এই সাইফুল্লাহ.. ....!!
....... কি ভয়ংকর শব্দ।
মনে হতে লাগলো অল্প সময়ের মধ্যেই
আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলবো।
এবার সত্যিই অনুভব করলাম আমার নাম
ধরে ডাকা লোকটি আমার পিছনেই
আসছে........!!
হাটতে পারছি না..... দুচোখে
বিভিষিখাময় অবস্থা দেখতে
লাগলাম।
হটাৎ একটা ঠাণ্ডা হাত কেউ আমার
কাধে রাখলো। আমি পরে যেতে
লাগলাম। লোকটি আমাকে ধরলো।
আমি চোখ বুঝতে থাকা অবস্থায়
দেখতে পেলাম ঝড় সম্পূর্ণ থেমে
গেছে।
আমি অসহায় ভাবে দেখা ছাড়া আর
কিছুই করতে পারছি না। লোকটির
চেহারার দিকে তাকালাম,
কিছুটা চেনা চেনা মনে
হচ্ছে..........!!
মানে আমার মামাদের বাড়ির
থেকে কিছু দূরেই তার বাড়ি।
লোকটা আমার হাত ধরে তুলল।
আমাকে তার কাধে ভর করেই বাড়ির
কাছে পৌছে দিল।
আমি বললাম আসেন বাড়ির ভিতর।
লোকটা বলল, তুমি ভিতরে যাও, আমি
কাল সকালে আসবো বরং।
.
.
.
বাড়ি তে কাউকে কিছু বলার শক্তি
আমার নেই..... বিছানায় ভেঙ্গে
পড়লাম।
সকালে ঘুম ভাঙ্গলো.... দেখলাম
বাড়ির সবাই উপস্থিত। কোন রকম
খুলে বললাম ।
তার পর যা শুনলাম তাতে আরো
বেশি অবাক হলাম। শুনলাম সেই
লোকটা গত একমাস আগে রোড
এক্সিডেন্টএ মারা গেছে.......
এত পর টানা ছয় দিন জ্বর কাটিয়ে
উঠার পর.....
নিজের বাড়িতে ফিরে এলাম। আর
মামার বাড়ি না যাওয়ার
প্রতিজ্ঞা করলাম।
.
Written By: Khalid Saifullah (দিগ্বিজয়ী
মুসলিম সেনাপতি)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ