āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§Šā§§ āĻŽাāϰ্āϚ, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4827

#এরেন্জ_লাভস্টোরি

   আমি তানহা তাবাসসুম । কয়েকদিন আগেই লেখাপড়া শেষ করলাম । এখন মা বাবা বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে । এতদিন লেখাপড়ার বাহানায় না করেছি , কিন্তু এখন আর তাও পারছি না । দেখতে খুব আহামরি না হলেও ওতটা খারাপও না ।

    কিছুদিনের মধ্যেই মা বাবার পছন্দের এক ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিল । বিয়ে নিয়ে সবার মতো আমারো অনেক স্বপ্ন ছিল , জানি না পূরণ হবে কি না । ছেলের নাম না কি কাব‍্য । নাম শুনেই প্রথম দফায় প্রেমে পড়ে গেলাম । যার নাম এতো রোমান্টিক সে না যেন কতটা রোমান্টিক হবে । এসব ভাবতে ভাবতেই আমার বর মহাশয় চলে এলেন । কিছুক্ষণের নিস্তব্ধতার পর

কাব্য : তানহা , দেখো আমাদের বিয়েটা পুরোপুরি পারিবারিক হয়েছে । আমার একে অপরকে ভালোভাবে জানার সুযোগ পাইনি । এজন্য হয়তো তোমার মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে । তোমার যত সময় লাগে নিতে পারো । শুধু এইটা কথাই বলবো আমার মাকে কখনো কষ্ট দিওনা । বাবা মারা যাওয়ার পর আমিই ছিলাম ওনার সব । আর এখন আমরা দুইজনই ওনার সবকিছু । সবার সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা কোরো ।
( এত সুন্দর গুছিয়ে কেউ কথা বলতে পারে জানতাম না । ওনার কথার ধরন দেখে আমি আরেক দফায় প্রেমে পড়লাম ।। হিহিহি )
আমি : আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আপনাদের খুশি রাখতে । আর আম্মুকেও বলবেন আমাকে নিজের মেয়ের মতো আদর করতে ।
কাব্য : আচ্ছা , তাই ই হবে । চলো সালাত আদায় করে এবার শুয়ে পড়ো । সারাদিন অনেক ধকল গেছে ।

   মূহুর্তের মধ্যে আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল । কত স্বপ্ন ছিল এই রাত নিয়ে । বরের কাঁধে মাথা রেখে সারারাত চাঁদ দেখবো আর গল্প করবো । কিন্তু তা আর হলো না ।

   সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি উনি আগেই উঠে পরেছেন ।
আমি : আপনি আমাকে ডাকেননি কেন ? কত বেলা হয়ে গেল ।
কাব্য : গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলে , তাই আর ডাকিনি । এখন তুমি ফ্রেশ হয়ে এসে নাস্তা করে নাও । মা তোমার জন্য অপেক্ষা করছে ।
আমি : আম্মু এখনো খায়নি ? ওনাকে বলতেন খেয়ে নিতে ।
কাব্য : আমাদের বাড়ির নিয়ম সবাই একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া করবে সে যত দেরি হোক না কেন ।
আমি : আচ্ছা কালকে থেকে তাড়াতাড়ি ওঠার চেষ্টা করবো ।

   উনি একটা মুচকি হাসি দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন । আর আমিও ফ্রেশ হতে চলে এলাম ।
   বর মহাশয়কে যতই দেখছি ততই অবাক হচ্ছি । ওনার কথা বলার ধরন যেমনটা সুন্দর ব‍্যবহার তার চেয়েও বেশি সুন্দর ‌। খুব ডিসিপ্লিনড , কেয়ারফুল । কিন্তু একদম আনরোমান্টিক । যাই হোক একটা মানুষ তো আর সবদিক দিয়ে পারফেক্ট হয়না । আমি এভাবেই মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো ।

  একদিন আকাশে প্রচন্ড মেঘ করেছে । চারদিক অন্ধকার আর ঝড়ো হাওয়া । বিয়ের আগে স্বপ্ন দেখতাম এরকম ঝড়ের সময় বরের সাথে হাঁটতে বের হবো । দুজনে একসাথে হাঁটব , বৃষ্টিতে ভিজবো , শিউলি ফুলের মালা পরবো । বিয়ে তো হলো ঠিকই কিন্তু এমন আনরোমান্টিক লোককে দিয়ে এসব স্বপ্ন পূরণ হবে না । কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই উনি এসে পড়লেন

কাব্য : তানহা , আলমারিতে একটা প‍্যাকেট আছে । তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে এসো তো । আমি বাইরে অপেক্ষা করছি ।
আমি : জ্বী আচ্ছা । কিন্তু কোথাও যাবেন নাকি ?
কাব্য : এতো প্রশ্ন করো না । তাড়াতাড়ি এসো ।

   আমি বাধ্য মেয়ের মতো ঘরে এসে আলমারি থেকে প‍্যাকেটটা বের করলাম । বেশ যত্ন করে র‍্যাপিং করা । প‍্যাকেটটা খুলে আমি তো পুরোই অবাক । একটা নীল রঙের শাড়ি । নীল আমার পছন্দের রং । কিন্তু সমস্যা হলো আমি তো শাড়ি পড়তে পারিনা । আম্মুও বাসায় নেই । তাই ওনাকেই ডেকে বললাম । ভেবেছিলাম হয়তো রাগ করে কিছু একটা বলবে । কিন্তু উনি নিজের হাতে আমাকে শাড়ি পড়িয়ে সাজিয়ে দিলেন । সাজ বলতে হালকা কাজল আর নীল চুড়ি । এতো সুন্দর করে কেউ সাজাতে পারে জানতামই না । না কি উনি নিজের হাতে সাজিয়েছেন বলেই বেশি সুন্দর লাগছে বুঝতে পারলাম না । নিজের উপরই নিজে ক্রাশ খেয়ে গেলাম ।

   এরপর ওনার সাথে বের হলাম । খুব ভালোই লাগছিলো । কিন্তু ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না কোথায় যাচ্ছি । ঝড়ো হাওয়ায় ফাঁকা রাস্তায় হাঁটছি দুজন ।

আমি : আচ্ছা , আমরা কোথায় যাচ্ছি ?
কাব্য : চুপচাপ চলো আমার সাথে ।

   আমরা হাঁটতে হাঁটতে একটা লেকের পাড়ে এলাম । চারদিক নির্জন সাথে টুপটাপ বৃষ্টি । উনি আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আমার চুলে কিছু একটা লাগিয়ে দিলেন । পরক্ষণে আমি হাত দিয়ে দেখি আমার পছন্দের শিউলি ফুলের মালা । উনি এবার মাটিতে বসে আমার পায়ে একজোড়া নূপুর পড়িয়ে দিলেন । আমি অবাক হবো নাকি খুশি হবো বুঝতে পারছি না । একমুঠো শিউলি নিয়ে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে

কাব্য : তোমার ঐ মেঘ কালো
চোখের ভাষায়
মাতাল করা হাসি
আর ভেজা চুলে
গোলাপী ঐ ঠোঁটের
বেলকুনিতে 
রং তুলিতে আকাঁ
আমার অবসর বিকেল ।
ভালোবাসি তোমায় । আপন করে নেবে কি আমায় ?

  আমি বলার মতো কিছু পাচ্ছি না । চোখের অশ্রু গুলো বৃষ্টির সাথে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে । উনি বুকে জড়িয়ে ধরলেন আমায়

কাব্য : এই পাগলি , কাঁদছো কেন ?
আমি : এভাবেই জড়িয়ে রাখবেন তো আজীবন ?
কাব্য : জীবনের শেষ সূর্যাস্ত একসাথে দেখবো , প্রতিজ্ঞা করলাম ।

                            ( সমাপ্ত )

#তুষারসিক্তা

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ