-----
অসহ্য.!
অনেক হয়েছে। অনেক সহ্য করেছি।এইবার এর একটা ফয়সালা করতেই হবে। এইভাবে এতটা অত্যাচার সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
কি ভেবেছে ও নিজেকে..??
এইভাবে একজনকে অপমানিত করে,অবহেলা করে ছাড় পেয়ে যাবে..?
আজই মায়ের বাড়ি যাবো। তারপর ভাইকে বলে ওর ব্যাবস্থা করতেই হবে..--
প্রচন্ড রাগে এসবই মনে মনে বলতে বলতে ভাইয়ের বাসায় চলেছি আমি..
- এই ড্রাইভার, একটু দ্রুত গাড়ি চালান তো।..
প্রায় আধা-ঘন্টা পর, ভাইয়ের বাড়ি পৌছে সোজা ভাবির মুখোমুখি হলাম।ভাইকেও ডেকে নিলাম।
--ভাই, এসব কি.??
(ভাই চুপ করে আছে)
এবার ভাবিকে উদ্দেশ্য করে বললাম--
-এই বাড়িটা আমার বাবার।আর তুমি মাত্র দুই দিন এসে রাজত্ব দেখাচ্ছো.?? তোমার এত বড় সাহস হয় কি করে- তুমি আমার মা' কে অবহেলা করছো,তাকে ঠিক মত খেতে পর্যন্ত দাওনা, এমনকি বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলেছ..??"
ভাবি:-- আমাদের পারিবারিক ব্যাপারে তুমি নাক গলানোর কে.? আমাদের ব্যাপার আমাদেরই ভাবতে দাও। আর অত দরদ লাগলে-নিজের বাড়ি নিয়ে গিয়ে রাখো।
আমি:- দরকার পড়লে নিয়েই যাবো। কিন্তু,
এটা আমার বাবা বাড়ি, আমার ভাইয়ের বাড়ি।এই বাড়িতে থাকার পুর্ন অধিকার রয়েছে-আমার মায়ের।
ভাবি:-- তাই নাকি.? কই-তোমার শাশুড়ি কেও তো তুমি তাড়িয়ে দিয়েছো,তাকে দিনের পর দিন অবহেলা,অপমান করেছো-তখন মনে হয়নি.?- ওটা তোমার শশুর বাড়ি।ওই বাড়িতে তোমার শাশুড়িরও থাকার পুর্ন অধিকার আছে। সে সময় তোমার নিয়ম-নীতি কোথায় ছিলো
?
আমি:- দেখো ভাবি,তুমি আমার পারিবারিক ব্যাপার নিয়ে কথা বলবা না।
ভাবি:- কেন.? নিজের বেলায় সেটা বৈধ। স্বাভাবিক ব্যাপার-পারিবারিক ব্যাপার। আর অন্যদের বেলায় খারাপ.? তাই না.??"
আমি মায়ের দিকে তাকালাম। সেও যেন আমার দিকে প্রশ্নাতুর চোখে তাকিয়ে আছে। কিন্তু, আমি তো উত্তরহীন...---
ভাবি:--দেখো, তোমার কাছে যেমন তোমার মায়ের মুল্য আছে, তার সমস্যা নিয়ে তোমার চিন্তা আছে,ভালবাসা আছে-' ঠিক অন্যের মায়েরও তার মায়ের প্রতি আবেগ, চিন্তা, ভালবাসা সবই আছে।
তারাও পরম ভরসা আর বিশ্বাস নিয়ে তাদের মা' কে তোমার হাতে ছেড়ে দেয়।
কিন্তু, আমরা বউ গুলো কি সেই দ্বায়িত্ব পালন করি.??
আমি তখনও ঠাই দাঁড়িয়ে..
কারণ,
""--'' বিবেক তো ধিক্কার দিচ্ছে-কিন্তু, আমি তো এক মানুষ। আর মানুষ বড় বেঈমানীই করে যায় সারাজীবন।""
লেখিকার কথা--"" আমরা তো মা কে নিয়ে কত শত গল্প,কবিতা,প্রতিবাদ করে ঝড় তুলি।কিন্তু, নিজেদেরকে সত্যিই শুধরিয়ে নিতে পারছি তো.? শুশুড় শাশুড়ির প্রতি নিজেদের দ্বায়িত্ব গুলো পালন করছি তো.? হ্যা, এটা সত্যি যে-কতিপয় শাশুড়ি তাদের বউ মা গুলোকে সহ্য করতে পারে না।কিন্তু, বেশিরভাগই অবহেলিত। তিনি যেমনই হোক, আমাদের দ্বায়িত্ব তাদেরকে যথাযথ সম্মান করা। তাদের প্রয়োজনে ভালবেসে পাশে দাঁড়ানো।""
আসুন না,নিজেদেরকে গড়ে তুলি অন্যদের আদর্শ হিসেবে।""
(গল্পের সাথে লেখিকার জীবনের কোন মিল নাই।শুধুমাত্র গল্পের মাধ্যমে উপলব্ধি এবং দ্বায়িত্ববোধটুকু তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র।))
লেখিকা::-- "সুহা সিনী"
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ