-আরে আনিকা আপু, কেমন আছেন.?(আমি).
-হুম ভালো,তুমি.?
-হ্যা, আপু। আমিও ভাল আছি।কোথায় যাচ্ছেন.?
-কলেজ..!!(আমি ভেবেছি উনি এখনো অনার্স বা মাস্টার্স পড়ছেন)
-হুম,সুহাসিনী। আমি কলেজে জব পেয়েছি।বাংলা ডিপার্টমেন্টের প্রভাষক।
-সত্যি আপু..! শুনে খুব ভাল লাগলো।দেরিতে হলেও আল্লাহ আপনার পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।
আপু একটু মৃদু হাসলেন।কিছুক্ষণ পর বললেন--
-আচ্ছা,সুহা।আমি এখন আসি।নয়ত,দেরি হয়ে যাবে।আগামীকাল গ্রামে আসছি-তোমার ভাইয়াও আসছে। দেখা হবে-তাহলে..
-আপনি বিয়েও করেছেন..!! ভাইয়া কি করেন.?
-উনি একজন ম্যাজিস্ট্রেট।
--😱.কাল তাহলে তো দেখা হচ্ছেই
(আপু আমার মাথায় একটু টোকা দিয়ে চলে গেলেন)
-😃😃.. এত গুলো ভাল নিউজ শুনবো-ভাবিনি।
"আনিকা আপু আমাদের টিউটর ছিলেন।খুব ভাল পড়াতেন।অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ার সময় উনার দুই বান্ধবীর প্রাইমারী স্কুলে চাকরী হয়ে যায়-কারন,তাদের দুজনেরই কোটা ছিল।কিন্তু, আপুর শুধু মেধা ছিল। সেটুকুতে ওই সময় এক্সামে ভাল করলেও চাকরীর জন্য পেরে উঠতে পারেনি।
পাড়ার লোক বলাবলি করতো-"এত বড় হয়ে গেছে,তাও পড়াশোনা শেষ করতে পারলো না।ভাল করে পড়াশোনা করে নাকি.? পড়লে ওই দুজনের মত আনিকারও চাকরী হয়ে যেত।-যদি কিছু নাই পারে-তবে বাপ মায়ের এত পয়সা খরচ করছে ক্যা.! আর ওর বাপ মায়েরও কি মাথা খারাপ হয়েছে--!! এখনি বিয়ে না দিলে পরে যোগ্য পাত্র পাবে..!!"""
কিন্তু, সবকিছু উপেক্ষা করে আনিকা আপু আজ একজন প্রভাষক।যে সমাজের মানুষ তাকে উপহাস করত,আজ সেই সমাজের মানুষই তাকে দেখলে সালাম দেয়। আর যোগ্য পাত্র..??
সেটা আপনিই বুঝে নেন।
-এটা নিছক কোন গল্প নয়।
সামনে এগোতে গেলে হাজারো বাঁধা আসবেই-আর মেয়েদের ক্ষেত্রে তো আরো বেশি।
কিন্তু এই বাধা আর "লোকে কি বলে" ভয়টা উপেক্ষা করে যারা ধৈর্য ধরে এগিয়ে চলে-তারাই সফল।
শেষ করবো প্রিয় লেখিকা বেগম রোকেয়ার সেই সাহস জোগানো উক্তি দিয়ে--
""একটা কাজ করিতে গেলে সমাজ প্রথমে গোলযোগ বাধায়,কিন্তু, একটা সময় পর ঠিকই সেটা মেনে নেয়,মানিয়ে নেয়।""
লেখা;--সুহাসিনী
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ