āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§­ āĻŽাāϰ্āϚ, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4803

আকুতি
.
-প্রশ্নটা সেদিন না করলে পারতে!(সায়মা)
-জানতে খুব ইচ্ছে হলো।তাই সেদিন সুযোগও পেয়ে গেয়েছিলাম।(আবির)
-আমি কিন্তু সেদিন মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
(সায়মা)
-সে আমি বুঝেছি।(আবির)
-কি ভাবে বুঝলে?(সায়মা)
-তোমার মুখের দৃশ্যটা আমাকে বলে দিয়েছিলো।তুমি একদমও প্রস্তুত ছিলে না।(আবির)
-এত বুঝো কি ভাবে?(সায়মা)
-সে তোমার জানার প্রয়োজন নেই।(আবির)
-বলে দিলেই তো ভালো হয়!(সায়মা)
-বলবো,তবে এখনো সময় হয়নি?
-কেনো?আমার তো মনে হয় এখনি ভালো সময়!
দেখো নিস্তব্ধ রাত! তারাদের মিলন মেলা বয়ে যাচ্ছে। জ্যোৎস্নার আলোয় তোমায় ভিজিয়ে নিচ্ছে আপন মনে। আশপাশে জোনাকিপোকারা মিট মিট করে আলো জ্বালিয়ে সাঙ্গ দিচ্ছে।উপরে মেঘের ডানায় চাঁদটা কখনো লুকোচুরি খেলছে।আবার কখনো কালো মেঘের ডানায় লজ্জারাঙা মুখটা ঢেকে নিচ্ছে।(সায়মা)
--হয়েছে এখন একটু থামো!(আবির)
--হুম!তাহলে বলে ফেলো কেনো এত আমাকে নিয়ে এখনো ভাবনার সমুদ্রে ডুবে যাও?(সায়মা)
-- তোমায় ছাড়া ভীষণ একা লাগে।প্রতিটা মুহুর্ত আমার বিষন্নতায় ঘেরে রাখে।(আবির)
--এসব বলো না তো!এমন জ্যোৎস্না বিলাসে মনটা খারাপ হয়ে গেলে চাঁদটাও মন খারাপ করবে!(সায়মা)
--আচ্ছা বাদ দিলাম।রাগ করলে তোমায় সেই সুন্দর লাগে!(আবির)
--দুর,এত লজ্জা দাও কেন!
যা বলার বলো আর তর সইছে না!(সায়মা)
--জানো,পাগলী! সেদিনের পর থেকে আমি তোমার জায়গায় আজো দ্বিতীয় কাউকে বসাতে পারিনি। মা বার বার চায় আমাকে দ্বিতীর বিয়ের পিরিতে বসাতে।কিন্তু,তুমি মারা যাওয়ার পর থেকে বিয়ের নামটা শুনলে কেনো জানি আমাকে বারবার আতংকে রাখে! অদ্ভুত একটা আশংকা মনের মাঝে ভয়ের শিহরণ তুলে।পুরো শরীর তখন ঠান্ডা বরফের মত হয়ে যায়।
মা'কে চিৎকার দিয়ে না শব্দটা বলতে খুব ইচ্ছে হয়।কিন্তু,তখনি আমার বাকরোদ্ধ হয়ে যায়।
কি অদ্ভুত না বিষয়টা!
-কি হলো?তুমি এত নীরব হয়ে গেছো কেনো?(আবির)
-না কিছু না!তারপর কি হলো বলো?থেমে গিয়েছো যে!(সায়মা)
-তোমাকে এমন আনমনা লাগছে। আর বলতে ইচ্ছে করছে না! বাকীটা অন্য কোন সময় কোন এক অবেলায় বলবো। যেদিন ঠিক তুমি এমন জ্যোৎস্না বিলাসে চাঁদনী রাতে আমার কাছে আসবে।সবার অগোচরে।
সেদিনটার জন্য না হয় একটু জমা থাক্।(আবির)
--হুম!
এরপর মুহুর্তে সায়মা পলক রাখতে রাখতে জোৎস্নার আলোর মাঝে দৃশ্যহীন হয়ে যায়।
আরোএকটু সময় আমায় পাশে থাকলে কি এমন হতো!
সায়মার চেখে সেদিনের মত বিষন্নতা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।আমাকে সে লুকানোর জন্যই হঠাৎ হাওয়া হয়ে গেলো!
এই মেয়েটা এমনি একটা রহস্যময়ী।
.
উপরে এতক্ষণ ধরে যার সাথে অদৃশ্যে কথোপকথন হয়েছিলো তারা হলো এক দম্পতি। ছেলেটার নাম আবির।আর মেয়েটার নাম সায়মা।একে অন্যকে খুব ভালোবাসত।ওদের দেখা হয় জীবনের সবচেয়ে সুন্দরতম রাত সেই বাসর রাতে।সেদিন থেকে ওদের পবিত্র ভালোবাসার শুরু।
গ্রামের সাদামাটা একটা মেয়ে।যেমন নম্র,ভদ্র, নামাযী,তেমনি বিশাল মনের মানুষ।
ভালোবাসা একটা মস্ত বড় মন তার মাঝে দেখেছে আবির।
বিয়ের দিন পাত্রীকে বাসরঘরে প্রথম দেখে।
সেই দিন দেখার পর থেকে যে ওর মাঝে অদ্ভুত মায়া আবিরকে আকৃষ্ট করেছে সেটা বলে বুঝানো যাবে না।
বিয়েতে রাজি ছিলনা।বলা যায় এক প্রকার অনিচ্ছা সত্ত্বে সায়মাকে বিয়ে করা।
শহরের পড়তে এসে সহপাটি মেয়ে একজনকে ভালোবেসে ছিল।প্রচন্ড ভাবে ভালোবাসতো।কিন্তু, আবির জানতো না মেয়েটার অন্য কোথাও বিয়ে ঠিক হয়ে আছে।খুব করে মেয়েকে বুঝাতে চাইলো,যেন এ বিয়েতে রাজি না হয়। সে নিশ্চুপ থাকে। তেমন কোন রিয়েক্ট করে নাই।
আসলে মেয়েটার কিছুই করার ছিলো না।এই মেয়েটা আবার অন্য একজনকে ভালোবাসত। সেই ছেলেটা মেয়েটাকে আবার ধোঁকা দেয়।কষ্ট সহ্য করতে না পেরে মেয়েটা কয়েকবার মৃত্যু পথ যাত্রী হয়! সেই মুহুর্তে মেয়ের পরিবার ছিলো এক মাত্র আশার আলো হয়ে নীলার পাশে।
আস্তে আস্তে নীলা স্বাভাবিক ভাবে আগের জায়গায় ফিরে আসে। সুস্থ্য হওয়ার পর থেকে মেয়েটা ভার্সিটিতে ক্লাস করেতে শুরু করে।আর বলে দেয়,বাবা- মা পাত্র ঠিক করতে।ওদের পছন্দই সে বিয়ে করবে। সেই মুহুর্ত থেকেই আমার চোখে মেয়েটা নজর কারে।বেশ সিম্পল।চালচলন টাও বেশ ভালো।
কয়েকমাস যাওয়ার পর লজ্জা ভেঙে যখন বলতে চাইলো ভালোবাসি কথাটা; তখনি মেয়েটা মুচকি হেসে বলে,
-আমার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে।আমি কয়দিন পর কারো ঘরের ধরনী হবো।প্লিজ আপনি মন খারাপ করবেন না।আর ভাববেন না আমি ধোঁকা দিচ্ছি।
এই ধোঁকা শব্দটার সাথে আমি খুব পরিচিত।তাই এ শব্দটার বেদনা কতটা নির্মম আমি ভালো করেই বুঝি।(নীলা)
শুনে অবাক হয়ে অপলক মেয়েটার দিকে চেয়ে থাকি।একটি বিষয় ভাবছিলাম।একবারের জন্যেও নীলা আমার চোখের দিকে মুখ তুলে তাকায়নি!আবাক কান্ড!কি করে না তাকিয়ে কথা বলতে পারে কেউ?যাক্ এত ভেবে এই মুহুর্তে কিছু করার নেই।(আবির)
নীলা কথা শেষ করে নিজের গন্তব্যের দিকে পা বাড়ালো।আর আমি তার যাওয়ার পথটায় নির্বাক তাকিয়ে দেখেছিলাম।
সেদিনের পর হতে আর নীলাকে দিখিনি।একটা সময় ঘাটাঘাটি করে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেছে।আর পেছনের সেই ধোঁকা খাওয়ার করুণ কথাও শুনি।খুব খারাপ লাগে।কেউ পাওয়ার আকুতিতে শেষ হয়ে যায়।আবার কাউকে পেয়েও কেউ চায় না। কি অদ্ভুত একটা রহস্য!
.
তারপর থেকে কোন মেয়েকে ভালোবাসা হয়ে উঠেনা আবিরের। বিয়েও করবে না বলে মনে মনে একটা প্রতিজ্ঞাও করে ফেলে! আজিব ছেলে!
কিন্তু,সেটাও আর রাখতে পারেনি।গ্রামের বাড়িতে আসার পর তার মা জোর পূর্বক বিয়ে করিয়ে দিন।খুব কষ্ট হয় আবিরের।সেদিন খুব করে নীলাকে মন চাইছিলো।
যদি আদৌ তার বিয়ে না হতো,তবে ভালোবাসায় রাঙিয়ে তাকে নিজের মনের মন্দিরে স্ত্রী করে বসিয়ে রাখতাম সারা জীবন।
সে আর হলো না! শুনেছি বাবা-মায়ের পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করে সে বেশ সুখেই আছে।
আসলে একটি কথা কোন কালেই অস্বীকার করা যায় না।সেটা হলো,মুরুব্বীদের কথা পুরনো হলেও সন্তানদের জীবনে ঘটে যায়।
মা - বাবার পছন্দের মাঝে যেমন একটা অদ্ভুত নিয়ামত থাকে তেমনি তাদের দোয়ার বদৌলতে সন্তানরা এক পর্যায় গিয়ে তৃপ্তিসহ সুখী হয়।যার ফলে শেষ পর্যন্ত মা বাবাই শ্রেষ্ঠ হয়ে দুনিয়া আখেরাতে সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হন।
.
এগুলো ভাবতে ভাবতে সায়মার পাশে এসে একটু মনখারাপ নিয়ে বসতে যায় আবির,তখনি সায়মা এসে পায়ে ধরে চসালাম করে।
হতভম্ব হয়ে যায়।কি বলবে বুঝতে পারি না সে!
তারপরেও আমতা আমতা করে বলে,
--এমন করে সালাম করতে হয়?না করলেও চলবে।
মায়া মাখা মুখটা তখনি দেখে আবির!
আবিরের কথা শুনে, ফিক করে হাসি দিতে গিয়ে নিজের মুখে নিজের হাত দিয়ে চেপে ধরে সায়মা বলে,
-স্বামীকে যে কোন মেয়ে নির্দ্বিধায় হাজার বার পায়ে ধরে সালাম করতে পারে।এতে স্ত্রী ছোট হয়ে যায় না বা সম্মানও কমে না।
এত সুন্দর করে
কথা বলার ভঙ্গি মেয়েদের হয়! সেদিন সায়মাকে না দেখলে বুঝাই যেতো না। হা হয়ে নতুন বধূর দিকে চেয়ে থাকে আবির।চোখ দুইটা অপূর্ব সুন্দর!আবারো দ্বিতীয় মেয়ে হিসেবে সায়মার প্রেমে পড়ে সে! আসলে দ্বিতীয় বার বলতে,সায়মা আমার ভালোবাসার দ্বিতীয় মানবী!
সে তখন লজ্জায় একদম গুটিয়ে যায়।লাল মুখখানা আরো লাল হয়ে উঠে।সব মিলিয়ে সায়মাকে এত অপূর্ব সুন্দর লাগছিলো।
মনে মনে অনেক বার আল্লাহ্কে আর মাকে শুকরিয়া জানাই এত সুন্দর গুজালো সাদামাটা মেয়ে আবিরের জন্য জীবন সঙ্গী হিসেবে দিয়েছেন বলে।
.
বিয়ের পর থেকে সুন্দর ভাবে গুছালো জীবন অতিবাহিত করছে সে।
সায়মাকে গ্রামে মায়ের কাছে রেখে আবির কর্ম জীবনে ফিরে আসে।ব্যস্ত শহর,ইট পাথর,এসবকে এখন কর্কশ লাগে।একা একা বিষন্নতা কাজ করে মনে।বার বার মনটানে সায়মার কাছে ফিরে যেতে ইচ্ছে হয়।এত অল্পদিনে এমন মায়া,এত টান কি করে সম্ভব! সায়মাকে প্রায় আদর করে পাগলী বলে ডাকতাম।
ডাকটা শুনলে সে যেনো লজ্জা রাঙা হয়ে যায়।তখন আরো তাকে ভালো লাগতো।কি অপরুপ একটা মায়া সায়মার মাঝে কাজ করে!
বিয়ের পর প্রায় দু'বছর কেটে যায় তাদের।
সায়মা মা হতে চলছে। সায়মা তাকে প্রায় বলতো,জানো
-- "প্রসব বেদনা আমার খুব ভয় করে!"
সে মুচকি হেসে অভয় দিয়ে বলতো,
--দুর পাগলী,ভয় কিসের আমি তো পাশে আছি!ভয় পেয়ো না!
সায়মা তখন কিছু বলতো না।নত মস্তকে নিচু হয়ে বসে থেকে বিরামহীন কেঁদে যায়।
আবির তখন হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে আবারো বললো,
--এই পাগলী এদিকে তাকাও?আর এই হাতটা শক্ত করে তুমিও ধরো!দেখবা তখন কোন ভয় তোমাকে কোন কিছু করতে পারছে না।
কথাটা শুনার পর সায়মা আরো বেশি নীরব জলে ভেসে যায়।অবাক নয়নে অপলক আবিরের দিকে তাকিয়ে কাঁদছে!
সে তখন আর পারছিলো না নিজেকে ধরে রাখতে।টানদিয়ে সায়মার হাতটা ধরে আবির নিজের বুকে শক্ত করে জড়িয়ে নিলো।এমন পাগলী আর অদ্ভুত মেয়ে হতে পারে!
আবির সায়মা কে না পেলে বুঝতোই না।
.
সায়মার সন্তান হওয়ার সময় ঘনিয়ে আসছে..
প্রায় সময় মেয়েটা বিষন্নতায় কাটাতো।মায়ের মত শ্বাশুরি মা,এত ভালো স্বামী সবার কপালে হয় না!তাদের ভালোবাসার ও কমতি ছিলো না।প্রসব বেদনা শুরু হয়।এদিকে আবির আসতেও দেরি হচ্ছে।
সামনে অনেক বড় বিপদ।এদিকে বৃদ্ধা মা অন্য দিকে সে যেতেও দেরি হচ্ছে।কথায় আছে,"বিপদের সময় নাকি পথটা অনেক দীর্ঘ হয়!"
তেমনি আবিরেরও মনে হচ্ছে।
অপারেশন থিয়েটারে সায়মাকে নেয়া হয়।
পাগলের মত কেঁদেই যাচ্ছে সায়মা।
ভীতুর মত পুরো গুটিয়ে গেছে সে।
আর বার বার স্বামীকে দেখার আকুতিতে আরো ডুকরে কেঁদে যাচ্ছে সায়মা।
ভীষণ খুব ভীষণ একাকীত্ব তার পুরো দিকটা ভীত করে তুলেছে।
অপেক্ষা শেষ হলো,আবির সুদূর ঢাকা থেকে গ্রামের সদর হাসপাতালে পৌঁছে।এদিকে বৃদ্ধা মা ও কেঁদে যাচ্ছেন।তত সময়ে সায়মার অপারেশন চলছে।
এমন ক্রিটিক্যাল অবস্থা সায়মার সন্তানকে বাঁচাতে গেলে মাকে বাঁচানে সম্ভবনা।এদিকে আবিরের আসতে দেরি হচ্ছে দেখে ডাক্তাররা সায়মার সম্মতি নিয়ে অপারেশন শুরু করেন।বাচ্চাকে বাঁচিয়ে এনে আবিরের কাছে দেয়া হয়।কিন্তু,চির মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে চির বিদায় নেয় সায়মা।দু'চোখে দেখে বিশ্বাস হচ্ছে না আবিরের। ফুটফুটে সুন্দর মেয়েকে আবিরের কোলে দিয়ে চির শান্তির নিদ্রায় নিদ্রিত হলো সায়মা।
পুরো জীবনে আঁধার নেমে আসে আবিরের।হৃদয়ের মণিকোঠায় জ্বলন্ত আলোটা নিভে ঘোর আঁধারে ভরে যায়।
এখনো তার ফুলের মত মেয়ে আলোকে নিয়েই চলছে ছোট সেই সংসারটা আবিরের।বৃদ্ধা মা অনেক চেষ্টা করেছেন আবিরকে বিয়ের পিরিতে বসাতে।কিন্তু, আবির এক কথায় অটল।সে আর বিয়ে করবে না।বিয়ে তো মানুষের জীবনে একবার হয়।আমার সব এখন আমার এই কলিজাটুকরো মেয়ে আলো।তার আলোয় আমার বাকীটা আঁধারের ঘোর কাটিয়ে নিবো।
দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে সেই মা ও এখন হাল ছেড়ে দিয়েছেন।তিনিও আর বিয়ের কথা আবিরকে বলেন না।নাতনীকে নিয়ে খুব ভালো না থাকলে, একেবারে খারাপ নন।
আবিরের শেষবার সেই কথোপকথনের প্রশ্ন ছিলো সায়মার কাছে,
--যদি এত ভয় ছিলো সন্তান নেয়া,তাহলে আমি তোমার জন্য সন্তান না নিয়েও থাকতে পারতাম।
তবু তোমাকে এভাবে হারিঁয়ে যেতে দিতাম না!
--নতুন বধূ ছিলো সায়মা,তাই সেদিন লজ্জায় কিছু বলতেও পারেনি।
এখন আবির আরো একটা বার সায়মাকে পাওয়ার আক্ষেপ আর আকুতিতে বিভোর থাকে প্রতিটাক্ষণ!
.
লেখা: ফাইজা আক্তার সুবনা।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ