গল্প : অদ্ভুদ ভালবাসা
//
//
রাইটার : Shahriar Hossen Avro
//
//
রাব্বি.. দোস্ত মেঘপরি আইডিটা কার একটু দেখ তো?
অভ্র..ঐ হারামজাদা এই নিয়া তরে কয়টা আইডির মালিক বের করে দিছি ?আর তুই কয়টারে প্রোপজ করচ্ছ??তা কি তর জানা আছে??
রাব্বি..তুই না আমার জানে জিগার দোস্ত এমন করছ কে?
এইটাই লাস্ট
আর তরে কমু না।।
একটু দেখে দে না??
অভ্র..হইছে সর আর পাম দেওয়া লাগব না।।
কালকে জানামো।।
অফ এতক্ষণ কথা বললাম অথচ পরিচয়ি দিলাম না
আমি শাহরিয়ার হোসেন অভ্র।।
আর যার সাথে এতক্ষণ কথা হল সে হল আমার একমাত্র প্রাণ প্রিয় বন্ধু রাব্বি।।
শালারে যে কত মেয়ের আইডি বাইর কইরা দিলাম আর দুই দিন যাইতে না যাইতেই এরে প্রোপজ করে ওরে প্রোপজ করে আর কিছু কথা শুনে কিছুদিন শান্ত থাকে পরে আবার শুরু করে।।।
আজকে দেখলেন না বলতাছে মেঘপরি আইডির মালিক খুজে দিতাম।।
দেখি কারে পছন্দ করলো আবার
,
আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে ল্যাপটপ চালু করে ফেললাম
ওহহহ মা গো
এইটা কেডা
হালায় কি এইডারে পছন্দ করলো নাকি??
এইডারে করলেও দিতাম না
আপনারা ভাবতাছেন কি এমন হল যে এইভাবে চিল্লান মারলাম
আসলে মেঘপরি সার্চ দিতেই দুইটা আইডি আইছে একটা দেখে আমি ক্রাসএইটা এমন তেমন ক্রাস না
এইটা একদম মাইরালা ক্রাস খাইছি
কিন্তু টেনশন তো এইটাই এইডারে তো আবার পছন্দ করে নাই
আচ্ছা আচ্ছা একটা নাম
#মেঘপরি আর একটার নাম
#মেঘপরী
একটা রিশিকার আর একটা দিগিকার
হালারে ফোন দিয়ে দেখি কারে পছন্দ করল
ট্রিং ট্রিং
ফোন ধরে না কে?? এইতো ধরছে
ঐ হালা এতক্ষণ লাগে ফোন ধরতে
রাব্বি..এই একটু ঘুমায়া গেছিলাম
আমি..ফহিনি আমারে কাজ দিয়া তুই ঘুমাছ তরে পাইয়া লই
যার জন্য ফোন দিছি
আইডির নাম কি মেঘপরি?
নাকি
মেঘপরী?
রাব্বি..মেঘপরি।।।।
আমি..হুরে রাখি বাই তরটা পরে বাইর করবাম আগে তর ভাবির ঠিকানা নিয়া লই।।।
কি বুঝলেন না কেন চিল্লান দিলাম না বুঝলে মুরি খান
পরে সোজা আইডিতে ডুকে একদম বায়োডাটা নিয়া কোন জায়গা থেকে বেশি লগইন হয় তাও বের করলাম
বের করে তো আমার চোখ আকাশে কারণ আমাদের বাসার দুই বাসা পরে নাকি থাকে
আর
আমিই চিনি না কেমনডা লাগে
পিকটা ডাওনলোড দিয়া রাব্বিরে দিলাম
কিছুক্ষণ পর হ্যা অভ্র মেয়েটা নাকি এই এলাকায় নতুন তার নাম নীলা আর মেয়েটা নাকি গুন্ডি টাইপের
হালায় কই কি !!সব তো ভালাই ছিল গুন্ডি টাইপ কেরে হওয়া লাগে??।।
যাই হোক এরে আমার লাগবই
তাই পরদিন রাব্বিকে নিয়ে বের হলাম নীলার সাথে পরিচয় হতে।।
কিছুদূর যেতেই তার দেখা পেয়ে গেলাম।।
আহা এত সুন্দর মেয়ে হয় নাকি কত সুন্দর চোখ কেশর কালো চুল
ইচ্ছে করতাছে নাক ডুবিয়ে তার চুল থেকে আসা পাগল করা ঘ্রাণটা নেই
কিন্তু তা সম্ভব না
তাই ইচ্ছাটাকে নিজের মধ্যেই পুষে রাখলাম
কথা বলতে বলতে তার সামনে এসে পরেছি
এখন যাই দেখি পরিচয় হই।।আপনারা কিন্তু সাথে থাকবেন
অভ্র..হাই আমি অভ্র.
((হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে))
নীলা..জুতা চিনস?
জুতা মারমো
,
হাই হাই এই মায়য়া কই কি।।এত গুন্ডি আগে জানলে তো ক্রাসি খাইতাম না
কিন্তু এখন কি করা?
খাইছি তো খাইছিই
মাইরের কথা শুনেই দৌড়
কিছুদিন পিছন পিছন ঘুরে একটু পরিচিত হতে পারছি
কিন্তু ভালোবাসি বলার সুযোগ পাই নাই
কিছুদিন পর....
এখন আমরা দুইজন খুব ভাল বন্ধু
একজন আর একজনরে ছাড়া থাকতে পারি না
একদিন নীলা ফোন দিয়ে বলল তাকে নিয়ে মার্কেটে যাতে তাই ভাবলাম এই সুযোগ
মনের কথা বলার তাই সাথে সাথেই রাজি হয়ে গেলাম
কিন্তু মার্কেটে গিয়ে প্রোপজ করার ইচ্ছা আকাশে উঠছেকারণ মার্কেটে যাওয়ার পথে
এক বড় ভাই নীলাকে প্রোপজ করছিল
আর
নীলা যে থাপ্পর দিছে মনে হয় এই চাপার দাত
ঐ
চাপাই গেছে গা
মার্কেটে করে বাষায় এসে পড়লাম
আজও বলতে পারলাম না
তাই অনেক কষ্ট হচ্ছে
এর কিছু দিন পর
একদিন হঠাৎ নীলাকে আমাদের পাশের এলাকার এক বড় ভাইয়ের সাথে দেখে অনেক কষ্ট হল
তাই ভাবলাম কালকে সকালেঈ প্রোপজ করব
যেই ভাবা সেই কাজ
রাতে ফোন দিয়ে বললাম সকালে দেখা করতে অমুক পার্কে ১0টায়
সকালে ১0 টার আগেই গিয়ে আমি পৌছে গেলাম
কিছুক্ষণ পর দেখলাম নীলা আসতাছে আজ তাকে অনেক সুন্দর দেখা যাচ্ছে একটা নীল শাড়ি পরে আইছে
কাছে এসে বসেই হুম বল এত সকালে কেন ডাকলে
আমি বললাম তুমি জানই আমি কথা পেচাতে পছন্দ করি না
তাই সোজা সোজি বলতাছি
আমি তোমার ছবি ফেবুতে দেখেই প্রেমে পড়ে যাই যার কারণে তুমার সাথে পরিচয় হতে আসি
অনেক আগেই বলতাম আমার ভালবাসার কথা কিন্তু সাহসের অভাবে বলতে পারি নাই
আমার মনে হচ্ছে তুমি আস্তে আস্তে আমার কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছ তাই আজকে বললাম।।
বিশ্বাস কর আমি তোমাকে সত্যিই অনেক ভালবাসি এখন তোমার ইচ্ছা
কথা গুলো শেষ হওঢ়ার আগেই ঠাসসস ঠাসসস দুইটা শদ্ব হলো।
পরে নীলা বলতে লাগল ছি অভ্র তুমার মন এত নিচু
আমি তোমাকে শুধু বন্ধু ভাবতাম আর তুমি তুমি কিনা ছি আর কখনই যাতে তোমাকে আমার ষামনে না দেখি
এই বলেঈ নীলা হন হন করে চলে যায় আর অভ্র শুধু পানি ভরা চোখে নীলার চলে যাওয়া দেখছে
এর পর থেকে অভ্র নিজেকে পরিবর্তন করে ফেলে
বাসা থেকে বের হয় না
ঠিক মত ঘুমায় na
যে সব সময় আড্ডায় মেতে থাকত তাকেই এখন আড্ডাতে পাওয়া যায় না
কিছুদিন যাওয়ার পরে নীলা বুঝতে পারে
অভ্র তার জীবনে কত খানি গুরুত্ব পূর্ণ ছিল
সেও যে তাকে মনের অজান্তেই ভালবেসে ফেলেছে কিন্তু ততখনে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে
অভ্রকে ফোন দিয়ে দেখে অভ্রর ফোন বন্ধ
তাই তার বাসা পরিবর্তন করে ফেলে
এইদিকে অভ্র অনেক কষ্টে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে
দিনে নীলার কথা মনে না পরলেও রাতে ঠিক থাকতে পারে না
নীলাও আস্তে আস্তে অনেক দুর্বল হয়ে যায়
ঠিক মত খাওয়া দাওয়া না করার কারণে
ঐ ঘটনার তিন বছর পর নীলারা সিলেটে যাই ঘুরতে
গিয়ে অভ্রর সাথে দেখা হয়
কিন্তু অভ্র নীলাকে চিনেও না চিনার ভান করে এইদিকে নীলা অভ্রকে
একবার দেখেই চিনে ফেলে তার পর জড়িয়ে দরে কাদতে কাদতে বলে
তুমি আমাকে এইভাবে একলা রেখে চলে
আসছিলা কেন জানো তোমাকে কত খুজেছি
কিন্তু কোথাও পাই নাই
অভ্র বলল তুমিই তো বলেছিলে আমাকে ভালবাস না
তাই চলে আসি ওখানে থাকলেই তুমার কথা মনে পড়ত
কিন্তু তুমি তো আমাকে ভালবাস না
কিন্তু তাহলে কেন কষ্ট পেলে
নীলা কেদে কেদে বলল
তুমি চলে আসার পর
আমি বুঝতে পারে আমি তুমাকে মনের অজান্তেই ভালবেসে ফেলেছি প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিও না প্লিজ
অভ্রকে শক্ত করে জড়িয়ে দরে নীলা এইগুলো বলতে থাকল
অভ্র নীলাকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে
এই পাগলি কাদছো কেন আমি তো তুমাকে আগে থেকেই ভালবাসি ফিরিয়ে দিব কেন??
নীলা চোখ মুছে বলল সত্যি!!!
অভ্র..হুম
নীলা..তাহলে প্রোপজ করো
অভ্র..ও আমার 21 বাচ্চার মা
তুমি কি আমাকে তুমার
21 বাচ্চার বাবা হতে দিবে??।
কথা দিলাম দুইটা ফুটবল আর একটা ক্রিকেট টিম আমাদের ঘর থেকেই বের করব
দিবে কি তুমি সেই সুযোগ??
নীলা...যা শয়তান এই বলে
লজ্জায় অভ্রর বুকে মাথা লুকালো
শুরু হল আর একটা ভালবাসার অধ্যায়
ভাল থাকুক
(((সমাপ্ত)))
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ