āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§Šā§§ āĻŽাāϰ্āϚ, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4827

#এরেন্জ_লাভস্টোরি

   আমি তানহা তাবাসসুম । কয়েকদিন আগেই লেখাপড়া শেষ করলাম । এখন মা বাবা বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে । এতদিন লেখাপড়ার বাহানায় না করেছি , কিন্তু এখন আর তাও পারছি না । দেখতে খুব আহামরি না হলেও ওতটা খারাপও না ।

    কিছুদিনের মধ্যেই মা বাবার পছন্দের এক ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিল । বিয়ে নিয়ে সবার মতো আমারো অনেক স্বপ্ন ছিল , জানি না পূরণ হবে কি না । ছেলের নাম না কি কাব‍্য । নাম শুনেই প্রথম দফায় প্রেমে পড়ে গেলাম । যার নাম এতো রোমান্টিক সে না যেন কতটা রোমান্টিক হবে । এসব ভাবতে ভাবতেই আমার বর মহাশয় চলে এলেন । কিছুক্ষণের নিস্তব্ধতার পর

কাব্য : তানহা , দেখো আমাদের বিয়েটা পুরোপুরি পারিবারিক হয়েছে । আমার একে অপরকে ভালোভাবে জানার সুযোগ পাইনি । এজন্য হয়তো তোমার মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে । তোমার যত সময় লাগে নিতে পারো । শুধু এইটা কথাই বলবো আমার মাকে কখনো কষ্ট দিওনা । বাবা মারা যাওয়ার পর আমিই ছিলাম ওনার সব । আর এখন আমরা দুইজনই ওনার সবকিছু । সবার সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা কোরো ।
( এত সুন্দর গুছিয়ে কেউ কথা বলতে পারে জানতাম না । ওনার কথার ধরন দেখে আমি আরেক দফায় প্রেমে পড়লাম ।। হিহিহি )
আমি : আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আপনাদের খুশি রাখতে । আর আম্মুকেও বলবেন আমাকে নিজের মেয়ের মতো আদর করতে ।
কাব্য : আচ্ছা , তাই ই হবে । চলো সালাত আদায় করে এবার শুয়ে পড়ো । সারাদিন অনেক ধকল গেছে ।

   মূহুর্তের মধ্যে আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল । কত স্বপ্ন ছিল এই রাত নিয়ে । বরের কাঁধে মাথা রেখে সারারাত চাঁদ দেখবো আর গল্প করবো । কিন্তু তা আর হলো না ।

   সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি উনি আগেই উঠে পরেছেন ।
আমি : আপনি আমাকে ডাকেননি কেন ? কত বেলা হয়ে গেল ।
কাব্য : গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলে , তাই আর ডাকিনি । এখন তুমি ফ্রেশ হয়ে এসে নাস্তা করে নাও । মা তোমার জন্য অপেক্ষা করছে ।
আমি : আম্মু এখনো খায়নি ? ওনাকে বলতেন খেয়ে নিতে ।
কাব্য : আমাদের বাড়ির নিয়ম সবাই একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া করবে সে যত দেরি হোক না কেন ।
আমি : আচ্ছা কালকে থেকে তাড়াতাড়ি ওঠার চেষ্টা করবো ।

   উনি একটা মুচকি হাসি দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন । আর আমিও ফ্রেশ হতে চলে এলাম ।
   বর মহাশয়কে যতই দেখছি ততই অবাক হচ্ছি । ওনার কথা বলার ধরন যেমনটা সুন্দর ব‍্যবহার তার চেয়েও বেশি সুন্দর ‌। খুব ডিসিপ্লিনড , কেয়ারফুল । কিন্তু একদম আনরোমান্টিক । যাই হোক একটা মানুষ তো আর সবদিক দিয়ে পারফেক্ট হয়না । আমি এভাবেই মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো ।

  একদিন আকাশে প্রচন্ড মেঘ করেছে । চারদিক অন্ধকার আর ঝড়ো হাওয়া । বিয়ের আগে স্বপ্ন দেখতাম এরকম ঝড়ের সময় বরের সাথে হাঁটতে বের হবো । দুজনে একসাথে হাঁটব , বৃষ্টিতে ভিজবো , শিউলি ফুলের মালা পরবো । বিয়ে তো হলো ঠিকই কিন্তু এমন আনরোমান্টিক লোককে দিয়ে এসব স্বপ্ন পূরণ হবে না । কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই উনি এসে পড়লেন

কাব্য : তানহা , আলমারিতে একটা প‍্যাকেট আছে । তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে এসো তো । আমি বাইরে অপেক্ষা করছি ।
আমি : জ্বী আচ্ছা । কিন্তু কোথাও যাবেন নাকি ?
কাব্য : এতো প্রশ্ন করো না । তাড়াতাড়ি এসো ।

   আমি বাধ্য মেয়ের মতো ঘরে এসে আলমারি থেকে প‍্যাকেটটা বের করলাম । বেশ যত্ন করে র‍্যাপিং করা । প‍্যাকেটটা খুলে আমি তো পুরোই অবাক । একটা নীল রঙের শাড়ি । নীল আমার পছন্দের রং । কিন্তু সমস্যা হলো আমি তো শাড়ি পড়তে পারিনা । আম্মুও বাসায় নেই । তাই ওনাকেই ডেকে বললাম । ভেবেছিলাম হয়তো রাগ করে কিছু একটা বলবে । কিন্তু উনি নিজের হাতে আমাকে শাড়ি পড়িয়ে সাজিয়ে দিলেন । সাজ বলতে হালকা কাজল আর নীল চুড়ি । এতো সুন্দর করে কেউ সাজাতে পারে জানতামই না । না কি উনি নিজের হাতে সাজিয়েছেন বলেই বেশি সুন্দর লাগছে বুঝতে পারলাম না । নিজের উপরই নিজে ক্রাশ খেয়ে গেলাম ।

   এরপর ওনার সাথে বের হলাম । খুব ভালোই লাগছিলো । কিন্তু ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না কোথায় যাচ্ছি । ঝড়ো হাওয়ায় ফাঁকা রাস্তায় হাঁটছি দুজন ।

আমি : আচ্ছা , আমরা কোথায় যাচ্ছি ?
কাব্য : চুপচাপ চলো আমার সাথে ।

   আমরা হাঁটতে হাঁটতে একটা লেকের পাড়ে এলাম । চারদিক নির্জন সাথে টুপটাপ বৃষ্টি । উনি আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আমার চুলে কিছু একটা লাগিয়ে দিলেন । পরক্ষণে আমি হাত দিয়ে দেখি আমার পছন্দের শিউলি ফুলের মালা । উনি এবার মাটিতে বসে আমার পায়ে একজোড়া নূপুর পড়িয়ে দিলেন । আমি অবাক হবো নাকি খুশি হবো বুঝতে পারছি না । একমুঠো শিউলি নিয়ে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে

কাব্য : তোমার ঐ মেঘ কালো
চোখের ভাষায়
মাতাল করা হাসি
আর ভেজা চুলে
গোলাপী ঐ ঠোঁটের
বেলকুনিতে 
রং তুলিতে আকাঁ
আমার অবসর বিকেল ।
ভালোবাসি তোমায় । আপন করে নেবে কি আমায় ?

  আমি বলার মতো কিছু পাচ্ছি না । চোখের অশ্রু গুলো বৃষ্টির সাথে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে । উনি বুকে জড়িয়ে ধরলেন আমায়

কাব্য : এই পাগলি , কাঁদছো কেন ?
আমি : এভাবেই জড়িয়ে রাখবেন তো আজীবন ?
কাব্য : জীবনের শেষ সূর্যাস্ত একসাথে দেখবো , প্রতিজ্ঞা করলাম ।

                            ( সমাপ্ত )

#তুষারসিক্তা

4827

#এরেন্জ_লাভস্টোরি

   আমি তানহা তাবাসসুম । কয়েকদিন আগেই লেখাপড়া শেষ করলাম । এখন মা বাবা বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে । এতদিন লেখাপড়ার বাহানায় না করেছি , কিন্তু এখন আর তাও পারছি না । দেখতে খুব আহামরি না হলেও ওতটা খারাপও না ।

    কিছুদিনের মধ্যেই মা বাবার পছন্দের এক ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিল । বিয়ে নিয়ে সবার মতো আমারো অনেক স্বপ্ন ছিল , জানি না পূরণ হবে কি না । ছেলের নাম না কি কাব‍্য । নাম শুনেই প্রথম দফায় প্রেমে পড়ে গেলাম । যার নাম এতো রোমান্টিক সে না যেন কতটা রোমান্টিক হবে । এসব ভাবতে ভাবতেই আমার বর মহাশয় চলে এলেন । কিছুক্ষণের নিস্তব্ধতার পর

কাব্য : তানহা , দেখো আমাদের বিয়েটা পুরোপুরি পারিবারিক হয়েছে । আমার একে অপরকে ভালোভাবে জানার সুযোগ পাইনি । এজন্য হয়তো তোমার মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে । তোমার যত সময় লাগে নিতে পারো । শুধু এইটা কথাই বলবো আমার মাকে কখনো কষ্ট দিওনা । বাবা মারা যাওয়ার পর আমিই ছিলাম ওনার সব । আর এখন আমরা দুইজনই ওনার সবকিছু । সবার সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা কোরো ।
( এত সুন্দর গুছিয়ে কেউ কথা বলতে পারে জানতাম না । ওনার কথার ধরন দেখে আমি আরেক দফায় প্রেমে পড়লাম ।। হিহিহি )
আমি : আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আপনাদের খুশি রাখতে । আর আম্মুকেও বলবেন আমাকে নিজের মেয়ের মতো আদর করতে ।
কাব্য : আচ্ছা , তাই ই হবে । চলো সালাত আদায় করে এবার শুয়ে পড়ো । সারাদিন অনেক ধকল গেছে ।

   মূহুর্তের মধ্যে আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল । কত স্বপ্ন ছিল এই রাত নিয়ে । বরের কাঁধে মাথা রেখে সারারাত চাঁদ দেখবো আর গল্প করবো । কিন্তু তা আর হলো না ।

   সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি উনি আগেই উঠে পরেছেন ।
আমি : আপনি আমাকে ডাকেননি কেন ? কত বেলা হয়ে গেল ।
কাব্য : গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলে , তাই আর ডাকিনি । এখন তুমি ফ্রেশ হয়ে এসে নাস্তা করে নাও । মা তোমার জন্য অপেক্ষা করছে ।
আমি : আম্মু এখনো খায়নি ? ওনাকে বলতেন খেয়ে নিতে ।
কাব্য : আমাদের বাড়ির নিয়ম সবাই একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া করবে সে যত দেরি হোক না কেন ।
আমি : আচ্ছা কালকে থেকে তাড়াতাড়ি ওঠার চেষ্টা করবো ।

   উনি একটা মুচকি হাসি দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন । আর আমিও ফ্রেশ হতে চলে এলাম ।
   বর মহাশয়কে যতই দেখছি ততই অবাক হচ্ছি । ওনার কথা বলার ধরন যেমনটা সুন্দর ব‍্যবহার তার চেয়েও বেশি সুন্দর ‌। খুব ডিসিপ্লিনড , কেয়ারফুল । কিন্তু একদম আনরোমান্টিক । যাই হোক একটা মানুষ তো আর সবদিক দিয়ে পারফেক্ট হয়না । আমি এভাবেই মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো ।

  একদিন আকাশে প্রচন্ড মেঘ করেছে । চারদিক অন্ধকার আর ঝড়ো হাওয়া । বিয়ের আগে স্বপ্ন দেখতাম এরকম ঝড়ের সময় বরের সাথে হাঁটতে বের হবো । দুজনে একসাথে হাঁটব , বৃষ্টিতে ভিজবো , শিউলি ফুলের মালা পরবো । বিয়ে তো হলো ঠিকই কিন্তু এমন আনরোমান্টিক লোককে দিয়ে এসব স্বপ্ন পূরণ হবে না । কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই উনি এসে পড়লেন

কাব্য : তানহা , আলমারিতে একটা প‍্যাকেট আছে । তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে এসো তো । আমি বাইরে অপেক্ষা করছি ।
আমি : জ্বী আচ্ছা । কিন্তু কোথাও যাবেন নাকি ?
কাব্য : এতো প্রশ্ন করো না । তাড়াতাড়ি এসো ।

   আমি বাধ্য মেয়ের মতো ঘরে এসে আলমারি থেকে প‍্যাকেটটা বের করলাম । বেশ যত্ন করে র‍্যাপিং করা । প‍্যাকেটটা খুলে আমি তো পুরোই অবাক । একটা নীল রঙের শাড়ি । নীল আমার পছন্দের রং । কিন্তু সমস্যা হলো আমি তো শাড়ি পড়তে পারিনা । আম্মুও বাসায় নেই । তাই ওনাকেই ডেকে বললাম । ভেবেছিলাম হয়তো রাগ করে কিছু একটা বলবে । কিন্তু উনি নিজের হাতে আমাকে শাড়ি পড়িয়ে সাজিয়ে দিলেন । সাজ বলতে হালকা কাজল আর নীল চুড়ি । এতো সুন্দর করে কেউ সাজাতে পারে জানতামই না । না কি উনি নিজের হাতে সাজিয়েছেন বলেই বেশি সুন্দর লাগছে বুঝতে পারলাম না । নিজের উপরই নিজে ক্রাশ খেয়ে গেলাম ।

   এরপর ওনার সাথে বের হলাম । খুব ভালোই লাগছিলো । কিন্তু ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না কোথায় যাচ্ছি । ঝড়ো হাওয়ায় ফাঁকা রাস্তায় হাঁটছি দুজন ।

আমি : আচ্ছা , আমরা কোথায় যাচ্ছি ?
কাব্য : চুপচাপ চলো আমার সাথে ।

   আমরা হাঁটতে হাঁটতে একটা লেকের পাড়ে এলাম । চারদিক নির্জন সাথে টুপটাপ বৃষ্টি । উনি আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আমার চুলে কিছু একটা লাগিয়ে দিলেন । পরক্ষণে আমি হাত দিয়ে দেখি আমার পছন্দের শিউলি ফুলের মালা । উনি এবার মাটিতে বসে আমার পায়ে একজোড়া নূপুর পড়িয়ে দিলেন । আমি অবাক হবো নাকি খুশি হবো বুঝতে পারছি না । একমুঠো শিউলি নিয়ে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে

কাব্য : তোমার ঐ মেঘ কালো
চোখের ভাষায়
মাতাল করা হাসি
আর ভেজা চুলে
গোলাপী ঐ ঠোঁটের
বেলকুনিতে 
রং তুলিতে আকাঁ
আমার অবসর বিকেল ।
ভালোবাসি তোমায় । আপন করে নেবে কি আমায় ?

  আমি বলার মতো কিছু পাচ্ছি না । চোখের অশ্রু গুলো বৃষ্টির সাথে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে । উনি বুকে জড়িয়ে ধরলেন আমায়

কাব্য : এই পাগলি , কাঁদছো কেন ?
আমি : এভাবেই জড়িয়ে রাখবেন তো আজীবন ?
কাব্য : জীবনের শেষ সূর্যাস্ত একসাথে দেখবো , প্রতিজ্ঞা করলাম ।

                            ( সমাপ্ত )

#তুষারসিক্তা

āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§¨ā§Ž āĻŽাāϰ্āϚ, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4826

গল্প:লজ্জাবতী বউ।
.
--সবে মাত্র সাত দিন হলো বিয়ে করেছি।বিয়ে যে করেছি নিজের কাছে মনে হচ্ছে না।মনে হচ্ছে বিবাহিতো ব্যাচেলার।এখনো নিজের কাজ নিজে করি, আর না হয় মা করে দেয়।বিয়ে করেছি কিন্তু বউয়ের স্পর্শ এখনো পাইনি,পাবোই বা কিভাবে বউ যে পালিয়ে পালিয়ে বেড়ায়।
.
--কী ভাবছেন আপনারা,আমি কালো,কিংবা বউ পেটাই, আসলে সেটা না,আমার বউয়ের অনেক লজ্জা। আহা কথাটা শুনলেই আমারও কেমন জানি লজ্জা পাই।যেই মেয়ে বিয়ের পরেও স্বামীর কাছে যেতে লজ্জা পাই,তাকে আর কী বলবো।অনেক কিছুই তো শুনলেন,আরো বলবো অফিস থেকে ঘুরে আসি---
.
--মা,ওমা,কই তুমি?
--মা এখানে নেই।
--কই গেছে?
---কাজে আছে, তাই আমাকে পাঠালো।কিছু দরকার কী?
--মা কে গিয়ে বলো আমার অফিসের ফাইল টা পাচ্ছি না।
---ফাইল টা ড্রয়ারে রাখা আছে।
---কে রাখছে ওখানে?
---আমি রাখছি।
>কথাটা বলেই রূপন্তী দ্রুত পায়ে হেটে চলে গেলো,ও আপনাদের তো বলাই হয়নি রূপন্তীই আমার বউ।বউ বলতে কেমন জানি লাগছে।এখনো ইয়ে টিয়ে কিচ্ছু হলো না আর বউ। আর আমি মাহিন,একটা বেসরকারি কম্পানিতে চাকরি করি।সব কিছু গুছিয়ে বের হলাম অফিসের দিকে।
.
অফিসে ঢুকতেই আমার কলিগ বলতে লাগল-
--আরে মাহিন সাহেব,আপনি অফিসে?
--কেনো অফিসে আসা নিষেধ আছে নাকি আমার?
--না সেটা বলিনি,আপনি তো বিয়ে করছেন?
---বিয়ে তো আপনিও করছেন,তাতে সম্যসা কী?
---সম্যসা টা হলো আমি অনেক আগে বিয়ে করছি,আর আপনি সবে মাত্র কিছুদিন হলো।
--তা সম্যসা টা কোথায়?
---সম্যসা হলো আপনার ছুটি দশদিন আর আপনি সাত দিনের মাথায় অফিসে।বউয়ের সাথে কী ঝগড়া করে আসছেন নাকি?
[এই সেরেছে আমার নিজেরই তো মনে নেই দশ দিনের ছুটিতে ছিলাম,কিভাবে মনে থাকবে,বউয়ের সাথে একটু ভাব ভালবাসা তৈরি হলে না হয় অফিসের কথা ভুলেই যেতাম।কী লজ্জার বিষয়]
---কী মাহিন সাহেব কী ভাবছেন?
---না,না,তেমন কিছু না।আসলে ভুলে গেছিলাম।আচ্ছা থাকেন।আমি বাসায় যায়।
>যাক গে তেমন কেউ দেখেনি,না হলে যে কী হতো।অল্পেতে বেচে গেছি।লজ্জা তে মরে যাই,মরে যাই।বউয়ের মত লজ্জা যেনো না আসে আবার।
.
>কী আর করার শেষমেষ বাসায় ফিরে এলাম।বাসায় এসেই বা কী করব,না পারবো বউয়ের সাথে রোমান্স করতে না পারবো অন্য কিছু করতে।এতো লজ্জা যে কই রাখে।এই লজ্জাটাই দেখছি আমার জীবনটার তেরো টা বাজাবে।
---কী ব্যাপার বাসায় ফিরে আসলেন যে?
[পিছনে তাকিয়ে দেখি বউ মানে রূপন্তী লাজুক কন্ঠে জানতে চাইছে]
---আমিও হাসি হাসি মুখে বললাম- কী করব,খুব লজ্জা লাগছিলো যে।
---ধূর কী যে বলেন না,লজ্জা তো মেয়েদের থাকে,ছেলেদের আবার লজ্জা থাকে নাকি।
[রূপন্তীর কথা শেষ না হতেই জড়িয়ে ধরে একটা চুমু দিলাম কপালে,বউ তো একবার আমাদের দিকে তাকায় আবার নিচের দিকে তাকায়]
--এই কী করলেন এসব,লজ্জা সরম নেই বুঝি? [রূপন্তী]
---তুমিই না মাত্র বললে ছেলেদের নাকি লজ্জা সরম নেই।
---ধূরর আপনি একটা অসভ্য।
---বউ কে চুমু দেয়া যদি অসভ্য হয় তাহলে কাল থেকে সভ্য কাজ করবো।
---কী করবেন শুনি?
---বাইরের মেয়েদের কে চুমু দিবো।
---এই দেখেন মোটেও এমন করবেন না।অন্য কোন মেয়ের দিকে নজর দিবেন না।শুধু আমার দিকে নজর দিবেন।
---নজর দিয়ে কী করব।যদি চুমু দিতে না পারি।
--ঠিকআছে প্রতিদিন একটা করে চুমু দিবেন।তবে একটাই কিন্তু..
>কথাটা বলেই বউ লাজুক মুখখান নিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে চলে গেলো।হয়তো এখন মায়ের আচল তলে মুখ লুকাবে।তবে মেয়ে যাই হোক নিজের স্বামীর ভাগ অন্য কাউকে দিবে না।সুযোগ তো পাইছি,একটা একটা একটা করে এভাবে চুমুর সংখ্যা বাড়িয়ে যাবো।
.
পরের দিন বিকেল বেলা...
.
----মা আমি একটু বাইরে গেলাম..
---কোথায় যাচ্ছেন (বউ মানে রূপন্তী)
---খুব চুমু খেতে ইচ্ছা করছে, তাই বাইরে গিয়ে দেখি যদি কোন মেয়ে পাই।
---কী,সকালে না আমাকে দিলেন,আবার কেনো?
---একটা তে মন ভরছে না।
---ঠিকআছে,তাহলে আমাকে করেন।তবুও অন্য মেয়ে না।
>কী আর করা বউ নিরুপায় হয়ে আবার ইয়ে করতে দিলো।
.
---আবার কোথায় যাচ্ছেন? (রূপন্তী)
---বাইরে থেকে ঘুরে আসি। (আমি)
---বাইরে যাচ্ছেন তাহলে আমিও যাবো।
--কানে কী ভুল শুনলাম-কী বললে আবার বলো?
---আমিও যাবো ঘুরতে আপনার সাথে।
--কেনো তোমার লজ্জা করবে না?
--করবে,তবুও যাবো।
---ঠিকআছে রেডি হয়ে এসো।
>মনে লাড্ডু ফটাশ।বউ  আমার, লজ্জা ভেঙে আমার সাথে যাবে ঘুরতে,তার মানে সামথিং সামথিং।কী যে খুশী লাগছে।
.
>আমি আর রূপন্তী রিক্সায় বসে আছি।উদ্দেশ্য ঝিনাইদহ মৌসুমী শপিংমল।হয় তো আজ একটু পকেট ফাকা হবে আর কী।
---এই যে এতো সরে আসছেন কেনো আমার দিকে।
---কেন আসতে পারি না?
---জানি না,তবে আমার লজ্জা লাগছে কিন্তু।শরীর ঘেষে না বসে একটু ফাকা রাখেন।
>কী আর করব,যা একটু অনুভূতি অনুভব করছি তাও আর হলো না।রিক্সাওয়ালাও যেনো কেমন করে তাকিয়ে ছিলো,হয় তো এটা আমার বউ নাকি সন্দেহ করছিলো।
.
>উরে মা শপিংমল যে লেডিসমল হয়ে গেছে।চারিদিকে কত রকমের পরী,কোনটা থুয়ে কোনটার দিকে তাকাবো ভেবেই পাচ্ছি না।
---এইই এই এইই, (রূপন্তী)
--কী হইছে বলো?
---অন্য মেয়েদের দিকে তাকাচ্ছেন কেনো?
---দেখছো না নাল,নীল,হলুম,সাদা,বেগুনী,
কতরকমের পরী।
--তাই বলে তাকাতে হবে?
---না তাকিয়ে কী করব,বউ তো আমার সাথে থাকে না।
---ঐ চুপ,চুপ,বাসায় চলেন চোখ একদম তুলে নিবো।
><ওমা বউ কী কয়,লজ্জাবতী বউ হঠাৎ করে রাগী বউ হইলো কিভাবে।
.
>শপিংমল থেকে সামান্য কিছু কেনাকাটা করে,একটু ঘোরাঘুরি করে,রাতের কিছু খাবার কিনে বাসায় আসলাম।রূপন্তী তো লজ্জার কারনে বাইরে খেতেও চাইলো না।রিক্সা থেকে নেমে রূপন্তীর হাতে একটা পায়েল গুজে দিলাম।রূপন্তী অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে,হয়তো বুঝতে পারেনি কখন কিনেছি এটা।
.
>রাতের খাবার খেয়ে আজ একটু তাড়াতিড়িই শুয়ে পড়লাম।খুব ক্লান্ত শরীর আজকে।কিছুক্ষন পরেই দরজার ঠক ঠক শব্দ পেয়ে দরজাটা খুললাম।
দরজা খুলেই দেখি রূপন্তী দাড়িয়ে আছে।আমি অভদ্রের হাসি দিয়ে বললাম-
আরে এত রাতে তুমি এখানে?
রূপন্তীর চোখে-মুখে আনন্দ দেখতে পাচ্ছি। চোখে সামান্য
ভয় সামান্য আনন্দ। পিছনে হাতে পায়েল টা ধরে রেখেছে।
রুমের দরজা বন্ধ করছে রূপন্তী! আমার চোখ আকাশে উঠল। যে মেয়ে আমার
সামনেই আসেনা সে মেয়ে আজকে
আমি রুমে থাকতেই দরজা বন্ধ করছে!
বললাম - দরজা বন্ধ করছ কেন?  রূপন্তী আমার
সামনে এসে বলল-পায়েল টা পড়িয়ে দিন।আমি তাড়াতাড়ি বললাম-
আমি পায়েল পরাতে পারি না।
রূপন্তী বলল-সেইজন্যই তো দরজা বন্ধ করলাম।
আমি অবাক হয়ে বললাম -' মানে?  রূপন্তী হাতে পায়েল ধরিয়ে দিয়ে বলল-
আপনি নিজের হাতে পায়েল না
পড়ালে আমি পায়েল পড়ব না।এরপর রূপন্তী আলতো করে তার পা থেকে শাড়ী উপরে তুলল,আর আমি পায়েল টা পড়িয়ে দিয়ে দাড়িয়ে থাকলাম। রূপন্তী আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,আমার বুকে মুখ লুকালো।হয়তো লজ্জা পাচ্ছে। আর আমি চেচিয়ে বললাম আমার কিন্তু খুব লজ্জা করছে।বাকিটা ইতিহাস...
.
লেখা:শাহীন আলম সবুজ (মেঘলা আকাশ)

4825

গল্প:ভালবাসার নতুন প্রহর।
লেখা:শাহীন আলম সবুজ (মেঘলা আকাশ)
.
ট্রেনের টিকিট নেয়ার জন্য লাইনে দাড়িয়ে আছে নাবিলা।অসহ্য রকমের গরম তাই মাঝে মাঝে বাতাস করছে।নাবিলা খুলনা স্টশনে আছে,গন্তব্য ঝিনাইদহ।নাবিলা অনেকদিন পর বাসায় ছুটি কাটিয়ে আবার তার পড়াশোনার জন্য চলে যাচ্ছে।ঝিনাইদহ সরকারি ম্যাটসে সে পড়াশোনা করে।
.
ট্রেন ছাড়তে এখনো কিছুটা সময় বাকি,তাই নাবিলা কিছু হালকা খাবার কিনে ওয়েটিং রুমে বসলো।পাশে বিস্কুটের প্যাকেট থেকে বিস্কুট নিয়ে খেতে লাগল নাবিলা।নাবিলা কিছুটা অবাক পাশ থেকে অন্য একটি ছেলে বিস্কুট খেতে লাগল।
নাবিলা একটা নিচ্ছে সাথে সাথে ছেলেটিও একটা করে বিস্কুট নিচ্ছে।
.
নাবিলার  এখন কেমন জানি অসহ্য লাগছে ছেলেটার আচরন দেখে।নাবিলা ভাবছে একটুখানি ভদ্রতা ছেলেটার মধ্যে নেই,আরে বাবা বিস্কুট খাবি খা, অন্তত তো অনুমতি তো নিতে পারে।অসভ্য ছেলে একটা।পকেটে টাকা নেই বললেই হতো আমি না হয় বিস্কুট কিনে দিতাম,তাও এসব অভদ্রতা নাবিলা সহ্য করতে পারছে না।শেষে নাবিলা কথা না বলে থাকতে পারল না..
---এই যে শোনেন আপনি আমার বিস্কুট খাচ্ছেন কেনো শুনি?
--ছেলেটা (চুপ)
---ভদ্রতার খাতিরে তো অনুমতি তো নিতে পারেন নাকি।
---(চুপ)
---কি কথা বলতে পারেন না নাকি।অভদ্রতা তো খুব ভালই করছেন দেখি।
--ছেলেটা আবারো (চুপ).
>নাবিলা হঠাৎ খেয়াল করলো ছেলেটা আর বিস্কুট খাচ্ছে না,যখন থেকে নাবিলা খাওয়া বন্ধ করেছে।নাবিলা ছেলেটার ভাবসাপ বোঝার জন্য আবারো একটা বিস্কুট নিলো।
ওমা একি ছেলেটা তো আবার একটা বিস্কুট নিলো।
.
কিছুক্ষন এভাবেই চলতে থাকলো।নাবিলা একটা নিচ্ছে তো ছেলেটাও একটা নিচ্ছে।নাবিলাও বিষয়টা সহ্য করে যাচ্ছে আর রাগে খিটবিট করছে।নাবিলা ভাবছে এর আগে কখনো এমন ছ্যাচড়া দেখিনি।অনেক রকমের ছ্যাচড়া দেখেছে কিন্তু এই ছেলেটার মত বিস্কুট ছ্যাচড়া দেখেনি।
.
এক পর্যায়ে বিস্কুটের প্যাকেটে আর মাত্র  একটা বিস্কুট পড়ে আছে।নাবিলা বিস্কুট টা নিচ্ছে না তার কারন ছেলেটা কী করে দেখার জন্য।একটু পরেই ছেলেটা বিস্কুট হাতে নিলো।
নাবিলা ভাবছে কত্ত বড় অভদ্র আমার প্যাকেটের বিস্কুটা আমার নেয়ার অধিকার,কিন্তু ছেলেটা এমন ভাব করছে যেনো বিস্কুটের প্যাকেট টা তার।
.
এসব কথা ভাবতে ভাবতেই ছেলেটা নাবিলা কে অবাক করে দিয়ে বিস্কুট টা দুই ভাগ করে ফেললো।অর্ধেকটা নাবিলার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বাকি অর্ধেকটা ছেলেটা খেতে খেতে উঠে পড়লো।
নাবিলা এক দৃষ্টিতে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আছে।ছেলেটার চলে যাওয়া দেখছে।কী আজব ছেলেরে বাবা।
.
কল্পনা থেকে বাস্তবে ফিরে এলো নাবিলা। হঠাৎ-ই তার খেয়াল হলো তার ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে গিয়েছে।নাবিলা দ্রুত গতিতে গিয়ে ট্রেনে উঠল।তাড়াহুড়োর মাঝে নাবিলা ভুলেই গিয়েছে তার হাতে এখনো সেই বিস্কুটের অর্ধেকটা রয়েছে।নাবিলা কিছুক্ষন মনে মনে ঘটনাটা ভাবল আর মুচকি মুচকি হাসি দিতে দিতে বিস্কুটের অর্ধেকটা খেয়ে নিলো।
.
কিছুক্ষণ পরেই নাবিলা পানি খাওয়ার জন্য ব্যাগ থেকে বোতলটা বের করে দেখতে পেলো তার কেনা বিস্কুটের প্যাকেট টা ব্যাগেই রয়ে গেছে,নাবিলা ভাবছে তাহলে কী সে ঐ ছেলের বিস্কুট খেয়েছে,নাহ নাবিলার আর ভাবতে পারছে না।সে নিজে ভুল করে অন্য একটি ছেলেকে বকা দিয়েছে,নিজের কাছেই এখন সে ছোটবনে যাচ্ছে।নিজে নিজেই এখন কেমন লজ্জিত লাগছে তার কাছে।
.
নাবিলা মনে মনে ভাবছে ছেলেটাকে একবার সামনে পেলে ক্ষমা চেয়ে নেয়া যেতো।কিন্তু সেই সুযোগ কী আর আছে,কোথায় পাবে সেই ছেলেটা কে। তার নাম ঠিকানা কিছুই তো জানে না নাবিলা।নাবিলা পানি খেয়ে নিয়ে ঐসব চিন্তা বাদ দিয়ে এখন ট্রেনের জানালার ভেতর থেকে আসা বাতাসটা  কে অনুভব করছে।আর তার সাথে নাবিলার খোলা চুল গুলো বাতাসে উড়ছে।
.
ট্রেন দ্রুত গতিতে ছুটে চলছে তার আপন ঠিকানায়।।
দেখতে দেখতে নাবিলা তার গন্তব্য পৌছে গেলো।নাবিলা ট্রেন যেই নামতে যাবে ঠিক তখনই পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলো,কিন্তু অজানা কোন একটা হাত তাকে ধরে ফেললো।নাবিলা তাকিয়ে দেখলো সেই ছেলেটা যার বিস্কুট সে নিজের মনে করে খেয়ে ছিলো।নাবিলা নিজেকে সামলিয়ে নিলো কিছুক্ষনের মধ্যেই।পরক্ষনে দেখলো সেই হাতগুলো আর তাকে ধরে নেই।
.
নাবিলা এদিক ওদিক খুজতে লাগল সেই ছেলেটা কে,তাকে যে ভীষন রকমের দরকার নাবিলার।ছেলেটার কাছ থেকে যে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।সে না জেনে বুঝে ঐরকম একটা কাজ করে ফেলেছে।নাবিলা ভীষন লজ্জিত তার জন্য।
অনেক খোজাখুজির পরেও ছেলেটা কে পেলো না নাবিলা।কিছু সময়ের জন্য পুরো স্টেশন খুজে ফেললো তার চোখ দুটি কিন্তু কোথাও পেলো না সেই ছেলেটা কে।হঠাৎ করে কেমন উধাও হয়ে গেলো।
.
নাবিলা মনে মনে বলছে এগুলো কী স্বপ্ন নাকি সত্যি।ছেলেটার সাথে দেখা হয়েছে সেটাও এক অদ্ভুদ ভাবে।কী অন্য রকম ছেলে একটা।কোন কথাও পর্যন্ত বলে না।হঠাৎ আসে আবার হঠাৎ করে চলে যাচ্ছে।ক্ষমা চওয়ার সুযোগটা পর্যন্ত পাচ্ছে না। অবশেষে নাবিলা হতাশ হয়েই তার হোস্টেলের উদ্দেশ্য রওনা হলো।
.
নাবিলা তার ক্লাসের খুবই ভাল ছাত্রী।তবুও আজকে স্যার তাকে বকা দিছে কারন সে ক্লাসে অমনোযোগী ছিলো,তার কারনটা অবশ্য সেই ছেলেটা।নাবিলা তার ক্যাম্পাসের এককোণে বসে আছে।কিন্তু পরক্ষনে তার চোখ দুটো কাউকে দেখে আটকিয়ে গেলো,,নাবিলা ভুল দেখছে নাতো,নাহ সে ঠিকই দেখছে,,দ্রুত গতিতে সে ঐ ছেলেটার কাছে চলে গেলো--
--এই যে শুনুন? (নাবিলা)
--জি আমাকে বলছেন? (ছেলেটা)
--আপনার নামটা জানতে পারি?
--আই লাভ ইউ।
--মানে কী,আমি আপনার নাম জানতে চেয়েছি।
--আমার নাম মাহিন।
--তাহলে প্রথমে ঐ কথা বলাটার মানে কী?
---ভালবাসি তাই বলেছি।
--দেখুন আমার এসব একদম পছন্দ না।গতকাল আমি একটা ভুল করেছি তাই সরি বলতে আসছি।আর প্রথম দেখায় একটা মেয়েকে কিভাবে ভালবাসার কথা বলেন।
--প্রথম দেখা না,আমি তোমাকে অনেকদিন ধরেই চিনি।তোমার বাসা খুলনা,আর আমারও।
--আর আপনি আমার ক্যাম্পাসে কী করছেন।
---কী বলো,এই ক্যাম্পাস টা আমারও,আমি তোমার এক বছরের সিনিয়ার।
--ও আচ্ছা,, সরি গতকালকের জন্য।
.
>কথাটা বলেই নাবিলা চলে আসলো রাগে খিটবিট করতে করতে।যতটা ভাল ভেবে ছিলো ছেলেটা কে ঠিক ততটাই অভদ্র।এমন বেহায়া ছেলে দুটো দেখেনি নাবিলা।
.
এরপর থেকে প্রতিদিনই মাহিন নাবিলা কে ফলো করে।নাবিলাও বেশ অসস্তিবোধ করে,তার কারন তার দিকে কেউ ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকে।নাবিলা ক্যাম্পাস থেকে বের হলেই তার পিছু পিছু আসতে থাকে মাহিন।আজকেও তার বীপরিত হয়নি,তবে নাবিলাও ছাড়ার পাত্র না--
--কী ব্যাপার প্রতিদিন ফলো করেন কেনো আমাকে? (নাবিলা)
--যাতে অন্য কেউ চুরি করে নিয়ে না যায় তোমাকে? (মাহিন)
---এই নেন বিশ টাকা,আমাকে আর পাহাড়া দিতে হবে না।
--দেখো তোমাকে যদি অন্য কেউ চুরি করে তাহলে আমি বিয়ের আগেই বিধবা হবো।
--মানে কী?পুরুষ মানুষ বিধবা কিভাবে হবে?
---তা বলতে পারব না।
--অসহ্য,, দেখুন এসব আমার ভাল্লাগে না।আর আপনাকেও আমার পছন্দ না।
>নাবিলা মুখে এই কথা গুলো বলে চলে আসলেও মাহিন সে পছন্দ করা শুরু করেছে।তার বেশ ভালই লাগে মাহিনের পাগলামী গুলো।
.
আরো অনেক বার নাবিলা কে ভালবাসার
কথা বলল মাহিন কিন্তু বার বার নাবিলা খুব সুন্দর করে মাহিনকে ফিরিয়ে দিয়েছে।
.
কিছুদিন ধরে নাবিলার আশে পাশে মাহিন কে
আর দেখা যাচ্ছেনা। এদিকে অজনা
শঙ্কায় নাবিলার আবচেতন মন ছটফট
করছে। কারণ নাবিলাও যে মাহিন কে ভালবেসে ফেলেছে।নাবিলা ভাবছে মাহিন কে এতোটা ঘোড়ানো ঠিক হয়নি।
.
মাহিন এর কথা ভাবতে ভাবতেই কোথা থাকে মাহিন এসে হাজির-
--কী আমাকে খুজছো বুঝি?
--না,না,তোমাকে কেন খুজবো?
--তাহলে আমার বন্ধুদের কাছে আমার কথা জানতে চেয়েছিলে কেনো?
--এমনিতেই। (একটু লজ্জা মাখা মুখ নিচু করে বলল নাবিলা)
--ঠিকআছে তাহলে চলে যাচ্ছি।
--নাবিলা মাহিনের হাত ধরে মাহিন কে জড়িয়ে ধরে বলল-কোথায় যাচ্ছেন?
---দেখি অন্য কাউকে পাই নাকি.
---একদম মেরে ফেলবো অন্য কারো পিছু ঘুরলে।(কাঁদো কাঁদো গলায়)
--তাহলে কার পিছে ঘুরবো।
---আমার পিছে। (একটু আহ্লাদি কন্ঠে)
--তাহলে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরো।
>>নাবিলা মাহিন কে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। শুরু হলো দুজনের ভালবাসার এক নতুন প্রহর।