'#অব্যক্ত_ভালোবাসা"
.
.
(১)
বৃষ্টি থমথমে রাত,কি অসম্ভব সুন্দর ভালো লাগা কাজ করে ভেতরটাতে।ইচ্ছে করছে ছুঁয়ে দেখতে।
কিন্তু এখন খুব ঠান্ডা লাগছে।এদিকে লেপ এ ঠান্ডা যাচ্ছে না।রাতের খাবারও খাওয়া হয়নি।
কখন যেন অথৈই ডাক দেয়।এই বলতেই অথৈই এর ডাক,
--"এই তোরিয় খেতে আয়?চাচি আম্মা ডাকে!
এমনিতেই শিতে বাঁচতেছিনা,অথৈই আবার খেতে ডাকছে।মন চাইলো না তাই ঘামটি মেরে শুয়েই থাকলাম।
কিছুক্ষন পর আবার অথৈই ডেকে উঠল,
--"এই কামচুরা টম?খেতে আয়।
কোন সাড়া দিলাম না।মন চাইছে না লেপ থেকে এই ঠান্ডার মাঝে উঠে খেতে।
তার কিছুক্ষন পর দেখি অথৈই আমার রুমে চলে আসছে।অথৈই এর দিকে চেয়ে দেখি,লাল বর্ণ।মনে হচ্ছে আমায় খেয়ে ফেলবে।কিন্তু মানুষ বলে রেহাই দিচ্ছে।তা না হলে আজ তার পেটে চলে যেতাম খাবার হয়ে।
এসব আচমকাই ভাবছিলাম।হঠাৎই অথৈই বলে উঠল,
--"কিরে মদন?কি ভাবছিস?
--"না কিছু না।তো এখানে কেন?
ভালোইত মিষ্টি কথা বলছিলো।এই কথা শুনবার পরই লেপ এক টান দিয়ে সরিয়ে ফেলল।তার পর কান ধরে খাবার ঘরে নিয়ে গেল।
অথৈই আমার দুই বছরের ছোট।তবুও এমন ভাব নেয় যে,সে আমার গোটা তিন বছরের বড়।
পাশের বাড়ির দুঃসম্পর্কিত চাচার মেয়ে বলে বেঁচে যায়।রক্তের সম্পর্কিত কেউ হলে ঘুসি মেরে নাক চ্যাপটা করে দিতাম।
.
খেয়ে বসে কাপছি।অথৈই চেয়ারে বসে আছে।হয়তো তাদের বাড়ি থেকে খেয়ে আসছে।
আমাদের বাড়ি আসে মা'এর সাথে আড্ডা মারতে।
আমি মাটিতে বসে খাচ্ছি,আর কাপছি।মা সেটা খেয়াল করল।অথৈইও।মা বলে উঠল,
--"ঠান্ডা লাগছে,চাদরটা মুরি দিয়ে আসলেই পারতি?
কাপুনি অবস্হা নিয়ে থুক থুক করে কাঁপতে কাঁপতে বললাম,
--"অথৈই সময় দিলো কই,সোজা ধরে নিয়ে এলোত।
--"থাক আর অথৈই এর দোষ দিতে হবে না।ও না ধরে নিয়ে এলে খেতে আসতি?
মা এক্কেবারে সঠিক কথা বলেছে।অথৈই জোর করে টেনে নিয়ে না আসলে আজ খেতামই না।ইচ্ছা ছিলো না খাওয়ার।কিন্তু ধরে নিয়ে আসছেত।
এই সব কাঁপছিলাম আর ভাবছিলাম।অর্ধেক ভাত প্লেটে।শেষ বোধ হয় হবে না।
পিছনে থেকে অথৈই বলে উঠল,
--"এই নে তোর চাদর।গায়ের সাথে মুরে নে।
এই মেয়ে দেখছি ভালোইখেয়াল নেয়।যাই হোক মানব সেবায় নিয়োজিত হয়েছে।
রাগি হলেও মায়ায় পরিপূর্ণ।
.
খেয়ে নিজের রুমে চলে গেলাম।ঠান্ডা আরো বেশি অনুভব করছি।কারন ভাত খেলে আরো ঠান্ডা আস্টেপিষ্টি জড়িয়ে ধরে।তাই আবার সেই লেপ এর তলে চলে গেলাম।তবুও কিছুক্ষন কাপলাম।
তার কিছুক্ষন পর অথৈই আমার রুমে আসল।
এসেই বলছে,
--"কি করিস?
মনে মনে রাগ হচ্ছে।দেখতে পায় না বোধ হয়,ভারি গলায় অথৈইকে বললাম,
--"মুড়ি খাচ্ছি খাবি?
--"মজা করিস নাতো।এই বলেই মুচকি হাসি।তার পর যেতে যেতে পিছন ফিরে তাকানো।
আমি এই পিছনে ফিরে তাকানোর ইঙ্গিত বুঝি।অথৈই এর ছলছল চোখ।ঠোটের কোনের হাসি।এসব যে একটি কথারই ইঙ্গিত দেয়।
তবে এখন এসব কিছু করব না।
আমিও অথৈই কে মনে মনে চাই।তবে আমার ইচ্ছা,আমি নিজের পায়ে দাড়িয়ে এসব ভালোবাসাবাসি কারব।নয়তো বিয়ে।
.
(২)
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম।উঠে ব্রাশ হাতে নিয়ে নদীর ধারে গেলাম।নদীতে ছোট ছোট নৌকা বইছে।জেলেরা মাছ ধরছে।খুব মনোরন্জন করা দৃশ্য।তাই সকাল সকাল উঠে এখানে আসি।
মনটা খুব উচ্ছল লাগে।
বাড়ির একপাশে অবশ্য অনেক শাপলা ফুল ফুটেছে।
বাড়ির একপাশে নদী অপর পাশে একটা ছোট্ট বিল।আর সেই বিল এর মাঝেই অনেক শাপলা ফুল ফুটেছে।
ইচ্ছে করছে শাপলা ফুল তুলতে।কিন্তু একা যাওয়াটা কেমন জানি লাগে।একজন থাকলে ভালো হয়।আমি নৌকা চালিয়ে চলবো,এবং আরেকজন শাপলা ফুলগুলো তুলে নৌকায় রাখবে।
তখন মনে পড়লো অথৈই এর কথা।তাকে নিলে খারাপ কি,বেশ ভালোই হবে।কিন্তু আমাদের গ্রাম্য এ সাধীনতা নেই।তবুও বলব অথৈইকে।দেখি অথৈই কি বলে।
.
বাড়ি গিয়ে খেতে বসলাম।মাছের তরকারি আমি খাইনা।তাই খাব না বলে চিল্লাচ্ছি।মা অনেক বোঝানোর চেষ্টা করছে,কিন্তু কে শোনে কার কথা।ক্ষুদায় মোরছি এদিকে মাছ রান্না করছে।
চিল্লাচিল্লি এক পর্যায় দেখি অথৈই তরকারি বাটিতে নিয়ে এসেছে।আলু ভাজা।আমার পছন্দের খাবারের মধ্যে একটা।
মাথাটা একটু ঠান্ডা হলো।এবং খেতে বসলাম।
বেশ পেট পুরেই খেলাম।কারন আলু ভাজা তো।
অথৈই কে আলু ভাজার জন্য ধন্যবাদ দিলাম।
অথৈই মুচকি হেসে মায়ের রুমে চলে গেলো।
আমি খেয়ে আমার রুমে চলে গেলাম।
কিছুক্ষন পর দেখি অথৈই আমার রুমে চলে এসেছে।আমি অথৈইকে জিজ্ঞাসা করলাম,
--"কিছু বলবি?
--"হুমম,শুনলে বলব?শুনবে?
আমি লক্ষ করছি অথৈই তুমি করে বলছে।কিন্তু হঠাৎই চেন্জ?আর কি'ই বা বলবে?কৌতহল বসত অথৈইকে বল্লাম,
--"শুনবো তবে আমার একটা কথা রাখতে হবে?না করতে পারবি না বল?
অথৈই কে আরো খুশি মনে হলো।হাত মুখে নিয়ে নখ কাটতে লাগল।এবং মাথাটা ঝুকালো।
আমি তাতেই বুঝলাম উওরটা'হ্যাঁ'।
আমি অথৈইকে বললাম,
--"পাশের বিলে অনেক লাল শাপলা ফুল ফুটেছে,যদি আমার সাথে শাপলা তুলতে যাস তাহলে তোর কথা শুনবো।আর হ্যাঁ মুখ দিয়ে নখ কাটা বাদ দে(ধমক দিয়ে)ব্রেনের ক্ষতি হয়।
অথৈই 'হ্যা'বলেই দিলো এক দৌড়।
আমি তাতেই বুঝলাম অথৈই যাবে আমার সাথে শাপলা ফুল তুলতে।
.
সকাল গড়িয়ে বিকেল এলো।ভাবছি নৌকা পাবো কই?অবশ্য মাছ ধরার নৌকা বিলে তেমন 'দু' একটা থাকলেও তাতে তালা ঝুলানো।তার পর মনে হলো,আলীম চাচার নৌকা আছে।কিন্তু তার সভাব ভালো না।কেউ নৌকা উঠলে খুব বকে।
যদি আম্মুকে বলে দেয়?(বাবা না ফেরার দেশে)
ধূর বলবে কি?টের পেলেতো,চুপটি করে যাব।শাপলা তুলে যেখান থেকে নৌকা নিব,সেখানে দিব্যি রেখে যাব।তাহলেই বুঝতে পারবে না।
প্লেনটা করেই অথৈইকে চুপটি করে ডেকে নিয়ে এলাম।অথৈই এর বাবা জানতে পারলে খুব বকবে।
অতঃপর অথৈই আর আমি শাপলা ফুল তুলতে বের হলাম।
.
বাড়ি থেকে বের হলাম।অথৈই এর মা বাবা বাজারে গেছেন,কোন এক কাজে।তাই দুজনকে যেতে হয়েছে।
তাই সুযোগটা বেশিই।
দুজন দৌড়ে নৌকার কাছে গেলাম।আশে পাশে পরিক্ষা করে নিলাম।যদি আলীম চাচা থাকে,তাহলেত নৌকা নিতে দেবে না।
আমি নৌকায় বেধে রাখা রশি খুলে নৌকার ওপাশটায় বসলাম।
তার পর অথৈইকে ডাক দিলাম।
দুজন নৌকার দু পান্তে।
নৌকা চলছে তার আপন গতিতে।তার সাথে চলছে দুজন পাখি।তাদের আজ যেন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে,তাই দু পাখা মিলে তারা উড়ছে।
আমি হঠাৎ অথৈই এর দিকে তাকালাম।মেয়েটি মিষ্টি করে ঠোটের কোনে হাসি ফুটিয়েছে।চুলগুলো হিমেল বাতাসের পরশে উড়ছে।মন কেরে নেওয়া দৃশ্য আমার চোখের চাউনিতে।হয়ত মনটা কেরে নিয়েছেই।
অথৈই এর ডাকে ঘোর কাটল,
--"কি দেখছ ওমন করে?
আমি কোন জবাব দিলাম না।শুধু তার থেকে চোখটা সরিয়ে নিলাম।তার পরও আড়ি চোখে অনেকবার তাকিয়েছি।
বেশ মায়া ওই মুখটাতে।যা আমায় আতছন্ন করে রেখেছে।সৃতির পাতায় ভাসিয়ে নিচ্ছি।
.
শাপলা তুলে বাড়ি ফিরলাম।প্রায় সন্ধা হয়েই আসছিলো।একটু দুঃচিন্তা হচ্ছিলো।কারন অথৈই এর বাবা মা বোধ হয় এখন বাড়িতেই হবে।যদি জিজ্ঞাসা করে,"কিরে তোরা দু'জন কোথায় গেছিলি?
তখন কি জবাব দিব?অথৈইকে বললাম,
--"কিরে তোর চিন্তা হচ্ছে না?
--"কিসের চিন্তা হবে?
--"তোর বাবা যদি জিজ্ঞাসা করে,"কোথায় গেছিলি?তখন কি উওর দিবি?
--"বলব তোমার সাথে শাপলা তুলতে।
আমি একটু রেগে উঠলাম।এই মেয়ে বোধ হয় পাগল হয়ে গেছে,বুদ্ধি সব লোপ পেয়েছে।এই কি দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে?একটু ভারি গলা নিয়ে অথৈইকে বললাম,
--"এসব বললে তোকে তোর বাবা মাইর দেবে।আমাদের বাড়ি আসাও বন্ধ করে দেবে।
অথৈই হাসি মুখে বলল,
--"কেন?
--"কারন তুইও যুবতী আমিও যুবক।এটা সমাজ ভালো চোখে দেখে না।আর দুজন একসাথে ছিলাম।এটা ভালো দেখায় না।
--"সে যা যে ভাবতে পারে।তাতে কি আমার কিছু যায় আসে না।
আমি আর কিছু বললাম না।সব তার কাছে মনে হয় হাস্যকর মনে হচ্ছে।সে যাই হোক বাড়ির কাছাকাছি চলে এলাম।
অথৈই তার বাড়ি আমার আগেই দৌড়ে চলে গেলো।এবং আমি আমার বাড়িতে ঢুকলাম।
ঢুকতেই দেখি মা দরজার পাশে দাড়িয়ে আছে।
আমি মাকে সড়তে বলে আমার রুমে ঢুকে গেলাম।কিছুক্ষন পর আম্মু আসল।এসে আমায় বলছে,
--"তোরিয় তুমি আর অথৈই এতক্ষন কোথায় ছিলে?
আমি অবাক হয়ে গেলাম,একথা আম্মু জানল কেমন করে?আর জানাটাই স্বাভাবিক,কারন দুজনই বাড়িতে নেই।এতেই হয়তো আম্মু বুঝে গেছে।এখন আর কি করার সত্যটাই বলে দিলাম।
আম্মু তখন আমাকে অনেক কথা শুনালো।
কারন এসব কথা অথৈই এর বাবা জানতে পারলে অনেক কিছু হয়ে যেতে পারে।
.
তার পর রাতে খেয়ে শুয়ে পড়লাম।শুয়ে ভাবছি,অথৈইদের বাড়িতে তেমন কোন শব্দ শুনতে পেলাম না।তখন মনে হলো যে,অথৈই হয়ত মিথ্য বলেছে।বা কোন কিছুর সায় দিয়েছে।
কিন্তু রাতে তো একটি বার হলেও আমাদের বাড়ি আসে,কিন্তু আজ আসল না।কিন্তু কেন?
এসব দুচিন্তা আর করলাম না।ভোর হলেই সব কিছু জানতে পারব।কি হয়েছে।
.
(৩)
সকাল হলো,পাখিদের কলোরব চারদিকে।মিষ্টি মধুর কন্ঠে গান।মনে মনে ভাবলাম।হয়ত দিনটা আজ ভালো হবে।
ব্রাশ হাতে নিয়ে নদীর পারে গেলাম।কিছুক্ষন দাড়িয়ে থাকার পর দেখি মুজাহিদ স্যার আসছেন।আমার কাছাকাছি আসতেই স্যারকে সালাম দিলাম।স্যার সালাম এর উওর নিয়ে বলল,
--"তোরিয় তোমার কি কোন সমস্য হয়েছে?
আমি একটু অবাক হলাম।স্যার কেন এসব বলছে।তাই স্যারকে উওর স্বরূপ বললাম,
--"না স্যার,আমিতো ভালোই আছি।কিন্তু হঠাৎ এ কথা?
--"তোমার সামনের সাপ্তাহ'য় ফাইনাল পরিক্ষা,আর তুমি কলেজ থেকে এডমিট কার্ড বা রেজিষ্টেশন কার্ড কিছু আনো নাই,ঠিক মতো কলেজএ যাও না।কিন্তু কেন?পরিক্ষা দেবে না তুমি?
--"হ্যাঁ স্যার দিব তো।আসলে আমি জানতামই না।
--"জানবে কি করে,কলেজই তো করো না।
--"ক্ষমা করবেন স্যার।
তার পর স্যার এডমিট কার্ড,বাকি সব কাগজ পত্র কলেজ থেকে কাল নিয়ে আসতে বললেন।
তখন আরেকটা কথা মনে পরল,শহরে থেকে পরিক্ষা দিতে হবে।ইন্টার ফাইনাল পরিক্ষা,তাই শহরে গিয়ে দিতে হবে।
কিন্তু মা কে তো এসব কিছুই বলা হয়নি।
তারাতারি করে বাড়ি গেলাম।বাড়ি গিয়েই আম্মুকে সব জানালাম।
আম্মু তখন একটু বকল।কারন এসব আগে থেকেই ভাবতে হয়।শহরে থাকতে হবে,ভালো ম্যাচ বা বাসার বেপার আছে না।
.
পরের দিন সব কাগজ পত্র গুছিয়ে শহরের উদ্দশ্যে রওনা দিলাম।একটা কাজিন এর বাসায় থেকে পরিক্ষা দিতে হবে।খুব ব্যাস্ত ছিলাম এই একটা দিন।বাসে উঠে অথৈই এর কথা মনে পড়ল।একটি বারও তো আমাদের বাড়ি আসতে দেখলাম না।আর আমিতো বাড়িতেই ছিলাম না তেমন।সব কিছু গোজগাজ করতেই আজ দিনটা চলে গেছে।
আসবার সময়ও অথৈই কে দেখলাম না।কিছু হয়নিতো অথৈই'র?না এসব ভাবছি কেন?
কি হবে।হয়ত আমাদের বাড়ি এসেছিলো আমিই দেখতে পাইনি।আসবার সময় বোধ হয় ঘুমাচ্ছিলো।তখন ৩ টা নাগাত হবে।ঘুমিয়েই ছিলো মনে হয়।
টেলিফোন করব?কিন্তু আম্মুর কাছেত কোন টেলিফোন নেই।আমাদের পাড়ার দু একজনের কাছে আছে।কিন্তু তাদের নাম্বারও তো নাই।
কি আর করার পরিক্ষা শেষ করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নাই।
.
বাস,বাস ষ্ট্যান্ডএ দাড়াল।আমাকে নিয়ে যাবার জন্য মায়ের এক কাজিন আসবে।আমি ওয়েট করছি।একজন মেয়ে এসে বলছে,
--"তোমার নাম কি তোরিয়?
মেয়েটির দিকে তাকালাম।আম্মুর বয়েসের মতোই হবে।তাই তাকে আন্টি বলাই শ্রেয়,
--"হ্যাঁ আন্টি।
তখন ভদ্র মহিলাটি বলল,
--"আমি শিল্পী,তোমার মায়ের বান্ধবী।চিনতে পারছ?
আমি তাকে কখনও দেখিনি।হয়ত দেখেছি ছোট বেলাম,কিন্তু মনে নেই।
মা অবশ্য আসার সময় বলে দিয়েছে,"তোর আন্টির নাম শিল্পী।
এতেই একটু নিশ্চিত হলাম,এটাই সেই আন্টি।
কিন্তু তাকেত কখনও দেখেছি বলে মনে হয় না।তাই উওর স্বরূপ বললাম,
--"না আন্টি চিনতে পারি নাই,তবে আম্মু আপনার নাম বলেছে।এই হিসেবে চিনেছি।হয়ত ছোট বেলায় দেখেছি,তেমন মনে নেই।
--"হ্যাঁ তখন তুমি খুব ছোট ছিলো।তোমার আব্বু বেঁচে থাকা কালিন তোমাদের বাড়ি গিয়েছিলাম।
--"ওহ্,আচ্ছা চলুন।বাসায় গিয়ে সব শুনব।
তার পর আন্টির সাথে তার বাসায় চলে এলাম।'দু'তলা বাসা,তাদের নিজেস্ব।
বাসায় গিয়ে পৌছালাম সন্ধাতেই।তাই খুব ঘুম পাচ্ছে,গা টা এরিয়ে আসছে।খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।রুম এর গঠন কেমন সেটাও ভালো করে নজর দেওয়া হয় নাই।শুধু ব্যাগটা রেখে,হাত মুখ ধুয়ে খেয়ে শুয়ে পড়েছি।
.
সকাল সকাল ঘুম থেকে আর উঠা হলো না।তাই আন্টির ডাকে ঘুম ভাঙল।আন্টি দেখলাম চা নিয়ে এসেছে।আমি সবার মুখে শুনেছি,শহরের মানুষ নাকি সকালে ঘুম থেকে উঠে আগে চা বা কফি খায়।কিন্তু আমার ব্রাশ করার আগে পানিও খেতে পারব না।তাই আন্টিকে বললাম,
--"আমি চা খেতে পারি না।আর ব্রাশইতো করি নাই।
আন্টি হেসে দিয়ে বলল,
--"আরে পাগল ছেলে,চা না খেলে সকালের তিপ্তি বুঝবে কেম্নে?আচ্ছা আজ চা খেতে হবে না।ব্রাশ করে খেতে আসো।কিন্তু কাল থেকে অভ্যস করতে হবে কেমন?
--"হ্যাঁ।
এই বলেই ব্রাশ করে খেতে গেলাম।
আংকেল সকালেই অফিসে চলে গেছেন।তার সাথে আর দেখা হয় নাই।
.
সকালে খেয়ে ছাদে গেলাম।অথৈই এর কথা খুব মনে পড়ছিলো,তাকে আসার সময়ও এক পলক দেখতে পেলাম না।
মনটা কেমন জানি কুগাইছে।হঠাৎ কাধের ওপর কার হাত এসে পড়ল।পিছনে তাকিয়ে দেখি শিল্পী আন্টি।
তাই আন্টিকে বললাম,
--"কিছু বলবেন আন্টি?
--"হুম,কার কথা ভাবছ,অথৈই এর কথা?
আমি একটু অবাক,অথৈই এর কথা জানল কেমন করে?আন্টিকে একটু আগ্রহ নিয়ে বললাম,
--"আপনি জানলেন কি করে?
--"তোমার আম্মু বলেছে।
তর পর সব কিছু পরিস্কার হয়ে গেলো।কিন্তু আম্মু জানল কেমন করে,যে আমি অথৈই কে ভালোবাসি।তবে শুনেছিলাম "মা'য়েরা নাকি সব কিছু বুঝতে পারে।
.
তার পর থেকে আন্টিকে সব কিছু বলতাম।খারাপ লাগলে আন্টি আামকে বলত,
--"তুমি ইন্টার পরিক্ষা দাও,তার পর তোমার আংকেল কে বলে একটা চাকরির ব্যাবস্হা করে দিব।তখন আমি নিজেই অথৈই এর বাবার সঙ্গে কথা বলব।তুমি শুধু ভালো ভাবে পরিক্ষা দাও।
আমি আন্টির কথায় অনেক সাহস পেতাম।ভেতরে অথৈইকে পাওয়ার আশা জরুল হতো।ভেতরটা তখন ভয় কাটিয়ে উঠতো।
এইভাবেই পরিক্ষার সময় শেষ হতে শুরু করল।
আর মাত্র তিনটা পরিক্ষা আছে।
এর মাঝে ছুটিও আছে ৫দিন।ভাবলাম বাড়ি যাব।অথৈইকে প্রায় একটি মাস দেখি না।
সে কেমন দেখতে হয়েছে?ঠিক মতো খাচ্ছে কি না?আমায় ভাবছে কি না?
আমার যে তাকে দেখার আকুলতা ধিরে ধিরে বেড়েই চলছিলো।
.
সকালে খেয়ে পরিক্ষা দিয়ে এসেই ছাদে গেলাম।
কিছুক্ষন সৃতির পাতায় আতছন্ন ছিলাম।আন্টির ডাকে ঘোড় কাটল।
তখন ভাবলাম আন্টিকে কথাটা জানাই।তাই আন্টিকে বললাম,
--"আন্টি পরিক্ষায় ছুটি দিয়েছে ৫ দিন।আমি চাচ্ছিলাম বাড়ি যাব।
আন্টি হয়ত বুঝতে পেরেছে কেন আমি বাড়ি যেতে চাচ্ছি।হয়ত বুঝতে পেরেছে আমি অথৈইকে দেখার জন্য বাড়ি যাচ্ছি।
তাই আন্টি হেসে বলল,
--"অথৈইকে দেখতে যাবে?
--"আপনি বুঝলেন কেমন করে?
--"মায়ের মনত,সব বুঝে।আমার ছেলে নেই তাতে কি।মায়ের মন সব বুঝে।আচ্ছা তুমি যাবেত নাকি?ঠিক আছে।যাবে।কাল সকালেই তোমাকে বাস এ উঠিয়ে দিয়ে আসব।
আমি তখন খুশিতে আত্মহারা,আমার খুশি দেখে কে।সব হাসি যেন আমার মুখের কোনে।আন্টি বেশ খুশি।কারন আন্টি আমাকে তার ছেলের মত ভাবেন।
.
রাতে বই পড়ছিলাম।হঠাৎই একটা আওয়াজ ভেষে আসল আন্টির রুম থেকে।আমি বইটা রেখে আন্টিট রুমে গেলাম।গিয়ে দেখি আন্টি বিছানায় পড়ে আছে।আমার চোখ যেন স্তব্ধ হয়ে গেলো।
আমি আবার এই অজ্ঞান হওয়া দেখলকে ভয় পাই।
তাই আমি চিৎকার করতে লাগলাম।কিছুক্ষন পর এক তলা থেকে দুজন মানুষ আসল।তার পর আংকেল কে ফোন করল।
এম্বুলেন্স আসল,আন্টিকে নিয়ে যাওয়া হলো।আমি তখন কাঁদছিলাম।তখন আংকেল আসল,আমাকে শান্তনা দিলো যে,"তোমার আন্টির হার্ড এর অসুখ।এমনটা মাঝে মধ্য হয়।
চিন্তা করো না ঠিক হয়ে যাবে।তুমি ঘুমাতে যাও,আমি হসপিটালে যাব।দেখি কতদূর
কি।আমার বন্ধু হসপিটালের ডক্টর।আমাকে একটু আগে ফোন করেছিলো,এখন তোমার আন্টির অবস্হা ভালো।
আংকেল চলে যাচ্ছিলো,কিন্তু আমি বাসায় একা থেকে কি করব।আন্টিকে দেখতে ইচ্ছে করছে।তাই আংকেল কে বললাম,
--"আমিও যাব আংকেল?
--"তুমি যাবে?আচ্ছা চলো।
তার পর আংকেল এর সাথে হসপিটালে গেলাম।
.
হসপিটালে গিয়ে দেখি আন্টি ঘুমাচ্ছে।আমরা যেতেই আন্টির ঘুম ভাঙল।আমি আন্টির পাশে গিয়ে বসলাম।এবং আংকেল ডক্টর এর কাছে গেলেন।
আন্টি আমার হাত দুটি ধরে বলল,
--"তুমি আমাকে দেখতে আসছো?কি ভাগ্য আমার,তুমি যদি আমার ছেলে হতে।
--"আমিত আপনার ছেলেই।
তার পর আন্টি একটু হাসল।হাসির মুখে সুখের এক ফোটা জল আসল তার চোখের এক কোনে।
সেটা আমায় বুঝতে না দিলেও আমি দেখে ফেলেছি।
তার পর আন্টির সাথে অনেক্ষন কথা বললাম।রাত তখন ১বাজে।আন্টি ঘুমিয়ে পড়ল।আমি আর আংকেল বাসায় চলে এলাম।কাল আন্টিকে এডমিট করে দেবে।
.
সকাল হলো,তখন একটা কথা মনে পড়ল।আজ আমার বাড়ি যাবার কথা ছিলো।কিন্তু আমি যাব না,কারন আংকেলত সারাদিন অফিস এ ব্যাস্ত।আন্টিকে দেখবে কে?না আমি যাব না।আর মাত্র কয়েকটা দিন।ঠিক কাটাতে পাড়ব।শুনেছিলাম অপেক্ষার ফল মিষ্টি হয়।
.
সকালে নাস্তা আজ আংকেলই তৈরি করল।এবং সেই নাস্তা খেয়ে আমি আর আংকেল রওনা দিলাম হসপিটাল এর উদ্দশ্যে।
হাসপিটালে গিয়ে আন্টিকে আমি নিয়ে বাসায় ফিরলাম এবং আংকেল অফিসে চলে গেলেন।
বাসায় এসে আমি আর আন্টি বসে আছি।আন্টি হঠাৎ বলে উঠলেন,
--"তোমার না আজ বাড়ি যাবার কথা?যাওনি কেন?
--"আপনাকে ফেলে যেতে মন সায় দিলো না।পরিক্ষাত আর তিনটা আছে।ঠিকি কেটে যাবে।তখন একবারেই যাব।
--"আমিও যাব তোমার সাথে,অনেক দিন এলিজা'কে(আমার মা) দেখি না।
তখন আমারা দু'বান্ধবি মিলে তোমার আর অথৈই এর কথা বলব।
আমি একটু খুশি হলাম।কারন শিল্পী আন্টি অনেক বছর হলে আমাদের বাড়ি যায় না।তিনি গেলে আম্মু খুব খুশি হবে।
.
(৪)
এভাবেই ছুটির দিনগুলি চলে গেল।পরিক্ষা শুরু হলো।
এভাবেই বাকি তিনটি পরিক্ষা শেষ করলাম।
আজ পরিক্ষা শেষ করে বাসায় ফিরছি,মুখে হাসির উল্লাস নিয়ে।
রুমে ঢুকেই শিল্পী আন্টিকে বললাম,
--"আন্টি পরিক্ষা শেষ।কাল কিন্তু আমার সাথে আপনার যেতে হবে।
--"আচ্ছা বাবা যাব।তুমি টেনশন করো না।হাত মুখ ধুয়ে এসো,আমি খাবার টেবিলে দিচ্ছি।
আমি হাত মুখ ধুয়ে খেতে বসলাম।
তবে আজ আন্টি খাইয়ে দিচ্ছি।রান্নাটাও বেশ সুন্দর হয়েছে।
তাই তিপ্তিসহকারে খেলাম,খেয়ে বিকালে জামা কাপর গোছালাম।আন্টি গুছিয়ে দিতে চাইলো,কিন্তু আন্টিকে ডাক্টার কাজ করতে বাড়ন করেছে।
অতঃপর বিকেল গড়িয়ে রাত নেমে এলো।রাত আজ জোস্নাময়ী।জানালা দিয়ে বেশ দেখা যাচ্ছে,দূরের ওই নীল আঁকাশ।আর কিছু ঠুস্ক মেঘ।
.
রাত কোন করম ভাবনার মাঝে কাটিয়ে দিলাম। সকাল সকাল উঠে ছাদে গেলাম।তার পর কিছুক্ষন থেকে চলে এলাম।সকাল ৮ বাজে।আন্টিও রেডি।আংকেল কে বিদায় দিয়ে আমি আর আন্টি বাস ষ্ট্যান্ডে বসে আছি।বাস আসল।আমি আর আন্টি বসলাম,ডানের সিটটায়।
.
গাড়ি চলছে তার আপন গতিময় গতিতে।চারি পাশের প্রকৃতি আর সবুজ ছায়ায় ঘেরা।মনটা আজ উদাশ।ইচ্ছে করছে দূর নীল আঁকাশে উড়ে বেড়াতে।
ভাবনার অন্তরালে হাড়িয়ে গেছি।আন্টির ধাক্কায় বাস্তবে ফিরে এলাম।
অতঃপর তাকিয়ে দেখি নিজ এলাকায় চলে আসছি।
বাস থেকে নামতে বুকটা ধুক করে উঠল।মুখে মিঠি মিঠি হাসি নিয়ে এগোচ্ছি।যতো এগোচ্ছি বুকের বাম পাশটা ততো ধুক ধুক করছে।
গ্রামের চারিপাশ কেমন জানি নতুন লাগছে।
অতঃপর সব কিছু পেরিয়ে বাড়ির আঙিনায় চলে এলাম।
আন্টি তখন বলে উঠল,
--"এটা তোমাদের বাড়ি?এটা অথৈইদের বাড়ি?ঠিক বলছি না?
--"হ্যাঁ।
তার পর আরো কিছু পথ যেতেই দেখি মা চেয়ার পেতে বসে আছে।
আমাদের দেখতেই উঠলেন।কিছুটা অবাক দৃষ্টিতে তাকালেন।কারন তার ছোট্ট বেলার বান্ধবি তার বাড়ি অনেক বছর পর এসেছে।তাই তারা খুব খুশির সঙ্গে বললেন,
--"শিল্পী তুই?এতো মোটা কবে হইলি?
--"কি বলিস না?কই মোটা হইছি,তুইও তো মোটা হয়ে গেছিস।
--"থাক আর পামাতে হবে না।চল ভেতরে চল।
তার পর ভেতরে গেলাম।
আমি খেয়াল করলাম,অথেই নেই।যে মেয়ে আমার কথা শুনতে পেলে ছুটে আসতো, কিন্তু আজ ১টি মাস পর বাড়ি ফিরছি।তার আমাকে দেখতে ইচ্ছে করছে না?কথা বলতে ইচ্ছে করছে না?
নাকি অভীমান জমেছে আমার ওপর।বলে যাইনি বলে?
.
রুমে ঢুকে জামাটা খুললাম।হাত মুখ ধুয়ে কিছু খেলাম।
রুমে বসে ছিলাম,আন্টি হঠাৎই আমার রুমে আসল।এসে বলল,
--"তোরিয় চলো অথৈইদের বাসায় চলো?পরিচয় হয়ে আসি।
আমি তখন একটু লজ্জা পেলাম।তবুও বললাম,
--"চলেন।পরিচয় করি দিয়ে আসি।
কিন্তু আমি খেয়াল করলাম,আন্টির মুখে বিষন্নতার ছাপ।একটুও হাসল না।
শুধু না বলে আমার সাথে চলতে শুরু করল।
অথৈইদের বাড়িতে প্রবেশ করলাম।চাচা আর চাচি আমাদের দেখতেই উঠে দাড়ালেন।
তার পর আমি আর আন্টি চেয়ারে বসলাম।
আমি খেয়াল করলাম,চাচা ও চাচির মুখেও বিষন্নতার ছাপ।
আমার কেন জানি মনটা কু ডাকছে।
অথৈইকেও দেখছি না।তাই চাচাকে জিজ্ঞাসা করলাম,
--"অথৈই কই চাচা?
তিনি কোন উওর দিলেন না।
কিছুক্ষন সবাই নিশ্চুপ,হঠাৎ চাচি কেঁদে উঠলেন।
তখন চাচা চাচিকে বললেন,
--"তুমি যদি কাঁদো তোরিয় কে সামলাবো কিভাবে?কেঁদো না।
আমি কথাটি খুব ভালো করেই শুনতে পেলাম।
আমার বুকের বামপাশটা মোচর দিয়ে উঠল।
আমি তখন ভারি গলায় বললাম,
--"চাচি অথৈই কই?কিছু হয়েছে অথৈই'র।
তার পর আম্মু আসল।এসেই আমার হাত ধরে নিয়ে যেতে লাগল।সবাই আমার পিছু পিছু আসল।
আম্মু আমাকে যেখানে নিয়ে গেলো সেখানে যেতে হবে আমাকে কখনও তা ভাবি নাই।
আমাদের পাস্ববর্তি করবস্হান।নতুন একটি কবর এর পাশে আমরা সবাই দাড়িয়ে।
আমার বুকের বাপ পাশটা যেন ব্যাথা করছে।নিশ্বাস যেন আটকে গেছে।আমি তখন বুঝতে পারলাম,কেন আমাকে এখানে আনা হয়েছে।
আমার ভেতটা যেন আত্মচিংকার করে উঠছে।কিন্তু আমি নিশ্চুপ।থমকে গেছি।স্তব্ধতার মাঝে আটকে রয়েছি।কিন্তু এই স্তব্ধতা আর ধরে রাখতে পারলাম না।
মা কে জরিয়ে ধরে ফুপাতে ফুপাতে বলতে শুরু করলাম,
--"আমার আমার অথৈই এখানে ঘুমিয়ে রয়েছে তাই না মা?বলো না মা।
তার পাশে থেকে আন্টিও(শিল্পী আন্টি) খুব জোরে কেঁদে উঠলেন।আমি মাকে ছেড়ে কবরে পাশে হাটু গেরে বসে অথৈইকে বললাম,"এই পাগলি অভিমান ভাঙাতে না দিয়েই চলে গেলে।একটি বার আমার কথা ভাবলে না।একটি বার ভালোবাসি বলতে দিলে না?
এই পর্যন্ত আমার মনে ছিলো।চোখ খুলে দেখি আমি বাড়িতে।পাশে ডাক্টার।হ্যাঁ আমি অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম।
.
তার পর জানতে পারলাম আমি তিন দিন পর বিছানা থেকে উঠছি।খুব আঘাত পড়েছিলো আমার ব্রেনে।
কিছুটা সুস্হ হয়ে জানতে পারলাম।
সেই শাপলা তোলার ঘটনার পর থেকে অথৈইকে তার বাবা অনেক বকাবকি করে।তার পর সত্যটা অথৈই বলে দেয়,"অথৈই আমাকে ভালোবাসে।
একথা শুনে অথৈই এর বাবা তার বিয়ের জন্য পাত্র খোজেন।এবং জোর করে বিয়ে দেন।
কিছুদিন যাবার পর অথৈই অসুস্হ হয়ে পড়ে।শুনেছিলাম আমার কাছে শুধু যেতে চাইতো।এভাবেই কিছুদিন চলার পর অথৈই পাগল হয়ে যায়।তার পর সে অসুস্হততায় চলে যায়।আমাকে ছেড়ে বহু দূরে।স্বপ্নের বাতি নিভে দিয়ে।
.
_____________"সমাপ্ত"_____________
.
লেখক"-Shahriar ToriYo"(শূন্য)
.
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āύāĻেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
3575
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ģ:ā§Šā§Ž AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ