āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āύāĻ­েāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3568

তুমি
লেখা:- অচেনা গল্পের শেষ লাইন
১.
""হৃদ্য গগনে বাধ নাই রে,
দুরে চলো হারিয়ে যাই রে।""
গোধুলি বেলা। মানুষেরা যার যার নিজের ঘরে ফিরছে। সারাদিনের কাজের পরে ক্লান্ত হয়।....
আচ্ছা গল্পটা তো শুরু করলাম। এখন গল্পে একটা নায়কের প্রয়োজন। তো আপনারাই বলুন না কি নাম দেওয়া যায় তার। ওহ আপনারা বলবেন কেমন করে। এখনো তো পোস্ট করা হয় নি গল্পটা। আচ্ছা অহেতুক কথা বলছি কেন আমি। মূল গল্পে ফিরে আসি তাহলে।
গল্পটা একটা গীটার পাগলকে নিয়ে। ছেলেটার নাম নিশু। ছোটবেলা থেকেই বড্ড একলা সে। বাবা সারা বছর দেশ-বিদেশে ঘুরতেই থাকে ব্যবসার কাজে। অন্যদিকে নিশুর মা পেশায় ডাক্তার। তাই নিশুকে দেয়ার মতো সময় ছিলো না তাদের হাতে। তখন থেকে নিশুর সঙ্গী তার গিটার। হ্যা গীটার সবসময়কার সঙ্গী হওয়ার কারণে নিশু চমতকার গীটার বাজাতে পারে।
হুম অনেক বলে ফেলেছি। এখন কেমন যেন কিছু একটা নেই। কিছু একটা নেই মনে হচ্ছে তাই না? হুম সময় এসেছে গল্পের নায়িকা কে সামনে নিয়ে আসার। নাম কি দেয়া যায় বলেন তো। নিশুর সাথে মিলিয়ে রাখি।আচ্ছা তাহলে নায়িকার নাম দেয়া যাক নিলা।
নিলা বলতে গেলে ঠিক নিশুর মতো না। নিলার বাবা বাংলাদেশের স্বনামধন্য বিজ্ঞানী। আর মা একজন সমাজকর্মী। কিন্তু তারা নিলাকে সময় দেয়। আদর স্নেহ ভালোবাসায় বড় করে তাদের আদুরে মেয়েটাকে। হয়তো ভালোবাসাটা একটু বেশি ছিলো। তাই মেয়ের সব আবদার পূরন করতো তার বাবা মা।

নিশুর বয়স এখন ১২ বছর মাত্র। কিন্তু সে মানসিক দিক থেকে একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যাক্তির মতোই আচরণ করে। এগুলো এড়িয়ে যায় নিশুর বাবা মায়ের চোখ। তাদের তো এদিকে নজর দেবার সময় নেই। তাহলে বোঝানোর জন্য নিশুর ছোটবেলার একটা ঘটনায় যেতে হয়। নিশুর বয়স তখন মাত্র ৪ বছর। বাড়িতে ছিলো নিশু তার মা নিশু আর তাদের কাজের মাসী। হঠাত করে নিশু বাড়ির পানি নিস্কাশনের ড্রেনের ভেতর পড়ে গেলো পা পিছলে। নিশু কাদতে লাগলো মা মা বলে ডাকতে লাগল। তার মা দৌড়ে এলো যখন দেখলো নিশু আবর্জনা ভর্তি ড্রেনে পরে রয়েছে তখন সে নিজের নাক চেপে ধরে কাজের বুয়াকে ডাকতে লাগলো। কাজের বুয়া এসে নিশুকে ড্রেন থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গোসল করিয়ে দিল।
উপরের ঘটনা দেখে তো বুঝতেই পেরেছেন নিশু কতটা অবহেলায় বড় হচ্ছিলো। নিশু তখন বাইরের জগত সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ।
আর অন্যদিকে নিলা বড় হচ্ছিলো অতি আনন্দে। বাবা মায়ের চোখের মনি হয়ে। কাকতালীয়ভাবে নিশু আসে নিলার সপ্নে। হ্যা প্রায় প্রায়ই নিলা নিশুকে দেখে তার স্বপ্নে। কিন্তু ও বুঝতে পারে না কে এই ছেলে। চুল কোকরানো জামা ময়লা শার্ট এর বোতাম খোলা। শুধু দেখার মতো বলতে হাতে চকচকে গীটার তার। হয়তো ছেলেটি নিজের চেয়ে গীটার টার যত্ন করে বেশি। একি ভাবছে সে এইটা তো শুধুমাত্র স্বপ্ন ছিলো। কথাটা ভেবে আনমনে হেসে ওঠে নিলা।

আজ প্রথম ভার্সটি তে এসেছে নিশু। জীবনের ২১ টা বসন্ত পাড় করে এসেছে সে। কিন্তু তার ভেতর কোন পরিবর্তন নেই। হাতের গীটারটা এখন তার কাধে শোভা পায়। কখনোই নিশু তার পরম বন্ধুটিকে তার কাছে থেকে সরাতে চায় না। তাই প্রায়ই তাকে ক্লাস থেকে বের করে দেয় লেকচারার। যার ফলে নিশুর সাথে কেউ মেশে না। সবাই ভাবে ওর হয়তো মাথার ব্যামো আছে। কিন্তু একটি মেয়ে সবসময় দুর থেকে লক্ষ্য করতো নিশুকে। হ্যা, ধরতে পেরেছেন এই সেই নীলা।
আজকে মন ভালো নেই নিশুর কারন আজকে আবারো ক্লাস থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে গীটারটা। আনমনে এসব চিন্তা করছিলো নিশু। হঠাত করে পাশে গলা খাকারির শব্দে খানিকটা বিরক্ত হয়েই ঘুরে তাকালো নিশু। কিছু কিছু গল্পে এই জায়গায় নায়ক অবাক হয়ে যায় নায়িকাকে দেখে। কিন্তু নিশুর কোন ভাবান্তর হলো না। যেন এটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। আবার যখন ভাবনায় ডুব দিতে যাবে।তখন প্রচন্ড মিষ্টি গলা ভেসে এলো তার দিকে। বলল,,,,,
নীলা: হাই আমি নীলা। তোমার নাম?
নিশু: ( বির বির করে কি যেন বলল?)
নীলা: কি হলো গালি দিলে?
নিশু: আশ্চর্য। আপনাকে গালি কেন দিবো?
নিলা: হুম কখনো গালি দেবার কথা ভাববেও না। তাহলে আমার বাবাকে বলে বেধম মাত খাওয়াবো।
নিশু: আপনার বাবা টা কে শুনি?
নিলা: বিজ্ঞানী রায়হান কবির।
নিশু: আমার বাবা কে জানেন। দেশের স্বনামধন্য ব্যাবসায়ী (মুখটা ছোট করে ফেললো নিশু)
নিলা: কি হলো?
নিশু: কিছুনা। আমি আসি।
নীলা: আরে আজব তো। অন্তত নাম টা তো বল যান।
নিশু: কারো কারো নাম জানতে নেই পাপ হয় পাপ.।
বলেই মুখ ঘুরিয়ে চলে গেল।
নীলার মন খারাপ হয়ে গেল। এতো কিছুর পরেও নাম যানা গেলনা।ধুর কিছুই যেন ভালো লাগছে না নীলার। শুধু ছেলেটার কথা ঘোরপাক খাচ্ছে তার মাথায়। ছেলেটা বাবার নাম বলার সময় মুখটা অমন করে ফেললো কেন। কি গোপন করছে ছেলেটা।
রাত বেড়ে চললো কিন্তু নীলার চোখে ঘুম নেই। নাহ আর থাকতে পারছে না। তাই নীলা ঠিক করলো যেভাবেই হোক সে ছেলেটার সাথে বন্ধুত্ব করবে আর তারপর আর ভাবতে পারছে না নীলা।

নিশু হাটুগেড়ে বসে আছে পুরো ক্যাম্পাস ভিড় করে আছে তাকে। আর তার সামনে পড়ে রয়েছে নীলার নিথর দেহ। আরে আরে কি ভাবছেন কিভাবে কি হয় গেলো তাইতো। হ্যা অপেক্ষাতে থাকুন সব জানতে পারবেন। আর হ্যা একটা কথা এখন কিন্তু নিশু আর আগের মতোন নেই। সুন্দর শার্ট গায়ে মাথার চুল স্পাইক করা। চোখে রঙিন চশমা পড়া অনেক স্মার্ট হয়ে গেছে এখন নিশু। কিন্তু একটা জিনিস গীটার টা তার কাধে ঝুলছে এখনো। এখন আর ক্যাম্পাসের কেউ ওকে এভয়েড করে না। সবার প্রিয় নিশু। কিন্তু নিশুর প্রিয় মানুষটা তার সামনে দমহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
.
,,

.
ভার্সিটিতে বসে আছে নীলা। অপেক্ষা করছে নিশুর জন্যে। আজ যেভাবেই হোক নাম জানতে হবে ছেলেটার। হ্যা ওইতো আসছে ছেলেটা। এগিয়ে গেল নীলা।
নীলাঃ এই যে মিস্টার বখাটে কই যাচ্ছেন?
নিশুঃ আমাকে বলছেন?
নীলাঃ কেন আশেপাশে কি অন্য কাউকে বখাটে মনে হচ্ছে?
নিশুঃWhat! আমি বখাটে?
নীলাঃ হুম অবশ্যই। কালকে ওইভাবে চলে গেলেন কেন? ভাব নিচ্ছেন?
নিশুঃ আমি কারো সাথে কথা বলতে পছন্দ করি না।
নীলাঃ (ভেংচি কেটে) আমি কারো সাথে কথা বলতে পছন্দ করি না!!
নিশুঃ ভেঙাচ্ছেন কেন। আপনার সমস্যা কি?
নীলাঃ সমস্যা তো আপনি। ক্লাসে অমন চুপ করে থাকেন কেন?
নিশুঃ ভালো লাগে তাই.... আপনার কোন সমস্যা?
নীলাঃ হুম অনেক!! এইটা ভার্সিটি লাইফ। স্কুল বা কলেজ লাইফ নয়। সবার সাতগে মিলেমিশে চলতে পারেন না?
নিশুঃ সেটা আপনাকে বলতে হবে না।<br>
নীলাঃ আর এসব কি? এমন জামা কাপর, উস্কোখুস্কো চুল নিয়ে কেউ ভার্সিটি আসে?
নিশুঃ আমি আসি।
নীলাঃ সেই জন্যেই তো লেকচারার আপনাকে বের করে দেয় ক্লাস থেকে। লজ্জা করে না?
নিশুঃ সেটা আমার ব্যাপার। আপনাকে মাথা ঘামাতে কে বলেছে?
নীলাঃ আমার মন চেয়েছে তাই বলেছি।
নিশুঃ নিজের মন সংযত করুন।
নীলাঃ আচ্ছা আপনার নাম টা কি?
নিশুঃ জেনে কি করবেন?
নীলাঃ আগে বলুন তারপর বলব।
নিশুঃ রাফসান আহমেদ নিশু।
নীলাঃ নামটা সুন্দর কিন্তু আপনাকে মানায় নি। এমন সাজে থাকলে অবশ্য কোন নাম আপনাকে মানাবে না। চলুন আমার সাথে।
নিশুঃ আজব তো কোথায় যাবো?
নীলাঃ আরে চলুন না। (টানতে টানতে নিশুকে নিয়ে গেল)
শপিংমল থেকে নতুন শার্ট প্যান্ট কিনলো। এদিকে নিশু অনেক বিরক্ত হচ্ছে। সব কেনা কাটা শেষ হলো। বিল দিতে যাচ্ছে নীলা।
নীলাঃ আপনি এখানে দাড়ান আমি বিল দিয়ে আসছি।
নিশুঃ আশ্চর্য আমার বিল আপনি কেন দিবেন?
নীলাঃ পরে শোধ করে দিয়েন। ( নীলা ভেবেছে ছেলাটা গরীব হয়তো)
নিশুঃ ওয়েট। ( পকেট থেকে ক্রেডিট কার্ড বের করে কাউন্টারে দিলো।)
নীলাঃ (অবাক হয়ে) ক্রেডিত কার্ড কোথা থেকে পেলেন? কারো পকেট মেরেছেন? আর যদি আপনার হয় তাহলে টাকা আছে তো?
নিশুঃ আপনার আমাকে দেখে পকেটমার মনে হয়? আর হ্যা ক্রেডিট কার্ডটা আমার এটাতে যথেষ্ট পরিমান টাকা আছে।
নীলাঃ তাহলে এমন গেয়ো গেয়ো সেজে থাকেন কেন? কে আপনি?
নিশুঃ আপনার অতো জানতে হবে না।
সেলস ম্যানেজারঃ স্যার এই নিন আপনার কার্ড।
নিশুঃ থ্যাংক্স।
নীলাঃ চলেন।
নিশুঃ কোথায়?
নীলাঃ সেলুনে।
নিশুঃ কেন?!!!
নীলাঃ এতো প্রশ্ন করেন কেন চলেন।( টানতে টানতে নিয়ে চলে গেল)
.

.
বাসায় ফিরলো নিশু। সারাদিন অনেক ধকল গেছে। এই পাজি মেয়েটা মাথায় উঠে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। কি চায় সে। ভাবতে ভাবতে ফোন এলো নিশুর মোবাইলে। "Greedy king" নাম এ সেভ করা নাম্বার টা স্ক্রিন এ ভাসছে। নিশু ধরলোনা।বাজতে বাজতে কেটে গেল ফোনটা। হ্যা ঠিক ধরেছেন নিশুর বাবা ফোন করেছেন। নিশু জানে কি বলবেন তার বাবা। বলবেন " ক্রেডিট কার্ড দিয়ে টাকে তুলেছ কেন?" এইরকম প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে ক্লান্ত নিশু। ওর চোখজোড়া লেগে আসছে। শুধু মনে প্রশ্ন। মেয়েটা কে?
নীলার চোখে ঘুম নেই। সে নিশুর কথা ভেবে চলেছে। সে ভেবেছিলো কালকের কথাটা হয়তো চাপাবাজি ছিলো যে নিশুর বাবা স্বনামধন্য ব্যাবসায়ী। কিন্তু আজ ও নিজের চোখে যা দেখলো এখন নিশুকে চাপাবাজ বললে সবাই ওকে পাগল বলবে। আর ছেলেটা যদি ধনী হবে তাহলে অগোছালোভাবে থাকে কেন? অনেক প্রশ্নের জটলা পাকাচ্ছে নীলার মাথায়। নাহ কালকে যেভাবেই হোক পুড়ো ব্যপারটা জানতে হবে। নীলা আর কিছু ভাবল না। ঘুমের রাজ্যে পাড়ি দিল। কিন্তু আজ নীলা অনেকদিন পর স্বপ্নে দেখলো। ছোট সে গীটারওয়ালা ছেলেটাকে। আবার হঠাত সে বড় হয়ে ওঠা ছেলেকে দেখতে লাগলো। আরে এ তো নিশু। নিশুই কি তবে সে ছেলেটা? নীলার একটা গুণ ছিলো। ও খুব ভালো আকতে পারতো। তো সে; ছোট ছেলেটার একটা ছবি আকলো। আর সারারাত তার ঘুম হলো না।
.

.
ক্যামপাসের বড় বটগাছটার নিচে বসে আছে নীলা। নিশুর জন্যে বসে আছে সে। তার হাতে রয়েছে কালকে রাতে আকা সে ছোট ছেলেটার ছবি। তাছাড়াও সে দেখতে চায় আজ নিশুকে ভালো পোশাকে কেমন দেখা যায়।
হঠাৎ নীলার চোখ আটকে গেলো ক্যাম্পাসের গেটের দিকে। নিশু আসছে কিন্তু একি। একিরকম লাগছে কেন ওকে। নতুন জামা পড়ে নি কেন। মনটা খারাপ হয়ে গেলো নীলার। নিশু হেটে চলে যাচ্ছে নীলার সামনে দিয়ে। নীলা ডাক দিলো
নীলাঃ এইযে আবার পুরোনো কোকরানো জামা কাপর পরে এসেছেন কেন? কালকেই তো শপিং করে দিলাম।
নিশুঃ আমার ইচ্ছা। আপনার কোন সমস্যা নাকি?
নীলাঃ হ্যা অনেক সমস্যা আমার। আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দিন।
নিশুঃ কি প্রশ্ন??
নীলাঃ এই ছবি টা কার? এর সাথে আপনার সম্পর্ক কি? ( হাতের কাগজ টা দেখিয়ে)
নিশুঃ (খানিকটা অবাক হয়ে) এইটা তো আমার ছবি। আপনি পেলেন কোথায় থেকে?
নীলাঃ কি?? আপনার মানে? ( অবিশ্বাসের সুরে)
নিশুঃ আমার মানে আমার ছোট বেলার ছবি এইটা। আপনি কোথায় পেলেন?
নীলাঃ সত্যি।
নিশুঃ দেখুন আপনার সাথে মিথ্যা বলার মতোন কোন সম্পর্ক আমার নেই। (বিরক্ত হয়ে বললো)
নীলাঃ ওহ সরি। কিন্তু তাহলে কেমন করে সম্ভব এটা। (তারপরে নীলা নিশুকে সব খুলে বললো তার ছোটবেলার কথা স্বপ্নের ছেলেটির কথা)
নিশুঃ (অবাক হয়ে আর উচ্চস্বরে বলে উঠলো) এখানে কি সিনেমা হচ্ছে নাকি প্রাংক ভিডিও বানানো হচ্ছে। কি হচ্ছে টা কি এখানে?
নীলাঃ এমন করছেন কেন? আমি যা বলেছি সব সত্যি।
নিশুঃ এটা কেমন করে হতে পারে?
নীলাঃ জানি না। একটা অনুরোধ করবো?
নিশুঃ বলেন।
নীলাঃ আমাকে আপনার বন্ধু বানাবেন? প্লীজ
নিশুঃ দরকার নাই।
নীলাঃ ওহ ঠিক আছে। ( কান্নাজড়িত কন্ঠে বললো)
( এই প্রথম নিশুর বুকটা কেপে উঠলো নীলার কান্না শুনে। কেন যেন ভাল লাগছিলো না।)
নিশুঃ আচ্ছা ঠিক আছে বন্ধু হবো।
নীলাঃ সত্যি?( অনেক খুশিতে বলে উঠলো নীলা)
নিশুঃ হুম সত্যি।
নীলাঃ ধন্যবাদ। আর বন্ধুরা কখোনো আপনি করে কথা বলে না। তুমি করে বলবা ওকে?
নিশুঃ আচ্ছা আজ আসি।
নিশু চলে গেলো আর নীলা ওখানেই দাঁড়িয়ে রইলো। ওর দুচোখ দিয়ে বৃষ্টি পড়ছে। তবে এ কান্না বেদনার না। এ কান্না আনন্দের। আনন্দাশ্রু।
.

.
তাদের বন্ধুত্ব চলছে পুরোদমে। আস্তে আস্তে একে অপরের সম্বন্ধে জানছে। চিনছে ভালো করে। ও হ্যা নিশুকে সম্পুর্ণ পরিবর্তন করে দিয়েছে নীলা। এখন নিশু নতুন নতুন শার্ট পরে, স্টাইলিশ প্যান্ট পরে, চোখে সানগ্লাস পরে, চুল স্পাইক করা।শুধু একটা জিনিস চেঞ্জ হয় নি। নিশুর গিটার সেটা নিজের জায়গায় বহাল তবিয়তেই আছে।
নিশুর এখন ভার্সিটিতে অনেক বন্ধু। নীলা তো এইটাই চেয়েছিলো যেন নিশু সবার সাথে মিশতে পারে। নিশুও কৃতজ্ঞ নীলার প্রতি। কিন্তু এখনো মাঝ মাঝে নিশুর মন খারাপ থাকে। নীলা জিজ্ঞেস করলে এড়িয়ে যায়। নীলা খেয়াল করে যখনি কেউ পরিবারের সম্পর্কে কথা বলে তখনি নিশুর মুড অফ হয়ে যায়। নীলা সন্দেহ করে হয়তো নিশুর কোন পারিবারিক সমস্যা আছে। আর নীলার সন্দেহ ঠিক প্রমানিত হয়।যখন সে খোজ খবর নেওয়া শুরু করে নিশুর পরিবারের সম্পর্কে নিশুর চোখ এড়িয়ে।
জানতে পেরে যায় সবকিছু এবং সিদ্ধান্ত নেয় নিশুকে আর একা হতে দেওয়া যাবে না। তাই নীলা সবসময় সঙ্গ দেয় নিশুকে। নিশু দুর্বল হতে শুরু করে নীলার উপরে।
নীলা তো অনেক আগে থেকেই ভালোবাসতে শুরু করেছিলো নিশুকে।
হঠাৎ একদিন নিশি ক্যাম্পাসে এসে মাথা ঘুরে পরে যায়। সেদিন নিশু একটা কাজে এটকে যাওয়ায় ক্যাম্পাসে ছিলো না। নীলার বন্ধু বান্ধবী মিলে নীলাকে পাশের হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডাক্তার খবর দেয় নীলার হাতে আর বেশিদিন সময় নেই। ওর হৃদপিন্ডে একটা ছোট ছিদ্র আছে। হয়তো আর ৫-৬ দিন আয়ু আছে নীলার।
সব বন্ধু বান্ধবীরা ভেঙ্গে পড়ে। নিশুকে খবর দিতে চায় ওরা। কিন্তু নীলা ওদের না করে দেয়। ওরা যখন শুনছিলোই না তখন নীলা অনেক কান্নাকাটি করে ওদের খবর দিতে মানা করে নিশু কে। সবাই তখন নিরব হয়ে যায় নীলাকে কথা দেয় তারা নিশুকে কিছু বলবে না।
তারপর অসুস্থ অবস্থাতেই বের হয়ে যায় নীলা। ওর এখন অনেক কাজ। নিশুকে তার পরিবার ফিরিয়ে দিতে হবে। নাহলে তো নিশু আবার আগের মতোন হয়ে যাবে। হ্যা নীলা নিশুর বাবা মা কে অনেক বুঝানোর পরে তারা বুঝতে পারেন পুরো ব্যাপার। তারা সিদ্ধান্ত নেন এখন থেকে আর নিশুকে একা রাখবেন না।
.

.
তিনদিন ধরে নীলা আসছে না ক্যাম্পাসে। কি হলো ওর? নিশু আনমনে বসে বসে ভাবছে। ফোনটাও বন্ধ বলছে নীলার। আচ্ছা নীলা ওকে ছেড়ে চলে গেলো না তো? না এ হতে পারে না। যে মেয়েটা নিশুকে ছাড়া একমুহুর্ত থাকতে পারে না সে কেমন করে চলে যাবে।
এসব ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে আসলো নিশু। ঘরে ঢুকে চমকে ওঠে নিশু। একি তার ঘর এতো গোছানো কেন? সে মনে করলো ভুল করে অন্য কারো ঘরে ঢুকে পরেছে।
খানিকবাদে ভালোভাবে দেখলো ঘরটা তারই।
হঠাৎ পাশের রুম থেকে হাসাহাসির শব্দ পায় নিশু। দরজা টা খুলে আরো অবাক হয়ে যায় নিশু। তার বাবা-মা একসঙ্গে সোফায় বসে আছে।অনেকদিন এমন দৃশ্য দেখেনি নিশু। নিশুর বাবা নিশুকে দেখতে পেয়ে ডাক দিল।
নিশু এগিয়ে গেলো তাদের কাছে। হঠাৎ নিশুর বাবা-মা ডুকরে কেদে উঠলো। নিশু চমকে বলল কি হয়েছে। তারা নিশুর কাছে তাদের এতোদিনের ব্যাবহারের জন্য ক্ষমা চাইলো আর সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলল। নিশুর চোখে জল চলে আসলো।
সব কথার শেষে নিশুর বাবা-মা বললো। যদি তুই রাজী থাকিস তাহলে নীলাকে আমাদের ঘরের বৌ করতে চাই। নিশু কিছু বললো না। তার বাবা-মা কে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলো।
তারপরেরদিন নিশু অনেক খুশি আজ। আসার পথে একটা গোলাপ ফুল কিনে এনেছে। আজ ও নীলাকে প্রপোজ করবে। মন ভালো তাই গিটারে টুং টাং সুর তুলে চলেছে নিশু। আর অপেক্ষা করছে নীলার জন্য।
কেন যে আসছেনা নীলাটা।
হঠাৎ একটা ভিড় দেখতে পেল নিশু। তারমনে কেমন যেন টান দিলো। সে গিটারটা নিয়ে দৌড় দিলো ভিড়ের দিকে। তার কেমন যেন মনে হচ্ছে নীলার কিছু হয়েছে। দেখতে দেখতে সে ভিড় ঠেলে এগিয়ে যাচ্ছে। গিয়েই সে হাটুগেড়ে বসে পড়লো। তার সামনে নীলা পড়ে রয়েছে।
নীলাঃ এসেছো নিশু।
নিশুঃ ( চিৎকার করে) তোমার কি হয়েছে?
নীলাঃ আগে শুনো। নিশু আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আমার হাতে আর বেশি সময় নেই। আসলেই হয়তো সবাই সবার হয় না।
নিশুঃ কি বলছো আবোল তাবোল। তোমায় হাসপাতালে নিতে হবে চলো নীলা।
নীলাঃ তোমার গীটারটা কোথায় নিশু?
নিশুঃ এই যে।
নীলাঃ একটা গান শুনাবে প্লীজ। আমার শেষ ইচ্ছাটা পূরন ক....... ( নীলা তার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলো। সবাই কাদছে।কিন্তু নিশু কাদছে না। হাসছে আর বলছে)
নিশুঃ ওই তোরা থাম। দেখছিস না নীলা ঘুমাচ্ছে। হুস হুস চুপ।
নিশু গিটারটা হাতে নিচ্ছে।
গান ধরলো,
" আমারে ছারিয়া রে বন্ধু। কোন দেশে যাবা চৈলা"




এভাবেঈ কিছু " তুমি " গল্প শেষ হয় অনেক শুন্যতায়।
তবুও "তুমিগুলো ভুলার না"

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ