āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āύāĻ­েāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3570


--------------: সৎ মা :--------------
:
....অচেনা গল্পের শেষ লাইন (নিশু)
:
:
গরম স্যুপটা হাতে নিয়ে রাগে টগমগ করতে করতে রহিমা বেগমের রুমে পৌছলো শান্তা।
=এই নিন ধরুন,আপনার স্যুপ।
কাঁপা হাতে স্যুপটা হাতে নিতে গিয়ে কিছুটা রহিমা বেগমের হাতের উপর পড়ে গেলো।
=সমস্যা নেই,আপনি যেখানে খুশি স্যুপ ফেলতে পারেন।পারলে না খেয়ে পুরোবাড়িতে এটা ফেলে দিয়ে আসুন।আমি তো আছিই,আপনার দাসি হিসেবে।তাই না?
=এভাবে বলছো কেনো মা?আমি নিজেই সাফ করে নিচ্ছি।
গরম স্যুপ হাতে পড়াতে রহিমা বেগমের চোখের কোনে জল জমা হয়েগেছিলো।কিন্তু কে দেখে সে কষ্ট?শান্তা তো তাকে কড়া কথা শুনিয়েই যাচ্ছে!আর কেনোই বা শোনাবে না?আজকাল তো নিজের সন্তানেরাই বাবা-মাকে দেখে না। শান্তা তো তবু রহিমার সৎ ছেলের বউ।
যদিও রেহানকে রহিমা বেগম নিজের ছেলের মতো করে মানুষ করেছে।হয়তো নিজের ছেলেকেও এতোটা ভালোভাবে মানুষ করতে পারতো না।রেহানের উপর যাতে রহিমা বেগমের ভালোবাসাটা না কমে,তাই তো রহিমা বেগম নিজের সন্তান নেওয়ার কথা কখনো ভাবেনই নি।রহিমা বেগম কখনো সৎ মা হতে চাননি।সৎ মায়েরা যে তার সতীনের সন্তানদের পছন্দ করে না,কতোটা কষ্টে রাখে তাদের এটা রহিমা বেগম খুব ভালো করেই জানেন।কারন তিনিও সৎ মায়ের অত্যাচারেই বড় হয়েছেন।
একারণেই রহিমা বেগম কখনো সৎ মা হতে চাননি।তিনি মা না থাকার কষ্টোও বোঝেন আর সৎ মা থাকার কষ্টটাও বোঝেন। মা না থাকার চেয়েও সৎ মা থাকার কষ্টটা অনেক অনেক বেশি।যে সই সেই জানে!
তাইতো তিনি সবসময় রেহানের নিজের মা হওয়ার চেষ্টা করে গেছেন।তাতে সফল হয়েছেন কি না তার জানা নেই।
...
=এই শোনো কাল না আমার ফুপুর ছেলে আসছে এখানে?
=ওহ,হঠাৎ?
=হুম, ও এখানে থেকেই কোচিং করবে।
=এখানে কোথায় থাকবে?
=কেনো তোমার মায়ের রুমে থাকবে।উনি তো বুড়ো মানুষ,ওতো বড় রুমে থাকার কি দরকার?
=মা,তাহলে কোথায় থাকবে?
=কেনো,রান্নাঘরের পাশে যেই সাইডরুমটা আছে ওখানে থাকবে।কি বলো?
=ও আচ্ছা।
...
=মা,আসবো?
=আয় বাবা ভেতরে আয়।
=তোমার কোনো সমস্যা হয়না তো এখানে?
=না রে।বৌমা তো আছে আমায় দেখার জন্য।
=মা,কালতো তোমার ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।তুমি গুছিয়ে থেকো,কেমন?
=আচ্ছা বাবা,থাকবো।
...
পরেরদিন,
ডাক্তারের কাছ থেকে ফিরে রেহান তার মাকে তাদের রুমে নিয়ে যায়।
=কিব্যাপার ওনাকে আমাদের রুমে নিয়ে এলে কেনো?
=তোমার ফুপুর ছেলে চলে এসেছে?
=হুম,এসেছে।আমার কথার উত্তর দিলে না যে?
=মা আজ থেকে এই রুমে থাকবে।
=তাহলে আমরা কোথায় থাকবো?
=কেনো!ঐ যে রান্নাঘরের পাশে সাইডরুমটাতে থাকবো!
=মানে?
=আমি তো বাংলাতেই বল্লাম।বুঝতে পারোনি?
=এটা কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে?
=ওহ,আর তোমার কথাগুলো বুঝি কম ছিলো?
=দেখো,রেহান।এরকম চলতে থাকলে আমি এই সংসারে থাকতে পারব না।
=থাকতে বলেছে কে?যখন খুশি চলে যেতে পারো।
শান্তা কথা না বারিয়ে রুম থেকে চলে গেলো।রহিমা বেগম চুপ করে দাঁড়িয়ে এসমস্ত কথা শুনছিলেন।তার জন্য এসব হচ্ছে,তার ছেলের সংসার নষ্ট হচ্ছে।সে কিছুই করতে পারছে না।এসব ভাবতে ভাবতে তার চোখ থেকে দুফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো।
...
একদিন সন্ধ্যায় রহিমা বেগম তার রুমে ঘুমিয়ে ছিলো।রহিমা বেগম ঘুমের ঔষুধ খান বলে তার ঘুমটা গাঢ় হয়।কিছু একটা পড়ার শব্দ শুনে শান্তা রুমে এলো।দেখলো কেউ একজন আলমারি খুলছে।
=এই কে তুমি?
পেছন ফিরতেই দেখে সাগর(শান্তার ফুপুর ছেলে)
=তুই এখানে?কি চুরি করছিস আমার বাড়ি থেকে?
=আপু,তুমি আমায় ভুল বুঝছো(কাঁপা কন্ঠে বলল সাগর)
=এখুনি পুলিশে ফোন করছি।তারাই তোকে ঠিকমতো ভুল-ঠিক বুঝিয়ে দেবে।
এটা বলেই শান্তা হাঁটা দিলো।ঠিকতখনই সাগর হাতের কাছে থাকা ফুলদানি দিয়ে সজোরে আঘাত করলো শান্তার মাথায়।শান্তা জোরে একটা চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো।
শান্তার চিৎকারে রহিমা বেগমের ঘুম ভেঙে গেলো।কি করবে কিছু বুঝতে না পেরে,শান্তার মাথা কোলের উপর নিয়ে পড়ে থাকা ফুলদানর দিকে তাকিয়ে রইল।তখনই রেহান বাড়িতে এলো,
=কি ব্যাপার শান্তা,সাগর কোথায় এলো এ অবেলায়?
উত্তর না পেয়ে শান্তাকে খুঁজতে লাগলো।মায়ের রুমে গিয়ে রেহান নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না!শান্তা রক্তাক্ত অবস্থায় রহিমা বেগমের কোলের উপর পড়ে আছে।
=মা,শান্তার কি হয়েছে?এভাবে পড়ে আছে কেনো?
=সা,আ,,গ,,র
=সাগর কি,মা?
=বাবা,সাগর বৌমাকে মেরে আলমারি থেকে কিসব নিয়ে পালিয়ে গেছে।
=এসব কি বলছো মা?তাড়াতাড়ি হাসপাতালে চলো শান্তাকে নিয়ে।
হাসপাতালে পৌছানোর পর কর্তব্যরত ডাক্তার শান্তাকে মৃত ঘোষণা করে।রেহান কি করবে কিছু বুঝতে পারছিলোনা।ঠিকতখনই পুলিশ এসে রেহানকে ধরে নিয়ে যায়।কারণ শান্তার বাপের বাড়ির লোক রেহানকে শান্তার খুনি বলে মামলা করে। আর শান্তার বডিটা পোস্টমর্টেম এর জন্য হাসপাতালেই রাখা হয়।
রহিমা বেগম জলদিই বাসায় চলে আসে।ফুলদানিটাতে নিজের হাতের ছাপ লাগাই। রওনা হয় থানার পথে।
=স্যার আসবো?
=জ্বি।
=আপনাকে কিছু কথা বলার আছে।
=বলুন।
=আমি আমার বৌমাকে খুন করেছি।আমার ছেলে নির্দোষ। আমার ছেলে তো ঐ সময় বাসাতেই ছিলোনা।রেহান অফিসে ছিলো।
=কি প্রমাণ আছে?আপনি যা বলছেন তা সত্যি?
=এই যে,এই ফুলদানি দিয়েই আমি বৌমাকে আঘাত করেছিলাম।এতে আমার হাতের ছাপ আছে।পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
পুলিশের একজন ফুলদানিটা নিয়ে গেলো
পরীক্ষার জন্য।
=কেনো খুন করলেন আপনার বৌমাকে?
=বৌমা আমার ছেলের কাছ থেকে আমাকে দূরে পাঠাতে চাচ্ছিলো।আর তাছাড়া বৌমা কখনোই আমাকে সহ্য করতে পারতো না।সবসময় আমাকে কথা শোনাতো।তাই আমি তাকে মেরে ফেলেছি।
=খুনি কি কখনো নিজের দোষ স্বীকার করে?আমাদের কি পাগল পেয়েছেন?
=আমি সত্যি বলছি ইন্সপেক্টর।
=আপনি আপনার ছেলেকে বাঁচানোর জন্য মিথ্যা বলছেন,রহিমা বেগম।
=পাগল নাকি! ওতো আমার নিজের ছেলেই না।আমার সতীনের ছেলে।ওকে বাঁচাতে মিথ্যে বলতে যাব কেনো?
=আচ্ছা,তাহলে আপনি যে খুনি এটা আমাদের কাছে স্বীকার করতে এসেছেন কেনো?
=আমি চাই না,কোনো নিরপরাধ আমার জন্য শাস্তি পাক।সৎ মা হতে পারি।তাই বলে কি মনুষ্যত্ববোধটাও থাকতে নেই?
=তাহলে কি আপনি আত্মসমর্পণ করতে এসেছেন?
=জ্বি।আপনারা রেহানকে ছেড়ে দিন।
=ঠিকআছে।
রেহানকে ছেড়ে দিয়ে রহিমা বেগমকে জেলে পাঠানো হলো।

=মা।
=বাবা,তুই এখানে?
=তুমি এটা কেনো করলে মা?
=আমি কি করেছিরে বাবা?
=তুমি কেনো মিথ্যা কথা বলে নিজের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিলে?কেনো মা?
=সাগর তো পালিয়ে গেছে।বৌমার বাপের বাড়ির লোক তোর নামে মামলা করেছে।প্রকৃত দোষীকে খুঁজতে গেলেও তোর জিবনের অনেকটা সময় পার হয়ে যেত।তোর চাকরিটাও চলে যেতো।আমি বেঁচে থাকতে তা হতে দিই কিভাবে বল?
=তাইবলে তুমি এরকমটা করবে?
=আমার তো এক পা ডাঙায় অন্য পা কবরে।কয়দিনই বা আর বাঁচব, বল।কিন্তু তোর তো সামনে সারা জীবন পড়ে আছে বাবা।তুই আর এসব নিয়ে মাথা ঘামাবি না।আর পুলিশকে যদি কিছু বলিস তাহলে আমার মরা মুখ দেখবি!
=মা!
=যা,বাবা তুই চলে যা।ভালো থাক আজীবন।তোর মায়ের দোয়া সবসময় তোর সাথে থাকবে।
এগুলো বলেই রহিমা বেগম ভেতরে চলে গেলেন।রেহান নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো জলভরা চোখে।

এভাবে সমাজ আরো একজন সৎ মায়ের ভয়াবহ রূপটা দেখতে পেলো।কিন্তু পর্দার পিছনেও তো অনেক কাহিনী বাকি থাকে,এটা সমাজ আজো জানলো না।আর কখনো জানতেও পারবে না।

--------------------- সমাপ্ত ---------------------

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ