গল্পঃ #ভালোবাসার_অন্ধ_বিশ্বাস
.
সকালের নাস্তা খেয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো নীল। দরজা পর্যন্ত নীলের ব্যাগটা এগিয়ে দিলো তরী। যাওয়ার আগে নীল বললো সাবধানে থেকো আর বাইরে কে আছে সেটা না দেখা পর্যন্ত দরজা খুলবা না। তরী মাথা নাড়িয়ে উত্তর দিলো জ্বি।
.
নীল এবং তরী স্বামী-স্ত্রী। কাগজে-কলমে স্বামী-স্ত্রী হলেও মনে-প্রাণে তারা এখনো স্বামী-স্ত্রী হয়ে উঠতে পারেনি। নীল খুব প্রয়োজন ছাড়া তরীর সাথে কথা বলে না। আর প্রতিদিনের মতো অফিস যাওয়ার আগে তরীকে উপরের কথাটা বলে যায়। নীল যাওয়ার পর তরী বাসার সকল কাজ সম্পূর্ন করে রাতের খাবার নিয়ে নীলের জন্য অপেক্ষা করে। নীল বাসায় এসে খেয়ে টিভি দেখে অথবা ল্যাপটপে অফিসের কাজ করে আর তরী শুয়ে ঘুমানোরর অভিনয় করতে থাকে। এই ভাবেই চলতে থাকে নীল এবং তরীর দিনগুলি। তরীর অবশ্য এইসব এখন অভ্যাস হয়ে গেছে আর অভ্যাস না করেও তো উপায় নেই কারন তরী ভালো করেই জানে এর থেকে বেশী কিছু সে নীলের কাছ থেকে পাবে না।
.
তুমি আমার বউ হিসেবে সব কিছুই পাবে। নাম,সম্মান,ধন-দৌলত সবকিছু শুধুমাত্র আমাকে ছাড়া। বাসর রাতে তরী এমন কথা কখনোই আশা করেনি। নীলের কথা শুনে তরী ঘোমটা সরিয়ে নীলের দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকায়। নীল আবার বলতে শুরু করে স্বামী হিসেবে আমি তোমার সকল চাহিদাই পুরণ করবো শুধুমাত্র জৈবিক চাহিদা ছাড়া। আমি এই বিয়েতে রাজী ছিলাম না, শুধুমাত্র বাবা-মার জন্যই আমার এই বিয়ে করা। তাই আমি আশা করবো তুমি আমার থেকে অন্যসব অধিকার চাইলেও এই অধিকারটা কখনোই চাইবা না। আর,আমাদের এই ঘরের কথাটা যেনো ঘরের বাইরে কখনোই না যায়। বাবা-মা যেনো কখনোই আমাদের এইসব না বুঝতে পারে। বলেই নীল মেঝেতে শুয়ে পড়ে। বাসর রাতে নীলের এমন কথা এবং কর্মকান্ড দেখে তরী পুরাই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। কতোই না সপ্ন দেখেছিলো সে এই রাতটা নিয়ে তা যেনো মুহূর্তেই চুরমার হয়ে গেলো।
.
পরের দিন বৌ-ভাতের অনুষ্ঠান নিয়ে সবাই ব্যস্ত। একে একে সবাই নতুন বউকে অর্থাৎ তরীকে দেখে যাচ্ছে। হঠাৎ পাঁচটা মেয়ে এসে তরীকে শুভেচ্ছা জানায় এবং তার সাথে সেলফি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। নীল তরীর সাথে পরিচয় করে দিলো এরা আমার অনেক কাছের মানুষ এবং আমার লাইফের অনেক কিছুর সাথেই এরা জড়িত বলেই নীল চলে গেলো। সবাই তরীর চেহারা দেখে বুঝতে পারলো যে এখনো সব ঠিক হয়নি। তাদের মধ্যে থেকে দিয়া বলে উঠলো আমরা তো ভেবেই নিছিলাম ভাইয়া বিয়ে করবে না। অবশেষে ভাইয়া যে আবার তার লাইফে কাম ব্যাক করেছে এতে আমরা অনেক খুঁশি হইছি।
.
লাইফে কাম ব্যাক করেছে মানে??(তরী)
.
কেনো, ভাইয়া আপনাকে কিছু বলেনি?(নিশা)
.
নাতো, কেনো,কি হইছে,কি বলবে?(তরী)
.
তার মানে আপনি কিছুই জানেন না?? (সিমা)
.
না,আর কি হইছে সেটা খুলে বলো?(তরী)
.
আসলে ভাইয়া তিশা নামে একটি মেয়েকে খুব ভালোবাসত। মেয়েটিও তাকে ভালোবাসত। আর চার-পাঁচটা সম্পর্কের মতো তাদের সম্পর্কটাও অনেক সুন্দর ভাবেই চলতিছিলো। ভাইয়া তিশার অনেক কেয়ার করতো। কিছুটা আত্নীয়ের সম্পর্ক হওয়ায় খুব সহজেই তারা দেখা করতো। ভাইয়া তার সকল চাহিদাই পুরণ করতো। যখন যা লাগতো তাই আনে দিতো। (জেরিন)
.
প্রতিদিন সকালে প্রাইভেটে রেখে যেতো আবার তাকে নিয়ে যেতো। মূলত তাদের প্রতিটা মুহূর্তই অনেক সুন্দর ভাবে কাটতো। এর মাঝে হঠাৎ করেই একটা অনাকাংক্ষিত ঘটনা ঘটে যায়। ভাইয়া জানতে পারে তিশার আগেও একটা বফ ছিলো এবং তার সাথে ফিজিক্যাল রিলেশন ছিলো। (রিপা)
.
ভাইয়ার জন্য এটা অনেক কঠিন একটা সিসুয়েশন ছিলো। সে বুঝতে পারতিছিলো না কি করবে। অনেক ভেবে চিন্তে সে তিশাকে মেনে নেয়। কারন ভাইয়া তাকে সত্যিই অনেক ভালোবাসত। তাদের রিলেশনটা আবার আগের মতো হয়ে গেলো। তিশার যেকোনো প্রয়োজনে ভাইয়া অনেক টাকা দিতো।(দিয়া)
.
কিছু কিছু বাংলার প্রবাদ আছে সেগুলা আসলেই শতভাগ সত্য। তার মধ্যে অন্যতম কুত্তার লেজ কখনোই সোজা হয়না। যতই তার লেজে ঘি ঢালো না কেনো বাঁকা লেজ বাঁকাই থাকে। যখন সবকিছু ঠিকভাবে চলতিছিলো ঠিক তখনি তিশা আবার ভাইয়ার কাছে ধরা পড়ে। তিশা নাকি একবার প্রেগন্যান্টও হয়েছিলো। এটা শুনার পর ভাইয়া তিশার সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।(সিমা)
.
তিশা ভাইয়ার কাছে ফেরার জন্য বারবার চেষ্টা করে। ভাইয়াকে বারবার বলতে থাকে তাকে শেষ বারের মতো ক্ষমা করে দিতে। ভাইয়া যখন রাজী হয়না তখন সে ভাইয়াকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমিল করতে থাকলো। তিশা ভাইয়াকে বলতো যদি সে না ক্ষমা করে তাইলে সে নিজের জীবন শেষ করে দিবে। ভাইয়া ছিলো অনেক সহজ-সরল একটা ছেলে। পৃথিবীতে তো সবাই এক না কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের মন অনেক নরম। হাজার অপরাধ করলেও শেষে ক্ষমা চাইলেই মাফ করে দেয় ঠিক তেমন। আমি সিউর ভাইয়ার জায়গায় অন্য যেকোনো ছেলে থাকলে তিশাকে কখনোই ক্ষমা করতো না কিন্তু ভাইয়া তিশাকে ক্ষমা করে দেয়। তিশাও ভাইয়াকে ওয়াদা করে সে আর এমন ভুল করবে না।(জেরিন)
.
তিশা ভাইয়াকে বিয়ের জন্য অনেক চাপ দিতে থাকে। ভাইয়ার পড়াশুনা তখনো শেষ হয়নি তাই ভাইয়া তিশাকে বুঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তিশা ভাইয়ার কোনো কথাই শুনে না,অবশেষে দু পরিবারের অজান্তেই তারা বিয়ে করে। বিয়ের কাবিন নামা অনেক বেশী নির্ধারণ করা হয়। ভাইয়াও সহজ-সরল মনে তাতে সায় দেয়।(রিপা)
.
বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই তিশার আচারণ অন্য রকম হতে থাকে। সে কারন ছাড়াই ভাইয়ার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে থাকে। ভাইয়া কিছু বললেই বলতো ডির্ভোস দিয়ে দাও।ভাইয়া সহজে ডির্ভোস দিতেও পারে না কারন সে তিশাকে মন থেকে ভালোবাসতো তার উপর ছিলো বিশাল অংকের কাবিন নামা। তিশা ইচ্ছা করেই ভাইয়ার সামনে বিভিন্ন ছেলেদের সাথে কথা বলতো।(সিমা)
.
একদিন ভাইয়া বাসায় এসে তিশাকে একটি ছেলের সাথে অশ্লীল অবস্থায় দেখতে পায়। ভাইয়া ছেলেটিকে অনেক মারধর করে। তার কাছ থেকে জানতে পারে তিশা অনেক ছেলের সাথেই ফিজিক্যাল রিলেশন করছে এবং তাদের থেকে প্রচুর টাকা নিছে। আপনাকেও সে অইভাবেই ব্যবহার করতে চেয়েছিলো। কথাটা শুনার পর ভাইয়ার মাথায় যেনো আকাশ ভেংগে পড়লো। তারপর ভাইয়া ছেলেটার মাধ্যমে আরো প্রমাণ জোগাড় করে তিশাকে ডির্ভোস দেয় এবং বিশাল অংকের কাবিন নামা থেকে মুক্তি পায়। কিন্তু প্রিয় মানুষটির এমন ভয়ংকর ধোকা ভাইয়ার সহ্য ক্ষমতার বাইরে ছিলো। সে দিনের পর থেকে যেনো ভাইয়া পুরাই পাল্টে যায়। কারো সাথে তেমন কথা বলে না। সহজ-সরল থেকে যেনো রাগী-বদমেজাজী হয়ে গেছে।(নিশা)
.
তোমাদের ভাইয়া তো এর আগে দুইবার জানতেও পারছে যে তিশার অন্য কারো সাথে ফিজিক্যাল রিলেশন ছিলো,তাও কেনো বিয়ে করলো?(তরী)
.
বললাম না, ভাইয়া অনেক ইমোশনাল ছিলো। আর প্রথমটা ভাইয়ার সাথে রিলশনের আগে ছিলো। তাই ভাইয়া ভেবেছিলো আমি তো ভালোবাসার সময় ওর অতীত দেখিনি তবে আজ কেনো অতীতকে নিয়ে প্রশ্ন তুলবো। আর ভালোবাসার মানুষকে যদি ক্ষমাই না করতে পারলাম তবে আমার ভালোবাসার কি দাম থাকলো। এবং দ্বিতীয় বার ধরা পরার পর ভাইয়া তিশার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলো। কিন্তু তিশার সুইসাইডের ব্ল্যাকমিল তারউপর তিশার বারবার ক্ষমা চাওয়া এবং ওয়াদা করা আর কোনোদিন এমন কাজ করবে না, এইসব কারনেই ভাইয়া ওকে মাফ করে দেয়। (দিয়া)
.
হুম,বুঝলাম কিন্তু তোমরা এতকিছু কিভাবে জানলে?? (তরী)
.
আমরা জানবো না তো কে জানবে,আমরাই হলাম ওই বিশ্বাসঘাতকের বন্ধু। ভাইয়া এবং ওর রিলেশনে আমরা সবাই সাপোর্ট এবং সাহায্য করতাম।(নিশা)
.
তোমরা তিশার বন্ধু!!!তো তোমরা নীলকে এইসব জানাও নি কেনো?? (তরী)
.
আমরা এইসবের কিছুই জানতাম না,তিশা আমাদের কখনোই বলিনি যে ওর অন্য জায়গায় সম্পর্ক আছে,পরে ভাইয়ার কাছ থেকে সব জানতে পারি এবং আমরা সেদিনের পর থেকেই তিশার সাথে বন্ধুত্ব শেষ করে ভাইয়াকে সাপোর্ট করি। ভাইয়াকে নতুন করে আবার তার লাইফ শুরু মানে বিয়ে করতে বললেই ভাইয়া তা এড়িয়ে যেতো এবং বলতো এ জীবনে আর কোনো নারীর স্থান হবে না।(সিমা)
.
পুরা ঘটনা শোনার পর তরী কষ্ট পেলেও কেনো জানি তার একটু খুশি খুশিই লাগতিছে কারন সে একজন সত্যিকার ভালো মানুষের বউ হতে পেরেছে। এমন মানুষের বউ হতে পেরে সে নিজেকে ধন্য মনে করতিছে।
.
বিয়ের সব আনুষ্ঠিকতা শেষ করে কয়েকদিন পরে নীল তরীকে নিয়ে ঢাকায় আসে। ঢাকাতে অফিস হওয়ায় এখানেই তারা দুজনে একটা ফ্লাট নিয়ে থাকে। এখানে আসার পর তরী অনেক চেষ্টা করছে নীলের সাথে স্বাভাবিক হওয়ার জন্য কিন্তু নীল বরাবরি তাকে হতাশা করেছে।
.
নীল অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে হঠাৎ তার দৃষ্টি যায় রাস্তার পাশে থাকা একটা বৃদ্ধ কাপলের দিকে। সেখানে নীল দেখতে পায় বৃদ্ধ লোকটি তার পাশে থাকা বৃদ্ধ স্ত্রীলোকের মাথায় জলপট্টি দিচ্ছে। নীল আর একটু তাদের কাছে যেতেই শুনতে পারে। বৃদ্ধ স্ত্রী লোকটি তার স্বামীকে বারবার বলতিছে হইছে তো তুমি অনেক খাটনি করে আচ্ছো যাও আরাম করো।
.
না ঠিক আছে,আমি তো তোমাকে এই জীবনে কিছুই দিতে পারলাম না। না দিতে পারলাম তোমাকে কোনো সন্তান, না দিতে পারলাম টাকা-পয়সা,না দিতে পারলাম সুখ এমনকি মাথা গোঁজানোর ঠাইটুকুও দিতে পারলাম না,,তাও তুমি আমাকে এতো ভালোবাসো,আমাকে ছেড়ে যাওনি। আমার তো তোমার জন্য এটুকু করা সাজেই।(বৃদ্ধ স্বামী)
.
কে বলেছে তুমি আমাকে সুখ দিতে পারোনি। তুমি জানো একটা মেয়ের কাছে সবচেয়ে দামী জিনিস হলো তার স্বামীর ভালোবাসা। আর প্রতিটা মেয়েই শুধু একটা জিনিসই চায় তা হলো তার স্বামী তাকে অনেক ভালোবাসবে, অনেক আদর করবে। আমরা মেয়েরা বাবার বাড়ী ছেড়ে কেনো স্বামীর কাছে পড়ে থাকি যানো!! কারন স্বামীর ভালোবাসার উপরে কিছুই নেই। আর টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত, বাড়ী-ঘর এটা তো ভালোবাসার কাছে নির্তান্তই তুচ্ছ। তুমি আমাকে ভালোবাসার চাদরে রাখছো এতেই আমি খুশি এবং সব থেকে বেশী সুখী।(বৃদ্ধা স্ত্রী)
.
বৃদ্ধা স্ত্রীর কথাগুলা শুনে নীলের তরীর কথা মনে পড়ে। তাইতো তরী সব কিছু ছেড়ে আমার কাছে পড়ে আছে,কিসের জন্য!! সে তো বেশী কিছু চায়নি শুধুমাত্র ভালোবাসা চেয়েছে। আমি তার সাথে খারাপ ব্যবহার করলেও তার আমার প্রতি বিন্দুমাত্র ভালোবাসা কমেনি। আর আমি অন্য জনের অপরাধের শাস্তি তাকে দিচ্ছি। ভুল মানুষকে যখন এতো ভালবাসা দিতে পেরেছি তবে সঠিক মানুষকে কেনো নয়!!! না,আর না নইলে আমিই তরীর কাছে অপরাধী হয়ে যাবো।
.
নীল সেখান থেকে সোজা মার্কেটে চলে গেলো। তারপর কিছু ফুল এবং তরীর জন্য লালটুকটুকে একটা শাড়ী, টকটকে লাল গোলাপ এবং কিছু চকলেট নিয়ে বাসায় গেলো কারন তরীর লাল গোলাপ এবং চকলেট অনেক পছন্দের।
.
বাসার ভিতরে ঢুকতেই নীল তরীর দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিলো। তরী নীলের হাসি দেখেই অবাক হয়ে গেলো কারন বিয়ের পর এই প্রথম সে নীলের মুখে হাসি দেখলো অন্যসব দিন তো সে গম্ভীর মুখ নিয়ে বাসায় প্রবেশ করে।
.
তরী রুমে ঢুকতেই নীল লাল গোলাপের তোঁড়া তরীর দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে, আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। আমি জানি আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিছি। তবে কথা দিচ্ছি এতোদিন যত কষ্ট দিছি বাকীটা জীবন তা ভালোবাসা দিয়ে পুষিয়ে দিবো। দিবে কি আমায় সেই সুযোগ?? নীল কথাটা বলার সাথে সাথেই তরী কাঁদতে কাঁদতে নীলের বুকে ঝাপিয়ে পড়লো। নীল তরীর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে পাগলী, অনেক ক্ষুধা লাগছে যাও টেবিলে খাবার দাও আর এই শাড়ীটা পড় আমি ফ্রেশ হয়ে আসতিছি।
.
ফ্রেশ হয়ে এসে নীল দেখে তরী টেবিলে খাবার দিয়েছে। দুটা প্লেট দেখে নীল বলে দুটা প্লেট কেনো। তরী বলে মানুষ দুজন প্লেটও তো দুটাই হবে। নীল বলে না এখন থেকে একটা প্লেট থাকবে অইটা থেকে তুমি আমাকে খাইয়ে দিবা আর আমি তোমাকে। কারন এক প্লেটে খেলে ভালোবাসা বাড়ে। খাওয়া শেষ হলে নীল বলে এখন থেকে আমাদের সবকিছুই একটা হবে।
বাহ্!! এই বদমেজাজী, রাগী মানুষটার ভিতরে যে এতো রোমান্টিকতা ছিলো বুঝতেই পারিনি। (তরী)
.
রোমান্টিকতার কি দেখছো,আসল রোমান্টিকতা তো ভিতরে দেখবা বলেই নীল তরীকে কোলে করে নিয়ে রুমে গেলো।
.
রুমে গিয়ে তরী পুরাই অবাক হলো কারন পুরা রুম ফুল দিয়ে সাঁজানো।
.
এইসব কি, আর এগুলা কখন করলা??(তরী)
.
তুমি যখন খাবার রেডি করলা,তখনি করছি আর আজকে আমাদের বাসর হবে কারন কবি বলেছেন বিবাহিত স্ত্রীর সাথে বাসর না করলে নাকি সন্তান হয় না।(নীল)
.
তাই,তারপর? (তরী)
.
তারপর তুমি মা হবা আর আমি বাবা হবো।(নীল)
.
তারপর? (তরী)
.
তারপর তুমি দাদী/নানী হবা আর আমি দাদা/নানা হবো।(নীল)
.
তারপর?????(তরী)
.
তারপর আমি আর একটা বিয়ে করবো হইছে??(নীল)
.
যাও,পাঁজি কোথাকার।(তরী)
.
হুম, পাঁজির কি দেখছো,,পাঁজির পাঁজি গিরি তো এখন দেখবা মু হাহা বলেই নীল তরীকে তার বুকের মাঝে নিয়ে লাইটা অফ করে দেয়। রুম পুরাই অন্ধকার তাই আর কিছু বলা যাচ্ছে না।
.
নীল এবং তরীর সংসার আলোকিত করে দুটি সন্তান আসছে। একটি ছেলে, একটি মেয়ে সব মিলিয়ে পুরাই একটা সুখী পরিবার তাদের। অন্যদিকে তিশার পরের স্বামীও তার অতীত জানতে পেরে তাকে ডির্ভোস দিয়ে দিছে। কোনো ছেলেই তাকে আর গ্রহণ করেনি। অবশেষে পেটের দায়ে সে দেহ ব্যবসায়(পতিতায়) লিপ্ত হয়।আশ্চার্যের বিষয় আজকাল কোনো খদ্দেরই আর তার কাছে যায় না। যাবেই বা কি করে তার আগের সৌন্দর্য যে আর নেই গাঁয়ের চামড়াও ঢিলা হয়ে গেছে। অথচো এক সময় এই দেহ দিয়েই সে হাজার হাজার ছেলেকে আকৃষ্ট করতো,তাদের থেকে মজা নিতো। আজ কই সেই সৌন্দর্য, কই সেই রুপ।
.
#পরিশিষ্টঃ পাপ কখনো কখনো এতই বেশী হয় যে তার শাস্তি দুনিয়াতেই শুরু হয়। অনেকে বলে আবেগ শুধু মেয়েদের জন্য ছেলেদের জন্য না।ছেলেদের যদি আবেগ নাই থাকতো তাইলে শুধু মেয়েরাই আত্নহত্যা করতো ছেলেরা না। কিন্তু আমরা প্রায়ই শুনি ছেলে আত্নহত্যা করেছে। এইটা সকল-আবেগী ভাই-বোনদের জন্য।আবেগ দিয়ে জীবন চলে চলে না, বাস্তবতা বুঝতে শিখুন। আর ভালোবাসার মানুষটির উপর বিশ্বাস থাকা ভালো কিন্তু অন্ধ বিশ্বাস না।
.
(বিঃদ্রঃ #কিছুটা সত্য ঘটনার উপরে লিখিত এটি।)
.
লেখকঃ #Shaharier_Nasim_Sweet .
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧍⧠āĻাāύুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
3961
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Šā§¨ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ