গল্প-বিয়ে
লেখা- Piash Farhad
বিয়ের আগে আমার সব কিছুই ছিল ছোট ছোট।
আমাদের বাসায় অন্যান্য রুমে ডাবল খাট থাকলেও আমার রুমে ছিল
সিঙ্গেল আর ডাবলের মাঝামাঝি খাট।
এই অদ্ভূত আকৃতির খাট আমার আব্বা কোথায় পেয়েছিলেন জানি না,
তবে সেই খাটে শুয়ে আমি বেশ
আরাম বোধ করতাম।
আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় জিনিস ছিল ওই খাটটি,
যা বিয়ের পর বাধ্য হয়ে চেঞ্জ করে ফেলি।
চেঞ্জ করার কোনো ইচ্ছা অবশ্য ছিল না আমার।
কিন্তু ছোট খাটে দুইজনে গুতা গুতি হয়ে যাবে বিধায় নতুন খাট নিতেই হলো।
নতুন খাটে মোটামুটি ভালোই যাচ্ছিল
আমার আর অনন্যার।
কিন্তু শীতকাল আসতেই অন্য আরেকটি
সমস্যায় পড়ে গেলাম।
সমস্যাটা অবশ্য খাট নিয়ে নয়,
লেপ নিয়ে।
আমি বিয়ে করেছিলাম এপ্রিল মাসে।
তখন ছিল পুরো গরম।
শীতকাল যখন আসল তখন লেপ বের
করে দেখি আমার লেপটাও
ডাবল সাইজের চেয়ে ছোট।
অর্থাৎ দেড় জনের।
এই সাইজে একজনে বেশ আরাম হয়
বটে,
কিন্তু দুইজনে খুব সমস্যা হয়ে যায়।
লেপ দেখে মাথা গরম হয়ে গেল আমার।
লেপের এই আকৃতির জন্য অবশ্য
আব্বাকে দোষ দেওয়া যায় না।
কারণ এটি আমিই বানিয়েছিলাম
বেশ কয়েক বছর আগে।
অনেক টাকাও লেগেছিল।
কিন্তু লেপ ব্যবসায়ী আমাকে ছোট
লেপ দিয়ে দিল কেন বুঝলাম না।
নিজের ওপরও কিছুটা বিরক্ত হলাম।
অবিবাহিত থাকায় তখন লেপ ব্যবসায়ীর
চুরি ধরতে পারিনি।
ধরতে পারলে চড় মেরে গাল ফাটিয়ে দিতাম
নিশ্চিত।
বিয়ে করে,
হানিমুনে ব্যাপক ঘোরাঘুরি করে সব টাকা শেষ
করে ফেলেছি।
তাই গত বছর নতুন লেপ কিনতে পারলাম
না।
পুরনো ছোট লেপ দিয়েই চালিয়ে যেতে লাগলাম।
কিন্তু এতে আমার সংসারে অশান্তি দেখা দিল কিঞ্চিত।
লেপ ছোট হওয়ায় দুজনের শরীরেরই বেশ খানিকটা অংশ বের হয়ে থাকত লেপের বাইরে।
আমি লেপ টান দিলে অনন্যা
লেপের বাইরে চলে যেত।
আর অনন্যা ভালো করে লেপমুড়ি
দিলে আমি চলে যেতাম লেপের বাইরে।
সারারাত ধরেই চলত দুজনের লেপ নিয়ে টানাটানি।
প্রায় রাতেই দেখতাম,
আমি লেপমুড়ি দিয়ে আরাম করে ঘুমাচ্ছি।
অনন্যা ঘুম থেকে উঠে চিৎকার করে আমাকে ধাক্কা দিয়ে
বলছে,
‘এই, পিয়াস লেপ ছাড়ো।
আমি শীতে কাঁপছি আর তুমি সব লেপ নিয়ে
ঘুমাচ্ছ।
কী আশ্চর্য! কেমন মানুষ তুমি?’
অনন্যার ধাক্কাধাক্কি থেকে বাঁচতে
আমি লেপের ৭০
পারসেন্ট তাকে দিয়ে দিতাম।
কিন্তু কষ্ট হতো তাতে।
আমার শরীরের এক দিকে শীত বস্ত্র না থাকায় ঠাণ্ডা
বাতাস লাগত হু হু করে।
বিয়ের প্রথম শীতে সব দম্পতিরই
জায়গা কম লাগে।
এটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
ফলে গত বছর কিছুটা গুতাগুতি
করে হলেও শীত পার করে নিয়েছিলাম কোনোভাবে।
কিন্তু এবার আর পারলাম না।
কিছু দিন আগে লেপটা
আবার গায়ে দেওয়ার পর মনে হলো
এর সাইজ গত বছরের চেয়েও ছোট হয়ে গেছে।
গত বছর আমার শরীরের ২০
পারসেন্ট বাইরে থাকলেও এবার বের হয়ে থাকছে ৬০ পারসেন্ট।
লেপের করুণ অবস্থা দেখে আমি হতাশ হলাম।
গত শীতে লেপ কেনার টাকা ছিল না বিয়ে করার কারণে,
আর এবার টাকা নেই আব্বার চিকিৎসা করার কারণে।
পুরনো লেপ দিয়ে এই শীতটাও যদি পার করে দিতে
পারতাম খুব ভালো হতো।
কিন্তু লেপের যে কন্ডিশন,
তাতে নতুন একটা কিনতেই হবে মনে হচ্ছে।
আমি নতুন লেপ কেনার জন্য মনস্থির করে ফেললাম।
কিন্তু অবরোধের কারণে কিনতে পারলাম না।
বাংলাদেশে এখন প্রতিদিনই অবরোধ থাকে।
তাই বাধ্য হয়ে শরীরের ৬০
পারসেন্ট লেপের বাইরে রেখেই ঘুমালাম কয়েকদিন।
ফলে ভয়ঙ্কর ঠাণ্ডা লেগে গেল শরীরে।
সারাদিন সর্দি-কাশি।
খক্কর খক্কর কাশ।
খক্কর খক্কর খক... খক্কর খক্কর খক।
নিজেকে খুব অসহায় মনে হলো আমার।
প্রতি বছর কত লোককে শীতবস্ত্র দেই আমি।
অথচ কী আশ্চর্য!
আমি নিজেই শীত বস্ত্রের অভাবে কষ্ট করছি প্রতি বছর।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পর গতবারের চেয়েও বেশি অশান্তি
দেখা দিল এবার।
একবার আমি লেপ টান দেই আমার
দিকে,
কিছুক্ষণ পর অনন্যা টান দেয় তার দিকে।
এভাবে টানাটানি করেই চলছিল প্রতিদিন।
কিন্তু পরশু সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি লেপের বেশ কিছুটা অংশ ছিড়ে গেছে।
ছিড়ে গিয়ে তুলাও বের হয়ে গেছে অনেক। পুরো খাট তুলায় মাখামাখি।
বুঝতে পারলাম,
এই লেপ দিয়ে আর এক দিনও
পার করা সম্ভব হবে না আমাদের।
কপাল ভালো ছিল যে গতকাল অবরোধ ছিল না।
তাই আমি আর অনন্যা নিউ মার্কেট গেলাম লেপ কেনার জন্য।
ঠিক করলাম লেপ কিনব দুইটা।
তবে দুইটাই সিঙ্গেল।
একটা নেব আমি আর একটা অনন্যা।
দুজনের একটা লেপ
থাকলে সমস্যা হবেই।
আমার অভ্যাস হলো লেপ মাথার
ওপর দিয়ে কাচুমাচু হয়ে শুয়ে থাকা।
কিন্তু তাতে অনন্যার
দম বন্ধ হয়ে যায়।
তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মাথার ওপর
এখন আর লেপ নিতে পারি না।
দুজনের আলাদা লেপ
থাকলে এই সমস্যাটা আর থাকবে না
বলেই মনে হলো।
দুইটা লেপ কেনার ইচ্ছা থাকলেও অনন্যার আক্রমণাত্মক
মনোভাবের কারণে
কোনো লেপই কেনা হলো না আমার।
কিনতে হলো কম্বল।
বিশাল আকৃতির কোরিয়ান কম্বল।
কোরিয়ানরা এত বড় বড় কম্বল দিয়ে
কি করে বুঝতে পারলাম না।
কম্বলের যে সাইজ দেখলাম
তাতে আমার চারটা বাচ্চাকাচ্চা হলেও এর ভেতরে আরামে
ঢুকিয়ে রাখা যাবে বলে মনে হলো।
তবে দাম নিল অনেক বেশি,
সাড়ে চার হাজার টাকা।
এত টাকা দিয়ে কম্বল কেনার
সামর্থ্য আমার নেই।
তবু বউয়ের বিরামহীন
পিড়াপিড়িতে কিনতে বাধ্য হলাম।
টাকার শোকে আমি
পাথর হলেও রাতে যখন নতুন
কম্বল নিয়ে জামাই-বউ শুতে গেলাম,
তখন কম্বলের আরাম আর আনন্দে
চোখ বুঁজে এলো আমার।
মনে মনে অনন্যাকে ধন্যবাদ দিলাম।
টাকা কিছুটা বেশি লাগলেও এই
আরামের দরকার আছে জীবনে।
পৃথিবীতে মানুষ কত বছরই বা বেঁচে থাকে!
নতুন কম্বল নিয়ে আরাম করে ঘুমানোর পরও গতকাল
রাতে ঘুম ভেঙে গেল আমার।
লক্ষ্য করলাম বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে।
শীতের প্রথম বৃষ্টি।
হঠাৎ মনে হলো রাস্তার
ছিন্নমূল মানুষগুলোর কথা।
মধ্য রাতের এই বৃষ্টিতে
রাস্তার মানুষগুলোর ভয়ঙ্কর কষ্ট হচ্ছে নিশ্চিত।
বৃষ্টির প্রতিটি ফোটা নরক যন্ত্রণার মতোই বিদছে
তাদের শরীরে।
ঢাকা শহরের রাস্তায় কত অসহায়
নারী- পুরুষ, কত অসহায় শিশু
যে ঘুমায় আমি দেখেছি।
নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হলো আমার।
সৃষ্টিকর্তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিলাম।
তিনি চাইলে তো রাস্তার কোনো
অসহায় পরিবারেও জন্ম নিতে পারতাম আমি!
<<<<কাল্পনিক গল্প>>>
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧍⧠āĻাāύুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
3960
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Šā§§ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ