গল্প(: ঝগড়াটে প্রেম!
লেখক: শেখ আলী(আফরান)
-- এখানে কি?
তখন সূর্যটা রক্তিম লাল বর্ণ ধারণ করেছে।
আমি ছাদের এক কোণায় বসে সেই রক্তিম লাল সূর্যের অস্ত যাওয়াটা উপভোগ করছিলাম।
চারিদিকে কেমন শূন্য শূন্য লাগছিল। হঠাৎই পিছন থেকে কোনো রমনী উপরোক্ত কথাটি বলে উঠল।
--এখানে কি?
পিছন ফিরে চেয়ে দেখি বাড়িওয়ালার মেয়ে আনিকা পিছনে দাঁড়িয়ে আছে।
--এই তো রক্তিম লাল সূর্যের অস্ত যাওয়াটা দেখছিলাম।
--ছাদে আসার পারমিশনটা কে দিল?
--নিজ থেকে নিয়েছি।
--মানে?
--এখানের ভাড়াটিয়া হওয়ার সুবাদে এই ছাদে, আমারও অধিকার রয়েছে এখানে আসার।
--না নেই(রাগী চোখে থাকাল)
--কেন?
--এটা আমার বাসা,এখানে আসতে হলে পারমিশন লাগে।
--কিন্তু আমি ভাড়াটিয়া, যতসব পাগল ছাগল!
--কি,আমি পাগল?
--না পাগলী।
বলেই আমি ছাদ থেকে নিছে নিজের রুমে চলে গেলাম।
বাড়ির মালিক বলে যা তা ব্যবহার করবে।এটা তো
মেনে নেয়া যায় না।তখনই মা এসে আমার সামনে দাঁড়ালেন।
--কি হয়েছে?
--এই বাসায় থাকব না,নতুন বাসা দেখ?
--কেন?
--এখানে অহংকারী পেত্নী থাকে তাই!
--পেত্নী, আবার অহংকারী।
--হ্যা,
--কি যে বলিস!
পরেরদিন ভার্সিটি যাওয়ার জন্য গেইট থেকে বের হতেই আচমকা কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে গেলাম।
--এই ছেলে(ধমক দিয়ে)
চেয়ে দেখি বাড়িওয়ালার মেয়ে, রাগান্বিত চোখে থাকিয়ে আছে।
--চোখে দেখেন না,
--আপনি চোখে দেখেন না!
--এই ছেলে কি কইলি,
--এই অভদ্র মেয়ে,মুখ সামলে কথা বল!
--কি কইলি তুই?
--চোখে তো দেখেন না,এখন কানেও শুনেন না,বয়ড়া কোথাকার!
--তুই বয়ড়া।
--পেত্নী কোথাকার!
আমি আমার রাস্তায় চলে গেলাম।
বিকেলবেলা একটু হাটার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছি।
কিছুটা দূর যাবার পরই কয়েকটা ছেলেপুলে এসে আমাকে ঘিরে ধরল,
আমি তো ভয়ে একেবারে হিসু করার মত অবস্তা।😜
তখনই এক ভাই বলে উঠল!
--তর নাম আফরান?
--জ্বি ভাই!
--অনার্স প্রথম বর্ষে পড়িস!
--হ্যা।(ভয়ে ভয়ে)
--তা মাইয়ারে না কি পাগলী কস?দেখবি মজা,
--জ্বি ভাই!
--আনিকাকে পেত্নী, বয়রা,এসব বলেছিস?
--না ভাই!!
পিছন থেকে একটা হকি স্ট্রিট বের করল!
--আনিকার কাছে ক্ষমা চাইবি?
হ্যা টা বলার আগেই অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটে পড়লাম।
তারপরের ঘটনা আর মনে নেই।
যখন জ্ঞান ফিরল তখন আমি নিজের রুমে শুয়ে ছিলাম।পাশে দেখি আম্মু নিরবে বসে আছেন।
--বাবা,ঠিক আছিস তো?
--হ্যা,কিন্তু এই বাসাতে আর এক মুহূর্ত নয়!
--কেন?
--পেত্নীর জন্য আজ আমার এই অবস্তা।
--কি?
--হ্যা মা,ছেলেপুলে দিয়ে আমাকে পিটাতে চাইছিল।
--কি?
--হ্যা,
--ঠিক আছে, কালই এ বাসা ছেড়ে দেব।
রক্তিম লাল সূর্যের অস্ত যাওয়া দেখাটা আমার একটা
নেশা ছিল,যার কারণে সবকিছু ভুলে আমি চলে গিয়েছলাম ছাদে।
ছাদে পা দিতেই কোন এক রমনীর ফুঁপিয়ে কান্না করার শব্দ শুনা গেল।সত্যতা যাচাই করতে আমি শব্দ শুনে এগোতে লাগলাম।
সামনে থাকিয়ে দেখি বাড়িওয়ালার পেত্নী মেয়ে কেঁদে কেঁদে, ছাদ ভাসিয়ে ফেলছে।
--কি হয়েছে, ছাদকে নদীতে পরিণত করছেন কেন?
--(নিশ্চুপ,নিরবে কেঁদে চলছে)
--এই যে!
--সরি।(কান্না জড়িত কন্ঠে)
এ কেমন মেয়ে, এতদিন ঝগড়া করল আজ সরি বলছে।আমি তো পাগল হয়ে যাব।
--আপনার সরি একসেপ্ট করছি না,
বলেই চলে আসছিলাম,তখনই মেয়েটা আফরান বলে চিৎকার করল। পিছু ফিরে চেয়ে দেখি আনিকা পড়ে যাচ্ছে। আমি দৌড়ে গিয়ে ওকে ধরলাম।
মেয়েটা চোখ বুজে আছে, হঠাৎই চোখ খোলে থাকাল।
--ভালবাসি তোমায়! ঝগড়া করতে করতে তোমার প্রেমে পড়ে গেছি।
--কি?(অবাক হয়ে)
ঝগড়া করতে করতে প্রেম,ইহা কি সম্ভব।
এ প্রপোজাল কি একসেপ্ট করব???
......সমাপ্তি।
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ