----গল্প : সোনা বউ
..
----১ম পর্ব-------
.
লিখাঃগল্পের উপসংহার(শান্ত ছেলে)
...
..
---কি রে সালা থাকিস কই, কোনো
খোঁজ খবর নিস না(লিয়ন)
---আরে, বলিস না, বউয়ের প্যরায়, না
থাকতে পেরে, কিছুদিন গাঁ ডাকা
দিয়েছিলাম, যেমন কোনো অাসামী
খুন করার পর, পলাতক থাকে।(জয়)
---কি বলিস, তুই খুন-টুন করেছিস নাকী
---না রে, সালা বউয়ের প্যরা, জীবনটা
একদম তেজপাতা হয়ে গেছে।
---কেন তুই তো প্রেম করে বিয়ে করলি,
এমন হলো কেন?
---তোর সব কিছু সন্ধ্যায় বলবে,
আমাকে বাজার করতে পাঠিয়েছে,
টাইম দিয়েছে ১ঘন্টা, আলরেডী
১ঘন্টা শেষ, আজ আমার কপালে কি
আছে আল্লাহ জানে।
(কথাটা বলে হনহন করে হাঁটা শুরু
করলো জয়)
.
.
.
জয় আমার ছোট্টবেলার বন্ধু, আমাদের
আড্ডার প্রধান হাতিয়ার, যাকে ছাঁড়া
আমাদের আড্ডা একদম জমতো না।
মেয়ে পোটাঁনোর ওস্তাদ, কতো
মেয়ের সাথে প্রেম করছে হয়তো ও
নিজেই বলতে পারবে না, অবশেষে
পালিয়ে বিয়ে করেছে রুহিকে,
দেখতে আহামরি না, কিন্তু বাপের
মাল-কড়ি বহুত,বিয়ের পর কেমন জানি
পাল্টে গেছে জয়, আড্ডায় আসে না,
আসলেও আগের মতো তেমন কথা বলে
না,.সবই কপাল
.
.
.
আমি লিয়ন,অর্নাস তৃতীয় বর্ষে
পড়াশুনা করি, প্রেম-পিরিতে আমার
নামের পাশে যায় না, কারণ আমার
মতো অানরোমান্টিক ছেলের জন্য
নাকি প্রেম না, এই বিষয়টা
আবিস্কার করেছে অরনী, বর্তমানে
অরনীর পরিচয় হলো আমার সাত দিনের
প্রেমিকা। জয়কে বলে বহুত কষ্টে
অরনীর সাথে একটু ইটিস-পিটিস
হয়েছিলো, কিন্তু তার মেয়াদ সাত-
দিন....
.
.ব্রেকআপেরর সময়
অরনীর বাক্য এমন ছিলো, তুমি দেখতে
হ্যান্ডসাম হলোও, তোমার ভেতর
অনুভূতি শূণ্য, তোমার মধ্যে পুরুষত্ববোধ
নেই,
..যখন আমার পুরুষত্ব নিয়ে কথা বলছে,
তখন মাইন্ড খাই নাই, কিন্তু যখন
হিজরা টাইপ ছেলে বলেছে, তখন কি
আর যায়???
-----ব্রেকআপ ------
আসলে অরনী চায় কি, সেটা আমি
বুঝতাম না,
.
.
.
বন্ধু জয়কে বললাম বিষয়টা
---দোস্ত আমি নাকী বোরিং প্রাণী
(লিয়ন)
--- কে বলছে? হাঁসতে হাঁসতে(জয়)
---অরনী বলছে..
---কিন্তু কেনো?
---সেটা জানি না,,
---
---অরনীকে সেদিন আমার বাসায়
এসেছিলো, কিছুক্ষণ থাকার পর
,বললো এখানে তার বোরিং লাগছে,
আমি বললাম এসি বাড়িয়ে দেই, সে
বললো লাগবে না, কিন্তু যাবার সময়
বললো তুমি একটা বোরিং প্রাণী
(লিয়ন)
---ওই, সালা তুই ওর সাথে কিছু করিস
নাই,এই মিন কিছু খাস নাই?(জয়)
--সালা তুই দেখছি বোকা, অরনী
আমার বাসায় এসেছে, আমি কি
খাবো, অরনীকে আমি জুস, ফ্রিজের
মিষ্টি খাওয়াইছি, (আমি)
---আরে,, গাঁধা, তোর প্রেম করতে কে
বলছে ? এজন্যই তোর সাথে অরনীর
ব্রেকআপ হয়েছে, অরনীর মতো মেয়ে
তোর ফাকাঁ বাসায় ফ্রিজের মিষ্টি
খেতে আসে না, আসে তোর মিষ্টি
খেতে, (জয়)
---বুঝলাম না দোস্ত
---তুমি ফিডার খাও বাবু, তোমার
দিয়ে কিচ্ছু হবে না, রুমডেট মামা,
রুমডেট..।(জয়)
--রুমডেট কি?আমার রুমের মধ্যে দিয়ে
ঘুড়লাম তো।
---যা সালা, তুই আসলেই বলদ একটা
.
এই অপমান আমার কাছে নতুন না,
কারণ বন্ধুদের কাছে এটা প্রতিদিনের
ঘটনা,প্রায় প্রতিদিন এমন ঘটনা
সম্মুখীন হতে হয়, আজ হাসির পাত্রী
হতে ভালো লাগছে না,তাই বাসায়
চলে আসলাম।
.
.
.
এদিকে জয়ের এভাবে বিয়ের জন্য
বাসা থেকে আমার বিয়ের চাপ
দিচ্ছে, কিন্তু আজ জয় যে কথা
শুনালো, তাতে আমার পক্ষে বিয়ে
করা সম্ভব নয়, অরনীর সাথে সাত
দিনের সর্ম্পকে কেমন জানি মায়ায়
পড়ে গেছি মেয়েটার,
হঠাৎ আমার রুমে আম্মুর আবির্ভাব
---আম্মু কিছু বলবা?
----হ্যাঁ, তোর জন্য পাত্রী দেখা হচ্ছে,
তোর কোনো পছন্দ থাকলে বলতে
পারিস..
--আম্মু আমি তোমাকে বলেছি যে
আমি এখন বিয়ে করবো না, তাহলে
তোমরা আমার বিয়ের নিয়ে পিছনো
লাগছো কেন?
--আশে-পাশের যে অবস্থা, এজন্য তোর
আব্বু বলেছে তাড়াতাড়ি তোকে বিয়ে
দিতে, কারণ গ্রামে তোর আব্বুর যা
সম্মান আছে, তিনি তোর জন্য
হারাতে চান না।
---আম্মু তোমার ছেলের প্রতি
তোমাদের বিশ্বাস নেই?
---বিশ্বাস আছে বলেই, তোর বিয়ের
ব্যবস্থা করেছি, এখন তোর মতামত
জানতে এসেছি তোর যদি কোনো
পছন্দ থাকে আমাদের বলতে পারিস,
(আম্মু)
---আম্মু, আমি অরনী নামের একটা
মেয়েকে ভালোবাসি, ওই যে সেদিন
বাসায় এসেছিলো..
--তাহলে ওই মেয়েকে একদিন আবার
বাসায় নিয়ে আয়, যদি তোর আব্বুর
পছন্দ হয়, তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে
কোনো দ্বিমত করবো না।
---আম্মু, অরনীকে তোমার খুব পছন্দ
হবে, তুমি যে স্টার জলসার সিরিয়াল
দেখো, অরনীও প্রচুর সিরিয়াল দেখে,
তোমরা দুজন মিলে বসে শুধু সিরিয়াল
দেখবা,
---ফাজিল ছেলে,!!! যেটা বললাম মনে
রাখিস।(কথাটা শেষ না করেই আম্মু
চলে গেলো)
---ঠিক আছে আম্মু
.
.
.
আমার মনে হচ্ছে যেন আজই ঈদের দিন,
ফোনটা বের করবো, তাড়াহুড়া করে
বের করতে গিয়ে হাত থেকে পড়ে
গিয়ে ফোনের ডিসপ্লে ভেঙ্গে
গেলো,ভাগ্য খারাপ থাকলে যা হয় ..
আম্মুর ফোনটা এনে অরনীকে ফোন
দিলাম, কিন্তু অরনীর ফোন ওয়েটিং
মেজাজটা চরম খারাপ হয়ে গেলে,
খুশির খবরটা যতোক্ষন না দেওয়া যায়,
মনের মধ্যে কেমন জানি উসখুস করে।
প্রায় সাত বার ফোন দিলাম, কিন্তু
এখনো ওয়েটিং,
.
.
...প্রায় অাধ ঘন্টা পর অরনী ফোন,
---হ্যালো, কি হয়েছে?(অরনী)
---একটা খুশির খবর আছে?(আমি)
---কি, আমাকে সেই নেকলেসটা কিনে
দিবে?(অরনী)
--আরে তোমাকে আমার সব-কিছু দিয়ে
দিবো,তুমি কাল সকাল দশটায়,
কাশিনাথপুর চলে আসবে।
---ঠিক আছে লক্ষী সোনা
---ওকে এখন রাখী, বাই..।
.
.
আমার কোনো-ভাবে আজ রাতে ঘুম
আসছে না, সালার আজ রাতটা এতো
বড় কেন..
.
.
.
সকাল দশটা...
--অাজ অরনী প্রথম বার সঠিক টাইমে
দেখা করতে চলে এসেছে, আগে
সাতদিন নিয়ম করে অাধ ঘন্ট-এক ঘন্টা
দেড়ি করে আসতো,
---অরনী কেমন আছো?(আমি)
--হুম ভালো, দেখি আমার নেকলেস কই?
--আরে রাখো তোমার নেকলেস, তুমি
সব কিছু পাবে,আমি কেমন আছি
জানতে চাইবে না?
---তোমার দেখে মনে তুমি খুব খুশি,
--হুম, সত্যি আমি আজ খুব খুশি,
-----কিন্তু কোনো?
---মানে, আম্মুকে তোমার কথা বলেছি,
তোমার সাথে, কথা বলতে চেয়েছে,
সেদিন তোমায় দেখে আম্মু খুব পছন্দ
করেছে,
---তাই নাকী??
---হুম চলো যাই,
--আজ না লক্ষী সোনা, আজ আমার
একটা কাজ আছে,
--তোমার সব কাজ আজ বন্ধ, আম্মু
সাথে দেখা করতে হবে।
---প্লিজ জিদ করে বাবুটা,আমার কাজ
আছে আমি এখন আসি,
এই বলে অরনী চলে গেলো, মেয়েটা
হয়তো খুব আশা করে এসেছিলো
নেকলেসটার জন্য, কারণ অনেক
বলেছে আমায় নেকলেসটার কথা,
...
একদিন অরনীর সাথে শপিংয়ে
গিয়েছিলাম, অনেক দামি-দামি
পোশাক কিনার পর টাকা শেষ হয়ে
যাওয়ায়, সেদিন নেকলেসটা দেওয়া
সম্ভব হয়নি,কিন্তু কথা দিয়েছিলাম
কিনে দিবো...
তারপরে আর দেখা হয়নি,.
.
,
,
আজ বিকেলটা খুব সুন্দর লাগছে,হয়তো
মন ভালো থাকলে আশে-পাশের
সবকিছুই ভালো লাগে, কিন্তু মনটা
চোখের পলোকেই খারাপ হয়ে গেলো,
কারণ অরনীকে নিয়ে একটা ছেলে
রিক্সা করে ঘুড়ছে,
অরনী আমাকে দেখে রিক্সা দাঁড়
করলো...
---অরনী এই ছেলেটা কে?(আমি)
---এটা আমার বন্ধু (অরনী)
--হ্যালো ভাইয়া, আমি মাহাবুব,
(রিক্সার ছেলেটা)
--হ্যালো
---চলো তোমার আম্মুর সাথে দেখা
করে আসি,(অরনী)
---এক্ষুনি?(আমি খুশিতে বাগ-বাকুম)
(আমি)
--হুম, কিন্তু আমি একটা শর্তে
তোমাকে বিয়ে করতে পারি
--কি শর্তে বলো, তোমার সব শর্তে
আমি রাজি...
--আমার সব রকম গহনা দিয়ে সাঁজিয়ে
দিতে হবে, সব কিছু হবে ডাবল, দেনমহর
হবে দশ লাখ টাকা এবং সেটা বিয়ের
সময় দিতে হবে।
--ডাবল গহনা, দশ লাখ টাকা কোনো?
--আমার ইচ্ছে তাই
--ওকে তোমার সব ইচ্ছে পূরণে আমি
রাজী, কারণ বিয়ের পর সকল কিছু
তোমার ই হবে, কারণ আমার আব্বুর
এতো সম্পদ সব কিছু আমার, আমি ই তার
একমাত্র সন্তান।
.....
.
.
.
সেদিন আম্মু অরনীকে দেখে দ্বিমত
করে নাই, তাই অরনীর কথা মতো দশ
টাকা ও সব রকম সোনার গহনা ডাবল
দিয়ে একদম আরব দেশের মতো কনে
পক্ষকে পন দিয়ে শর্ত সাপেক্ষে
বিয়ে করা হলো.....
..এখন সেই মাহেন্দ্রক্ষণ,
------বাসরঘর-----
কিন্তু একি কি, আমার বউ,
অরনী কই, বাসরঘরের সাজানো ফুলের
বাগান আছে বউ নেই....
........
.
..
nxt......
,,
.
,,``Nil T-Shirt N``,
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ē āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
3691 (1)
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Šā§Ē PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ