āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ē āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3690

গল্প-- মেঘ ও মায়ার গল্প
লিখা- মেঘ
ডেডিকেটেড - মায়াবী মায়া `` গুরু ``
__________
মায়া-- আচ্ছা সেদিন আপনি আমার দিকে তাকালেন না কেন?
আমি- কোনদিন?
মায়া-- যেদিন আমাকে দেখতে এসেছিলেন? আপনাদের বাসায় জি ফ্লোর নেই? এখানে এসে ফ্লোরের দিকে গম্ভীর হয়ে তাকিয়ে ছিলেন...
আমি-- আসলে সেদিন....!!
মায়া- কি সেদিন?  থাক আর বলতে হবেনা!! নেক্সট আর চুপচাপ থাকবেন না কেমন!!  আমার বেশিভদ্র জামায় ভাল্লাগেনা কেমন!!
আমি-- হুম...
মায়া-- আর আপনি কখনওই কালো কিছু পড়বেন না! আমার অপছন্দ কালো রং! 
আমি- ওকে...
মায়া-- আর শুনুন! বিয়ের পর এমন একটা বাড়ি নিবেন! যেখানে কিছুই থাকবেনা! আমরা দুজন মিলে সবকিছু সাজাবো!  যেন সবকিছু তে আমাদের ভালোবাসা ও স্মৃতি লেগে থাকে..
আমি-- আচ্ছা....
মায়া-- আর বিয়েরপর আমাকে প্রচুর ভালোবাসতে হবে কিন্তু... ভুলেও অন্য মেয়ের দিকে তাকানো চলবেনা....
আমি-- ঠিক আছে...
----------
উপরে ফোনে কথা হচ্ছিল আমার সাথে এঙ্গেজমেন্ট হওয়া মেয়েটির! আজকে ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ! বিজয়ের আনন্দ মনে রেখে আজকে সবায় মিলে এঙ্গেজমেন্ট টা শেষ করল! এরেনজ ম্যারেজ! আব্বু-আম্মার খুব পছন্দ এজন্য না করে আর পারলাম না! আগামীকাল ১ তারিখে আমাদের বিবাহ.... এজন্য বাড়িতে এক অন্যরকম সাজগোজ চলছে... মাঝেমাঝে মেহমান আসছে!! সবার মুখেই এক গল্প - মেঘ মায়ার বিয়ে...
------
আমি মেঘ এবার মাষ্টার্স টা শেষ করে জবের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি! আর উনি মায়া এবার অনার্স ভর্তি হয়েছেন...  উনি বাবা-মা'য়ের একমাত্র আদুরে মেয়ে! কিন্তু প্রচণ্ড রকম মিষ্টি ও মায়াবী চেহারা.... 
------------
মায়া-- আচ্ছা আমরা কি আজকে মিট করতে পারি??
আমি-- কখন বলুন??
মায়া-- দুপুরবেলা!  তবে কাউকে বলা যাবেনা কেমন? 
আমি-- আচ্ছা বলবোনা...
---
মায়া রেষ্টুরেন্টে বসে আছে আমার জন্য... আমি মাত্র ক'মিনিট দেড়ি করে এসেছি! 
-
মায়া-- কেমন আছেন?
আমি-- ভালো আপনি?
-- আসতে কোন প্রবলেম হয়নি তো?
- না ঠিক আছি.... চলুন খাবার অর্ডার করি?
- আমি বলেছি উনারা আনছেন!
-- বিরানি আমার খুব প্রিয়..
-- আমার দেশি মুরগীর মাংস...
-- আপনার প্রিয় রং?
- হলুদ... আপনার?
-- সাদা, সবুজ।
--- খাবার এসে গেছে চলুন খাওয়া শেষ করি.....
-------
চলে আসার আগেঃ
-
মায়া-- এখানে কিছু লিখা আছে বাসায় গিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়বেন তারপর উওর দিবেন কেমন? 
আমি-- ওকে চলুন আপনাকে আগিয়ে দিয়ে আসি....
মায়া-- না না! আমি একায় যেতে পাড়ব!  আজকে আসি তাহলে কেমন.... 
----------
বাসায় এসেই মায়াকে বললাম বাসায় এসেছি!  তারপর বাড়িতে বসে মায়ার সেই গিফট টা খুলে দেখলাম... বেশ সুন্দর করে প্যাকেট করা.... একটা ঘড়ি! আর একটা চিঠি....
--
আমি- ব্যস্ত আপনি?
- না কেন?
-- চিঠিটার কি উওর দিবো?
-- সেটাও কি আমি বলে দিবো?
-- না মানে! আমি তো কখনো কাউকে চিঠি লিখিনায়! তায় বুঝতেছিনা....
মায়া-- বোঝা  লাগবেনা! পড়ুন আর উওর গুলা করুন কেমন!
আমি-- ওকে....
------
তারপর প্রচুর চেষ্টা করে একটা উওর লিখলাম! লিখার সময় প্রচুর গা ঘেমেছিল! কারণ আমাকে দিয়ে এসব কখনো হয়নি তো।
---
কিছুদিন পর মায়া আমাকে বিকালে নদীর তীরে যেতে বললঃ
--
আমি-- এই যে আপনার  সেই চিঠি!
মায়া- আচ্ছা আপনার নদী কেমন লাগে?
-- হ্যা অনেক ভাল লাগে! নদীর।ঢেউ খুব ভাল লাগে! নদীর ট্যাংরা মাছ আমার খুব প্রিয়...
মায়া-- আমারো! তবে নদীর তীর ঘেসে যদি অনেক বড় কোন মাঠ থাকে তাহলে সেটা বেশ সুন্দর লাগে....!!
আমি-- সেই মাঠে দুজন পা মেয়ে গোধূলি দেখবো!! 
-- তারপর সন্ধ্যা নেমে আসবে!
-- আপনাকে আমি জোনাকি এনে দিবো!
-- একটু একটু আলো তে আমরা আলোকিত হয়ে যাবো...
--  আচ্ছা রাতে কিন্তু আমরা প্রতিদিন চাঁদের আলো দেখবো!
-- সেই আলোতে আমরা ডুব সাতার দিয়ে মেখে যাবো সিক্ত ভালোবাসায়....
------
হঠাৎ দুজন দুজনার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হেসে দিলাম.... অদ্ভুত মাত্র ক'দিনে আমরা কতটা ফ্রি হয়ে গেছি.....
-------
বিয়ের কিছুদিন আগের কথাঃ
--
আমি- কি করো??
মায়া-- শুয়ে আছি! তুমি?
-- তোমার জন্য কেনাকাটা করতে বেড় হবো!  এখুনি বাসার নিচে আসো...
মায়া-- আওও!! তাহলে আমিও তোমার জন্য কেনাকাটা করব কেমন?
আমি-- আচ্ছা বাবা! আসো তো...।
-----;
আমি- মায়া এই শাড়িটা কেমন? 
মায়া- হলুদ শাড়ি? ওয়াও...
মায়া-- মিঃ মেঘ এই পাঞ্জাবী টা দেখোতো কেমন লাগে?
আমি- সবুজ ওয়াও....
তারপর কেনাকাটা সেরে বাসায় এলাম... পাগলী মেয়েটার সাথে পাগলামি করতে আমারো বেশ ভাল লাগে... খুব সুন্দর আর মিষ্টি হাসতে পারে!  কন্ঠে যেন মধু.... আর চোখ শতঅযশ্র কবিতার জন্ম দেয়....
----
বিয়ের আগের দিনঃ
--
মায়া-- আমার ইচ্ছে করে হলুদ শাড়িতে প্রতিদিন ভেজা চুলে আপনার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয়...
আমি-- ওয়াও! গা'য়ে হলুদ কেমন কাটছে??
মায়া-- অনেক সুন্দর!  রাতে পিক দিবো!  তোমার??
আমি- আমারো অনেক মজা হচ্ছে! সবায় মিলে খুব ভাল কাটাচ্ছি....
মায়া-- সুন্দরি মেয়ে দেখা হচ্ছেনা তো আবার??
আমি-- আসল সুন্দরির কাছে এসব কিছুইনা...
মায়া--- হিহিহিহি!!!
----------
ক্রমেক্রমে বিয়ের দিন ঘনিয়ে এলো--
মায়ার বাড়িতে বিয়ে সেরে একটা গাড়ীতে আমাদের দেওয়া হল...
--
আমি- তোমার হাতটা একটু ধরি?
মায়া-- না! আগে দেনমোহর শোধ করো......
আমি- আমাকে কিছুটা সময় দাও!!
মায়া- আমাকে প্রতিদিন দেনমোহর এর কিছু টাকা দিতে হবে...
আমি-- কিন্তু কেন?
-- কারণ ফুচকা ঝালমুড়ি চটপটি খাবো রাস্তায় দারিয়ে তোমার সাথে....
আমি-- ওয়াও... এখন একটু ধরি হাত??
----------
রাতে বাসায় আনা হলো... ১১ টা নাগাত সবায় চলে গেলো....  কিছুক্ষণ পর রুমে গেলামঃ
--
মায়া-- এতক্ষণ লাগে আসতে?
আমি-- স্যরি একটু ব্যস্ত ছিলাম!
-- আমার বুঝি বোর লাগেনা? আর নেক্সট আমাকে একা রেখে কোথাও যাবেনা কেমন??
-- আচ্ছা!  যাও ফ্রেশ হয়ে আসো..
-- আচ্ছা...
-------
কিছুক্ষণ পর!  ছাদে চলো তো এখানে ভালো লাগছেনা...
মায়া-- আচ্ছা চলো....
--
তারপর মায়া ছাদে গেলো আমি পাশে নেই!! মায়া একটা মোমবাতির দিকে এগিয়ে গেলো! 
১ম চিরকুট -- ৬ পা সামনে আসো..
২য় মোমবাতি ২য় চিরকুট - গিটফ টা খুলো...
৩য় চিরকুট ফুসকা হাতে সামনে ৫ পা যাও...  ৩য় মোমবাতি ৪র্থ চিরকুট এখন এই চটপটি গুলা চটজলদি মুখে পুরে নাও... আর পিছনের দিকে ৮ পা যেয়ে ২ পা সামনে আগাও... সামনে একটা সুতো আছে হাল্কা টান দাও... তারপর মায়া টান দিলে সাথে সাথে আমার কাজিনরা আতোসবাজি ফুটিয়ে ম্যাজিক বোমা ফাটিয়ে প্রচুর চমকে দিলো মায়াকে... পিছন থেকে আমার গীটারের সুরে সবকিছু নীরব হয়ে গেলো!!  মায়া এবার চুপচাপ আমার কাধে মাথা রেখে বললঃ
---
গম্ভীর পাগল টার পেটেপেটে এত বুদ্ধি?? আজকের চাঁদনী রাতে আমার সব ভালোবাসা পাগল টার নামে লিখে দিলাম.....!! তারপর সবায় মিলে প্রচুর মজা করে রুমে গেলাম.........
________মেঘ_____________

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ