গল্পঃ "ভূত রানী"
-নিলয় এই নিলয়(মিম)
>হুম(নিলয়)
-কি হুম?
>কি বলবি বল
-কি বলবো মানে?ভার্সিটিতে যাবি না?
>না
-কেন কি হইছে তোর বলতো।
>কেন তুই জানিস না ওইখানে বজ্জাত মেয়েটা আছে।
-কার কথা বলছিস?কে বজ্জাত
.
>আরে অরিন।
-হা হা হা
>এই হাসছিস কেন ভুতরানী।
-হাসবো না তো কাদবো নাকি?অরিন এর জন্য তুই ভার্সিটিতে যাবি না?
>না যাবো না,ওকে আমার দেখতে ইচ্ছা করে না,সারাক্ষন কি সব বলে বেড়ায়।
-আরে বোকা মেয়েটা তোকে ভালোবাসে।
.
>ভালোবাসা না ছাই,এই সব বড়লোকের মেয়েরর উপর আমার এলার্জি আছে জানিস না?
-হুম জানি, তারপর ও তোকে ও ভালোবাসে নিলয়।
>আরে বাদ দে তো।ওরা ধোকাবাজ,মন নিয়ে খেলা করবে তারপর চলে যাবে।মেয়েদের প্রতি বিশ্বাস নাই আমার।
-আমাকেও বিশ্বাস করিস না?
.
>হা হা হা
-এই ভুত হাসিস কেন?
>তুই নিজেকে মেয়ে বলছিস তাই হাসি পাচ্ছে।
- মেয়ে বলবোনা তো কি বলবো কুত্তা?আমাকে কি তোর মেয়ে মনে হয়না?
>ধ্যাত তুই মেয়ে নাকি?মেয়েরা কি এমন হয় নাকি?জিন্স আর টি-শার্ট পরে পোলা সেজে ঘুরে বেরাস।
.
-দেখ নিলয় বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু,জিন্স আর টি-শার্ট এ আমায় কতে কিউট লাগে দেখছিস?
>হো পোলা পোলা লাগে তোরে,মনে হয় তুই আমার ছোট ভাই।
-হু যা ভাগ
>শোন মেয়েরা তোর মতো এমন হয় না,মেয়েরা শাড়ি পরলেই তাদের কিউট লাগে সাথে মেচিং করা চুড়ি খোলা চুল। একদম মন ছুয়ে যায়,তার হাসি পাগল করার মতো। তার চাহনি হবে হরিনীর মতো।মেয়েরা এমন হয় বুঝলি।তোর যেই হাসি হি হি হি একদম ভুতরানী।
.
-আচ্ছা ঠিক আছে,আমি ছেলে।(এই বলে চলে গেল মিম)
>এই কোথায় যাচ্ছিস দাড়া।
-(.......)
>যাহ্ বাবা চলে গেলো।হঠাত এতো রেগে গেলো কেন বুঝলাম না।মেয়েটা আমাকে মন ভালো করার জন্য আসলো আর আমি ওকেই রাগিয়ে দিলাম।আচ্ছা আপনারাই বলেন আমি খারাপ কি বলছি যে ও রেগে যাবে যাক কাল তো দেখা হবেই।
.
-হ্যালো, নিলয় তুই কোথায়?
>এইতো সুয়ে আছি।
-আমার সাথে দেখা করতে পারবি?
>না পারুম না,ফোন রাখ,আমি ঘুমাবো।
-থাক লাগবে না।(বলেই ফোন কেটে দিলো,শালি আমাকে একটু ঘুমাতেও দিবে না,ওর জন্য একদিন ও বিকেল এ ঘুমাতে পারিনা। সেই ছোট বেলা থেকে জালিয়ে আসছে।কিছু বললেই মুখটা হারির মতো করে ফেলবে,পরে আবার ও ই আসে আমার কাছে)
.
-নিলয় আসবি না?
>ওকে আসছি, তো কখন আসবো?কোথায় আসবো?
-বিকেল ৫টায়,পার্কে।
>আচ্ছা ঠিক আছে আসছি।
.
>কিরে কথায় তুই, সারা পার্ক খুঁজে শেষ,তোকে তো পেলাম না।(ফোনে)
-কি বলিস আমাকে পেলিনা, আমি তো তোকে দেখতে পাচ্ছি।
>তুই আছসিস তো নাকি মজা করছিস আমার সাথে।
-পেছনে ঘুরে তাকা
>(...........)
হা করে তাকিয়ে দেখছি মিম কে।
-কিরে বোবা হয়ে গেলি নাকি?
>(..........)ওকে দেখে আমার মুখ দিয়ে কথাই বের হচ্ছিলো না।ভুতরানী এত্তো সুন্দর,আগে তো বুঝিনি।
-ওই ভুত কথা বল,চুপ করে গেলি কেন?আমাকে খুব বাজে লাগছে দেখতে তাই না?
>চুপ করতো আগে তোকে দেখতে দে।
-যাহ্(লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে)
>না না আজ আর তোকে ছেড়ে যাবো না।
.
-কি বলিস কেন যাবি না?
>শাড়িতে তোকে এতো সুন্দর লাগছে,একদম আকাশ পরী।তুই এতো সুন্দর কবে থেকে হইলি দোস্ত?
-ধ্যাত কি যে বলিস না।
>সত্যি বলছি কালো সাড়ি,হাত ভরা চুড়ি,খোলা চুল তোকে যেন অন্যরকম লাগছে।পাগল করে দিচ্ছে আমায়,আজকে তোকে সত্যিকারের মেয়ে মনে হচ্ছে।
-হি হি হি
>হাসিস না,তুই হাসলে মেয়ে ভাবটা চলে যাবে ভুতরানী।
-ধুর শালা তুই থাক তোর মেয়ে নিয়া আমি যাই।
>না এই মেয়ে আর বলদাবে না।ও ছেলের মতোই রয়ে যাবে। কিছু হলেই রাগ করে চলে যাবে।তবে কখনল ওকে আটকাই নি,আজ ইচ্ছে করছে ওকে আটকে রাখি,বেধে রাখি সারা জীবনের জন্য।
.
>এই মিম দাড়া, দৌড়ে গেলাম ওর কাছে
-দাড়াবো না যা তুই।
>আরে বাবা শোন না?
-না শুনবো না।
>প্লিজ দাড়া একটু
-হুম কি বলবি বল
>আজ তোকে খুব সুন্দর লাগছে।
-এটা বলার জন্য দাড়াইতে বলছিস?
>একটা কথা বলবো রাখবি?
-আগে বল শুনি রাখার মতো হলে রাখবো।
>তুই আর জিন্স টি-শার্ট পরবি না।
-হু
>কি হু?বল রাখবি।
-হুম রাখবো।
>আচ্ছা চল বাসায় যাই।
-হুম চল।
.
বাসায় চলে এলাম,আর একটু ওর কাছে থাকলে হয়তো ওর প্রেমে পরে যেতাম।রাতে খাওয়া শেষে রুমে গিয়ে শুয়ে পরলাম।আজ যেন ঘুমই আছসে না,শুধু ওর কথাই মনে পরছে।তাহলে কি আমি ওর প্রেমে পরে গেলাম?না কিছু ভাবতে পারছি না।কাল ওকে বলতেই হবে আমার মনের কথা।
.
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ওকে ফোন দিলাম
-হ্যা নিলয় বল।এতো সকাল কেন ফোন দিছিস?
>শালি আমার মাথা নষ্ট করে এখন বলে কেন ফোন দিছি আস্তে আস্তে বললাম।
-কিরে কি বলছিস বুঝি নি আবার বল।
>কিছুনা,ক্যামপাস এ আয় জলদি।
-কি শুরু করলি। এখন সকাল ৬ টা। এতো সকালে ক্যামপাস এ কি করবো?
>আসতে বলছি আয়,
-হুম আসছি
.
আজ লাল রং এর ড্রেস পরে আছসে মিম।মেয়েটা মনে হয় এবার আমাকে পাবনা পাঠিয়ে ছাড়বে। যতো দেখছি ততোই প্রেমে পরছি ওর। না দেরি করা
ঠিক হবে না,এবার ওকে আমার মনের কথা বলতেই হবে।নইলে অন্যকেউ দেখলে আমার মতোই পাগল হয়ে যাবে। তারপর যদি ও অন্য কারো হয়ে যায়।
.
-হুম নীলয় বল কেন ডাকছিস?
>না মানে
-কি মানে মানে করছিস?যা বলবি ক্লিয়ার করে বল।
>আমি তোকে ভালোবাসি মিম
-কি বললি আবার বল
>আমি তোকে ভালোবাসি।
-ঠাস করে একটা চর দিয়ে(এভাবে কেউ প্রপোজ করে স্টুপিড)
>ধ্যাত তোরে প্রপোজ করাই ভুল হইছে।তুই জানিস না আমি কখনো কাউরে প্রপোজ করি নাই।কতো কষ্ট করে করলাম।তাও চর খেলাম।
-আমার সাথে প্রেম করতে আসলে আগে প্রপোজ করা শিখবি তারপর আসবি।নইলে এভাবেই চর খাবি।বলে চলে গেল।
.
না ওকে নিয়ে আর পারবো না। কিছু হলেই চলে যাবে। ভুতের মতো আসে ভুতের মতো চলে যায়,এই মেয়ে নিয়ে কি যে করি।এখন আবার প্রপোজ করা শিখতে হবে।কেন যে একে মেয়েদের বর্ননা টা দিছিলাম।আগেই ভালো ছিলো।অন্তত এই ভুতরানীর প্রেমে পরতে হতোনা।
.
ও চলে গেল তাই আমিও বাসায় চলে আসলাম,এসেই প্রপোজ করা শিখার জন্য প্রেকটিস করছিলাম এমন সময়
.
*কিরে ভাইয়া কি করছিস?(নীলা)
>কিছুনা
*আরে বল কি করছিস দেখ আমি তোকে হেল্প করতে পারি।(নীলা আমার একমাত্র ছোট বোন।কোনো প্রবলেম হলে ও আমাকে হেল্প করার জন্য প্রস্তুত।
>মিম কে প্রপোজ করবো।কিন্তু কিভাবে করবো বুজতেছিনা।ও বলছে প্রপোজ করা শিখে ওর সাথে প্রেম করতে হবে।
*হি হি হি
>তুই ও ওই ভুতনীর মতো হাসছিস? *তুমি মিম আপুকে প্রপোজ করবা?তুমি না ওকে ছোট ভাই বলতা?
>তো কি হইছে এখন বউ বানাবো। বেশি পেচাল না পাইরা হেল্প কর নয়লে ভাগ।
*রাগ করছো কেন।শোনো এত প্রেকটিস করা লাগবে না,শুধু একটা লাল গোলাপ নিয়ে ওর সামনে গিয়ে বলবা "আমি তেমাকে ভালোবাসি"তাহলেই হবে।
>বলছিস?হবে তো?
*আগে বলেই দেখো।
>আচ্ছা বিকেলেই বলবো।
.
বিকেলে মিম কে ফোন দিলাম।
>মিম কি করিস?
-তোকে বলবো কেন?
>আচ্ছা বলতে হবে না।একটু ছাদে আসবি?
-ছাদে মানে?তুই কোথায়?
>আমি যেখানেই থাকি তুই ছাদে আয়।আমিও ছাদে চলে গেলাম।ওদের বাসা আর আমাদের বাসা পাশাপাশি। তাই যেতে বেশি সময় লাগলো না। গিয়ে দেখি সে হাজির।
.
-কি বলবি বল।
>এই তুইকি নরম সুরে কথা বলতে পারিস না?
-এখন তুই আমাকে কথা বলা শিখাবি?
>না
-তাহলে কি বলবি বল।
>পেছন থেকে গোলাপ টা এগিয়ে দিয়ে হাটু গেরে বসে চোখ বন্ধ করে
.
মিম আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।তুমি কি আমার বউ হবা? আমি তোমাকে অনেক সুখে রাখবো।
-ঠাস করে আবার একটা থাপ্পর দিয়ে আমিও তোমাকে ভালোবাসি বুদ্ধুরাম।এই বলে জড়িয়ে ধরলো আমার ভুতরানী।
>এ কি করছো কেউ চলে আসবে তো।
-আসলে আসুক,আমিতো আমার ভুতকেই ধরেছি।
--------------------------
---------------------------
Collected
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ