আবীর অনার্স ২য় বর্ষে পড়ে,পড়াশোনায় খুবই মেধাবী ছাত্র সে। পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়ে বাজে আড্ডা না দিয়ে ফেসবুক চালাতো, কিন্তু বর্তমানে ফেসবুক টা তার কাছে নেশার মতো মনে হয়। একদিন ফেসবুক না চালালে তার মনে হয় দিনটাই যেন বৃথা হয়ে গেল। হঠাৎ করে আবীরের এমন ফেসবুক নেশার ও অবশ্য একটা কারণ আছে। ফেসবুকে সে অন্যদের মত লাইক বা কমেন্টের আশায় আসত না। যতক্ষণ সে ফেসবুক চালাতো ততক্ষণ সে বিভিন্ন ধরনের গল্প পড়েই সময় কাটিয়ে দিতো। গল্পের প্রতি তার যেন এক ভয়াবহ নেশা ধরে গেছে। একদিন গল্প না পড়লে তার মন অন্য কোন কিছুতেই বসতো না। তাই সে ফেসবুকের বিভিন্ন গল্পের পেইজে গিয়ে গল্প পড়তো। এভাবে গল্প পড়তে পড়তে নীলপরী নীলান্জনা নামের একজন গল্প লেখিকার গল্প গুলো আবীরের খুবই ভালো লাগতো!এককথায় সে নীলপরী নীলান্জনার গল্পের বিরাট ফ্যান হয়ে গেছে। প্রতিদিন আবীর নীলপরী নীলান্জনার গল্পের অপেক্ষায় থাকতো।কোন একদিন যদি তার লেখা গল্প প্রকাশ না পেতো, তাহলে সেদিন আবীরের মন খুবই খারাপ থাকতো। এভাবে কিছুদিন যাবার পর আবীর ভাবলো মেয়েটিকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠানো যায়, এবং সাথে সাথেই পাঠিয়ে দিলো। এবং সে মেয়েটিকে একটি মেসেজ পাঠালো যে আমি আপনার গল্পের একজন বিরাট ভক্ত। দয়াকরে রিকুয়েস্ট টি গ্রহণ করবেন। মেয়েটি অনলাইনেই ছিলো তাই সাথে সাথেই রিকুয়েস্ট টি গ্রহন করলো। অতপর আবীর মেয়েটিকে মেসেজ করলো, আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন? মেয়েটি উত্তর দিলো ওয়ালাইকুম আসসালাম আলহামদুলিল্লাহ ভালো। কথার একপর্যায়ে আবীর জানতে পারলো মেয়েটির নাম নীলা। এভাবেই তাদের কথা এগিয়ে যেতে লাগলো।প্রথমতো আবীর নীলাকে মাঝে মাঝে মেসেজ করতো কিন্তু বর্তমানে সেটা প্রতিদিনে রুপ নিয়েছে। এভাবে কথা বলতে বলতে আবীর নীলার প্রতি দুর্বল হয়ে পরলো। আবীর বুঝতে পারলো সে নীলার প্রেমে পড়ে গেছে। তাই আর দেরি না করে তার মনের সব কথা খুলে বললো নীলাকে। নীলা কোন উত্তর দিলো না। তারপর থেকে নীলা আর ফেসবুকে আসতো না। নীলার কোন খোজ না পেয়ে আবীর খুবই হতাশ হয়ে পরলো। আবীরের কোন কিছুতেই মন বসছে না। আবীর প্রতিদিন ই নীলাকে ফেসবুকে খুজতো, কিন্তু পেতো না। হঠাৎ কিছুদিন পর আবীরের আইডিতে অদৃশ্য অস্পরী নামের একটি আইডি থেকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসলো এবং সাথে একটি মেসেজ যাতে লিখা ছিলো রিকুয়েস্ট টি গ্রহন করলে ধন্য হবো। আবীর সাধারণত কোন অপরিচিত লোকের রিকুয়েস্ট গ্রহন করে না,কিন্তু কেন জানি অদৃশ্য অস্পরীর রিকুয়েস্ট টি গ্রহণ করলো। মেয়েটি আবীর কে মাঝে মাঝে মেসেজ দিতো আবীর ও মাঝে মাঝে উত্তর দিতো। একসময় মেয়েটি আবীরের বন্ধু হতে চাইলো। আবীর প্রথমে নিষেধ করলেও মেয়েটির রিকুয়েস্টে রাজী হলো। তারপর তাদের বন্ধুত্ব এগিয়ে যেতে লাগলো।মেয়েটি আবীরের সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারনা নিলো। হঠাৎ একদিন মেয়েটি আবীর কে বললো যে সে তাকে ভালবাসে। এবং সাথে তার একটি ছবিও পাঠালো। মেয়েটি দেখতে খুবই সুন্দর। কাজল কালো চোখ,মায়াবী চেহারা যে কেউ দেখলে তার প্রেমে পরে যাবে। কিন্তু আবীর তাকে সরাসরি নিষেধ করে দিলো যে তার পক্ষে তাকে ভালবাসা সম্ভব নয়। মেয়েটি নিষেধ করার কারন জানতে চাইলো। আবীর তার মনের সব কথা বলতে লাগলো।সে বললো সে নীলা কে কতটা ভালবেসে ফেলেছিলো। এখনো সে নীলার অপেক্ষায় আছে এবং প্রয়োজনে সারাজীবন থাকবে। মেয়েটি আবীর কে জিজ্ঞাসা করলো না দেখে একজন মেয়েকে এতটা ভালবাসলেন, যদি সে দেখতে খারাপ হয়? আবীর উত্তর দিলো ভালবাসা চেহারা দেখে হয়না। ভালবাসা হয় মন থেকে। সে যেরকম ই হোক আমি নীলাকেই ভালবাসি এবং বাসবো। মেয়েটি আর কিছু না বলে চলে গেলো। হঠাৎ পরের দিন আবীরের ফেসবুকে নীলার মেসেজ আসলো আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন? আবীর তো নীলার মেসেজ পেয়ে খুশিতে আত্নহারা। আবীর উত্তর দিলো ওয়ালাইকুম আসসালাম আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনি? এভাবে তাদের কথা এগিয়ে যেতে লাগলো।হঠাৎ নিলা একটি মেয়ের ছবি পাঠালো আবীরকে।এবং বললো দেখুন তো চিনতে পারেন কিনা?আবীর তো অবাক এতো দেখছি অদৃশ্য অস্পরী আইডি থেকে যেই ছবিটি পাঠিয়েছিলো সেই ছবি। আবীরের আর বুঝতে বাকি রইলো না অদৃশ্য অস্পরীর আসলে নীলা ছিলো। আবীর নীলাকে প্রশ্ন করলো তুমি আমার সাথে এমন করলে কেন?নীলা উত্তর দিলো দেখলাম তুমি কতটা ভালবাসো আমায়। আবীর আবারও প্রশ্ন করলো কি বুঝলে? নীলা উত্তর দিলো বুঝলাম তুমি আমাকে আসলেই অনেক ভালবাসো। অতপর নীলাও আবীরকে বলে দিলো আমিও তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি। এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকলো তাদের ভালবাসা...........
#ভুল_ত্রুটি_ক্ষমার_দৃষ্টিতে_দেখবেন
Collected
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ